E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ১৫শ সংখ্যা / ২৭ নভেম্বর ২০২০ / ১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭

মার্কসবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস

শ্রীদীপ ভট্টাচার্য


● মার্কস ও এঙ্গেলস যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করলেন মার্কসীয় মতবাদ। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মতবাদ হিসাবেই একে অভিহিত করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সমকালীন দুনিয়ায় জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য-শিল্প - সমস্ত শাখায় যে অগ্রগতি ঘটেছিল তাকে অবলম্বন করেই এই মতবাদ গড়ে উঠল। শোষণভিত্তিক দুনিয়াটাকে পাল্টে দিয়ে শোষণহীন দুনিয়া গড়ে তোলার পথের নির্দেশ দিল মার্কসীয় মতবাদ। মানবসভ্যতার বিকাশের ধারায় এক মৌলিক পরিবর্তনের হদিশ দিল মার্কসবাদ। এটাই হলো মার্কসীয় মতবাদের শ্রেষ্ঠত্ব।

● মার্কস ও এঙ্গেলসের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব শুরু হয় ১৮৪০-এর দশকের শুরুতে। মার্কসের সম্পাদনায় ‘রাইনিশে জাইতুং’ পত্রিকা সেই সময়ে জার্মানিতে ছিল বিপ্লবী পত্রিকা। সেই পত্রিকায় এঙ্গেলসও তাঁর গয়েষণাধর্মী রচনা পাঠাতেন। ১৮৪২-এ তাঁদের দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। ১৮৪৬ সালে দু’জনে মিলিতভাবে রচনা করে ‘জার্মান মতাদর্শ’। দর্শনের জগতে এই রচনাটি তৎকালীন সময়ে আলোড়ন তুলেছিল। মানবসমাজের বিকাশের ধারাকে বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করলেন এই গ্রন্থে এবং সামাজিক উৎপাদনের প্রক্রিয়ার সাথে সমাজের বিকাশের ধারার সম্পর্ক তাঁরা তুলে ধরলেন।

এঙ্গেলস মার্কসের সহযোদ্ধা

● বয়সে এঙ্গেলস ছিলেন মার্কসের থেকে দুই বছরের ছোট। তৎকালীন প্রুশিয়ায়, যা বর্তমানে জার্মানি, তাঁরা দু’জনেই জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সেই তাঁরা দু’জনেই জার্মান দার্শনিক হেগেলের দ্বন্দ্বতত্ত্বে আকৃষ্ট হলেন। কিন্তু হেগেলের ভাববাদকে দু’জনই গ্রহণ করতে পারছিলেন না। এমন সময়ে আর এক জার্মান দার্শনিক ফয়েরবাখের বস্তুবাদী তত্ত্বে তাঁরা আকৃষ্ট হলেন। ফয়েরবাখের বস্তুবাদের যান্ত্রিকতার দিকটি তাঁরা চিহ্নিত করলেন। তাঁরা তারপর দর্শনের ক্ষেত্রে মৌলিক কাজে অগ্রসর হলেন।

পুঁজিবাদের শোষণমূলক দিকটি সম্পর্কে এঙ্গেলস মার্কসের মতই গবেষণামূলক কাজে ব্যাপৃত ছিলেন।

● মার্কস ১৮৪৪-এ রচনা করলেন ‘ইকনমিক অ্যান্ড ফিলজফিকাল ম্যানুসক্রিপ্ট’। সেখানে তিনি পুঁজি ও পুঁজিবাদের কার্যধারা সম্পর্কে আলোচনা করলেন। ১৮৪৭-এ এঙ্গেলস রচনা করলেন ‘কমিউনিজমের মূল নীতি’। এই রচনাটি এইজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে ২৫টি প্রশ্ন ও তার উত্তরের মধ্য দিয়ে কমিউনিজমের নীতি ও কমিউনিজমের লক্ষ্যগুলি উপস্থিত করা হলো। যা পরবর্তীকালে ‘কমিউনিস্ট ইশ্‌তিহার’ রচনায় ব্যবহৃত হলো।

● বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা লন্ডনে তাদের সংগঠন ‘কমিউনিস্ট লিগ’ গড়ে তুলেছিলেন। এর পূর্বে যখন এই সংগঠনটির নাম ছিল ‘লিগ অব জাস্ট’ তখন থেকেই মার্কস ও এঙ্গেলসের সাথে এই সংগঠনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৮৪৭-এ লিগের দ্বিতীয় কংগ্রেস থেকেই লিগের লক্ষ্য ও কর্মসূচি প্রণয়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মার্কস ও এঙ্গেলসকে। সেই সময়ে ইয়োরোপের দেশে দেশে বিপ্লবী আন্দোলনও গড়ে উঠছে। মার্কস ও এঙ্গেলস সেই বিপ্লবী আন্দোলনগুলি সম্পর্কে মনোযোগীই শুধুমাত্র ছিলেন না, সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালনেও সচেষ্টও ছিলেন। এরইমধ্যে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ১৮৪৮ সালে ‘কমিউনিস্ট ইশ্‌তিহার’ প্রকাশিত হয়। যে ইশ্‌তিহার সম্পর্কে কমরেড লেনিন বলেছেনঃ ‘‘প্রতিবাদী ও স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বলতায় এই রচনাটিতে রূপায়িত হয়েছে নতুন বিশ্ববীক্ষা, সমাজজীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য সুসঙ্গত বস্তুবাদ, বিকাশের সবথেকে সর্বাঙ্গীণ ও সুগভীর মতবাদ - দ্বান্দ্বিকতা, শ্রেণিসংগ্রামের তত্ত্ব এবং নতুন কমিউনিস্ট সমাজের স্রষ্টা প্রলেতারিয়েতের বিশ্ব ঐতিহাসিক বিপ্লবী ভূমিকার তত্ত্ব।’’

বিপ্লবী জোয়ারে ভাটা তৈরি হলে প্রতিক্রিয়ার আক্রমণ তীব্রতর হয়। মার্কস ও এঙ্গেলসের ওপর তীক্ষ্ণ আক্রমণ নেমে আসে। মার্কস নির্বাসিত হন। তখন নতুন করে বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন দেশে দেশে গড়ে তোলার জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠার কাজে এঙ্গেলস মার্কসকে সাধ্যমতো সাহায্য করেন। ১৮৬৪ সালে দেশে দেশে বিপ্লবী শ্রমিকদের আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে বাকুনিন তাঁর নৈরাজ্যবাদী মতাদর্শ নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিকের অভ্যন্তরে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। এঙ্গেলস মার্কসকে সাথে নিয়ে এই নৈরাজ্যবাদকে পরাস্ত করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করলেন।

● মতবাদ প্রতিষ্ঠায় মার্কস ও এঙ্গেলস নিজেদের মধ্যে কাজের বিভাজন করেছিলেন খুব পরিকল্পিতভাবে। পুঁজিবাদের কার্যধারা ব্যাখ্যায় মার্কস যখন ‘পুঁজি’ গ্রন্থ রচনায় ব্যস্ত, তখন এঙ্গেলস মার্কসীয় দর্শনের ভিত্তি গড়ে তোলার অসাধারণ কাজে নিমগ্ন। ১৮৭৮-এ প্রকাশিত হয় ‘অ্যান্টি ড্যুরিং’। ‘অ্যান্টি ড্যুরিং’-এ দর্শন, অর্থনীতি ও সমাজতন্ত্র বিষয়ক তিনটি অংশ। দর্শনের মূল অর্থাৎ বস্তু ও চেতনার প্রশ্নে তিনি বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে উপস্থিত করলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে। চেতনা হলো মস্তিষ্কের কার্যধারার ফসল। আর মস্তিষ্ক হলো বস্তুর অতি উচ্চ ও সূক্ষ্ম রূপ। চিন্তন প্রক্রিয়ার সাথে প্রকৃতি তথা বস্তুর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বস্তুকে নির্ভর করেই চেতনা। বস্তুবিজ্ঞান (Material Science) ও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী দর্শনের উদ্ভবের সাথে সাথে বিজ্ঞান ও দর্শনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সম্পর্কে উপলব্ধি জোরদার হলো। অধিবিদ্যা (Metaphysics)’র সাথে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মৌলিক পার্থক্য হলো - অধিবিদ্যায় বস্তু, চেতনা সবই পরস্পর বিচ্ছিন্ন। অধিবিদ্যার ভ্রান্তি চিহ্নিত করা ও তাকে খণ্ডন করার কাজ করল দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ। জীবনও দ্বন্দ্বের অভিব্যক্তি। দ্বন্দ্বের অবসানে জীবনের অবসান ঘটে।

রাজনৈতিক অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করলেন এঙ্গেলস। মানবসমাজের অস্তিত্বের উপাদানগুলির উৎপাদন ও বিনিময়ের নিয়ন্ত্রণ করে যে সূত্রগুলি তার বিজ্ঞান হলো রাজনৈতিক অর্থনীতি। পুরানো উৎপাদন ও বিনিময় ব্যবস্থার সঙ্গে সংগ্রামের মধ্য দিয়েই নতুন উৎপাদন ও বিনিময় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মার্কসই প্রথম পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ‘উদ্বৃত্ত মূল্য’ আবিষ্কার করলেন - এঙ্গেলস তা উল্লেখ করলেন।

● সমাজতন্ত্রের ধারণাকে কল্পনার পরিবর্তে বিজ্ঞানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করলেন মার্কস ও এঙ্গেলস। অ্যান্টি ড্যুরিংয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে সেই আলোচনা করলেন। আসলে ‘ড্যুরিং’ এই রচনার মাধ্যমে মার্কসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার জবাবে এঙ্গেলসের এই রচনা।

● ১৮৭৩ থেকে এঙ্গেলস ‘প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা’ (Dialectics of Nature)-এর রচনা শুরু করেন। যদিও এই গ্রন্থটি পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে - এঙ্গেলসের মৃত্যুর ৩০বছর পর। পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারগুলি একদিকে বস্তুবাদী ধারণাকে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী করছিল। অপরদিকে বস্তুবাদকে অস্বীকার করার শক্তিরও বৃদ্ধি ঘটেছিল। দ্বান্দ্বিকতা বিরাজ করছে সমগ্র প্রকৃতি জগতে। এঙ্গেলস দেখালেন যে, দ্বান্দ্বিকতাকে প্রকৃতি জগতে প্রতিষ্ঠা করতে হয় না, দ্বান্দ্বিকতা সমগ্র প্রকৃতি জগতে বিরাজ করছে। প্রকৃতি জগতের বিশ্লেষণে গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আলোচনা করলেন এঙ্গেলস ‘প্রকৃতির দ্বান্দ্বিকতা’য়।

১৮৮৬ সালে এঙ্গেলসের দর্শন সংক্রান্ত আর এক অসামান্য রচনা ‘ল্যুদভিগ্‌ ফয়েরবাখ্‌ ও চিরায়ত জার্মান দর্শনের অবসান’ প্রকাশিত হয়। এই রচনায় এঙ্গেলস দার্শনিক ফয়েরবাখের বস্তবাদের অসঙ্গতি তুলে ধরলেন। হেগেলের দ্বান্দ্বিকতার তত্ত্বের সঙ্গে ভাববাদের মিলনের ভ্রান্তি চিহ্নিত করলেন। মার্কসের ঐতিহাসিক ভূমিকা, একদিকে হেগেলীয় দ্বান্দ্বিকতার সাথে ভাববাদের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, অপরদিকে দ্বান্দ্বিকতার সাথে বস্তুবাদের মিলন ঘটালেন - তাও তুলে ধরলেন এঙ্গেলস।

● ১৮৮৪ সালে ‘পরিবার, ব্যক্তিগত মালিকানা ও রাষ্ট্রের উদ্ভব’ প্রকাশিত হয়। ঐতিহাসিক বস্তুবাদের এক অসাধারণ গ্রন্থ। নৃবিজ্ঞানী হেনরি লুই মর্গানের ‘আদিম সমাজ’-এর অবলম্বনে এঙ্গেলসের গ্রন্থটি রচিত হয়। এখানে এঙ্গেলস দেখালেন মানবসমাজের বিকাশের ধারায় পরিবারের বর্তমান রূপটি গড়ে উঠেছে। মানবসমাজ আদিম অবস্থায় ছিল মাতৃতান্ত্রিক। মালিকানা সম্পর্ক সমাজবিকাশের ধারায় গড়ে উঠল। মাতৃতান্ত্রিক সমাজের অবসান ঘটল। পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠল। শ্রেণিবিভাগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে শোষণ ও শ্রেণিসংগ্রামের আবির্ভাব ঘটল। শ্রেণিসংগ্রামকে আধিপত্যকারী ও শোষকশ্রেণির স্বার্থে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার জন্য ‘রাষ্ট্র’ নামক যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটল।

বিজ্ঞানী ও বিপ্লবী - প্রকৃত সমন্বয় হলেন এঙ্গেলস

● ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস ছিলেন প্রকৃত বিজ্ঞানী। অনুসন্ধিৎসু মনন ও বিষয়ের চর্চা, অনুশীলনে গভীরে প্রবেশ করার অসামান্য দক্ষতা ছিল তাঁর। তাই তো মার্কসীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠায় তিনি সমগ্র জীবনকাল ধরে নিমগ্ন ছিলেন। উপস্থিত করেছেন অসামান্য সমস্ত রচনা।

‘ইংল্যান্ডে শ্রমিকশ্রেণির অবস্থা’ (The Condition of the Working-class in England) যা ১৯৪৫ সালে রচিত হয়, পুঁজিবাদী অর্থনীতি সম্পর্কে অনুসন্ধানে মার্কসকে উৎসাহিত করেছিল। দর্শন চর্চার সাথে সাথে সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা (যেমন গৃহ সমস্যা) বিষয়গুলিও তাঁর চর্চার বিষয় ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর জার্মানির কৃষক যুদ্ধ ও তার ব্যর্থতার কারণ নিয়ে তিনি অত্যন্ত মূল্যবান রচনা উপস্থিত করেছেন। এঙ্গেলসের জ্ঞানের ব্যাপকতা মার্কসকে আকৃষ্ট করেছিল। যে কোনো জটিল বিষয়ে এঙ্গেলসের সাথে আলোচনা না করে মার্কস সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন না।

● বিজ্ঞানী এই মানুষটি ছিলেন আজীবন বিপ্লবী। বিপ্লবই ছিল মার্কস ও এঙ্গেলসের জীবনের ব্রত। বুর্জোয়া শাসনের অবসান ও সর্বহারার শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এঙ্গেলসের জীবনের মূল লক্ষ্য। মার্কসের মতো এঙ্গেলসও সব থেকে বেশি তৃপ্তি পেতেন প্রত্যক্ষ বিপ্লবী সংগ্রামে। বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলা ও শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী সংগ্রামে যুক্ত থাকাই ছিল তাঁর ও মার্কসের সর্বাধিক পছন্দের কাজ। তাই তো কমিউনিস্ট লিগের কার্যধারায় তিনি ও মার্কস ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৮৬৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিকের প্রতিষ্ঠা ও তার ব্যাপ্তিতে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে মার্কসের মৃত্যুর পর ১৮৮৯ সালে প্রলেতারীয় বিপ্লবী আন্দোলনের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক’ প্রতিষ্ঠা করায় তিনি ছিলেন মূল কাণ্ডারি। একইসময়ে তিনি মার্কসের ‘পুঁজি’ গ্রন্থের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডের প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৮৯৫ সালে এঙ্গেলসের মৃত্যু হয়। কমরেড লেনিন লিখেছেনঃ ‘‘প্রলেতারিয়েতের মহাযোদ্ধা ও শিক্ষক ফ্রেডরিক এঙ্গেলসের স্মৃতি অক্ষয় হোক।’’

বর্তমান সময়ের সংগ্রামে এঙ্গেলসকে স্মরণে রেখে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।