E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ / ১৩ ফাল্গুন, ১৪২৭

এলআইসি এজেন্টদের ধরনা সমাবেশ


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এলআইসি এজেন্টস্‌ অর্গানাইজেশন অব ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে কলকাতায় ভারতীয় জীবন বিমা ইস্টার্ন জোনাল অফিসের সামনে ধরনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনীতির অন্যতম ‍‌ভিত্তি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এলআইসি’র শেয়ার বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এই সমাবেশ‍‌ থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন ‍‌ডিভিশন থেকে কয়েক হাজার এজেন্ট বন্ধুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। তিনি বলেন, আম্বানি-আদানিদের স্বার্থে নীতি নির্ধারণ করছে দেশের সরকার, অথচ কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাচ্ছেন, অভুক্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছেন - সে বিষয়ে উদাসীন মোদী-শাহের বিজেপি সরকার। আচারিয়া বলেন, দেশের সম্পদ লুট করছে কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা, আর অন্যদিকে একের পর এক সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে এই সরকার। এলআইসি-কে তিলোত্তমা করলো যে এজেন্টরা, তারাই আজ চরম সঙ্কটে। ঐক্যবদ্ধ লড়াই ছাড়া তাঁদের দাবি আদায় অসম্ভব। সমস্ত অংশের মানুষের লড়াইয়ের সহযোগী শক্তির ভূমিকা পালন করতে হবে এজেন্ট বন্ধুদের। সমাবেশে সিআইটিইউ নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েই এজেন্ট বন্ধুদের সার্বিক লড়াইকে আরও জোরদার করতে হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সরকার বদলের মধ্য দিয়েই এ কাজকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজ্য সংগঠনের সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কোনো আলাদা জাত নেই। তাঁদের লড়াই পেটের ভাতের। যাঁদের কাছে আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি, তাঁদের সংগঠিত করেই এলআইসি এজেন্টদের দাবি আদায়ে বাধ্য করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোনাল সভাপতি সুরজিত বসু, রাজ্য সম্পাদক জয়ন্ত বসু, বিবেকাশিস মিশ্র, গৌরী নন্দী, মহঃ তাসকিল। সমাবেশ শেষে জোনাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার, এফডিআই বৃদ্ধি বাতিল সহ সব এজেন্টের জন্য পরিবারসহ মে‍‌ডিক্লেম চালু, পলিসি হোল্ডারদের বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সুরজিত বসুর নেতৃত্বে ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন জয়ন্ত বসু, বরুণ ভট্টাচার্য, বিজয় দে, মনোজ দাস, শৈবাল জানা, শিবানী মুখার্জি প্রমুখ।