E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৩য় সংখ্যা / ২৮ আগস্ট ২০২০ / ১১ ভাদ্র ১৪২৭

সোচ্চার চিন্তা

বাঙালিকে এভাবে অসম্মান করাটা বিজেপি-র গোপন রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা

পল্লব সেনগুপ্ত


অতি সম্প্রতি কিছু কিছু নাম এবং শব্দ বা শব্দগুচ্ছ গণমাধ্যমের দৌলতে আমাদের চোখে পড়ছে, কানে আসছে! যেমন, ‘জি-ওয়েব ফাইভ’, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’, ‘গ্রেটেস্ট টেররিস্ট’, ‘হর বাঙালিন ডাইন’, ‘খিলঞ্জিয়া’ ইত্যাদি ইত্যাদি। আপাতদৃষ্টিতে এগুলির কোনোটাই অন্য কোনোটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কিন্তু একটু টোকা দিলেই এদের সবগুলির থেকেই ঝুরঝুরিয়ে যে উপকরণ ঝরে পড়ে - তার মধ্যে কোনো ফারাক নেই। সেটা হলো, অকৃত্রিম প্রাদেশিক সংকীর্ণতা; যার এক্ষেত্রে একমাত্র অর্থ হচ্ছে প্রগাঢ় বাঙালি বিদ্বেষ!

এইটুকু পড়ে হয়তো আপনাদের মনে হচ্ছে এই অভাজনও আশি পেরিয়ে গিয়ে হঠাৎ ‘জাগো বাঙালি’-মার্কা কোনো দলে ভিড়ে গেছে! না ভাই, তেমনটা নয়; তবে সমস্তগুলোর অন্তরীক্ষে একটা ধূর্ত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অস্তিত্ব অনুভব করা যায় একটু খেয়াল করলেই। ভারতের পূর্বভাগের গৌড়, বঙ্গাল, বরেন্দ্রভূম, পৌন্ড্রবর্ধন, সমতট, হরিকেল, কামরূপ প্রভৃতি অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা (পরবর্তী সময়ে যাঁরা একত্রে ‘বাঙালি’ বলে পরিচিত) উত্তর এবং মধ্যভারতের কাছে চিরকালই গণ্য হয়েছে অবাঞ্ছনীয়, অমিত্র, অস্বস্তিকর অরি বলেই! এর কারণ অনেকগুলি। সেই কথায় পরে আসছি।

তার আগে যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ উল্লেখ করে এই লেখাটা শুরু হয়েছে - সেগুলির বিষয়ে বলি কিছু।

মাত্র কয়েকদিন আগে, ‘জি-ওয়েব ফাইভ’ নামে একটি টিভি চ্যানেলে একটা ক্রাইম থ্রিলার দেখানো হচ্ছিল। তো, সেখানে এক‍‌টি থানার দৃশ্যে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হেডিং নিয়ে কিছু পলাতক পাঁড় অপরাধীর (উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে ধরা পড়া এবং পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে ‘এনকাউন্টারে’(!) নিহত সেই বিকাশের মতো আর কি!) ছবি টাঙানো ছিল দেওয়ালে। এবং, সেখানে যাদেরকে দেখা গেল, তাদের মধ্যে আর কারুকে চেনা না গেলেও, একজনকে খুব স্পষ্টভাবেই চিনতে পারা গেল - তিনি ভারতবর্ষের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদ ক্ষুদিরাম বসু!

‘জি-ওয়েব ফাইভ’ নামে একটি টিভি চ্যানেলে একটা ক্রাইম থ্রিলার দেখানো হচ্ছিল। তো, সেখানে এক‍‌টি থানার দৃশ্যে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হেডিং নিয়ে কিছু পলাতক পাঁড় অপরাধীর (উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে ধরা পড়া এবং পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে ‘এনকাউন্টারে’(!) নিহত সেই বিকাশের মতো আর কি!) ছবি টাঙানো ছিল দেওয়ালে। এবং, সেখানে যাদেরকে দেখা গেল, তাদের মধ্যে আর কারুকে চেনা না গেলেও, একজনকে খুব স্পষ্টভাবেই চিনতে পারা গেল - তিনি ভারতবর্ষের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহিদ ক্ষুদিরাম বসু!

।। দুই ।।

এবারে বলি ‘গ্রেটেস্ট টেররিস্ট’-এর ব্যাপারটা। কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা কে বলেছেন ক’দিন আগে জানেন কি? ওই ‘সব সেরা সন্ত্রাসবাদী’ অভিধাটি দিয়েছেন অসম রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব - নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে!... কিছু বলবেন?

অসম রাজ্যে ‘খিলঞ্জিয়া’ শব্দটা চালু হয়েছিল কয়েক বছর আগে ‘অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ ওরফে ‘আসু’ যখন ওই রাজ্য থেকে বঙ্গভাষী মানুষদের বিতাড়নের দাবিতে প্রবল আন্দোলন শুরু করেছিল। শব্দটার অর্থ ‘ভূমিপুত্র’। শব্দটা অবার ফণা তুলে ছোবল মারতে উদ্‌যোগী হয়েছে - নতুন করে (এনআরসি হয়ে যাবার পরেও) বাংলাভাষী মানুষদের তাড়ানোর ব্যবস্থা শুরু করার জন্য। অসমের তিন পুরুষ ধরে বাসিন্দা হয়েও এখনও যাঁরা বাংলা বলেন, বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে সরকারি কাগজপত্রে উল্লেখ করেন - তাঁরা অসমের ভূমিপুত্র বা কন্যা বলে গণ্য হবেন না - অর্থাৎ, ‘অহম খিলঞ্জিয়া’ বলে তাঁদেরকে স্বীকার করা হবে না, এটাই বলা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এবং তাঁদের শুধু বসবাসেরই অধিকার থাকবে; পড়াশুনো, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি ইত্যাদি বিষয়ে কোনো কিছুতে অধিকারী হবেন না তাঁরা। এ ধরনের ফতোয়া হিটলারের জার্মানিতে দেওয়া হয়েছিল ইহুদি এবং স্লাভ, পোলিশ প্রভৃতি মানুষদের সম্পর্কে। সে কারণে বহু মনীষী - যাঁদের মধ্যে স্বয়ং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও ছিলেন - নাৎসি জার্মানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। বিজেপি নাৎসিদের ভাবশিষ্য চিরকালই (তাদের আদি গুরু গোলওয়ালকারের হিটলার-ভজনা তো ইতিহাসে কু কীর্তিত)। তাই ওই একই পদ্ধতিতে সংকীর্ণ আঞ্চলিকতাকে উস্‌কে দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্যে ‘খিলঞ্জিয়া’ আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ‘এনআরসি’ চালু করে। এবং তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বি‍‌জেপি বিধায়কের ওই ঘৃণ্য উক্তি নেতাজির সম্পর্কে - শুধুমাত্র তিনি জন্মসূত্রে বাঙালি বলেই যে, এটা বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না অবশ্যই। প্রসঙ্গত বলি, ওখানে কিন্তু হিন্দিভাষীরা অবাঞ্ছিত নন - শুধু বাংলা, উর্দু এবং বোড়ো প্রভৃতি ভাষাভাষীদের সম্পর্কে ওই অ-খিলঞ্জিয়া অভিধা প্রযুক্ত হচ্ছে।... নেতাজি সম্পর্কে ‘যুদ্ধাপরাধী’ অভিধাটি এখনও ইংল্যান্ডের সরকারি নথিপত্রে বহাল আছে। ১৯৪৭-র পর ৭৪ বছর কেটে গেলেও ভারতের কোনো সরকারই তার প্রতিবিধানে উদ্‌যোগী হয়নি। কারণটা একই নিঃসন্দেহে। তা, অসমের ওই বিজেপি বিধায়কটির কুকথা সম্পর্কে ওই পার্টির নেতৃত্বও যে উদাসীন থাকছে - সে আর আশ্চর্য কী?

।। তিন ।।

‘‘হর বাঙালিন ডাইন’ এবং ‘‘কালাজাদু’’ - এই কথাগুলিও ব্যাপকভাবে ঘুরছে ফেসবু‍‌কে, টুইটারে, হোয়াটস অ্যাপে। এই অসভ্যতাটাও উত্তর ও মধ্যভারতের বহু মানুষের বহু-বহুকাল থেকে অর্জিত ও সঞ্চিত বাঙালি-বিদ্বেষ থেকেই সঞ্জাত - এখন বিজেপি-র পৃষ্ঠপোষকতায় সেটা এভাবে নখদন্তব্যাদান করছে। এই নোংরামির উপলক্ষ একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনাঃ তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা। এই মর্মান্তিক ঘটনার পিছনে ‘প্রাইম সাসপেক্ট’রূপে এসেছে ছেলেটির বান্ধবীর নাম - ঘটনাচক্রে যে বাঙালি পরিবারে জন্মেছে। ছেলেটির ‘মৃত্যু’-র তদন্ত নিয়ে শিবসেনা-শাসিত মহারাষ্ট্র এবং বিজেপি-সমর্থিত বিহার - এই দুই রাজ্যের বিবাদ সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছে এবং সেখান থেকে আদেশ হয়েছে এবার তদন্তটা দেখবে সিবিআই। যথারীতি এই সমস্তটার পিছনেও বিজেপি-অ-বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যের দ্বন্দ্বই ক্রিয়াশীল। মহারাষ্ট্রের নাককাটা যাওয়ার জ্বালাটায় বিজেপি এখনও জ্বলছে।

সে যা-ই হোক না কেন, মাঝখান থেকে সন্দেহভাজন মেয়েটি বাঙালি হবার কারণে বিজেপি অনুরাগীরা আর একটা উপলক্ষ পেয়ে গেল বঙ্গবিদ্বেষ ছড়ানোর - যদিও সমস্ত সুস্থ বুদ্ধির মানুষই বলবেন যে, বিচারে যদি মেয়েটি দোষী সাব্যস্তই হয়, তাতেও সমস্ত বাঙালি মহিলার এভাবে অমর্যাদা করার কোনো হেতু থাকে না। তবে বিজেপি-র অনুগামীদের সুস্থ বুদ্ধির মানুষ বলে ভাবা যাবে কি-না - সে প্রশ্নটা থেকেই যায় অবশ্য। আসলে এর পিছনে আর একটা কদর্য মানসিকতাও লুকিয়ে আছে। ওরা সমস্ত বঙ্গভাষিণী, বঙ্গবাসিনী মহিলার সম্পর্কে কু-কথা আবৃত্তি করে ওরা এক ধরনের বিকৃতকামী মনেরও পরিচয় দিচ্ছে। এবং ফেসবুক, টুইটারে এ ধরনের জাতিবিদ্বেষ ছড়ানো নিষিদ্ধ হলেও কর্তৃপক্ষ এ-ব্যাপারে চোখ বুঁজে ধৃতরাষ্ট্রবৎ হয়ে আছে। কারণটাও অবোধ্য নয়ঃ বর্তমানে ওই দুই বিশ্বব্যাপ্ত গণমাধ্যমের ভারতীয় পরিচালকবৃন্দও ব্যাপকভাবে বিজেপি-র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ কথাটা এই বৃদ্ধ কলমচির নয় - ওয়াল স্ট্রিট জার্নালই জানাচ্ছে যে, ওই সংস্থার অন্যতম প্রধান কর্ণধার সুস্পষ্টভাবেই বিজেপি-ঘনিষ্ঠ।

এই সূত্রে আর একটা কথাও উল্লেখযোগ্য। নতুন শিক্ষানীতি নামে যে খসড়া মুসাবিদাটি অধিকাংশ রাজ্য এবং সেই সব জায়গার বিশিষ্ট শিক্ষবিদ্‌দের এড়িয়ে, সংসদকে এড়িয়ে - বস্তুতপক্ষে সংবিধানের যৌথতালিকায় থাকার বিধানকে নস্যাৎ করে চাপানো হয়েছে, তাতে হাজারো একটা আপত্তির হেতু আছে। বিজেপি-পোষিত কিছু উচ্চপদে আসীন অস্বচ্ছ অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডসম্পন্ন মানুষের দ্বারা নির্মিত ওই জাতীয় শিক্ষানীতির বহু ব্যাপার নিয়েই নানা দিকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ‘দেশহিতৈষী’-র লেখক-সহযোগী বিশেষজ্ঞরাও তা জানিয়েছেন। সেই নিয়ে পরে হয়তো বিশদভাবে বলার চেষ্টা করা যাবে। আপাতত, বাংলাভাষার সূত্রেই যেটুকু দরকার তাই বলি। এমন একটা ফরমুলায় ভাষাশিক্ষার ব্যাপারটা সাজানো হয়েছে যে, তাতে ক্লাস এইটের পর নাইন থেকে টুয়েলভ অবধি বাংলা পড়ার ব্যাপারে এই রাজ্যেও সমস্যা হবে। তিনভাষার ফরমুলায় হিন্দি, ইংরেজি এবং একটি ‘ধ্রুপদীভাষা’ শেখার ছক করা হয়েছে এই প্রস্তাবে - এবং সেই ধ্রুপদীয়ানার অধিকার বাংলাভাষাকে দেওয়া হয়নি। ধ্রুপদীর ওই তালিকায় একমাত্র তামিলই অত্যন্ত প্রাচীন এবং ঋদ্ধভাষা। কিন্তু আর বাকিগুলির মধ্যে কোন্‌টির ক্রেডেনশিয়াল যে বাংলার চেয়ে বেশি, তা হয়তো স্বয়ং হরিনাথ দে-ও (যিনি ৩৬টি ভাষায় পারঙ্গম ছিলেন) - যদি আজও বেঁচে থাকতেন - বলতে পারতেন না! আমি কোনো ভাষার নাম করছি নে, কিন্তু যেগুলিকে রাখা হয়েছে - তার প্রত্যেকটিই রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার্থে বা অর্জনার্থে করা!

।। চার ।।

বাঙালির আইকন যাঁরা - তাঁদের মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বা ক্ষুদিরাম সম্পর্কে বাংলার মানুষের একটা আবেগের জায়গা আছে। অতএব তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যা অসম্মানকর কথা প্রচার করে বাঙালি জাতিকেই অপমান করো, বাঙালি মেয়েদের অপমান করে সমস্ত বাংলাকেই মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করো, বাংলাভাষাকে যতটা পারো ঠেলে সরিয়ে রাখো, ভিন প্রদেশবাসী বাংলাভাষীদের প্রাপ্য সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাঁদের বাঁচাই দুর্বিষহ করে তোলো - বোঝাই যাচ্ছে এটা বিজেপি-র গোপন অ্যাজেন্ডা। বাংলার মাটিতে যাঁরা এই পার্টির সমর্থন করে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে খোলাখুলি একটা প্রশ্নঃ এই ইতরতা, এমন ষড়যন্ত্র তাঁরা সইছেন কেন, কী করে? ধান্দাবাজ নেতৃত্বকে না-ই ধরলুম, কিন্তু যে সব লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী গৈরিক বাহিনীতে নাম লিখেয়েছেন, তাঁরা কী বলছেন এই সব অসভ্যতা সম্পর্কে?

মহাভারতে বঙ্গরাজ কৌরবপক্ষে ছিলেন বলে বহু গালমন্দ করা হয়েছে। ‘মঞ্জুশ্রীমূলকল্প’, ‘রাজতরঙ্গিনী’ থেকে শুরু করে বহু প্রাচীন গ্রন্থেই বঙ্গ, গৌড় প্রভৃতি দেশের মনুষ সম্বন্ধে বিরূপতা কম নেই। আসলে এই তথাকথিত ‘‘পাণ্ডববর্জিত দেশ’’ সুমহান (!) আর্যসংস্কৃতির বলয়ের বাইরে বলে (নৃতত্ত্ব, জাতিতত্ত্ব এবং সংস্কৃতিতত্ত্বগতভাবে) - ‘‘আরীয়’’ ঐতিহ্যের (?) বাহকরা এত বিদ্বেষ পোষণ করে। রাজা শশাঙ্ক থেকে জ্যোতি বসু - কোনো বাঙালি রাজ্যশাসককেই তাই ‘‘আরীয়’’ ভারতের নেতারা চিরকাল শত্রু বলে গণ্য করে এসেছেন।

বিজেপি-র মূল ঘাঁটি ওই ‘‘আরীয়’’ ভারত। তাই অস্ট্রো-কোল-অবতংস বাঙালিরা, তাদের অবাঞ্ছিত। নেতাজি, ক্ষুদিরাম থেকে শুরু করে বাঙালি মহিলা এবং বাংলাভাষা সম্পর্কেও তাই এই বিতৃষ্ণা, উপেক্ষা, অবমাননা। প্রাদেশিকতা প্রচার করছি না - কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরির একটা সাম্প্রতিক উক্তি উদ্ধৃত করে লেখাটা শেষ করি। ইয়েচুরি বলেছেনঃ ‘‘স্বাধীনতার যুদ্ধে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের শতকরা আশিভাগই বাঙালি। ...তাই ব্রিটিশের কাছে মুচলেকা দেওয়া সাভারকার এবং সরাসরি ইংরেজ শাসন বজায় রাখার সওয়ালকারী গোলওয়ালকার যাদের আদিগুরু, তাদের কাছে তো ওইটাই প্রত্যাশিত নয় কি?