E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ১৫শ সংখ্যা / ২৭ নভেম্বর ২০২০ / ১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭

ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস - বিজয়ের জন্য সহযোগী সন্ধানের তত্ত্বকার

শুভময়


ইংরেজি সাল ১৮৫০।

১৮৪৮-৪৯ সাল জুড়ে প্রায় সমগ্র ইয়োরোপ মহাদেশে যে বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান, শেষ হয়ে গেছে সবে, না অবদমিত হয়েছে সামন্ততন্ত্রবিরোধী শক্তির পরাভবে। প্রতিবিপ্লব দ্রুত, অতিদ্রুত ইয়োরোপ মহাদেশকে টেনে নিচ্ছে থাবার তলায়।

যা হয়, বিপ্লবীদের দরজায় চৌকাঠে ক্ষমতার স্বস্তি ফিরে-পাওয়া রাষ্ট্রের নখর আনাগোনা। বিপ্লবের অন্যতম পদাতিক, ব্যারিকেড গড়ে বুক পেতে লড়াই করা ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস এখন জার্মানি ছেড়ে যাওয়া এগারো হাজার শরণার্থীর একজন। কোনোক্রমে যোগাযোগ ঘটছে তখন প্যারিসে বাস করা বন্ধু কার্ল মার্কসের সঙ্গে। দ্রুত এঙ্গেলস যেন সুইৎজারল্যান্ড ছেড়ে চলে আসে, আকুতি পাঠাচ্ছেন মার্কস। যেন চলে আসেন লন্ডনে। লন্ডনেই একটা জার্মান পত্রিকা প্রকাশ করা যাবে। মার্কসের আত্মবিশ্বাস, ‘কিছু টাকা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে।’

১৮৪৯-এর সেপ্টেম্বরে এঙ্গেলস চলে এলেন জেনোয়ায়। জেনোয়া থেকে জলপথে লন্ডন।

স্বদেশে, বেওয়ারিশ দেশদ্রোহী হিসাবে ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলসের নাম তখন তালিকার একেবারে উপরের দিকে।প্রুশিয়ার মন্ত্রী-সভাপতি এডুইন ফ্রেইহের ম্যানতুইফেল-এর টেবিল থেকে তলার স্তরের থানা-ফাঁড়ি অবধি ফ্রেডেরিখের নাম ওঠে নামে ঘুরে বেড়ায় নিরুদ্দেশ ভয়ানক দাগী হিসাবে। এঙ্গেলসদের বারমেনের বাড়িতেও প্রায়শই হানা দেয় প্রুশিয়ার রাজনৈতিক পুলিশ। ভয়ানক বিরক্ত বাবা এঙ্গেলস। আর ছেলে এঙ্গেলসের সেই সময়কার অবস্থাটা চমৎকার বেরিয়ে এসেছে তাঁকে লেখা এক পরিজন এডল্‌ফ্‌ ভন গ্রিশেইমের একটি চিঠিতেঃ ‘তোমাকে দেখে আমার মনে হয় তুমি একটা তাড়া-খাওয়া শিয়ালের মতো, যার কোনো বিরামের জায়গা নেই।..., মনে হয়, তুমি নিশ্চয় এখনো অসহ্য মানবতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার ধারণায় নোঙর গেড়েই আছ, হয়ে উঠতে চাইছ সামাজিক খ্রিস্ট।’

নিজে দুর্ধর্ষ শিয়াল-শিকারি ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস, যিশু খ্রিস্টের জীবনী খুঁটিয়ে পড়া ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস এই চিঠি পড়ে ঠিক কি ভাবছিলেন জানা যায় না। তবে বাবা ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস তাঁর এই বেয়াড়া ছেলেটিকে নিয়ে কী ভাবছিলেন খানিকটা জানা যায় তাঁর মেয়ে ফ্রেডেরিখের আদরের বোন মেরি ব্লাঙ্কের চিঠি থেকে। তাঁর প্রথম প্রথম ভাবনা ছিল ইয়োরোপের বিপ্লবের ভাইরাস থেকে অনেকটা, অনেকটাই দূরে চলে যাক তাঁর ছেলে।

কলকাতায়।

।। দুই ।।

দ্বিতীয় লন্ডন নয়, খোদ লন্ডনে আশ্রয়-নেওয়া ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস অবশ্য একেবারেই অন্যরকম করে ভাবছিলেন। ফ্রেডেরিখ-কার্লের বন্ধু কবি ফার্দিনান্দ ফ্রেইলিগ্রাথ বৈপ্লবিক শক্তির পরাজয়ে লিখেছিলেনঃ

এখন বিদায়, কিন্তু চিরবিদায় নয়!
চেতনাকে ওরা খুন করবে কীভাবে, সাথী আমার!
দ্রুত, অশ্বক্ষুরধ্বনিতে ফিরে আসব চূড়ায়, চূড়ায়
ফিরে আসব আবার, প্রবল প্রবলতর শক্তিমত্ততায়।


পূর্ণ বস্তুবাদী বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১৮৪৮-৪৯ সালের বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থতার কারণগুলি এবং সম্ভাবনার দিকগুলিও বিচার করলেন কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস। ১৮৫০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁদের উদ্যমে শুরু হলো নিউ রাইনিশ্চে জেইতুঙ-এর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পর্যালোচনা। বেশিদিন বাঁচেনি এই কাগজ। ১৮৫০-এর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৬টি সংখ্যা। চার মাসের আয়ুষ্কালেই এই কাগজ মানবমুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে চিরঞ্জীব।

কাগজের প্রথম তিনটি সংখ্যায় এঙ্গেলস লিখলেন, ‘জার্মান সাম্রাজ্যবাদী সংবিধানের জন্যে অভিযান’ শিরোনামের অধীনে প্রবন্ধ সমাহার। পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংখ্যায় লিখলেন, আরও দু’টি নিবন্ধ সাধারণ শিরোলেখর অধীনে - ‘জার্মানির কৃষক সংগ্রাম’।

শিরোনাম ‘জার্মানির কৃষক সংগ্রাম’, কিন্তু ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস বিশ্লেষণ করছেন, ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস উন্মোচন করছেন, ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস উন্মুখ চেয়ে আছেন ঐক্যের সূত্রগুলির দিকে, এক অতিপ্রয়োজনীয় মহত্তর ঐক্য।

শ্রমিক-কৃষকের ঐক্য।

।। তিন ।।

ঠিক এই কারণেই ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলসের দ্বিশতজন্মবর্ষের সমাপ্তি দিনকালে তাঁর সব কৃতি সরিয়ে রেখে শুধু তাঁর এই পুস্তিকাটির দিকেই এক পলক ফিরে-চাওয়া। বিশ্বায়িত ফিন্যান্স পুঁজির অনুগত দেশজ কর্পোরেট গোষ্ঠীতন্ত্র এবং হিন্দুত্ব শক্তির জোট ক্রমশ ফ্যাসিবাদী চরিত্র গ্রহণ করে যখন দেশের সব পথেই নির্লজ্জ লোভে আনাগোনায় বেপরোয়া, অপরাজেয় ভাবছে নিজেদের, তখনই একবার বুক বেঁধে পথে নেমে দাঁড়ানো। ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলসকে নিবেদিত এই সামান্য গদ্যের যখন পত্তন হচ্ছে, আমাদের রাজ্যে তো বটেই, দেশের নানা রাস্তায় সড়কে অথবা গ্রামে গঞ্জে হেমন্তের সুপক্ব ধানের আঘ্রাণের পাশে জনতার হাতে হাতে লাল নিশান। ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলসের ২০১তম জন্মদিনের ঠিক দু-দিন আগে ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটে আমাদের দেশ দেখবে শ্রমিক-কৃষক ঐক্যের এক দুর্দমনীয় দিন। এদিনের প্রাণ, এদিনের শপথ অটুট হোক, চিরঞ্জীব হোক! নইলে দেশের প্রাণ বাঁচবে না, মানুষের মুক্তির সম্ভাবনা সঞ্চিত থাকবে না। ঠিক যেমন করে ভাবছিলেন ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস।

তাঁর নিজের পরিস্থিতি (যা আমরা অতি-সংক্ষেপে কিছুটা বলে নিতে পেরেছি) এবং তাঁর দেশ সহ সমগ্র ইয়োরোপের পরিস্থিতি বোধহয় আমাদের থেকে আরেকটু বেশি কঠিনই ছিল। বিজয়ীর দাপট দেখাচ্ছে সদম্ভে প্রতিবিপ্লবের মূল শক্তি জার্মান জাঙ্কাররা। এই ভূস্বামী সম্প্রদায় ক্রমশ পোক্ত করে নিচ্ছে কায়েমি ক্ষমতার বুনিয়াদ। ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলসের দ্বিতীয় দেশ গ্রেট ব্রিটেনে অবদমিত হয়েছে চার্টিস্ট আন্দোলন। দমনপীড়নের যাবতীয় পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আর ইতস্তত করছে না রাষ্ট্র। গ্রেফতার হয়েছেন এঙ্গেলসের সুহৃদ চার্টিস্ট নেতা আর্নেস্ট জোন্স। দুনিয়ার মুক্তিকামী মানুষের অন্যতম প্রধান তত্ত্বনেতা হিসাবে দ্রুত মনস্থির করে নিলেন এঙ্গেলস। ‘‘দু-বছরের সংগ্রামের পর যে শৈথিল্য নেমে এসেছে প্রায় সর্বত্র, তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এটি সেই অব্যর্থ সময় যখন জার্মানির মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে মহান কৃষক সংগ্রামের কিছু মোটা দাগের হয়তো তবু শক্তিশালী সহনশীল ব্যক্তিত্বদের কথা।’’

নিউ রাইনিশ্চে জেইতুঙ-এর পঞ্চম ও ষষ্ঠ (যা শেষ সংখ্যাও বটে) সংখ্যায় ‘জার্মানির কৃষক সংগ্রাম’ লেখার পর ঠিক এই কথাটিই মনে হয়েছে এঙ্গেলসের জার্মান বন্ধুদেরও। তাঁরা অনুরোধ করেছেন এঙ্গেলসকে দুই পর্বে প্রকাশিত এই নিবন্ধ তখনই প্রকাশিত হোক বই হিসাবে।

এঙ্গেলসের আদর্শায়িত রণনায়ক জার্মান কৃষক সংগ্রামের সেই মহানেতা টমাস মুনত্‌জার। তিনি এসেছিলেন জার্মানির প্রোটেস্টান্স ঐতিহ্য থেকে। মরমি সাধক। ঈশ্বরের অশেষ যাতনার কথাই যিনি উচ্চারণ করেছেন বরারব, উদাত্ত স্বরে। এঙ্গেলসের এক সাম্প্রতিক জীবনীকার মুনত্‌জার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কার্লাইলিয়ান হিরো’। হয়তো। সেই নায়ক যিনি বস্তুতে প্রসারিত সত্যের জন্য অরক্ষিত নগ্নতাতেও লড়াইয়ে অবিরাম, অবিচল। মুনত্‌জার সেই ১৫২০ সাল থেকে নিয়ত প্রয়াসে ১৫২৪-২৫ খ্রিস্টাব্দের ক্রান্তিকালে জার্মানির কৃষক কারিগর জনতাকে তাদের শ্রেণিগত সচেতনতায় ফিরিয়ে এনে ভূস্বামী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও দুর্দম করে তুলতে পেরেছিলেন। ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ ঘটনায় প্রসারিত এঙ্গেলসের খুঁজে নেওয়া সত্য ওইখানেঃ ‘‘মুনত্‌জারের ধর্মদর্শন যেমন নাস্তিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তেমনই তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি এগিয়ে যাচ্ছিল সাম্যবাদের দিকে...। ঈশ্বরের রাজত্ব হিসাবে মুনত্‌জার বুঝিয়েছেন সেই সমাজ যেখানে থাকবে না শ্রেণিবৈষম্য, থাকবে না ব্যক্তিসম্পত্তি...।’’

ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস ‘জার্মানির কৃষক সংগ্রাম’-এর মূল উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন ভিলহেলম জিমারম্যানের বই থেকে। জিমারম্যানের বই ‘মহান কৃষক যুদ্ধের ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৪১-৪২ সালে। জিমারম্যানকে পার হয়ে এঙ্গেলস এগিয়ে গেলেন ভিন্নতর এক সত্যের দিকে। মার্কসবাদী তত্ত্বের সর্বহারার ঐক্যের সূত্রাবলির দিকে।

কার্লাইলিয়ান হিরো-কে পার হয়ে মার্কসীয় নায়কের সন্ধানে।

।। চার ।।

কিন্তু শুধু এই উত্তরণসূত্রের সন্ধানেই আমরা ‘জার্মানির কৃষক সংগ্রামে’র কাছে পৌঁছাইনি। এখানে পৌঁছানো, ইতিহাসের সেই বস্তুবাদী বিশ্ববীক্ষা আরও একবার মনে করে নিতে যা মার্কসকে স্মরণ করে সূত্রায়িত করছেন এঙ্গেলসঃ ‘‘...রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় তত্ত্ব কারণ ছিল না, বরং ছিল সমকালের জার্মানিতে কৃষি, শিল্প, স্থল এবং জলপথের যে প্রগতি ঘটেছিল তার ফলাফল।’’

এই কথাগুলি প্রায় শুরুতেই লিখে রাখছেন এঙ্গেলস জার্মানির কৃষক যুদ্ধের ১৮৭০ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায়। মার্কস এবং এঙ্গেলস এটি প্রায় তাঁদের রচনা প্রকাশনার ক্ষেত্রে ঐতিহ্যে পরিণত করেছিলেন - প্রায় প্রতিটি গ্রন্থের বিভিন্ন সংস্করণ, বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ-সংস্করণ প্রকাশনাকালে তার একটি অদ্যতন ভূমিকা সংযোজন করা। ১৮৭০-এর সংস্করণের ভূমিকায় এঙ্গেলস বিশ্লেষণ করলেন ১৮৬৬ অবধি ইয়োরোপ পরিস্থিতি। ১৮৭৪-এর সংযোজন ভূমিকায় এগিয়ে গেলেন ১৮৭০ অবধি। না, ১৮৭০ উত্তরকালে বোনাপার্টিস্ট যুদ্ধের প্ররোচনা, এমনকি তারও পরে ১৮৭৪-এ জানুয়ারিতে জার্মান-নির্বাচন অবধি।

আসলে প্রতি পদে পদে মনে করে নেওয়া, মনে করিয়ে দেওয়া - বর্তমানকে সাম্প্রতিকতম বর্তমানকেও বুঝে নিতে কেন ইতিহাসের প্রয়োজন।

‘জার্মানির কৃষক সংগ্রাম’-এ এঙ্গেলস দেখিয়েছিলেন, ১৫২৫ সালে সকল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি কিভাবে জোট বেঁধেছিল লড়াকু কৃষকদের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই এঙ্গেলস দেখাচ্ছিলেন, তাঁর সময়ে, যে ব্যারিকেডে তিনি নিজে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সংগ্রাম গড়ে তোলা ক্রমশ সংহত হওয়া সর্বহারার বিরুদ্ধে ধূর্ত জোটে মিলে যাচ্ছিল সমস্ত শাসকশক্তি আর বিশ্বাসঘাতক জার্মান বুর্জোয়ারা। এঙ্গেলস ক্রমশ স্পষ্ট করে তুলেছিলেন, ১৮৪৮-এর বিপ্লব, ১৮৫০-এর প্রতিবিপ্লব পার হয়ে ১৮৭০-এর সেই দশকে লড়াইয়ের সেই মানচিত্র, যেখানে ক্রমশ নিজের শক্তি টেনে নিচ্ছে জার্মান সর্বহারা আর উল্টোদিকে তত ঘন হয়ে উঠছে সামন্তশাসক আর বুর্জোয়াদের বোঝাপড়া। এবং ছিল সেই অমোঘ লক্ষণের উল্লেখ, যা ভবিষ্যতের দিক্‌নির্দেশও বটেঃ ক্রমশ আগুয়ান সর্বহারা তার সহযোগী খুঁজে নিচ্ছে। খুঁজে পাচ্ছে ছোটো প্রান্তিক এবং মজুরি-নির্ভর কৃষিজীবীদের মধ্যে।

১৮৭৪-র ১ জুলাই-এর ভূমিকায় শ্রমজীবী আর তার নেতৃত্বকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন এঙ্গেলস, দুশমনের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে হবে একটির পর একটি আসন, একটির পর একটি নির্বাচনী জেলা। তার জন্যে প্রয়োজন রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির সঙ্গে, মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন এঙ্গেলস, তাত্ত্বিক অর্জন। অন্যান্য বিজ্ঞানের মতোই নিবিড় করে পড়তে হবে সমাজতন্ত্র।

সঙ্গ দিন কমরেড ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস, সাংগঠনিক রাজনৈতিক শক্তি সংহত করার পাশাপাশি তাত্ত্বিক অধ্যাবসায়ের মধ্য দিয়ে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি ক্রমবিজয়ের ময়দানের দিকে!