৫৯ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৬ নভেম্বর, ২০২১ / ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভরত ছাত্র-যুবদের নিগ্রহ পুলিশের
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দুর্নীতির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভরত ছাত্র-যুবদের ওপর আবার চড়াও হলো তৃণমূল সরকারের পুলিশ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি স্তরে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর বিধান নগরে এসএসসি’র সদরদপ্তরে অভিযানের ডাক দেয় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই’র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। বিনা প্ররোচনায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্র-যুবদের উপর। পুরুষ পুলিশ কর্মীদের দিয়ে মহিলা আন্দোলনকারীদের নিগ্রহের ঘটনাও ঘটেছে এদিন। ঘোষিত মিছিলের কর্মসূচি থাকলেও প্রথম থেকেই পুলিশি প্ররোচনা ছিল বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের তরফে।
করুণাময়ী থেকে কোনো আইন না ভাঙা সত্ত্বেও এসএসসি অফিসের সামনে পুলিশের দড়ির ব্যারিকেডের সামনে মিছিল পৌঁছানো মাত্রই শুরু হয়ে যায় পুলিশের তৎপরতা মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে। অভিযোগ, পুরুষ পুলিশকর্মীরা ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জিকে হেনস্তা করে। প্রতিবাদী নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ।
বেশকিছু বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় ফেলে টেনে-হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসে আটক সহকর্মীদের ছাড়াতে মরিয়া আন্দোলনকারীরা বাসটিকে ঘিরে ফেললে পুলিশ তাদের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে যাওয়ার উপক্রম করলেও তারা পিছু হটেনি। বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় যুবকর্মীদের কয়েকজনকে। এরপর ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সহ শতাধিক ছাত্র-যুব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স থানা এবং বিধাননগর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে থানার বাইরে ছাত্র-যুবরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে দুই থানাতেই উপস্থিত হন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। অনড় আন্দোলনের চাপে এবং আইনজীবীদের সক্রিয়তায় আটক সমস্ত ছাত্র-যুবকর্মীকে সন্ধ্যার পর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।