৬০ বর্ষ ২৪ সংখ্যা / ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ / ১২ মাঘ, ১৪২৯
‘‘কলবল সম্বল সিভিলাইজেশনের,
তার সব চেয়ে কাজ মানুষকে পেষণের’’
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
চাকরি ছাঁটাই থেকে গাছ ছাঁটাই। দুটো বিষয় এক না হলেও ছাঁটাই দুটোই। একদিকে যেমন মালিক তাঁর লাভের অঙ্ক সুনিশ্চিত রাখতে কর্মী ছেঁটে ফেলেন তেমনই বড়ো লাভের হিসেব কষেই গাছ ছেঁটে ফেলা হয়, পরিবেশ ধ্বংস করা হয়। হয়তো বা এই নীতিতেই গত কয়েক মাস ধরে বেজোস বাবুর মালিকানাধীন অ্যামাজনে যেমন লাগাতার ছাঁটাই চলছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে অ্যামাজনের ঘন জঙ্গল ছাঁটাই চলছে অনেকদিন ধরেই। দাউ দাউ করে জ্বলে যাচ্ছে ঘন জঙ্গল। যদিও জঙ্গল দাবানলে জ্বলছে - বিষয়টা এরকম নয়। স্পষ্ট করে বললে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মনিটরিং অফ দ্য অ্যান্ডিয়ান অ্যামাজন প্রোজেক্ট-এর (MAAP) তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ব্রাজিল এবং পেরু মিলিয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ৯৮৩টা। যার বেশিরভাগটাই ব্রাজিলিয়ান অ্যামাজনে। প্রায় ৭২ শতাংশ। আর এই ৭২ শতাংশ আগুনের মধ্যে ৭১ শতাংশ আগুন লাগার পেছনেই আছে সরাসরি মানুষের হাত। যার ফলে বেমালুম হজম হয়ে গেছে ১০ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ লক্ষ একর জঙ্গল। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় সবটুকু জুড়েই জঙ্গল হত্যা হয়েছে শেষ তিন বছরে। MAAP-এর ডিরেক্টর ম্যাট ফিনার জানিয়েছেন, জঙ্গলের বুক চিরে চলছে হাইওয়ে নির্মাণের কাজ। গতি কিছুটা কমলেও এখনও অ্যামাজন জুড়ে জঙ্গল ধ্বংসের কাজ চলছে। বন্ধ করা যায়নি। যদিও তা ২০২০-র অনুপাতে অনেকটাই কমেছে। যে বছর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ২২ লক্ষ হেক্টর বা ৫৪ লক্ষ একর জঙ্গল। কার স্বার্থে, কেন জঙ্গল পোড়ানো হয়েছে, কার কার পকেট ভরেছে তা নিশ্চই বলতে পারবেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। ঠিক যেমন অ্যামাজনে কেন, কার স্বার্থে, কার লাভের অঙ্ক বাড়াতে হাজারে হাজারে ছাঁটাই হচ্ছে তা বলতে পারবেন জেফ বেজোস।
সবসময় অবশ্য বোলসোনারো, বেজোস দেখিয়ে আত্মতৃপ্তিতে লাভ নেই। অক্ষরমালা অনুসারে ‘ব’-এর ‘ভ’ পেরিয়েই ‘ম’ চলে আসে। তাই মাঝে মাঝে একটু ‘ভ’-এ ভারত এবং ‘ম’-এ মোদিতেও চোখ রাখতে হয়। ২০০২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভারতে জঙ্গল হত্যা হয়েছে ১৯ শতাংশ। যার মধ্যে ২০১৪তে হয়েছে ২১.৯, ২০১৫তে ২১, ২০১৬ তে ৩০.৯, ২০১৭তে ২৯.৬, ২০১৮তে ১৯.৩, ২০১৯-এ ১৭.৩, ২০২০তে ২০.৮ এবং ২০২১-এ ২২ kha (১ kha = ১০০০ হেক্টর)। ভারতে যে কটি রাজ্য এই তালিকায় আছে তার মধ্যে শীর্ষে আসাম (২৮৭ kha), মিজোরাম (২৭৪ kha), নাগাল্যান্ড (২৩৮ kha), অরুণাচল প্রদেশ (২৩৬ kha), মণিপুর (২১৩ kha)। দেশের মোট জঙ্গল নিধনের প্রায় ৫২ শতাংশ এই অঞ্চল জুড়ে। আর গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ ডট ওআরজি-র তথ্য অনুসারে ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২৪ জানুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে ভারতে ৫.২৫ kha এলাকাজুড়ে ৪,৭৯,৭৪৯টি জঙ্গল নিধনের সঙ্কেত পাওয়া গেছে। VIIRS বা ভিসিবল ইনফ্রারেড ইমেজিং রেডিওমিটার স্যুইট-এর তথ্য অনুসারে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে ভারতে ২,৫০,৮৭২টি আগুনের সঙ্কেত পাওয়া গেছে। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান বেশ কিছুটা অন্য সুরে গায়, তবু সেই পরিসংখ্যান অনুসারেও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ১,০২০ স্কোয়ার কিলোমিটার জঙ্গল বেমালুম উবে গেছে। আর দেশের হিসেব অনুসারে ২০১৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দেশ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৮.৫ হাজার হেক্টর জঙ্গল বা দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ জঙ্গল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারত হোক অথবা বিশ্ব - জঙ্গল নিধনের বুম এবং ধূম এসেছে ২০১৯ থেকে। যা সবথেকে বেশি হয়েছে ২০২০ সালে। যখন বিশ্বব্যাপী চলছিল কোভিড মহামারী।
এসব কথা বরং বাদ থাকুক। কারণ বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে ভারতে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন খুব একটা কম হয়নি। চিপকো, নর্মদা বাঁচাও, সাইলেন্ট ভ্যালি, আরে ভ্যালি থেকে বর্তমান জোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির আন্দোলন। কিছু ক্ষেত্রে সরকার পিছু হটেছে, কিছু ক্ষেত্রে আন্দোলন করেও প্রকল্প আটকানো যায়নি। ঠিক যেমন জোশীমঠে ১৯৭৬ সালে সতর্কবার্তা জারি করা হলেও সেই সতর্কবার্তায় কান দেয়নি প্রশাসন। ও পি মিশ্র’র নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের কমিটি জোশীমঠ রক্ষায় যে যে পরামর্শ দিয়েছিল তার প্রায় কোনোটাই মানা হয়নি। যার ফল আজ ভুগছে জোশীমঠ। বড়োসড়ো বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে প্রাচীন এই জনপদ। যা যে কোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে, বসে যেতে পারে, ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠ শহরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। বেশ কয়েকটি ট্রেকিং রুট ছাড়াও বদরিনাথ এবং হেমকুণ্ড সাহিব যাবার প্রবেশপথ জোশীমঠ ঘিরে তাই বছরভর লেগে থাকে পর্যটক, তীর্থযাত্রীদের আনাগোনা। স্বভাবতই জোশীমঠ ঘিরে বেড়েছে হোটেল ব্যবসা। রোজগারের সন্ধানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন জোশীমঠে। সেখানে যেমন আছেন উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তেমনই আছেন ভিন রাজ্যের মানুষও। দিনের পর দিন অপরিকল্পিত নির্মাণে ক্রমশ প্রকৃতির জঙ্গল থেকে কংক্রিটের জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন এই শহর। উন্নয়নের সময় খেয়াল থাকেনি মিশ্র কমিটির সতর্কবার্তায়। গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ক্রমশ বেড়ে চলা শহরের নিকাশি ব্যবস্থাতেও। ঠিক যেমন একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি স্থানীয় মানুষের আপত্তিতে। বিভিন্ন প্রকল্পের বিরোধিতা করে একাধিক আন্দোলন করা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি কোনো প্রকল্প। হাল আমলে আদালত টানেল খননে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও রাতের অন্ধকারে চলছে ব্লাস্টিং। যে কম্পনে কেঁপে উঠছে সিসমিক জোন ৫-এ থাকা, ভঙ্গুর নরম পাথরে তৈরি জোশীমঠ।
জোশীমঠ সহ উত্তরাখণ্ড জুড়ে চলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের চারধাম প্রকল্প। ১২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে জুড়ে ফেলা হবে রাজ্যের চার তীর্থস্থান। ২০১৬ থেকে সেই কাজ চলছে। এই কাজের অঙ্গ হিসেবেই তৈরি হচ্ছে যথেচ্ছ হোটেল, রাস্তা এবং অন্যান্য নির্মাণ। যে নির্মাণ চলছে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রকে অগ্রাহ্য করে। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ এক বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়। যারা এই অঞ্চলের সমস্ত প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব দেয়। যদিও এর পর কেন্দ্রের পেটোয়া এক কমিটি আগের কমিটির সমস্ত প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি করা চোপড়া কমিটি জানিয়েছিল, এই প্যারা গ্লেসিয়াল অঞ্চলে ২,২০০ থেকে ২,৫০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে কোনো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, কোনো বাঁধ তৈরি করা যাবে না। যদিও কেন্দ্র বা রাজ্যের বিজেপি সরকার সেই প্রস্তাবে কোনোরকম গুরুত্ব দেয়নি। বরং জোশীমঠের চরম বিপর্যয়ের সময়েও আন্দোলনরত জোশীমঠবাসীর মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করতেই তারা সচেষ্ট। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জোশীমঠ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু ঘটেনি। আর ইসরোর রিপোর্ট বলছে মাত্র কয়েকদিনে জোশীমঠ বসেছে ৫.৪ সেন্টিমিটার। অন্যান্য ভূবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে কোনো সময় দু’ফুট বসে যেতে পারে জোশীমঠ।
দাবিন্দর রানা, জয় ভার্মা, ইন্দ্রেশ মৈখুরি, অতুল সতী সহ জোশীমঠে থাকাকালীন যে কয়েকজন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জোশীমঠের বিপর্যয় প্রসঙ্গে তাদের মত মোটামুটি এক। এঁদের সকলের কথাতেই উঠে এসেছে এনটিপিসি-র তপোবন বিষ্ণুগড় হাইড্রো প্রোজেক্ট, বদরিনাথের পথ সংক্ষিপ্ত করতে পাহাড়ের বুক চিরে টানেল এবং অবশ্যই নিকাশি ব্যবস্থা না থাকা। ২৫ জানুয়ারি সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে জোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির আহ্বায়ক অতুল সতী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমাদের উপর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইন চাপিয়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন।! স্বাগতম জনাব! আমাদের দেশের এক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক নগরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্যও যদি এই পুরস্কার পাওয়া যায়, তাহলে আফশোস থাকবে না। কিন্তু যাদের অসতর্কতার জন্য আমাদের মানুষ শাস্তি পাচ্ছে, তাদের জন্যও কি কিছু ভেবেছেন নাকি? আমরা ১৪ মাস ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আপনার সরকারের প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ছি। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের সভাপতির বাড়ি। এমনকী এখন কেবল শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য বাস্তুচ্যুত, জনগণের পুনর্বাসনের জন্য এবং যে কোনও উপায়ে শহরকে বাঁচানোর জন্য এটি একটি সংগ্রাম। যদি এরকম কিছু ঠিক করে থাকেন, তবে করুন, তবে কাফেলা... অভিযান থেমে থাকবে না... এরকম কিছু হলে দেশ ও বিশ্ব এই উদ্যোগ নেবে!’’ গতকাল নিজের ফেসবুক পোস্টে এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ইন্দ্রেশ মৈখুরি লিখেছেন, ‘‘এনটিপিসি কোম্পানিকে দ্বিগুণ জরিমানা করে সংগৃহীত টাকা জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া উচিত, রাজ্য সরকার অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি দায়িত্ব নিতে হবে।’’ এমনকী সক্রিয় বিজেপি কর্মী জয় ভার্মাও জোশীমঠের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পেছনে এনটিপিসি-র প্রকল্পের ভূমিকার কথা অস্বীকার করতে পারেননি।
আমি জোশীমঠ থেকে নেমে এসেছি গত ১৭ জানুয়ারি। বিগত ৮ দিনে জোশীমঠে ফাটল আরও বেড়েছে। বরফ পড়েছে। ক্ষতি বেড়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় ফাটল ধরছে। কয়েকটি বাড়িও ধসে পড়েছে বলে খবর পেয়েছি স্থানীয়দের কাছ থেকে। অর্থাৎ ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। ২৬ জানুয়ারি জোশীমঠের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে সংঘর্ষ সমিতি প্রকল্প বন্ধের দাবিতে এনটিপিসি-র অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন। লড়াই জারি আছে। যদিও এই লড়াইতে ক্ষতিপূরণ, বিকল্প বাসস্থানের সংস্থান হলেও জোশীমঠ আদৌ বাঁচবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ যেভাবে নিচ থেকে জোশীমঠ ধ্বংস হয়েছে তা থেকে বিপর্যয় কোনোভাবেই আটকানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।
হাজার বছরের ইতিহাস বুকে ধরে থাকা শহরের বিপর্যয়ের কথা শুনতে গিয়ে বরং তুলনায় অর্বাচীন কিছু কথা মনে করে নেওয়া যেতে পারে। যেখানে বলা হয়েছে, মানুষ আর পৃথিবীর পারস্পরিক সম্পর্ককে ধ্বংস করে, অন্নবস্ত্রের জন্য মানুষ প্রকৃতি থেকে যা গ্রহণ করে তা প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে বাধা দেয় অতি লাভের লোভ। প্রকৃতির উৎপাদিকা শক্তিকে নষ্ট করে মাটিকেও নিংড়ে নেয় লোভ। তাই প্রকৃতির ওপর দখলদারি নিয়ে উল্লসিত হবার কিছু নেই। এগুলো কে বলে গেছেন সে কথা উহ্য থাক। কিন্তু এই কথাগুলোর বয়স দেড়শো বছরের বেশি।
জোশীমঠ থেকে নেমে এসে এক রাতের জন্য ছিলাম হৃষীকেশে। পুরনো লছমনঝুলা এখন পরিত্যক্ত। তার গা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে নতুন ব্রিজ। গভীর রাতে সেই ব্রিজ তৈরির আওয়াজে, উন্নয়নের আওয়াজে মাঝে মাঝেই চমকে উঠতে হয়েছে। অতএব সেই কম্পনে প্রকৃতিও যে চমকে চমকে উঠছে তা বলাই বাহুল্য। এখানেই দেখা হয়েছিল বিহারের বাসিন্দা, দীর্ঘদিন ধরে হৃষীকেশে সেলুন চালানো অভিবাসী পুরষোত্তমের সঙ্গে। বৃদ্ধ মানুষটির আক্ষেপ - লোভের জন্য, লাভের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ টক্কর নিতে যাচ্ছে। এর পরিণাম ভয়ংকর, যা মানুষকেই ভোগ করতে হবে...