৫৮ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ / ১৩ ফাল্গুন, ১৪২৭
‘খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা লাঙল-চষা’
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
সংস্কৃতি বলে বাংলা শব্দভাণ্ডারে একটা শব্দ থাকলেও তার গায়ে কবে থেকে একটা ‘অপ’ যুক্ত হয়ে আরও একটা শব্দ তৈরি হয়েছে তা আমার জানা নেই। স্বাভাবিক বুদ্ধি বলে ‘অপ’টাই আগে থাকার কথা। কারণ তার পরিমার্জন ঘটেই তো ‘অপ’র বিদায়। পারফেকশনিস্ট বা সংস্কৃত হয়ে ওঠা। সুন্দর অ-সুন্দরের বিরোধটাও অনেকটা এরকমই। বিরোধ না থাকলেও বিরোধ বিরোধ খেলে যাওয়া। লঘু মানুষের গুরু বিষয়ে আলোচনা করতে নেই। যে বিষয় জানা নেই সেই বিষয়ে কিছু বলতে যাওয়াও উচিত নয়।
ভাষাতাত্ত্বিকরা ভালো বলতে পারবেন। তবে ভাষার ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে যেটুকু মনে হয় তা অনেকটা এরকম। ইংরেজি ‘কালচার’ শব্দ থেকেই বাংলা ‘সংস্কৃতি’র আমদানি। শব্দের আবির্ভাব হলে তার একটা অর্থেরও জন্ম হয়। শব্দকে সংজ্ঞায়িত করে গণ্ডী বেঁধে দেওয়া। বাকি সময়টুকু সেই আঁক কাটা ঘরের মধ্যেই ঘোরাফেরা। গণ্ডী ভেঙে বাইরে বেরোলেই আরও একটা শব্দের জন্ম। বিপরীতার্থক শব্দ। সুবল কুমার মিত্র তাঁর ‘সরল বাঙ্গালা অভিধান’-এ সংস্কৃতি শব্দের অর্থ হিসেবে লিখেছেন - ‘শিক্ষা বা অভ্যাস দ্বারা লব্ধ উৎকর্ষ, কৃষ্টি, কালচার’। মনিয়র উইলিয়ামসের অভিধানে এই শব্দ কিছুটা ধাপ বেয়ে এসেছে। কৃষ্ট, কৃষ্টি, সংস্কার, সংস্কৃত, সংস্কৃতি। যেখানে কৃষ্ট অর্থে ‘কাল্টিভেটেড গ্রাউন্ড’, কৃষ্টি - ‘লারনেড ম্যান অর পণ্ডিত’, সংস্কার - ‘মেকিং পারফেক্ট’, সংস্কৃত - ‘পারফেক্টেড, রিফাইন্ড’, সংস্কৃতি - ‘পারফেক্টেড’। ধাপে ধাপে উত্তরণ। অর্থাৎ সংস্কৃতির আগেই এক অন্য সংস্কৃতি বা ‘অপ’ - যেভাবেই বলা হোক না কেন, কিছু একটা ছিল এবং সেটাকেই ঘষে মেজে ‘পারফেক্টেড’ হয়ে ওঠা। তবে এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা থেকে যায়। আমার আলো জ্বালাবার ক্ষমতা থাকলে, আর্থিক সামর্থ্য থাকলে আমি ঘরে টিউব লাইট, এলইডি কেন, ঝাড়বাতিও লাগাতে পারি। কিন্তু তাতে যে মানুষটা আলো জ্বালাতে পারল না তাকে ‘তোর ঘরটা বড়ো অন্ধকার’ বলার অধিকারও আমি অর্জন করে ফেলিনা। তার ঘর অন্ধকার থেকে যায় বলেই আমার ঘরের আলো দেখতে পাওয়া। কিছু কিছু বিষয়ে গেল গেল রব তুললে বোধহয় অন্ধকারই প্রকট হয়। ‘আবরণ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন - ‘প্যাট্রিয়টিজম-নামক পদার্থ ইহার মধ্যে যেটুকু সত্য ছিল প্রতিদিন সকলে পড়িয়া সেটাকে তুলা ধুনিয়া একটা প্রকাণ্ড মিথ্যা করিয়া তুলিয়াছে; এখন এই তৈরি বুলিটাকে প্রাণপণ চেষ্টায় সত্য করিয়া তুলিবার জন্য কত কৃত্রিম উপায়, কত অলীক উদ্দীপনা, কত অন্যায় শিক্ষা, কত গড়িয়া-তোলা বিদ্বেষ, কত কূট যুক্তি, কত ধর্মের ভান সৃষ্ট হইতেছে তাহার সীমা সংখ্যা নাই। এই-সকল স্বভাবভ্রষ্ট কুহেলিকার মধ্যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়; সরল ও উদার, প্রশান্ত ও সুন্দর হইতে সে কেবল দূরে চলিয়া যাইতে থাকে। কিন্তু বুলির মোহ ভাঙানো বড়ো শক্ত।’ কিছু দেখিনা, কিছু শুনিনা ভান করলেও চোখ কান আমাদের খোলাই থাকে। সবকিছুই নজরেও পড়ে। তাই হাল আমলে এই ধরনের উদাহরণ খুঁজে পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়না।
পশ্চিমবঙ্গটা কবে থেকে ঠিক খেলার মাঠ হয়ে গেল আর রাজ্যবাসী ফুটবল - বাঙালির ঠাওর হতে হতে প্রায় ৭০ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এক সময়ের পাকা খেলুড়ে রাজ্যবাসীও ক্রমশ ক্রমশ খেলোয়াড় থেকে দর্শক হয়ে গেছেন। এখন সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত মাঠে অধিকাংশ সময় গোরু চড়ে, আর কিছুটা সময় পাকা খেলোয়াড়রা এসে খেলে যান। দর্শক রাজ্যবাসী কোনো না কোনো দলের সমর্থক হয়ে ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ ডিজের তালে ধেই ধেই করে নাচে, চিল্লিয়ে গলা ফাটায়, মাঠের বাইরে থেকে হাততালি দেয়। খেলার সুযোগ খুব একটা হয়ে ওঠে না। ম্যাচ গড়াপেটা ধরা তো দূরের কথা। পাকা মাথার আইএসএল-কে বাণিজ্য করতে হলে কলকাতা লিগকে জৌলুসহীন করতেই হবে। আমরাও তো অধীর আগ্রহে বসে থাকি। চোখের পলক না ফেলে নিজেদের দাম ঠিক করে নীলামে নামা খেলোয়াড়দের কেনা বেচা দেখি। চড়া দামে মানুষের বিক্রি হওয়া, বিক্রি হতে না পারা দেখি। চোখ সয়ে গেছে। হাজার হোক বাজার বলে কথা। শব্দ বদলে গেলেও লেখার প্রথম প্যারার দ্বন্দ্ব এখানেও প্রকট।
বিশ্বাস করুন। সত্যি বলছি। এরকম কিছু লিখতে চাইনি। ভেবেছিলাম অন্য বিষয়েই লিখব। সামনে যেহেতু ভোট আর ‘বঙ্গাল’ ‘রোবিন্দ্ররোনাথ’ ‘শ্যামাপরসাদ’ ‘কারিয়াকরতা বৈঠক’ ‘চিন্তন বৈঠক’ ঘিরে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা, তাই সেটা নিয়েই লিখব ভেবেছিলাম। ইস্যু তো কিছু কম পড়ে নাই। তাঁরা উড়ে উড়ে আসেন আর আমাদের আলোচনার জন্য ইস্যু ছেড়ে যান। তা নিয়েই সময় কাবার। নিজের সমস্যার কথা ভাববেন বা বলবেন কখন। একটু খেয়াল করে দেখবেন, পরিযায়ী পাখিরা যেসব গাছে এসে বসে সেইসব গাছের নিচের চারপাশটা পাখিদের বর্জ্য পদার্থে সাদা হয়ে যায়। গাছের পাতা ঝরে যায়। বর্ষা না আসা পর্যন্ত সে পাতা আবার সবুজ হয়ে ওঠে না, গাছের নীচের সাদা সাদা দাগগুলোও ওঠে না। সময় দিতেই হবে। বর্ষার অপেক্ষাতেও থাকতেই হবে।
রাজ্য রাজনীতিতে ‘খেলা হবে’-র আমদানি করেছে গত দশ বছর ধরে রাজ্য শাসন করা তৃণমূল। রাজ্যবাসীকে নিয়ে, রাজ্যের বেকার যুবদের নিয়ে, সাধারণ মানুষকে নিয়ে দীর্ঘদিন ছেলেখেলা করার পরেও খেলা নিশ্চয়ই আরও কিছু বাকি আছে। সেসব হয়তো ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে খেলার সাধ যে এখনও মেটেনি তা তো খেলা হবে ডিজে গানেই স্পষ্ট। যে গানে কোমর দোলাচ্ছেন অনুব্রত থেকে অন্যান্যরা। এ বড়ো অদ্ভুত দেশ। যেখানে দেশের মানুষ চরম বিপর্যস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে গিয়ে ডিজের তালে ‘হর হর মহাদেব’-এর সঙ্গে শরীর দোলান। আর রাজ্যবাসীকে চরম বিপর্যয়ে ফেলে রাজ্যের শাসকরা ‘খেলা হবে’র সঙ্গে। খেলার পুতুলরা সুতোর টানে নেচেই যান। যাক সে কথা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন - ফুটবল ভালোবাসে বাংলা। আর তাই ফুটবলের ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক ফাউল করে ফেলেছে তৃণমূল। অপশাসনের, বিরোধীদের উপরে হামলা, হিংসা, দুর্নীতি ও বাংলার মানুষদের টাকা লোটার ফাউল। সব দেখছেন মানুষ। শীঘ্রই তৃণমূলকে রামকার্ড দেখাতে চলেছে বাংলা।' (জি নিউজ ডিজিটাল, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) যার উত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশপ্রিয় পার্কে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন - একুশে একটাই খেলা হবে। আর সেখানে আমি থাকব গোলকিপার। দেখি কে হারে... কে জেতে?" এর উত্তরে ২২ ফেব্রুয়ারি একদা তৃণমূল, এখন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির জনসভায় বলেন - ‘তিনিই গোলরক্ষক। তবে মনে রেখে দেবেন, উনি যদি গোলরক্ষক হন, তাহলে আমরাও বড়ো বড়ো স্ট্রাইকার আছি মাঠে। কীভাবে গোল দিতে হয়, তা আমরা জানি। আগামী দিনে গোল করে দেখিয়ে দেব।’ যার উত্তরে ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেন - “খেলা একটাই হবে একুশের নির্বাচনে। একদিকে থাকবে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল। আমি থাকব গোলকিপার। একটাও গোল বারপোস্টে ঢুকবে না। সব ওপর দিয়ে চলে যাবে।” এতগুলো বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য দেবার হয়তো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু আমাদেরও তো খেলার উত্তেজনাটা বোঝা দরকার। তাই ধারাবিবরণীটা ঠিকঠাক দেওয়া চাই। যদিও গটআপটাও মাঝে মাঝে সামনে বেরিয়ে আসে। যেমন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ ডিজের একটা গুরুত্বপূর্ণ লাইন ‘রামের দেবী দুর্গা তবে’। আরএসএস-র দুর্গাকে চেনেন তো? অকালবোধন করে যুদ্ধজয়ের প্রার্থনায় রাম সেই দুর্গারই ভজনা করেছিলেন। আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলেন। ১০৮টা নীল গোলাপ না কীসব দিতে হয়েছিলো যেন। রামায়ণের গল্পে আছে। সময় তাহলে বিশেষ বদলায়নি। কী বলেন! ছকটা পৌরাণিক কাহিনি মেনেই। এখনও রামের তথাকথিত চ্যালারা জয়লাভ করতে দুর্গাকেই ভজনা করছেন। গেমপ্ল্যান তৈরি। কল্পিত প্রতিপক্ষ তৈরি। কে গোলকিপার, কে ফরোয়ার্ড, কে কাকে কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠাবেন সেসবও ওনারা মনে মনেই ঠিক করে নিয়েছেন। দর্শক, সমর্থক কারা হবেন সেটাও ঠিক করে দিচ্ছেন মিডিয়াকে দিয়ে।
অবশ্য খেলা যে শুধু বাঙলাতেই হচ্ছে তা নয়। বাঙলার বাইরেও দেশজুড়ে খেলা হচ্ছে। এই যেমন দিনকয়েক আগে বিজেপি’র হরিয়ানা রাজ্য সভাপতি ও পি ধনকর, হিসারের বিজেপি সাংসদ ব্রিজেন্দ্র সিং, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী সন্দীপ সিং এক ‘কারিয়াকর্তা বৈঠক’-এ উপস্থিত ছিলেন। যেখানে জনৈক বিজেপি নেতাকে উচ্চ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেছে - ‘কৃষকরা কোনো অবস্থাতেই বুঝতে রাজী নন... কীভাবে তাঁদের বিপথে চালিত করা যায় সেই বিষয়ে আমাদের কিছু পথ দেখান।’ যে ভিডিয়ো পোস্ট করে ট্যুইট হয়েছে - ‘অন্নদাতা এবং দেশের প্রতি এটাই বিজেপি’র আসল চেহারা।’
এতক্ষণ তো খেলার কথা খেলোয়াড়দের কথা শোনা গেল। কিন্তু যাঁদের সুকৌশলে মাঠের বাইরে রেখে দেওয়া হচ্ছে, মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে সেইসব দর্শক সমর্থকদের কথাও একটু শোনা যাক।
সম্প্রতি আইএলও তাদের গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০২০-২১ প্রকাশ করেছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার থেকেও ভারতীয় শ্রমিকদের মজুরি কম। নিচে রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ, সেখানে ন্যূনতম মজুরি ৪৮ ডলার। সমীক্ষা আরও বলছে, ভারতের গ্রামের তুলনায় শহুরে শ্রমিকদেরই বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়। স্বনিযুক্তি প্রকল্পের শ্রমিকদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা আর শহরে শ্রমিকদের সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রের নতুন আইন অনুযায়ী, চারদিনের সপ্তাহ করা হয়েছে তাতে ৪৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ইয়োরোপ ও অন্যান্য উন্নত দেশে সপ্তাহে ৫ দিন করে শ্রমিকরা কাজ করলেও ভারতে সপ্তাহে ছ'দিন করে কাজ করতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আইএলও রিপোর্ট বলছে, দেশের বেতনভোগী ১০জন শ্রমিকের মধ্যে সাতজন শ্রমিকের কোনও নিয়োগপত্র নেই। সবেতন ছুটিও মেলে না। ছুটি নিলে কাটা যায় বেতন।
আপনাকে কল্পিত খেলার গল্পে মশগুল করে রেখে গত ডিসেম্বর মাস থেকে দফায় দফায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ফের সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। গত ১২ দিন ধরে প্রায় প্রতিদিন বাড়তে বাড়তে পেট্রোল ডিজেলের দাম সেঞ্চুরির পথে। আপনি অবশ্য খেলায় কাকে সমর্থন করবেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় ভুগছেন। মিডিয়া আপনাকে প্রায় বুঝিয়ে ফেলেছে যে মাঠে দু’টো দলই আছে। এই দুই দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো তৃতীয় কেউ নেই।
যদিও গল্পটা একটু অন্যরকম। যে কথা ২৩ ফেব্রুয়ারি স্পষ্ট করেছেন মহম্মদ সেলিম। ওইদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন - “প্রধানমন্ত্রী যখন সিন্ডিকেট রাজ দেখতে পাচ্ছেন তখন তৃণমূলের সিন্ডিকেটের নেতারা বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন। কয়লা পাচার, গোরু পাচার হয় না, যদি না রাজ্যের পুলিশ, কেন্দ্রের সিআইএসএফ এবং তৃণমূলের রাজনীতিক, বিএসএফ’র সঙ্গে যোগসাজশ থাকে। এক দুর্নীতিবাজ অন্যজনের দুর্নীতি ঠেকান কীভাবে?” তিনি আরও বলেন - প্রধানমন্ত্রী আগে বলতেন, বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে রাজ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা সামলে উন্নয়নের জন্য দিদিকে সময় দিতে হবে। এখন বলছেন, কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় হয়েছে। সাত বছরে কেন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ টিম পাঠিয়ে তথ্য যাচাই করেননি? আমরা আবাস যোজনার টাকায় তৃণমূলের দুর্নীতির তথ্য দিয়ে কেন্দ্রের কাছে তদন্ত দাবি করেছিলাম। তখন জানানো হয়েছিল পিএমও থেকে নির্দেশ না এলে কিছু করা যাবে না।
দুঃখিত। কোনো খেলা হবে না। খেলতে দেওয়া হবে না। গোলও করতে দেওয়া হবেনা। মাঠ ফাঁকা নেই। আর দর্শক খেপে গেলে খেলা ভন্ডুল হতে যে বিশেষ সময় লাগেনা তা সব খেলোয়াড়েরই জেনে রাখা উচিত। যাদেরকে দর্শক ভেবে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখার পরিকল্পিত চেষ্টা করা হচ্ছে - দেশ, রাজ্যের প্রকৃত খেলোয়াড় তাঁরাই। দিনের শেষে তাঁদেরকেই খেলতে দিতে হবে। তাঁরা নিজেদের খেলা নিজেরাই বুঝে নেবে। শুধু বৃষ্টি নামার অপেক্ষা...।