৬০ বর্ষ ৪১ সংখ্যা / ২৬ মে, ২০২৩ / ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
আমতার মুক্তিরচকে মহিলা সমাবেশ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারী নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আনিস খানের খুনিদের শাস্তির দাবিতে, অবিলম্বে পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবিতে এবং মুক্তিরচকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে গত ২১ মে মহিলাদের বিশাল সমাবেশ হলো আমতায়। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির হাওড়া জেলা কমিটির ডাকে স্থানীয় পীতাম্বর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী বৃন্দা কারাত। এদিনের সভায় নেত্রীবৃন্দ বলেছেন, মুক্তিরচকের ঘটনায় নির্যাতিতারা মাথানত করেননি। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি, করব না।
মুক্তিরচকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের বাঁচাতে হাসপাতালে ও থানায় গিয়ে ঘটনা আড়াল করতে পুলিশকে চাপ দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের ফলে অপরাধীদের সাজা হয়েছে। এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে বৃন্দা কারাত সহ নেত্রীবৃন্দ শাসকদলের ওই বিধায়ককে গ্রেপ্তারের দাবিও করেছেন।
তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করে এদিন সমাবেশে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সমাবেশে বৃন্দা কারাত ২০১০ সালের মুক্তিরচকের ধর্ষণের ঘটনাকে চাপা দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের ন্যক্কারজনক ভূমিকা উল্লেখ সহ বলেছেন, হাথরসে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীরা মুক্তি পেয়েছে। কারণ উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গেও একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার মুক্তিরচকের অপরাধীদের অপরাধ চাপা দিতে চেয়েছে। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই ঘটনা মুক্তিরচকে ঘটেছিল। আমরা মমতা সরকারের কাছে দাবি করছি কামদুনির মতো মুক্তিরচকের দুই অত্যাচারিত মহিলার পরিবারকে চাকরি দিতে হবে। আমরা এই পরিবারের পুনর্বাসন দাবি করছি। নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, অত্যাচারিত, নির্যাতিত পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।
তিনি বলেন, তৃণমূলের জন্যই বাংলায় আরএসএস এবং বিজেপি মানুষের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে পারছে। তাই আমরা বিকল্প চাই। বিজেপি-আরএসএস’র বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।
এদিনের সমাবেশে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ বলেন, আমতার মুক্তিরচক গোটা পশ্চিমবঙ্গের কাছে তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম আলোকবর্তিকা। মানুষের হৃদয়ে, মহিলাদের হৃদয়ে আমরা আছি, আজকের সমাবেশ তার প্রমাণ।
সংগঠনের সভানেত্রী জাহানারা খান বলেছেন ২০১১ সালের পর তৃণমূলের জমানায় যে সমস্ত অপরাধ হয়েছে সেই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অপর্ণা পুরকাইত, সংগঠনের জেলা সম্পাদিকা দুলু দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সভানেত্রী কেয়া দাস।