৫৯ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৬ নভেম্বর, ২০২১ / ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক জয়কে অভিনন্দন
সংযুক্ত কৃষক মোর্চা
কৃষক-বিরোধী, জনবিরোধী এবং কর্পোরেটমুখী তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কৃষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের জয়কে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। ১৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, কৃষকদের আন্দোলনের জেরে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘটনা দেশে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলো। তবে এখনও বহু দাবি বকেয়া রয়েছে, সেকথা জানেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের আন্দোলনের চাপে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। ফলে আশা করা যায়, বাকি দাবিগুলিও পূরণ করবে কেন্দ্র। এর মধ্যে অবশ্যই ফসলের লাভজনক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতি আছে।
সারা ভারত কৃষকসভা
এই আন্দোলনের অংশীদার সারা ভারত কিষান সভা ‘অহঙ্কারী প্রধানমন্ত্রীর মাথা নোয়ানো’ বলে মন্তব্য করে তিন কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এক বছর যাবৎ লক্ষ লক্ষ কৃষক, খেতমজুর, শ্রমিকের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে। ‘চূড়ান্ত দমননীতি উপেক্ষা করে বহু আত্মবলিদানের মধ্যে দিয়ে এই ঐতিহাসিক জয় এসেছে’, - এদিন এক বিবৃতিতে একথা উল্লেখ করে কিষান সভা বলেছে, তবে লড়াই থেমে যায়নি। দাবিদাওয়া না মেটা পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে। এখনও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের দাবি ঝুলে রয়েছে। ফসলের দাম না পেয়ে গত ২৫ বছরে ৪ লক্ষেরও বেশি কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। এর মধ্যে ১ লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন মোদীর নেতৃত্বাধীন ৭ বছরে।
কিষান সভা পরিষ্কার বলেছে, নিজেদের দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে এই এক বছরে প্রায় ৭০০ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকার। মোদী এবং বিজেপি সরকারের অসংবেদনশীল এবং একগুঁয়ে মনোভাবের জন্যই এঁদের প্রাণ দিতে হয়েছে। এজন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এই জয় কৃষির কর্পোরেটকরণ এবং আগ্রাসীভাবে নয়াউদারবাদী অর্থনীতি চাপিয়ে দেওয়া নীতির বিরুদ্ধেও।