৬০ বর্ষ ২৪ সংখ্যা / ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ / ১২ মাঘ, ১৪২৯
কার্টুনকাণ্ড থেকে কি শিখলাম
অম্বিকেশ মহাপাত্র
কার্টুনিস্টদের মতে ‘কোলাজ কার্টুন’। সমকালীন সংসদীয় ঘটনাবলির উপর তৈরি। যিনি তৈরি করেছিলেন, তারে সেলাম। সত্যজিতের ছায়াছবি ‘সোনার কেল্লা’র সংলাপ ব্যবহার করে এমন হাস্যরসাত্মক, বুদ্ধিদীপ্ত, নিরীহ অথচ গভীর অর্থবহ কার্টুন! কার্টুনটি বন্ধুর থেকে ই-মেলে পেয়েছিলাম। ই-মেলে বন্ধুদের ফরওয়ার্ড করেছিলাম। সংবিধান এবং আইন অনুয়ায়ী কোনো অপরাধ? না। পরন্তু নাগরিক অধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল পদক্ষেপমাত্র। কীভাবে? আমাদের দেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাধারণতান্ত্রিক দেশ। সাধারণতন্ত্রের মর্মবস্তু গণতন্ত্র। জন‘গণ’ থেকে ‘গণ’তন্ত্র। জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং তাঁদের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব দেন। প্রশাসনের কাজকর্মের উপর নজরদারি সহ সমালোচনা এবং প্রশাসনকে প্রশ্ন করা জনগণের কর্তব্য এবং দায়িত্ব এবং সেই দায়িত্ব যাতে অবাধে এবং নির্ভয়ে সব ধর্মের, বর্ণের, জাতের, আর্থিক অবস্থানের জনগণ প্রতিপালন করতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বও সংবিধান মতে সাধারণ প্রশাসনের; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনের।
কার্টুনটি ই-মেলে ফরওয়ার্ড করার পর আমার জীবনে যা যা ঘটেছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ শুনলে অনেকেই চমকে চমকে উঠবেন। ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সংক্ষেপে বললে - মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর সচিবালয়ের পরিকল্পনায় কলকাতা পুলিশ-শাসকদল-শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের যৌথ অপারেশন; অবশ্যই রাতের আঁধারে। ১২ এপ্রিল ২০১২, নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসন অফিসে সন্ধ্যাবেলা শাসকদল ৭০ থেকে ৮০ জন দুষ্কৃতী জড়ো করেছিল। যে আবাসনের আমি সহ-সম্পাদক। পুলিশ ভ্যান সহ স্থানীয় পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ আড়ালে ছিল। সেদিন আমার কর্মক্ষেত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান কাজের ব্যস্ততায় আমি আবাসন অফিসে আসতে পারিনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দুষ্কৃতীবাহিনী রাত ৯টা নাগাদ ১০-১২জন দুষ্কৃতীকে আমার বাড়িতে পাঠায়, বাড়ি থেকে তুলে আনার জন্য। ওরা যখন আমার বাড়ির দিকে, তখন আবাসনের ভিতরের পথ ধরে ক্লান্ত শরীরে আমিও বাড়ির দিকে। পথিমধ্যে দেখা। আমাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে আমি অম্বিকেশ মহাপাত্র। জানার পরই, কার্যত টানা-হ্যাঁচড়া করে, আবাসন অফিসে নিয়ে আসে। চেয়ারে বসিয়ে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। প্রিন্টেড কোলাজ কার্টুনটি আমাকে দেখিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে শুনিয়ে, চারিদিক থেকে চড়-থাপ্পড়-লাথি-ঘুষি-অশ্রাব্য গালিগালাজ-প্রাণনাশের হুমকি ইত্যাদি বর্ষিত হতে থাকে। বিহ্বল বিস্মিত অবস্থায় কান্নাকাটি। হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষা। দুষ্কৃতী দলের নেতা, আবাসনের অফিস প্যাডে, তার নির্দেশিত বয়ানে মুচলেকা লিখিয়ে ফোনে পুলিশকে ডাকে। দু’জন পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন। নেতার মৌখিক নির্দেশে আমাকে এবং আবাসনের সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্তকে পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে থানায়। মিথ্যা বয়ানে অ্যারেস্ট মেমো রেডি করে আমাদের সই করিয়ে, বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল চেক-আপ করিয়ে, থানার লক-আপে পুরে দেয়। প্রায় অন্ধকার, ঘরের মধ্যে শৌচালয়, দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা লক-আপ। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত শরীর এবং মন নিয়ে বিশ্ব সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আমি এবং সুব্রতদা মেঝেতে শুয়ে পড়ি।
গ্রেফতারের পর অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল! অভিযোগকারী চক গড়িয়া-ছিট নয়াবাদ তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক কমিটির পক্ষে অমিত সরদার। ফলে অ্যারেস্ট মেমোতে পুলিশকে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। গ্রেফতারের সময় - ১৩ এপ্রিল, ২০১২ রাত্রি ১২.৩০; গ্রেফতারের স্থান-আমার বাড়ির ঠিকানা; গ্রেফতারের সময় উপস্থিত সাক্ষী-আমার স্ত্রী জলি মহাপাত্র! সবই সর্বৈব মিথ্যাচার! গ্রেফতারের ধারাগুলি আইপিসি’র ৪০০, ৫০০, ৫০৯ এবং আই টি অ্যাক্টের ৬৬এ (বি)। সবকটি ধারাই জামিনযোগ্য। তা সত্ত্বেও থানা থেকে জামিন দেওয়া হয়নি! পরন্তু আবাসনের আবাসিকরা এবং আমাদের পক্ষে আইনজীবী সেই রাতে থানায় খোঁজখবর করতে এসে, গেটের বাইরে পুলিশের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন!
পরের দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ লক-আপ থেকে বের করে পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। মেডিক্যাল চেক-আপ। তারপর আলিপুর ক্রিমিনাল কোর্টের লক্-আপ। সরকারি আইনজীবী এবং পুলিশ ১৪ দিনের হেপাজত চেয়েছিলেন, কিন্তু আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর, বাংলা বছরের শেষ দিনে সূর্য যখন পশ্চিম পাটে তখন আমরা দু’জনে লক-আপের বাইরে এলাম। স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারের উপর রাষ্ট্রের পরিকল্পিত আক্রমণ! সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে সোচ্চারে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদে। নোয়াম চমস্কি সহ দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ প্রতিবাদপত্র পাঠালেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু শাসকদলের দলনেত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী তিন-তিনবার প্রকাশ্যে গ্রেফতারের পক্ষে সওয়াল করলেন! কার্টুন-কে মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করলেন! ফলে দাসানুদাস পুলিশ প্রশাসন তড়িঘড়ি সময়ের আগে, ১৯ জুলাই, ২০১২ চার্জশিট কোর্টে জমা দিলেন। চার্জশিটের উপর শুনানি চলতে লাগল। ইতিমধ্যে ১৩ আগস্ট ২০১২, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের স্বতঃপ্রণোদিত অনুপুঙ্খ তদন্ত সাপেক্ষে দু’টি সুপারিশ সহ বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হলো। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ এবং আমাদের সম্মানহানির জন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ১ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের সুপারিশ। নানান টালবাহানার পর ৩ মে ২০১৩, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এবং সুপারিশ, অতি অ-বাস্তব (কু)যুক্তি সহকারে সরকার বাতিল করেন! ১ জুন ২০১৩, কেবলমাত্র আইটি অ্যাক্টের ৬৬এ (বি এবং সি) ধারার উপর পুলিশের চার্জশিট চূড়ান্তরূপে গৃহীত হয়। ডিসচার্জ বা চার্জ গঠন, কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হলো না! মাসের পর মাস, বছরের পর বছর!
প্রাসঙ্গিক দু’টি ঘটনার উল্লেখ জরুরি। (১) নভেম্বর ২০১২, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এবং সুপারিশ নিয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি। ১০ মার্চ ২০১৫, হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়। ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশ দু’টিকে কোর্ট অর্ডার হিসেবে এবং মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; কার্যকর করার নির্দেশ। সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল। ১২ মার্চ ২০২০, সেই আপিল খারিজ হয়। তারপরও হাইকোর্ট-অর্ডার আজও কার্যকর হয়নি! (২) নভেম্বর ২০১২, শিবসেনার সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট এবং লাইক করায়, মহারাষ্ট্রের পালঘড় জেলার পুলিশ দুই কলেজ ছাত্রী, শাহিন ধাদা এবং রিণু শ্রীবাসনকে আই টি অ্যাক্টের ৬৬-এ ধারায় গ্রেফতার করে। দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সরকার পুলিশকে বরখাস্ত করে এবং দুই ছাত্রীর উপর সমস্ত মামলা তুলে নেয়। এই প্রেক্ষিতে দিল্লি নিবাসী, আইনজীবী পরিবারের আইনের ছাত্রী শ্রেয়া সিঙ্ঘাল আই টি অ্যাক্টের ৬৬-এ ধারা বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমার ঘটনার উল্লেখ। আমি পরবর্তী সময়ে মাননীয় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে মামলার পার্টি হই। ২৪ মার্চ ২০১৫, মামলার চূড়ান্ত রায়। সুপ্রিম কোর্ট ধারাটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করেন। এবং এই ধারায় বিচারাধীন সকল মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
এত সবের পরও আলিপুর ক্রিমিনাল কোর্ট নানা অছিলায় মামলা ফেলে রাখেন! নভেম্বর ২০১৭, আলিপুর কোর্টের মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে, মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে, সুব্রত দা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ‘আলিপুর মামলা’-য় ‘স্টে অর্ডার’ দিয়ে চুপচাপ! ১১ মে ২০১৯, দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর, ক্রিমিনাল কেসে অভিযুক্ত আসামি অবস্থায় অশীতিপর বিপত্নীক সুব্রত দা চিরতরে চোখ বুজলেন। সুব্রত দা’র ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে মামলা থেকে বেরিয়ে আসতে আরও ছ’মাস! সুব্রত দা একরকমে মুক্তি পেলেও আমি রইলাম। সুব্রত দা অত্যন্ত ভরসার জায়গায় ছিলেন, সেই দুঃস্বপ্নের রাতে থানার লক-আপের মেঝে থেকেই। ২০২০ সাল, করোনার সৌজন্যে সবকিছুতে তালা। বিচার-ব্যবস্থার পোয়াবারো। ২০২১ সাল, সম্ভবত মার্চ মাস, People’s Union for Civil Liberties (PUCL) সুপ্রিম কোর্টে জানতে চান - আইটি অ্যাক্টের ৬৬-এ, যে ধারা ৬ বছর আগে বাতিল, সেই ধারায় এখনো মামলা! সুপ্রিম কোর্টের তৎপরতায় আলিপুর ক্রিমিনাল কোর্টের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) ১৩ আগস্ট ২০২১, তড়িঘড়ি শুনানির ব্যবস্থা করেন এবং ১৬ আগস্ট রায় দেবেন জানান। আদালত থেকে বাড়ি ফিরে শুনলাম, সিজেএম মহোদয় করোনা আক্রান্ত। হাসপাতালে ভরতি। আপাতত এক মাসের ছুটিতে। ছুটি থেকে ফিরলে রায় দেবেন। মাননীয় সিজেএম মহাশয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে অপেক্ষা। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মাননীয় সিজেএম মহোদয় প্রতিক্ষিত রায় ঘোষণা করলেন। আইটি অ্যাক্টের ৬৬-এ থেকে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে অব্যাহতি কিন্তু মামলা থেকে নয়!* মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭.১১.২০২১! বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহাবিস্ময়! এরপর তাহলে কী?
কোর্টের অর্ডার এবং মামলার সার্টিফায়েড কপি নিয়ে একদিন মাননীয় অশোক কুমার গাঙ্গুলি মহাশয়ের বাড়ি। বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষে অশোকবাবু জানালেন - এই অর্ডার unjust, improper and illegal। এই অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। দেখুন কী করবেন? সবই তো বুঝছেন, দেখছেন। আপনি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, কী চলছে আপনার না বোঝার কোনো কারণ নেই। পরে প্রবীণ আইনজীবী সুশীল চক্রবর্তীর পরামর্শ - ‘‘আপনি যদি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন, তাহলে আমি দায়িত্ব নিতে পারি।’’ শেষমেশ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আবেদন। ২০২২ সাল জুড়ে ১০ দিন শুনানি। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, চূড়ান্ত রায়দান। অবশেষে ক্রিমিনাল কেস ভ্যানিশ।
রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় রাজ্যব্যাপী ‘সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার’ হরণের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের এই জয়। গণতন্ত্র রক্ষার রাস্তার লড়াইয়ে এই জয় ইতিবাচক উৎসাহ দেবে। গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ যাঁরা আমাকে আন্তরিক সাহস এবং উৎসাহ জুগিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে এই জয় নিবেদন করছি। সুব্রত সেনগুপ্ত, মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, ডঃ অশোক মিত্র, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, হাসিম আব্দুল হালিম, তরুণ সান্যাল, বুদ্ধদেব গুহ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ওয়াসিম কাপুর, নবনীতা দেবসেন, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী, ইলিনা সেন, বরুণ দে, সুনন্দ সান্যাল প্রমুখ; যাঁদের সাহসদানে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে অবিচল থাকতে পেরেছি; কিন্তু আজ তাঁরা নেই; তাঁদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি।
বে-আইনি কাজ কার অনুপ্রেরণায়?
● শারীরিক নিগ্রহ, অশ্রাব্য গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি; বে-আইনি নয়?● নির্দেশিত বয়ানে মুচলেকা লেখানো; বে-আইনি নয়?
● অভিযোগপত্র ছাড়াই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা; বে-আইনি নয়?
● অভিযোগপত্রকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ; বে-আইনি নয়?
● মিথ্যা বয়ানে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো; বে-আইনি নয়?
● গ্রেফতার করে লক-আপ; বে-আইনি নয়?
● থানা থেকে জামিন না দেওয়া; বে-আইনি নয়?
● আমাদের আইনজীবীকে থানায় ঢুকতে না দেওয়া; বে-আইনি নয়?
● ফৌজদারি মামলা সহ চার্জশিট; বে-আইনি নয়?
● বিচারপতির মামলা খারিজ না করা; বে-আইনি নয়?
● ডিসচার্জ বা চার্জ গঠন না করে মামলা ফেলে রাখা; বে-আইনি নয়?
● সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মামলা ফেলে রাখা; বে-আইনি নয়?
● নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা পড়ে থাকা; বে-আইনি নয়?
● চার্জশিটের ধারা থেকে অব্যাহতি, মামলা থেকে নয়; বে-আইনি নয়?