৫৮ বর্ষ ১৫শ সংখ্যা / ২৭ নভেম্বর ২০২০ / ১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭
ধর্মের ঘট বাতাসে নড়ে না
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
গত দু’দিন ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাইনি। শব্দটা যেন বেমালুম উড়ে গেছে অভিধান থেকে। বাড়িতে আছে গোটাকতক। এ টি দেব, জ্ঞানেন্দ্রমোহন, সংসদ, আকাডেমি। কিন্তু না কোথাও ওই শব্দটা নেই। তার আগের শব্দ আছে। পরের শব্দ আছে। ত্যজন, ত্যজনীয়, ত্যাঁদড় এর পরেই সরাসরি চলে যাচ্ছে ত্যাজ্য, ত্যাজ্যপুত্র, ত্যাড়া, ত্যানাতে। কিন্তু না। ‘ত্যাগ’ বা ‘ত্যাগী’ অভিধান থেকে বেমালুম উবে গেছে। ঠিক এর আগে গত কয়েক বছরে যেভাবে বাঙালির ডিকশনারি থেকে লজ্জায় মুখ লুকিয়েছে ‘সততা’, ‘উন্নয়ন’ কিংবা ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দগুলো। রাজ্যের ডিকশনারি থেকে ‘গণতন্ত্র’। কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যায়না এদের। শব্দ বলে কী তার লজ্জা থাকতে নেই! নাকি তার কোনো ‘পেস্টিজ’ নেই! বেশ বোঝা যাচ্ছে আগামী কয়েকটা মাস হয়তো এই শব্দগুলোকে বাদ দিয়েই আম বাঙালির ‘জেবন কাটবে গো কত্তা’।
থিওরিটা অনেকটা ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ‘আমি পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়েছি। পলিটিক্যাল সায়েন্স মানে রাজনৈতিক ইতিহাস।... ভূগোল আর ইতিহাস মিলেই পলিটিক্যাল সায়েন্স - তাই পলিটিক্যাল সায়েন্সের জন্য আলাদা কোনো টিচারের দরকার নেই’ গোছের। ত্রিপুরার চেলাগাঙের চলাকাহাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের বিস্ময়ের ঘোর এখনও কেটেছে কিনা জানা নেই। তবে এর থেকেও সেরা সম্ভবত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ‘লোভী, ভোগী, আর ত্যাগী’ তত্ত্ব। যা অবশ্যই বিগত ১০ বছরে প্রায় সব হারানো বাঙালির জীবনে বেঁচে থাকার নতুন রসদ। এতদিন ত্যাগী সন্ন্যাসী, ত্যাগী মানুষ ইত্যাদি শোনা গেলেও ত্যাগী তৃণমূল কথাটা বাঙলা শব্দভাণ্ডারে সম্পূর্ণ নতুন আমদানি। বাঙালির বোধ ঘেঁটে দেবার জন্য যথেষ্ট। প্রায় এসে পড়া ভোটের গরম বাজারে হয়তো ‘দিদিকে বলো’, ‘বাঙলার গর্ব’-র মতো কোচ পিকে স্যারের নতুন বিজ্ঞাপনী ট্যাগ লাইন - ত্যাগী তৃণমূল।
লিখতে বসে বিষয় থেকে দূরে চলে গিয়ে এ ধরনের কূটকচালি করতে গেলে কি-বোর্ডও মাঝে মাঝে বিদ্রোহ করে। খারাপ লাগে। ‘আই নো দ্যাট, আই নো নাথিং’ - প্লেটো অথবা সক্রেটিস-কে বলেছিলেন বিতর্ক আছে। এখনও অসম্পূর্ণ শিক্ষার প্রথম ধাপ থেকেই তো আমাদের শেখানো হয় - ব্যক্তি নয়, নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তবু মাঝে মাঝে শিক্ষা, বোধ, কি বোর্ড, আঙুলে ঘোরতর যুদ্ধ বেধে যায়। আঙুল নিশপিশ করে কিছু লিখে ফেলার জন্য। ত্যাগের কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় - সাংসদ দোলা সেনের ৭৫% - ২৫% তত্ত্ব। কতটা তোলা তুলবেন, কতটা নিজের কাছে রাখবেন আর কতটা দলে জমা করবেন তার সরল তৃণগণিত। সে দুলুনি কাটতে না কাটতেই অবচেতনে রিবাউন্ড হতে শুরু করে নারদার তোয়ালে ঢাকা, কাগজ মোড়া, সিঙ্গারা সহযোগে ‘ত্যাগের বাণী’র আলাপচারিতা। সারদা সহ বিভিন্ন চিট ফান্ডের আমানতকারী, এজেন্টদের হাহাকারের ভিডিয়ো ফুটেজ। কোনো জেলবন্দি সাংসদের পুলিশ ভ্যানে চাপড় মেরে মেরে চিট ফান্ডের সুবিধাভোগীর নাম ধরে চিৎকার। এক লহমায় বেশ কিছু ত্যাগী সাংসদ বিধায়কদের নাম মনে পড়ে যায়। যাঁরা ভুবনেশ্বরে, কলকাতায় - বিভিন্ন জায়গায় হাওয়া বদল করে এসেছেন। মনে পড়ে আমফানের পরবর্তী সময়ের চাল চুরি, ত্রিপল চুরির কথা।
মনে পড়ে স্বঘোষিত ত্যাগী দলের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২০১৯-এর ১৮ জুন দলীয় কর্মীসভায় বলেছিলেন - শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষ ‘সরকারের সমস্ত জায়গা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে করে নিয়েছে। পার্ক থেকে পুকুর থেকে শুরু করে সব’।... তিনি আরও বলেছিলেন - ‘সমব্যথী প্রকল্পে দু হাজার টাকা দেয় কাউন্সিলররা। তার থেকে দুশো টাকা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প থেকে ২০% টাকা সরানো হচ্ছে বহু জায়গায়।’ তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ‘বিকাশ বসুর স্ত্রীকে টিকিট না দিয়ে তাঁর খুনীদের টিকিট দিয়েছি আমরা’। এবং সব শেষে তিনি জানিয়েছিলেন - ‘...কেউ টাকা নিয়ে থাকলে ফেরত দিয়ে দিন। না হলে তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।’ এছাড়াও ওইদিন তিনি বলেন - ‘দলটা যেন রামধনু পার্টি হয়ে গেছে। কখনও মনে হলো বিজেপি করব, কখনও মনে হলো সিপিএম করবো। এদের কোনো রাজনৈতিক সত্তা আছে?’
গত ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন - ‘সিপিএম-কে দেখে আরও লজ্জা হয়। সব নির্লজ্জ। এরা বিজেপি-র পায়ে পড়েছে নিজেদের চুরি থেকে বাঁচানোর জন্য। সারদা-নারদা কিন্তু ওরাই করেছে।’ ‘অনেক টাকা হয়েছে না? হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। আগে খেতে পেত না। একটা বিড়ি তিনবার টানত। আর এখন, টাকার অফার। ফোন করে তৃণমূলকর্মী, বিধায়কদের লক্ষ, কোটি টাকার অফার দিচ্ছে। এটা একটা রাজনৈতিক দল? বলতে লজ্জা হয়।’ ‘ভোট এলেই তৃণমূলকে ভয় দেখানো শুরু হয়। যাতে তৃণমূল নেতারা ভয় পেয়ে ওদের সঙ্গে চলে যায়। ওরা বলে, হয় ঘরে থাকো, নয়তো জেলে থাকো। মনে রাখবেন, এই সব চমকানি, ধমকানি, টাকার কাছে আমি ভয় পাই না।’ (হিন্দুস্থান টাইমস বাঙলা ওয়েব পোর্টাল, ২৫ নভেম্বর) কে কাকে চমকায়, ধমকায় কে জানে? রামায়ণ লেখা প্রায় শেষের মুখে এসে গেলেও বিজেপি’র লৌহমানব লালকৃষ্ণ আদবানীর নেতৃত্বাধীন এথিক্স কুম্ভকর্ণ কমিটির ঘুম তো এতদিনেও ভাঙেনি। টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর কথা বললে তো অনেক বড়ো বড়ো বর্তমান ত্যাগীরা লজ্জায় পড়ে যাবেন। তাই চুপ থাকাই শ্রেয়। শুধু শুধু সেইসব দলত্যাগী ‘ত্যাগী’দের লজ্জা দিয়ে কী লাভ? আর ‘নির্লজ্জ’ শব্দটা নিয়ে আমি কিছু বলব না। নাম ‘নির্লজ্জ’ হলেও শব্দটার নিজের তো একটা লজ্জাবোধ আছে না কি? সবাই তো আর দু কানকাটা হয়না। এরপর হয়তো দেখা যাবে সেও কাল অভিধান থেকে বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছে। কাজেই ক্ষান্ত দিলাম।
ভূমিকা করতে করতেই বিষয়টা এত বড়ো হয়ে গেল যে যা নিয়ে লিখব ভেবেছিলাম সেটাই পেছনে চলে এলো। কূটকচালি অথবা ভূতের গল্পের এই এক মজা। যেহেতু উপসংহার নেই তাই চলতেই থাকে। চলতেই থাকে। ল্যাজা মুড়ো খুঁজে পাওয়া যায়না। অবশ্য থাকে নিশ্চিত। সব শুরুরই একটা শেষ থাকে অথবা সব শেষেরই একটা শুরু। যে কোনোরকম ভাবেই বিষয়টাকে বলা যায়। ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘটটাও অনেকটা এরকমই। হয়তো বা শেষের শুরুর জন্য এটাই মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
বিশেষ কারণেই কোনো ট্রেড ইউনিয়ন, রাজনৈতিক দল ধর্মঘট ডাকে। এবারের ধর্মঘটও ব্যতিক্রমী নয়। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করে ৭ দফা দাবিতে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে এই ধর্মঘট সমর্থন করেছিল প্রায় সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন। যার সব দাবিই ছিলো মানুষের দাবি, রুটি রুজির দাবি, বেঁচে থাকার দাবি। অবশ্য আরএসএস প্রভাবিত ট্রেড ইউনিয়ন ভারতীয় মজদুর সংঘ বা বিএমএস এই ধর্মঘট থেকে তাদের দূরত্ব বজায় রেখেছে রাজনৈতিক কারণেই। তা তাদের বিবৃতিতেই স্পষ্ট। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু আরও এক ত্যাগী রাজনৈতিক দল এই বঙ্গে আছে। যারা একাধিকবার বিজেপির হাত ধরে কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ব করেছে, নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করেছে বলে ইতিহাস বলে। তাদেরই নেত্রীকে আরএসএস ‘দুর্গা’ বলেও জানিয়ে দিয়েছে। ত্যাগী রাজনৈতিক দলের মাননীয়া নেত্রী টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন - ‘বিজেপি ইস আওয়ার ন্যাচারাল অ্যালাই’। এখন নাকি সেই ত্যাগী রাজনৈতিক দলই ঘোরতর বিজেপি বিরোধী এবং তাঁরা ধর্মঘটের দাবিগুলোকে সমর্থন করলেও ধর্মঘট সমর্থন করেননি। কারণ একসময় খেতে আঁচাতে বনধ ডাকা তেনারা এখন ‘বনধের রাজনীতি সমর্থন করেন না’। উল্টে দিনভর ধর্মঘটীদের ওপর প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়ে আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারের বেশি ধর্মঘটী। আগের প্যারাতেই যেহেতু ‘নির্লজ্জ’ শব্দটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে তাই আর পুনরাবৃত্তি না করাই বাঞ্ছনীয়।
‘ধমকানি চমকানিতে’ ভয় না পাওয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে ‘ধমকানি চমকানি’ বড়ো কম ছিল না। তবুও বিগত ১০ বছরের মধ্যে কোনো ধর্মঘটে মানুষের এত স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মনে করা যাচ্ছে না। ধর্মঘটের প্রচার পর্বে যেভাবে বামকর্মীরা কার্যত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে লাগাতার নিবিড় প্রচার চালিয়ে গেছেন এবং ধর্মঘটের দিন সকাল থেকে রাস্তায় রাস্তায় ঘাঁটি গেড়েছেন তা অনেক ৭%-এর হিসেব কষা, বামেদের দূরবিন দিয়ে দেখতে না পাওয়া রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। অবশ্য সারাদিনের সফল ধর্মঘটের পর সন্ধেবেলা কিছু চাটুকার জ্যাঠামশাই তাদের ওয়েব পোর্টালে লিখেছেন - মানুষই রাস্তায় নেমে ধর্মঘট ব্যর্থ করেছে। মানুষ যদিও সবই দেখেছে। মানুষই রাস্তায় নেমে ধর্মঘট করেছে। জ্যাঠামশাইদের চোখ এড়িয়ে গেলেও ১১৯ শহিদের এলাকা লালগড়ের গ্রামে পুলিশকে ঘিরে ধরে পুলিশের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া লালপতাকা আবার আগের জায়গাতে লাগাতে বাধ্য করেছে গ্রামের মহিলারা। শুধু লালগড় নয়। গতকাল সারা রাজ্যেই এই মেজাজই ছিল। যে প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেছেন - “বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এত ব্যাপক সাড়া কোনো ধর্মঘটে পাওয়া যায়নি যা আজকে দেখা গেছে। তাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে। এই লড়াই ছিল মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। যারা ১৫ লক্ষ করে টাকা দেবে বলেছিল সবার অ্যাকাউন্টে। তারা সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেবার বিষয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। যারা বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে তাদের আমলেই কোটি কোটি মানুষের চাকরি গেছে। ছোটো ব্যবসায়ী, দোকানদার, হকার তাঁদের পুঁজি শেষ হয়ে গেছে কয়েক মাসে। পরিবহণ কর্মীদের দুর্বিষহ অবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধর্মঘট, সেখানে আমরা দেখলাম তৃণমূল সরকারের গায়ে লাগছে। তাঁরা ফরমান জারি করছেন, পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছেন। মানুষ আজ তার জবাব দিয়েছেন।”
২৭ নভেম্বর, শুক্রবার সকালে এই লেখাটা যখন লিখছি সেই সময় হরিয়ানা দিল্লির দিল্লি-বাহাদুরপুর টিকরি সীমান্ত কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে উত্তাল। গত কদিন থেকেই জলকামান, টিয়ার গ্যাস, ব্যারিকেড করে দিল্লিমুখী কৃষকদের আটকাতে চেষ্টা করছে একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্য। যদিও কোনো কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না কৃষক বিক্ষোভকে। টিয়ার গ্যাাস, জলকামান, ব্যারিকেড সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে দিল্লির কাছাকাছি চলে এসেছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের এই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে বৃহস্পতিবার গোটা দিন সবরকমভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা প্রশাসন। দিনের পাশাপাশি মধ্যরাতেও সোনপতে বিশ্রামরত কৃষকদের ওপর জলকামান চালিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু দিল্লি পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর কৃষকরা তাতেও দমেননি। প্রায় ৫০ হাজার কৃষক দিল্লিতে ঢোকার জন্য বিভিন্ন প্রান্তে এখন অপেক্ষা করছেন। কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছেন "কেউ আটকাতে পারবে না আমাদের’’, ‘‘দাবি না মানা পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকব’’।
দামামা বেজেছে শেষের শুরুর। দামামা বেজেছে মেকি ‘আচ্ছে দিন’-এর নামে প্রহসনের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে থেমে নেই কোনো রাজ্য। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর ক্ষোভের আগুন খুব বেশিদিন রাম মন্দির আর সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে আটকে রাখা যাবেনা। মানুষ রাস্তায় নেমেই আদায় করে নেবে অধিকার। মানুষই বলবে - ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান।’