৫৮ বর্ষ ৩য় সংখ্যা / ২৮ আগস্ট ২০২০ / ১১ ভাদ্র ১৪২৭
“এই-সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে দিতে হবে ভাষা”
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
এডি ৬৪। পঞ্চম রোমান সম্রাট নিরোর শাসনকাল। বহুদিন আগের কথা। তবে কথিত আছে সে বছরের গরমকালে রোম যখন বিধ্বংসী আগুনে পুড়ছিল, সেই সময় সম্রাট নিরো নাকি বসে বেহালা বাজাচ্ছিলেন। অবশ্য এই দাবি নিয়ে বিতর্ক কম নেই। কেউ কেউ যেমন বলেন একথা সত্যি, কেউ বলেন ভিত্তিহীন। রোমান ইতিহাসবিদ্ ট্যাকিটাস-এর বক্তব্য অনুসারে একটানা ছ’দিন ধরে রোম শহর জুড়ে সেই আগুন জ্বলেছিল। রোম শহরের ৭০ ভাগ ঘরবাড়ি পুড়ে গেছিল। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, রোম শহরের পুনর্গঠনের জন্য নিরোই নাকি সেই আগুন লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজে বসে বেহালা (কিথারা বা সিথারা নামক তন্ত্রবাদ্য) বাজিয়েছিলেন। সত্যি মিথ্যে জানিনা। তবে একথা সত্যি যে, নিরো খুব জনপ্রিয় রাজা ছিলেন না। এই ঘটনার চার বছর পরেই তাঁকে দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই শোনা যায়।
চায়ে পে চর্চা, চায়ে কী চর্চা
শিরোনামটা অবশ্য অন্যকিছুও দেওয়া যেত। তবে এটাই থাক। আসলে ইদানিং এমন হয়েছে ভুল করেও কেউ ‘উন্নয়ন’ আর ‘অনুপ্রেরণা’ উচ্চারণ করলে ‘কাটমানি’ আর ‘পোটোপাড়া’ ছাড়া অন্য কিছু মনে আসেনা। তেমনই চা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে একজনের কথাই মনে পড়ে।
২০১৫ সালে তেহসিন পুনেওয়ালা নামক ভদ্রমহিলা এক আরটিআই করেছিলেন। যে আরটিআই-এর উত্তরে রেলওয়ে বোর্ড জানিয়েছিল, ভদ্রলোক কোনোদিন কোনো স্টেশনে চা বিক্রি করেছিলেন এরকম কোনো তথ্য নেই। বছর দুয়েক আগে হরিয়ানা হাইকোর্টের এক আইনজীবী পবন পারিক আবার একটি আরটিআই করেন। সিপিআইও, ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাস মোদীর চায়ের দোকান সম্পর্কে। মোট ১১টি প্রশ্ন নিয়ে ওই আরটিআই করা হয়েছিল। প্রথমবার উত্তর না পাওয়ায় এই বছরের ১৭ জুন ফের তিনি আবেদন করেন। ওই আরটিআই-এর উত্তর অতি সম্প্রতি পাওয়া গেছে। যার উত্তরে সিপিআইও, ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে জানিয়েছেন, এই ঘটনা ‘বহু পুরনো’ এবং আহমেদাবাদ সেকশান এই ধরনের কোনো রেকর্ড রাখেনা। এক্ষেত্রে আবেদনকারী যে যে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। মন খারাপ করবেন না। সে তো ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটিরও অস্তিত্ব নেই। তাতে কি ‘ডক্টর’ লেখা আটকেছিল নাকি? কাজেই চায়ের দোকান নাই বা থাকল। তাতে কারোর চাওয়ালা হওয়া, স্টেশনে স্টেশনে চা বিক্রি করা আটকানো যায় না! ইমেজ বিল্ডিং-এর জন্য ওরকম বলাই যায়। এই যেমন আমি, আপনি, আমরা চোখ বন্ধ করলেই প্রাইমারি স্কুলে, হাইস্কুলে, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে গোটা কয়েক বন্ধু পাবোই যারা আমাদের সঙ্গে পড়াশুনো করেছে। আমরা পুরো ভুলে মেরে দিলেও কোনো না কোনো বন্ধুর মনে থাকবেই। কিন্তু কোনো ভোজবাজিতে যদি সবার একসঙ্গে মেমরি লস হয় তাহলে ভারতবাসীর কী করার আছে? তার মানে কী এই হয় যে, তিনি স্কুলের গন্ডি পেরোননি? এত ভেবে কোনো লাভ কি? তার চেয়ে আমরা বরং ভ্যানাদার চায়ের দোকানে এক ভাঁড় চা নিয়ে আপাতত মঙ্গলে জমি কত করে কাঠা যাচ্ছে তাই নিয়ে ভাবি।
কুমির টু ময়ূর - ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড
‘তাঁর’ বয়ান অনুসারে ছোটোবেলায় তিনি প্রতিদিন পুকুরে স্নান করতে যেতেন। একদিন পুকুরে একটা কুমিরের বাচ্চা পেয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি কখনোই ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসেন না। কী একটা প্রবাদ আছে যেন। ‘তাবৎ চ শোভতে মূর্খ, যাবৎ কিঞ্চিৎ ন ভাষতে’। এরকমই বোধহয় কিছু একটা। পণ্ডিতরা যেখানে যেতে ভয় পান, মূর্খরা সেখানে অনায়াসেই চলে যায়। এরকমই বোধহয় ছিল মানেটা। ঠিক মনে পড়ছে না। ভুলে গেছি। আর দাদার প্রায় ঘাড়ে ঘাড়েই দুর্গা বহেন বলেছিলেন - ‘স্নেক বাইটটা প্রথম পায়ে কামড়ায়…। সারা দেহে কামড়াতে নিশ্চয়ই পারে। কিন্তু পা টাই হচ্ছে অরিজিনাল জায়গা।’ সাপের মনস্তত্ত্ব নিয়ে এত নিবিড় গবেষণা করে সাপসমাজেও কেউ বোধহয় ডক্টরেট পাননি। বাদ দিন।
বেয়ার গ্রিলস-এর নাম এখন অনেকেই জানেন। সৌজন্যে ডিসকভারি চ্যানেলের ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’। জন্তু জানোয়ার মানুষ টানুষ নিয়ে একটা শো। ২০০৬ সালে যে শো-র বিরুদ্ধে বিকৃত এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছিল। সেকথা থাক।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে এই ধারাবাহিকের এক এপিসোডের শুটিং করেন বেয়ার গ্রিলস। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শ্যুটিং চলার পর সন্ধ্যে ৬.৪৫-এ চা এবং স্ন্যাক্স সহযোগে ছোটোখাটো ভোজন পর্ব হয়। রুটিন বাঁধা অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানের কথা বেয়ার গ্রিলস নিজেই জানিয়েছিলেন ২৬ জানুয়ারি এবং ১২ ফেব্রুয়ারির ট্যুইটে। যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে পরে এই দুটো ট্যুইটই মুছে দেন গ্রিলস। অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না। বিপাকে পড়লে অমিতাভ বচ্চনও ট্যুইট মুছে দেন। সমালোচনা করলে ঠোক দেঙ্গে বলেন। তবে হ্যাঁ। যেটা বলতে গিয়ে বারবার ভুলে যাচ্ছি। ওইদিন একটা 'ছোট্ট ঘটনা’ ঘটেছিল। ওইদিন, মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে আমাদের দেশের ৪৪ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।
ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছিল ৩০ জানুয়ারি ২০২০। তারপর থেকে আলোচনা, পর্যালোচনা, লকডাউন, আনলক, তবলিগি জামাত সব পেরিয়ে মোটামুটি মাস ছয়েক পেরিয়ে গেছে। এখন গড়ে প্রতিদিন ৬০ হাজারের বেশি সংক্রমণ এবং প্রায় ১ হাজার মৃত্যু হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত প্রায় ৩৩ লাখ। মৃত্যু প্রায় ৬১ হাজার মানুষের। ১৫ আগস্ট ভ্যাকসিনটা একটুর জন্য লালকেল্লা থেকে ফসকে গেছে। দেশের একটা বড়ো অংশের মানুষ কী খাবেন, কী ভাবে দিন গুজরান করবেন চিন্তা করছেন। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী ময়ূরকে দানা খাওয়ানোর ফোটোশ্যুট করাচ্ছেন। সেই ছবি কবিতা সহযোগে ট্যুইট করে লিখছেন - ‘ভোর ভয়ো, বিন শোর,/মন মোর, ভয়ো বিভোর…’। বিভোর থাকার পারফেক্ট টাইমিং। দেশের লোকের পেটে দানাপানি না থাকলেও, ময়ূর তো দানা পাচ্ছে রাজার হাত থেকে। জোরসে বলো - আচ্ছে দিন কী জয়। পশু, পাখি, জন্তু, জানোয়ারদের আচ্ছে দিন এসে গেছে।
এই প্রসঙ্গে একটা ফুটনোট জরুরি। আমাদের রাজনীতি বারবারই শিক্ষা দেয় লড়াই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। নীতির বিরুদ্ধে। তবে রাজনীতির অভিমুখ ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়লে আলোচনায় ব্যক্তি এসেই যায়। ‘বাঙলার গর্ব’ আর ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ ঘিরে নীতিহীন যুগলবন্দীতে সহযন্ত্রীরা তো নিতান্তই ল্যাম্পপোস্ট। তাই…
পিএম কেয়ারস, হু কেয়ারস
করোনার ঢালে গত ২৮ মার্চ দেশে বেশ ভালো একটা ফান্ড তৈরি হয়েছে। মহৎ উদ্দেশে সন্দেহ নেই। এই ফান্ড থেকে করোনা যুদ্ধের খরচ মেটানো হবে। করোনা বলে কথা। তাই প্রাইম মিনিস্টারস ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে এড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভাকে এড়িয়ে প্রাইম মিনিস্টারস সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমারজেন্সি সিচুয়েশনস বা পি এম কেয়ারস ফান্ড। গত ১৭ জুন অঞ্জলি ভরদ্বাজ-এর করা এক আরটিআই-এর উত্তরে কেন্দ্রীয় সচিবালয় থেকে গত ২৯ জুন জানানো হয়েছে, কোনো মন্ত্রীসভার বৈঠকে পি এম কেয়ারস ফান্ড গঠন নিয়ে কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না। যেহেতু অ্যাজেন্ডাভুক্ত নয়, তাই এই ফান্ড তৈরিতে মন্ত্রীসভার অনুমোদনের প্রশ্ন নেই। জুলাই ৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এই ফান্ড কোনো পাবলিক অথরিটি নয়। তাই এই ফান্ড আরটিআই-এর আওতাভুক্ত নয়। শিব্রাম চক্কোত্তির ভাষায় বলা যেতে পারে ‘ব্রেশ, ব্রেশ’। কার ফান্ড, কে টাকা দেয়, কে খরচ করে কে জানে!
অবশ্য টাকা অনেকেই দিচ্ছেন এই ফান্ডে। দেওয়ানো হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। নজির আছে। যেমন দেশের ৩৮টি পিএসইউ এই ফান্ডে ২,১০৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। যার মধ্যে পি এম কেয়ারস ফান্ডে সবথেকে বেশি টাকা দিয়েছে ওএনজিসি। ৩০০ কোটি। এনটিপিসি দিয়েছে ২৫০ কোটি, ইন্ডিয়ান অয়েল ২২৫ কোটি, পাওয়ার ফিনান্স এবং পাওয়ার গ্রিড ২০০ কোটি করে, এনএমডিসি ১৫৫ কোটি, আরইসি ১৫০ কোটি, বিপিসিএল ১২৫ কোটি, এইচপিসিএল ১২০ কোটি, কোল ইন্ডিয়া ১০০ কোটি, হাডকো এবং গেল ৫০ কোটি করে। এছাড়াও এম পি ল্যাডের টাকা সাংসদদের না দিয়ে সরাসরি এই ফান্ডে দেওয়া হবে। বহু সংস্থা, ব্যক্তি সরাসরি এই ফান্ডে টাকা জমা দিয়েছে। কিন্তু জমা বা খরচ তার কোনো হিসেবই ওয়েবসাইটে নেই।
গত ২০ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোট ৫৮,৮৫০টি মেক ইন ইন্ডিয়া ভেন্টিলেটর তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ভেন্টিলেটর কেনার জন্য পিএম কেয়ারস তহবিল থেকে বরাদ্দ হয়েছে ২,০০০ কোটি টাকা। ভেন্টিলেটর সরবরাহ করছে একাধিক সংস্থা। যার মধ্যে আছে ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, অ্যালায়েড মেডিক্যাল, এএমটিজেড বেসিক এবং হাই এন্ড, আগভা হেলথকেয়ার, জ্যোতি সিএনভি অটোমেশন নামক সংস্থা। অদ্ভুতভাবে যে সব সংস্থাকে ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয়েছে তাদের কারোর ভেন্টিলেটরের দাম ১.৬৬ লক্ষ টাকা, আবার কোনো সংস্থার ভেন্টিলেটরের দাম ৮.৬২ লক্ষ টাকা। এদের মধ্যে দুই সংস্থাকে ডিজিএইচএস টেকনিক্যাল কমিটি অনুমোদন না দিলেও তারা ভেন্টিলেটর সরবরাহের জন্য অগ্রিম পেয়ে গেছে। এক সংস্থার সঙ্গে নাকি ‘দশ লাখি’ স্যুটের গল্পও জুড়ে আছে। তাই এসব হচ্ছে - ‘কেমন করে? সে প্রশ্ন আমাকে কোরো না’।
“এ তুফান ভারি, দিতে হবে পাড়ি…”
বলতে শুরু করলে অনেক কথাই বলা যায়। যেমন, গত ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চালু করা চাকরির পোর্টালে ৬৯ লাখ আবেদন জমা পড়লেও চাকরি পেয়েছেন মাত্র ৭,৭০০ জন। এই পোর্টালের আবেদনকারীরা বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। অন্যদিকে, ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে এবছর মহিলাদের অংশীদারিত্ব কমে হয়েছে ৫২.৪৬ শতাংশ। গত আট বছরের মধ্যে যা সবথেকে কম। মহিলাদের কাজ পাওয়া সবথেকে বেশি কমেছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায়। এরপর তালিকায় আছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় প্রভৃতি রাজ্য। যদিও এই সময়েই মহিলারা সবথেকে বেশি কাজে যুক্ত হয়েছেন কেরলে। ৯১.৩৮ শতাংশ।
এডি ৬৪। নিরোর ঘটনা দিয়ে শুরু করেছিলাম। আসলে যুগে যুগে নিরোদের চরিত্র একই থাকে। নিরোরা বেহালা বাজিয়েই যান। কেউ রোমে কিথারা বাজান। কেউ লন্ডনে সিন্থেসাইজার। আবার কেউ কাড়া নাকাড়া। নিরোর বাজনার ভিডিও না থাকলেও বাকিগুলোর ভিডিও একটু খুঁজলেই পাওয়া যায়। মানুষের কল্যাণের কথা বলে, মানবপ্রেমী রূপ ধারণ করে ক্ষমতা দখলের পরেই এঁরা দলে দলে পশুপ্রেমী হয়ে যান। যদিও ইতিহাস তার লেখনী থামিয়ে রাখে না। এর পাশাপাশি সমান্তরাল গতিতে চলে প্রতিবাদ। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের দাবিতে লড়াই, সংগ্রাম। সে লড়াই রাস্তায় নেমে। চোখে চোখ রেখে। ‘‘এই-সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে দিতে হবে ভাষা/ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা।’’