৫৯ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৬ নভেম্বর, ২০২১ / ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের অভিঘাতে পিছু হটেছে মোদী সরকার
সম্পূর্ণ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি রাখার ঘোষণা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উনিশে নভেম্বর ঘোষণা করেছেন, সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু একাধিক পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এই মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলনরত কৃষকরা এবং সামগ্রিকভাবে দেশের কৃষক সমাজ একেবারেই ভরসা রাখতে পারছেন না। তাই সংসদে বিল এনে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ছয় দফা দাবির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রামের সমস্ত কর্মসূচি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা (এসকেএম)।
এই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ীই লক্ষ্মৌয়ে ২২ নভেম্বর কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত হয়েছে। আর ২৪ নভেম্বর স্যার ছোট্টু রামের জন্মবার্ষিকীতে পালিত হয়েছে “কিষান-মজদুর সংঘর্ষ দিবস”। একইভাবে কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে ২৬ নভেম্বর সুবিশাল সমাবেশও হবে দিল্লিতে। ওই দিন সারা দেশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো হবে। রাজধানী শহরগুলিতে ট্রাক্টর বা গোরুর গাড়ির মিছিল হবে। মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে ২৮ নভেম্বর হবে কিষান-মজদুর মহাপঞ্চায়েত। এই কর্মসূচি হবে সংযুক্ত শ্বেতকারী কামগড় মোর্চার আহ্বানে। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিন ২৯ নভেম্বর কৃষকরা সংগঠিত করবেন “সংসদ চলো” কর্মসূচি। সংসদের অধিবেশন চলার সময়ে প্রতিদিন শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ট্রাক্টর মিছিল চলবে। প্রতিদিন ৫০০ জন অংশ নেবেন ওই মিছিলে। মহাপঞ্চায়েতেও সমবেত হওয়া লক্ষাধিক কৃষক দৃঢ প্রত্যয়ের সাথে জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ সমস্ত দাবি না মেটা পর্যন্ত রাস্তাতে তাঁরা থাকবেন। মহাপঞ্চায়েতে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, ২৬ নভেম্বর গাজিপুর সীমান্তে পৌঁছানো হবে। ২৯ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ৬০টি ট্রাক্টর নিয়ে এক হাজার কৃষক সংসদের দিকে অগ্রসর হবে। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কৃষকদের বিক্ষোভে মুখে-পড়া অব্যাহত আছে। হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জে পি দালাল তোসামে একটি আদালত ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কৃষকরা মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখান। তাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী মঙ্গল কানোজিয়াকে তাড়া করে অঞ্চল-ছাড়া করে কৃষক ও সাধারণ মানুষরা। পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। মহাপঞ্চায়েতে রাকেশ টিকায়েত হুশিয়ারি দিয়েছেন, অজয় মিশ্র লখিমপুরে একটি চিনিকল উদ্বোধন করতে যাবেন বলেছেন। যদি অজয় মিশ্র ওই চিনি কলের উদ্বোধন করেন, তাহলে কৃষকরা তাঁদের সমস্ত আখ জেলাশাসকের দপ্তরে ঢেলে দিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের যে কার্যসূচি ২৩ নভেম্বর প্রকাশ হয়েছে তাতে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশের বিষয়টি উল্লেখ আছে।
কৃষকদের আন্দোলন-সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক বিজয়ে সেলাম জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো।
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্যান্য যে ছয় দফা দাবির নিষ্পত্তি চেয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা সেগুলি হলোঃ
• ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (মিনিমাম সার্পোট প্রাইস অর্থাৎ এমএসপি) নিশ্চয়তা আইন তৈরি;
• বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল বাতিল, দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির বায়ুদূষণের জন্য কৃষকদের সাজা দেওয়ার বিধি প্রত্যাহার;
• দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ সহ বহু রাজ্যে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর যেসব মামলা আছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার;
• এই আন্দোলনের শহিদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং লখিমপুর খেরির হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত মোদি মন্ত্রীসভার সদস্য অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ২১ নভেম্বর সিঙ্ঘুতে কৃষক আন্দোলনের নেতারা বৈঠকে বসেন। এই বৈঠক শেষে কৃষক নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি দেন। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁরা এও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে এক্ষুণি কৃষকরা গাঁয়ে ফিরে যেতে পারছেন না। সংসদ ডেকে তিন কৃষি আইন বাতিল এবং অন্যান্য দাবিগুলির নিষ্পত্তি করতে হবে। চিঠিতে কৃষক নেতারা বলেছেনঃ ”আগে এগারোবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সমাধান মেলেনি। তারপর আপনি একতরফা তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এখনও অনেক দাবি বকেয়া আছে যা আপনাকে দ্রুত মেটাতে হবে। শখ করে এক বছর ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন না কৃষকরা। আমরাও চাইছি বকেয়া দাবিগুলি আপনি দ্রুত মিটিয়ে দিন তাহলে আমরাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেদের ঘর, পরিবারের কাছে ফিরে যাবো। আবার নিজের খেতে গিয়ে মন দেবো চাষাবাদে। আর সেটাই যদি চান তাহলে এখনই কৃষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে কৃষকরা।” তাঁরা আরও বলেছেনঃ কৃষকরা “ দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পূর্ণ জয়ের লক্ষ্যে। প্রকৃতঅর্থে সেটা গণতন্ত্রের জয় হবে। এটা কোনো ব্যক্তিগত অহং বা গর্বের জয় নয়। এটা আসলে লক্ষ লক্ষ উপেক্ষিত এবং প্রান্তিক ভারতবাসীর জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন।”
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে রাজধানী দিল্লির সীমান্তে এবং উত্তর ভারতের কয়েকটি জাতীয় সড়কে তিন কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ আইন বাতিল এবং অন্যান্য দাবিতে কৃষকরা বসে আছেন। কৃষকরা যাতে দিল্লিতে না ঢুকতে পারে সেইজন্য সিঙ্ঘু, টিকরি সহ চারটি জায়গায় পুলিশ কনক্রিটের ব্যারিকেট তৈরি করে। কেন্দ্রের পুলিশ, বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার পুলিশ এই আন্দোলনকে দমন করতে নানাভাবে নিপীড়ন নামিয়ে আনে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর। জলকামান ও নির্দয়ভাবে বয়স-বিচার না-করে লাঠিচার্জ তো ছিলই, এমনকী লখিমপুর খেরিতে প্রতিবাদকারীদের ওপর গাড়ি পর্যন্ত চালিয়ে দেওয়া হয়। এখানে চার কৃষক সহ নয় জন শহিদ হন। হরিয়ানায় পুলিশেরলক্ষ্ণ লাঠিতে শহিদ হন এক আন্দোলনকারী। সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলনস্থলের কাছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি পর্যন্ত চালায়। সবমিলিয়ে গত এক বছরে এই কৃষক আন্দোলনে ৬৭১ জন শহিদ হয়েছেন।
লক্ষ্ণৌ মহাপঞ্চায়েত
লক্ষ্ণৌ মহাপঞ্চায়েতে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল ও মধ্য অংশ থেকেই কৃষকরা মূলত এসেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশ থেকে কৃষকরা এদিন আসেননি। ২৬ তারিখে দিল্লির সমাবেশে তাঁরা যোগ দেবেন। দিল্লির সমাবেশে পাঁচ লক্ষেরও বেশি কৃষকের সমাবেশ হবে বলে মহাপঞ্চায়েতে কৃষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। মহাপঞ্চায়েতে রাকেশ টিকায়েত, সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস)’র সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা এবং সভাপতি অশোক ধাওয়ালে সহ সংযুক্ত কৃষক মোর্চার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এই মহাপঞ্চায়েত সংযুক্ত কৃষক মোর্চার আহুত হলেও সারা লক্ষৌও শহর এআইকেএস’র লাল পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুনে মুড়ে গিয়েছিল।
লক্ষ্মৌ মহাপঞ্চায়েতে জমায়েতের একাংশ।
মহাপঞ্চায়েতে হান্নান মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক এমন অহংকারী স্বৈরাচারী যাঁর গণতন্ত্রে কোনো আস্থা নেই। আইন করার সময়েও সংসদে কোনো আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ করা হয় নি। আবার বাতিল করার ঘোষণাতেও নাটকীয়তা চলছে। হান্নান মোল্লা বলেন, সংসদের অধিবেশন ডেকে অবিলম্বে তিন আইন বাতিল করার পাশাপাশি সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে আলোচনায় বসে বাকি দাবিগুলির সমাধান করতে হবে। এমএসপি সহ বাকি দাবিগুলির সমাধান না হলে এ আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনের সঙ্গে মজদুর এবং দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের সমর্থন আছে। তাই এই আন্দোলন কখনো পরাস্ত হবে না।
লক্ষ্ণৌ মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখছেন হান্নান মোল্লা।
রাকেশ টিকায়েত বলেন, সরকারকে স্পষ্ট জবাব দিতে হবে। সরকারকে নিজেদের কথা বোঝাতে কৃষকদের এক বছর লেগে গেছে। একটি বিষয় নয়, অনেক বিষয় আছে। যার সমাধান করতে হবে সরকারকে। তিনি সমাবেশে জানান, লক্ষৌ বিমানবন্দরের জন্য অধিগৃহীত ১১০০ একর জমির দাম সরকার যদি কৃষকদের না দেয় তাহলে আগামী বর্ষায় কৃষকরা সেখানে চাষ করবে।
অশোক ধাওয়ালে বলেন, যোগী সরকারের বর্বরতায় লখিমপুর খেরিতে কৃষক শহিদ হয়েছেন। তাঁদের হত্যার বদলা আগামী বছরের ভোটে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব সহ বাকি রাজ্যে বিজেপি-কে পরাস্ত করে দেওয়া হবে। কৃষকরা তাঁদের আন্দোলনের মাধ্যমে শুধু মোদি-শাহকে পরাস্ত করেননি, আম্বানি-আদানিকেও হারিয়েছেন। সঙ্ঘ-বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন থেকে কীভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধেও লড়াই করা যায় - সেটাও শিখিয়েছে এই কৃষক আন্দোলনই।
কৃষক আন্দোলনের বিজয়ে ঝাড়গ্রামে সিপিআই(এম)’র মিছিল। রয়েছেন বিমান বসু।
মিছিল-পথসভা এরাজ্যেও
কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক বিজয়ে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ১৯ এবং ২০ নভেম্বর মিছিল-পথসভা হয়। সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী দল এবং বামপন্থী গণসংগঠনগুলির ডাকে সংগঠিত এই কর্মসূচিগুলিতে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-যুব, মহিলা সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেহনতি মানুষ যোগ দেন। ১৯ তারিখে সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরে মিছিলে হাঁটেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
লড়াই শুরু ২০২০ সালের জুনে
২০২০ সালের ২০ জুন কেন্দ্র এই তিন কৃষি আইনের প্রস্তাব আনে। তখন থেকেই তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনে ১৪ সেপ্টেম্বর। এই তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২৫ নভেম্বর পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লি অভিযানের ডাক দেয়। ২৬ নভেম্বর দিল্লির অভিমুখে কৃষকরা অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।ওইদিন থেকেই কৃষকরা সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। কেন্দ্র সরকারের সাথে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রথম বৈঠক হয় ৩ ডিসেম্বর। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা প্রথম ভারত বনধ ডাকেন ৮ ডিসেম্বর। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার অন্যতম শরিক ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কোর্টে যায় ১১ ডিসেম্বর। সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইন প্রয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় এবছরের ১২ জানুয়ারি। প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি-তে হয় দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে তিনঘণ্টার পথ অবরোধ, ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশজোড়া রেলরোকোর ডাক দেয় সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। ২২ জুলাই দিল্লিতে শুরু হয় কিষান সংসদ। সংযুক্ত কৃষক মোর্চা ফের ভারত বন্ধ ডাকে ২৭ সেপ্টেম্বর। শেষে কৃষক আন্দোলনের চাপে পিছু হটল মোদি সরকার। ১৯ নভেম্বর মোদি ঘোষণা করলেন, তিন কৃষি আইন সরকার প্রত্যাহার করে নেবেন।