E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৪১ সংখ্যা / ২৭ মে, ২০২২ / ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯

পালা বদলের পালাগান

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


“হারাধনের দশটি ছেলে/ ঘোরে পাড়াময়,/ একটি কোথা হারিয়ে গেল/ রইল বাকি নয়।” ছোটোবেলায় দুলে দুলে ছড়াটা যখন আওড়াতাম তখন কোনো কিছু না বুঝে, লেখকের নাম না জেনেই চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে পড়তাম। বেশ মজা লাগতো ছড়াটা বলতে। অনেক পরে জেনেছি কবির নাম যোগীন্দ্রনাথ সরকার। কীভাবে এক এক করে হারাধনের ছেলেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে তার বেশ একটা সুন্দর বিবরণ দেওয়া ছিল। কেউ হারিয়ে যাচ্ছে, কারোর পেট ফেটে যাচ্ছে, আবার কেউবা গাছে চড়তে গিয়ে পপাত ধরণীতল। একদম শেষে বুঁদির গড় আগলে থাকা শেষ ছেলেটাও মনের দুঃখে বনে চলে যায়। অতএব হারাধনের আর কোনও ছেলে অবশিষ্ট রইলো না। কিন্তু ছড়াটা থেকে গেল। আর মনের মধ্যে বেশ গেঁথেও গেল। আজও মাঝে মাঝে আশপাশের ঘটনা দেখে মনে মনে ছড়াটা আওড়াতে বেশ ভালোই লাগে।

আমি যদিও খুব ভালো জানি না, তবে দ্বাপরে একটা বিশাল যুদ্ধ হলেও সেই সময় দল বদল তেমন ছিল বলে জানা যায়নি। ভীষ্ম, দ্রোণ, বিদূররা পাণ্ডব ঘনিষ্ঠ হলেও বরং উলটো শিবিরের পক্ষে দাঁড়িয়েই যুদ্ধ লড়েছিলেন। হয়তো সেই সময় ওনাদের পাণ্ডবদের তুলনায় কৌরবদের ‘লেসার এভিল’ মনে হয়েছিল। আবার কৌরব শিবিরে থেকেও, কাটমানির জালে না ফেঁসে, মুখে কুলুপ না এঁটে বসে থেকে প্রতিটি অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন বিকর্ণ। এযুগে আবার বিকর্ণদের বদলে দু কর্ণহীনদের দল ভারী। তবে দলবদল বা শিবির বদলের দারুণ উদাহরণ আছে তারও আগের যুগের কাহিনিতে। ত্রেতায়। যেখানে দাদার দোর্দণ্ড প্রতাপে দমবন্ধ হয়ে কাজ করতে না পেরে শিবির বদল করেছিলেন স্বয়ং বিভীষণ এবং দাদার বহু গোপন তথ্য তুলে দিয়েছিলেন শত্রুপক্ষ রামের হাতে। এসব যদিও নিতান্তই ছেঁদোকথা তবু এটা তো সত্যি যে, শিবির বদলের ইতিহাস বহু পুরোনো। কাজেই আমাদের সেই সুপ্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য মেনে কেউ যদি ঘোর কলিতে চলতে চায়, তাঁকে বা তাঁদের তো দোষ দেওয়া যায় না।

হারাধনের দশ ছেলের এক ছেলে গত ২২ মে দল পালটে ঘরে ফিরেছেন। একেবারে “এপাং ওপাং ঝপাং/ সুর ধরেছে পটাঙ” স্টাইলে। গত ১৫ মে সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে একদা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাংসদ হওয়া অর্জুন সিং বলেন, ‘‘ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সরদার। বিজেপি-তে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের না। বাংলার রাজনীতির সাথে অন্য রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। সঠিক লোককে সঠিক দায়িত্ব না দিলে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবে না। এখন বিজেপি যাঁদের দায়িত্ব দেয় তাঁরা দলের সাথে বেইমানি করে। বিজেপি’র কিছু লোক দলের ভালো চায় না। সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনীতি করে বড়ো নেতা হতে চায়। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে রাজনীতি করে এখানে সংগঠন করা যাবে না! বাংলায় রাজনীতি করতে হলে রুট লেভেলে নেমে রাজনীতি করতে হবে।’’ ওইদিনই বেসুরো অর্জুন আরও বলেন, ‘‘আমি জুট মিলের সংগঠনটা ভালো বুঝি। আমাকে করতে না দিয়ে আপনি নিজে যদি সংগঠন করেন তাহলে কীভাবে হবে? এখানে সবাই গ্রুপ বানানোর চেষ্টা করে। দল বাজি সব দলে থাকে। কিন্তু ভোটের সময় এক হয়ে যায়। আমাদের দলে অন্য সময় এক থাকে দেখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ভোটের সময় আলাদা হয়ে যায়।"

ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল তখনই। এরপর ২২ মে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ৩৮ মাস পরে ঘরে ফেরেন ঘরের ছেলে। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি বলেন, ‘‘শুধু ফেসবুকে সংগঠন করা যায় না। এসি ঘরে বসে রাজনীতি করা যায় না। এই জন্যই রাজ্য বিজেপি’র গ্রাফ নামছে। বাংলার উন্নয়নকে রাজনীতি করে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন। আমি তা দেখে থাকতে পারিনি। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ হয় আমার। তাঁদের সংকেত পেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসি আমি।’’ বিশ্বাস করুন। দলবদলু কোনো সাংসদকে নিয়ে এতগুলো শব্দ খরচ করার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। তবুও করতে হলো। কারণ এর আগে বাবুল সুপ্রিয়ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবার সময় প্রায় একই সুরে গান গেয়েছিলেন। শুধু কি সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর ক্রোনোলজি বুঝলে হবে? তৃণমূল-বিজেপি-তৃণমূল-এর ক্রোনোলজিটাও তো বুঝতে হবে। ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা’।

গত ৩১ জুলাই নিজের ফেসবুক পোস্টে হারাধনের আরেক ছেলে বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানিয়েছিলেন। ওইদিন নিজের পোস্টের সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এক গান জুড়ে বাবুল সুপ্রিয় পোস্ট করেছিলেন - ‘‘সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায় - নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর...’’। যদিও মাত্র ৪৯ দিনের মাথাতেই নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। হয়তো ৪৯ দিনের মধ্যেই নিজেকে একটু গুছিয়ে নেওয়া হয়ে গেছিল সুপ্রিয়র। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুল জানিয়েছিলেন, “আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। আমার দিকে প্রচুর কটাক্ষ আসবে আমি জানি। কিন্তু আমি সবসময় মন থেকে কাজ করি। আমার সামনে যে সুযোগ এসেছে তা আমি গ্রহণ করেছি। আমাকে দল যা বলবে আমি তাই করবো।”

শুধু অর্জুন বা বাবুল নয়। উদাহরণ হিসেবে হারাধনের বাকি ছেলেদের কথাও বলা যায়।গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশকিছু হেভিওয়েট বিজেপি নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যাদের অনেকেই গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি চার্টার্ড প্লেনে ওড়াউড়ি করে কলকাতা দিল্লি কলকাতা করেছিলেন। সেই তালিকায় আছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণী একে একে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। আপাতত দলবদলের অপেক্ষায় আছেন অর্জুন পুত্র বিজেপি বিধায়ক পবন সিং। এছাড়াও ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেই বিগত সময় ঘরে ফিরে এসেছেন। হয়তো বা মেয়ের চাকরির জন্যই দলত্যাগ করে বাম জমানার মন্ত্রী পরেশ অধিকারী আজ তৃণমূল সরকারেরও মন্ত্রী। আপাতত বাকি হারাধনের বড়ো ছেলে। “হারাধনের একটি ছেলে/ কাঁদে ভেউ ভেউ,/ মনের দুঃখে বনে গেল/ রইল না আর কেউ।”

রাজ্য রাজনীতির সীমানা পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও এখন এই ট্রেন্ড। এই যেমন ২৫ মে-তেই কংগ্রেস ছেড়ে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে রাজ্যসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পড়লেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বাল। এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন সুনীল জাখর, আর পিএন সিং। দল ছেড়েছেন অশ্বিনীকুমার। হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেস ছাড়লেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি-তে যোগ দেননি। তবে দেবেন নিশ্চিত। অন্যদিকে কানহাইয়া কুমারের সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান অথবা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানের কথাও এখনও অনেকে ভোলেননি। শেষ কথা বোধহয় ক্ষমতা, পদ, অর্থই বলে। নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ - এ সব কিছুই বোকাদের জন্য। সব অনৈতিক কাজকর্মই কীরকম যেন জলভাত হয়ে গেছে। ফুটবলে বিভিন্ন বড়ো দলের মধ্যে লোনে খেলোয়াড় আদান প্রদান হয়েই থাকে।কিন্তু রাজনীতির ময়দানে রাজনীতিকদের এভাবে লোনে এদলে ওদলে খেপ খেলার নজির আগে সত্যিই ছিল না। এখন শুধুই খেলা হচ্ছে। তাই তো বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে ঘরে ফেরার পরেও রাজকীয় সংবর্ধনা পান অনুব্রত মণ্ডল, পরেশ অধিকারীরা। যারা এই সংবর্ধনা দেন বা যারা সেই সংবর্ধনা গ্রহণ করেন তাঁদের সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই বোধহয় ভালো।

একঘেয়েমি কাটাতে একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই। রাজ্যে শিল্পের দাবিতে ২০১৬-তে বামেদের ডাকা সিঙ্গুর থেকে শালবনি পদযাত্রার সূচনা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি ডাক দিয়েছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। মানুষের প্রতি আস্থা জানিয়ে বলেছিলেন আমরা আবার ফিরব। তাঁর এই মন্তব্যের উত্তরে রাজ্যের তৎকালীনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রীতিমতো ব্যঙ্গ করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তো বলছি অপরাধীরা অপরাধবোধ থেকে বারবার অকুতোস্থলে যায়। দেখতে গেছে কিছু ফেলে এসেছে কিনা। উনিও এখন দেখতে গেছে কিছু ফেলে এসেছে কিনা...।” (কথাটা ‘অকুস্থল’। ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্ভবত অকুতোভয় আর অকুস্থল মিলিয়ে নিজের মতো করে অথবা এপাং ওপাং ঝপাং স্টাইলে এক নতুন শব্দ বন্ধ তৈরি করেছেন।) সে যাইহোক। আপাতত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। এর আগে তিনি আবেদন নিবেদন করেও জেরার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর সম্পত্তির উৎস নিয়েও। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি তাঁর পোষ্য কুকুরদের নামেও ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন। সত্যি মিথ্যা জানি না। তবে বলা হচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় বিশাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও লাগোয়া বাগানবাড়ির মালিকানাও নাকি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শোনা যাচ্ছে, গত দু’দিনে দীর্ঘ এগারো ঘণ্টার জেরা সামলে বৃহস্পতিবার তিনি নাকি সকালেই পৌঁছে গেছেন তাঁর স্কুলে। ওনার কথার সূত্র ধরেই প্রশ্ন উঠতে পারে, অপরাধীরা কি সত্যিই বারবার অকুস্থলে ফিরে যায়? কিছু ফেলে এসেছে কিনা দেখতে?

গত কয়েক দিনে অনুব্রত মণ্ডল, পরেশ অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গোরু পাচার মামলা, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন জেরা করার পর ৭ মে, শুক্রবার সকালে ডাক পড়েছে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের। তিনি ক্যানিং পূর্বের শওকৎ মোল্লা। সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে নিজাম প্যালেসে। তাঁকে প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি, ব্যবসা সংক্রান্ত নথি সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।

রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। ২০১১ থেকে ২০১৩-র অক্টোবর পর্যন্ত চেয়ারম্যান থাকা চিত্তরঞ্জন মণ্ডল সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘প্যাডের পর প্যাড কাগজ, নাম, সই আসত। বড়ো বড়ো নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গাড়ির ড্রাইভার মারফত সেগুলি পাঠাতেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ ছিল বিভিন্ন ধরনের লিস্ট দিয়ে চাকরি করে দেওয়ার জন্য। যাঁরা চাপ দিতেন বা চিঠি পাঠাতেন তাঁরা অবশ্যই নেতা-মন্ত্রী। ক্রমে ক্রমে চাপ বাড়তে লাগলেও আমরা সেই চাপের মুখে নতিস্বীকার করিনি।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলের মহাসচিব থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাকে পদত্যাগ করতে বলেন। আমার সাথে যথেষ্ট দুর্ব্যবহার করা হয়। দুঃখে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম তাতে কোনোরকম কারণ দেওয়া ছিল না। এরপরেও আমাকে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিতে বলা হয়নি। সংবাদ মাধ্যমের করা, “এই সংকটের কারণ কী?” প্রশ্নের উত্তরে চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘‘কারণ মেধাভিত্তিক নিয়োগ না করার প্রচেষ্টা। ওনারা নিশ্চয়ই স্বচ্ছ নিয়োগের পথ অবলম্বন করেননি।”

অন্য কোনো কথা দিয়ে আজ লেখা শেষ করব না। আজ বরং লেখা শেষ করা যাক তৃণমূলেরই এক প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট দিয়ে। যিনি ২৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুকওয়ালে “ক্ষমতার অপব্যবহার” শিরোনামে লিখেছেন, “আমরা সবাই জানি ক্ষমতা মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত করে। তেমনি দাম্ভিক-ক্ষমতাসীন মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তবে এটাও ঠিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি তার পতন ডেকে আনবেই। সে তিনি রাজা হন বা প্রজা হন।” মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।