E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৩য় সংখ্যা / ২৮ আগস্ট ২০২০ / ১১ ভাদ্র ১৪২৭

করোনা কাল - আন্দোলন ও কাজকর্ম

মানবেশ চৌধুরি


করোনাকালে হাঙর-কুমীর-শকুন-শিয়াল সব নেমে পরেছে। পৃথিবী জুড়ে ধনবাদীদের ধনলিপ্সার কুশ্রীতা। তাদের মহাভোজ।

অতিমারীর মরসুম। লাখ লাখ মানুষ মরছে। বন্যার মতো মৃত্যু-ধারা বইছে। মৃতের কয়েকগুণ সংক্রমিত। তাতে কী? এই তো সুযোগ। জুজুর ভয়ে সব গৃহবন্দি। করোনা ঠেকানোর ব্যবস্থাদি নিতে নাস্তানাবুদ। যেটুকু ব্যবস্থা তা তো ব্যক্তি মানুষটিকেই করতে হচ্ছে। মানুষ মরছে, মানুষ মুসিবতে, তাতে ওদের কী। ঝোপ বুঝে কোপ মারো। বড়ো বড়ো সব কোপ।

নাটের গুরু আমেরিকা। সে মানুষের স্বাস্থ্যকে, এই মারণ ব্যাধি নিবারণের দায়কে তুলে দিয়েছে বিমা কোম্পানি আর বড়ো বড়ো ওষুধ কোম্পানির হাতে। এমন কী ২০২২ সালের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের বিপুল দর ঠিক করে দিয়েছে, বিশাল কয়েকটি ওষুধ কোম্পানিকে।

এরই বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির উজ্জ্বল উপস্থিতি।

তার সঙ্গে ধনলিপ্সু আমেরিকা তার অ্যাজেন্ডা চালু করছে মহা আহ্লাদে। পাশে পয়েছে ইজরায়েলের নেতানিয়াহু, তুরস্কের এরদোগান, ভারতের মোদীর মতো কয়েকজনকে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আর জায়নবাদী ইজরায়েল অক্ষের দাপট গ্রহজুড়ে এরই বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির উজ্জ্বল উপস্থিতি।

।। দুই ।।

এই অক্ষশক্তির অধস্তন দোসর মোদীরও মনোভাব করোনা-ফরোনা আবার কী। মরুক না কয়েক লাখ কি কয়েক কো‍টি মানুষ কী আসে যায়। আরে থালা বাজানো তো হলো, হলো তো পটকা ফাটানো, হলো তো ঝম্পর ঝম্পর মিছিল। এখন হনুমান চলিশা পড়ো আর গোমুত্র পান করো। আর কি।

অতএব, যা হবার তাই হচ্ছে আমাদের দেশে।

পরিযায়ীদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলো। যা তোরা নিজের নিজের বাড়ি - কি ভাবে যাবি যা। ২৩ শতাংশ মজুর হেঁটেই বাড়ি ফিরল। রেলে কাটা পড়ে মরল তো মরল! অসুস্থ, অভুক্ত হয়ে মরল তো মরল! দাবির প্রচণ্ডতায় যখন রেলের ব্যবস্থা হলো, রেলের কামরায় সন্তান প্রসব করলেন, অচিকিৎসিত অরক্ষিত হয়ে মা। অনশনে মারা গেলেন মানুষ ট্রেনের মধ্যেই। কি হলো তাতে! দু’দিনের জারনি সাত দিনের হলো, যেখানে নামার কথা, তার দু’শ কিলোমিটার আগে বা পরে নামিয়ে দেওয়া হলো। এতসব হৃদয় বিদারক কাণ্ড হলো, কিন্তু বেনিয়া সরকার নাফা করতে ছাড়ল না। ট্রেন ভাড়া বাবদ ৪৫০ কোটি টাকা মুফতে লুটে নিল।

মানুষ যখন চরম কষ্টে পড়েছে, তখন বাঁচার রসদ দেওয়ার তো ব্যাপারই নেই। ওদিকে কলকারখানা বন্ধ, কর্মক্ষেত্রে কাজ নেই। ২০ কোটি মানুষ কর্মহীন বেকার। দিনে দিনে সেই সংখ্যা বাড়ছে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কে জানে! তাঁদের জন্য কোনো চিন্তাও নেই, ভাবনাও নেই।

আগে থেকেই জনস্বাস্থ্যে ধারাবাহিক অবহেলা। এখন করোনাকালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ল।

আমাদের ছোটোবেলায় দেখতাম, কোনো সাম্যব্রতী মানুষ গরিবের আপনজন হয়ে উঠলে, জোতদার-নাঠুয়া-দেউনিয়াদের মাথা খারাপ হয়ে যেত। তাদেরকে থানার বাবুদের সঙ্গে ষড় করে জেলে ঢোকাতে পারলে কেল্লা ফতে। চালাও শয়তানি।

দেশে এখন করোনায় সবাই যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন চলছে বড়োলোকদের স্বার্থে সব বন্দোবস্ত পাকা করা। চলছে, আরএসএস-এর মারণ ষড়যন্ত্রগুলোকে কার্যকর করা।

আগস্টে ২ মাস হলো। এই দু’মাসে ২২ বার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানো হলো। সবাই জানি জ্বালানির দাম বাড়‍‌লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এই কারণেও ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দেবার কারণে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। রেল, প্রতিরক্ষা, বন্দর, কয়লা, এয়ার ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক, বিমা, মহাকাশ গবেষণা - সব কিছুকে বেসরকারিকরণ করা হয়ে গেল।

আগে থেকেই মুসলমান নিধন ও অত্যাচার চলছিল। চলছিল অত্যাচার ও হত্যা দলিত ও নারীদেরকে। তার সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেল। জাত-পাত উঁচু-নিচু এভাবে মানুষকে ভাগ করে অত্যাচার গেল বেড়ে।

করোনার প্রচণ্ডতাকে ঢেকে দেবার জন্য সাম্প্রদায়িক জিগির তোলা হলো। রামমন্দিরের শিলান্যাস করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এখনও দেশের সংবিধান বজায় আছে। তাকে তোয়াক্কা না করে এই কাণ্ড তিনি করলেন। এ কাজ করে তিনি বললেন, দেশ নতুন করে স্বাধীন হলো। মানে কি? দুশ বছরের পরাধীনতার কালের স্বাধীনতার সমস্ত সংগ্রাম মিথ্যা? যেহেতু বিজেপি’র পূর্বসুরীরা ব্রিটিশরাজের দালালি করেছিল, তার জন্য!

অযোধ্যা রায়ে আমরা দেখেছি, একটা রায় হলো বটে, কিন্তু সুবিচার হলো না। তার পরম্পরা চলছেই। চলছে যুদ্ধোন্মাদনা, মদমত্ত জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবাদের নামে সংখ্যাধিক্যের আস্ফালন - রোমিলা থাপারের ভাষায় সংখ্যাধিক্যবাদ, অগণতান্ত্রিকতা। মানুষের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ধ্বংস হয়ে গেল। চলছে এমন সব মানব বিরোধী দুষ্কাণ্ডগুলো। সবদিক দিয়ে ফ্যাসিবাদের লক্ষণগুলো উৎকট হয়ে উঠছে।

।। তিন ।।

মোদী যদি হন আমেরিকা-ইজরায়েল অক্ষের অধস্তন রাজনীতিক, তাহলে মমতা মোদীর অধস্তন। যতোই বাঁশের বাখারির তরোয়াল নিয়ে যাত্রার আসরে দু’পক্ষে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলুক না কেন।

তৃণমূল রাজ্যটা চালাচ্ছে লুম্পেনদের সাহায্যে, দেদারসে টাকা কামাই করার জন্য।

করোনা নিয়ে এদের অপদার্থতা ও বেপরোয়া মিথ্যাভাষণ এত বিশাল রকমের যে, তা বলতে গেলে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ লাগবে।

করোনা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাই নেওয়া হলো না। কোভিড হাসপাতাল, কোথায় সেফ হোমের নামে চলছে প্রচণ্ড অব্যবস্থা।

যাঁরা জীবন-মৃত্যুকে পরোয়া না করে চিকিৎসা করছেন, তাঁদের নেই কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা। আগে তো এক/দু’জন করে মারা যাচ্ছিলেন, দিন কয়েক আগে দেখলাম, এক দিনেই রাজ্যে মারা গেলেন চার জন চিকিৎসক। ফ্রন্টলাইনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য করা হলো না কোনো বিশেষ কোভিড হাসপাতাল।

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসিত হতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা গুণতে হচ্ছে মানুষকে।

করোনা ও আমফান। অব্যবস্থা চরমে। অপদার্থতা আকাশস্পর্শি। চুরি পর্বতপ্রমাণ। কিছু লুট মানুষ হাতে নাতে ধরে ফেলেছেন। কান ধরে উঠবোস করা বা জনতা ঘেরাও করায় চোরদের কিছু ছবি আমরা দেখেছি। আসলে এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। মাথা থেকেই তো এই চুরি। গোটা দলটাই আগাপাছতলা চোরডাকাতদের দ্বারা, চোর ডাকাতদের জন্য, চোরডাকাতদের দল। এবং সরকারটা তাদের পরিচালিত।

মনে রাখবেন, এ বাংলায় কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি চালায়, তারা তৃণমূলের সঙ্গে এ ব্যাপারেও এক। মানুষ ধরেও ফেলেছে তাদের কয়েকজনকে।

বাংলায় কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে পারল না রাজ্য সরকার। আন্দোলনের ফলে যাও কিছু স্কিম শুরু হলো, তাও সব চেটেপুটে খেয়ে নিচ্ছে তৃণমূলের লোক। তাই কাজ না থাকায় যে পরিযায়ীরা কতো কষ্ট করে বাড়ি ফিরেছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে যাচ্ছেন পুরনো কাজের জায়গায়। সেখানে তাঁদের জন্য কোন্‌ বিভীষিকা অপেক্ষা করছে কে জানে!

কৃষকদের নিয়ে, গরিবদের নিয়ে তো এদের কোনো চিন্তা নেই। অনাহারে অপুষ্টিতে মরছেন মানুষ। চা-বাগান বস্তিতে মৃত্যু ও মারণরোগের ছবি দেখলে শরীরে শিহরণ হয়।

তাছাড়াও বইপাড়া, নাট্যালয়, সিনেমা হল বন্ধ। কর্মরতরা কর্মহীন। বিপন্ন।

এর মধ্যেই তৃণমূল-বিজেপি দু’টি দলের মধ্যে বখরা নিয়ে বোমা, গুলি, হত্যা পরিবেশকে আরও বিষিয়ে দিয়েছে।

নৈরাজ্য তো ব্যাপক। কিন্তু একটা কথা, এসবের বিরুদ্ধে লড়াইও হচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন।

।। চার ।।

সংক্ষেপে চতুর্দিক বিস্তারি এইরকম যখন অমানবিক অবস্থা, তখন এই বাংলায়, প্রগতিবাদী শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, মহিলা, ছাত্র, যুব, শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, বিজ্ঞান আন্দোলন, শিশু-কিশোর, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি সংগঠনগুলি কাজে নেমে পড়েছে।

ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সাহসকে পাথেয় করে বাংলার সাথিরা যা করছেন, তা এক মহনীয় বিষয়। ইতিহাসের পাতায় যা স্বর্ণিম অক্ষরে লেখা থাকবে। নানারকম ব্যবস্থাদি করে, আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা, রেড গার্ড তৈরি করে আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কমিউনিটি কিচেন, স্যানিটাইজেশন, বিনা পয়সার সবজি বাজার, সস্তায় খাবার সরবরাহ, গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য যথাবিহিত ব্যবস্থা, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজেশন, অ্যান্টিবডিটেস্ট, প্লাজমাথেরাপি, অক্সিজেন, অক্সিমিটার, নেবুলাইজার, সিলিন্ডারের বন্দোবস্ত করা, স্থায়ী করোনা প্রতিরোধক জনসচেতনতা সহায়ক কেন্দ্র গঠন, ‘নির্ভীক আঠারো’ নামে স্থায়ী করোনা প্রতিরোধ বাহিনী গঠন, গ্রামীণ চিকিৎসক ও ছাত্র-যুবদের শামিল করে, বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও সেফ জোন তৈরি, করোনা রোগীকে অচ্ছ্যুৎ, অস্পৃশ্য বিবেচনা না করে তাঁদের সঙ্গে সংবেদনশীল ব্যবহার করা, করোনা আক্রান্ত, সংক্রমিত বা মৃত মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাবার ও অন্যান্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি - সে সব কাজের কয়েকটি নমুনা।

ধারাবাহিক কাজের মধ্যে স্থায়ী ধরনের কাজ কীভাবে করা যায়, তার উদাহরণ, শান্তি ঘটক করোনা প্রতিরোধক জনসচেতনতা সহায়ক কেন্দ্র গঠন। সাফাইকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সকর্মী, চালক ও সহযোগী, বাস শ্রমিক, রিকশাভ্যান, অটো, টোটো, ট্যাক্সি সহ পরিবহণের কাজ করেন যাঁরা - তাঁদের জন্য। সিপিআই(এম) টেস্টম্যাকো দেশপ্রিয় নগর এরিয়া কমিটি এই সহায়ক কেন্দ্র শুরু করেছে। রোগ প্রতিরোধের সরঞ্জাম বিতরণ ও সচেতনতা কর্মসূচি। ওষুধ, মাক্স, স্যানিটাইজার, পোর্টেবল ক্যাপ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পিপিই কিট, পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্যপরীক্ষা, অ্যান্টিবডি টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই কেন্দ্রে। এঁরা আর্ত পরিবারের কাছেও যাবেন। মনে রাখতে হবে, আমফান বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজটাও সেই সঙ্গে প্রগতিবাদীরা করে চলেছেন।

।। পাঁচ ।।

বামপন্থীরা উদার ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা ভলান্টিয়ারের কাজ করতে রাজি। কিন্তু নির্দয় সরকার রাজি নয়।

করোনা রোগীকে অছ্যুৎ, অস্পৃশ্য বিবেচনা করে তাঁদের সঙ্গে অসংবেদনশীল ব্যবহারের ঘটনা ঘটছে অনেক জায়গায়।

সংবাদমাধ্যমেই এই খবর পাই যাদের প্রত্যক্ষভাবে করোনা রোগীদের দেখার কথা, তাদের কারো কারো মধ্যেও ভয়। কেউ অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে চাইছে না, কেউ পাশে ঘেঁষতে চাইছে না। কোভিট কেয়ার সেন্টারের সামনে মুমূর্ষু সংক্রামিত। কেউ তাঁকে সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গেল না। অপেক্ষা করতে করতে মরেই গেলেন। রাস্তায়, হাসপাতালের সামনে, হাসপাতালের বেডে, নিজ বাড়িতে রোগাক্রান্তরা মরে পড়ে থাকছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সৎকারেরও লোক নেই।

খবর পাই বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলে গোটা পরিবার প্রতিবেশীদের কাছে পরিত্যক্ত। পাড়ার দোকানদার জিনিস বিক্রি করছে না, সেই বাড়ির কোনো লোককে। বিক্রেতার বাড়ির যদি কেউ সংক্রমিত হয়, কেউ আর সেই দোকানের দিকে হাঁটছে না। এক বিপন্ন অবস্থা।

করোনা নিয়ে এত ব্যাপকভাবে ভীতিজনক প্রচার হয়েছে, যে অনেক মানুষের মধ্যে একটা ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।

সরকার তো হাত তুলে দিয়েছে।

রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ প্রমুখ বিজ্ঞান সাধক, মানব তথা সমাজহিতৈষীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভয়হীন সাম্যব্রতী ও প্রগতিবাদীরা এই ভীতি ও আতঙ্ককে পরোয়া না করে, অসংবেদনশীল ব্যবহারে বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন।

কখনও বন্যায় পীড়িত মানুষের জন্য, ভাঙন রোধে, কখনও খরা বিধ্বস্ত, কখনও মহামন্বন্তরে ও তার সঙ্গী মারীর প্রকোপ নিরসনে, কখনও দাঙ্গার আগুন নেভাতে বা দাঙ্গা লাগাতে না দিয়ে প্রগতিবাদীরা তাঁদের অন্ততপক্ষে ৮০ বছরের সুমহান ঐতিহ্যের পরম্পরার ধারাবাহিকতায়, উপরোক্ত মহৎ কাজগুলি করে চলেছেন। বলাবাহুল্য এর পরিমাণ ও সংখ্যা আরও বাড়বে।