৫৯ বর্ষ ২৪ সংখ্যা / ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ / ১৪ মাঘ, ১৪২৮
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা ধর্মঘটে যাবেন কেন
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী
আমাদের দেশে উদার অর্থনীতির রূপায়ণ শুরু হয় ১৯৯১ সালে নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের সময় থেকে। এই নীতির প্রয়োগের অন্যতম লক্ষ্যই ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ ও বিলগ্নিকরণ। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কোনো কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রেই এর ভিন্নতা ঘটেনি। তবে গত তিন দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় সরকারগুলি বিভিন্ন বছরে যা করেছিল অনেক ক্ষেত্রেই তা তারা অর্জন করতে পারেনি। নিচের সারণিতে ১৯৯১ সাল-পরবর্তী ৩১ বছরের মধ্যে বাছাই করা ১১ বছরের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা এবং তার পূরণের একটা চিত্র তুলে ধরা হলো।
সাল | লক্ষ্যমাত্রা (কোটি টাকায়) | পূরণ (কোটি টাকায়) | কত অংশ (%) পূরণ হলো |
১৯৯১/৯২ | ২৫০০ | ৩০৩৮ | ১২১.৫১ |
১৯৯৪/৯৫ | ৪০০০ | ৪৮৪৩ | ১২১.০৮ |
১৯৯৮/৯৯ | ৫০০০ | ৫৩৭১ | ১০৭.৪২ |
২০০৩/০৪ | ১৪৫০০ | ১৫৫৪৭ | ১০৭.২২ |
২০০৯/১০ | ২৫০০০ | ২৩৫৫৩ | ৯৪.২১ |
২০১৬/১৭ | ৫৬৫০০ | ৪৬৩৭৮ | ৮২.০৯ |
২০১৭/১৮ | ৭২৫০০ | ১০০৬৪২ | ১৩৮.৮২ |
২০১৮/১৯ | ৮০০০০ | ৮৭৫১৩ | ১০৯.৩৯ |
২০১৯/২০ | ৯০০০০ | ৫০২৯৪ | ৫৫.৮৮ |
২০২০/২১ | ২১০০০০ | ৩২৭৪২ | ১৫.৮৯ |
২০২১/২২ | ১৭৫০০০ | ৯২৯১ | ৫.৩১ |
প্রসঙ্গত, ১৯৯১-৯২ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ৩১ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রির মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০,৯৭,৭২৫ কোটি টাকা। পূরণ হয়েছিল - ৫,৩০,৫৫৪ কোটি টাকা অর্থাৎ ৪৮ শতাংশ।
উপরের এই তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, উদার অর্থনীতির জমানায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শেয়ার বাজারে বিক্রি করে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার তার কোষাগারে তুলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদের এই বিক্রি আগামীদিনেও চলবে, এর গতি বৃদ্ধিও পেতে পারে যদি না বেসরকারিকরণ-বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম তীব্র হয়।
এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারগুলি ৭১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে। তবে সংস্থাগুলির বিক্রি হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। একনজরে তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো।
১২টি সংস্থার ৪১%-৪৯% শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ১৯টি সংস্থার ৩২%-৩৯% শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ১৫টি সংস্থার ২০%-২৯% শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ১৪টি সংস্থার ১১%-১৯% শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ১১টি সংস্থার ১%-১০% শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার তার পর্যটন মন্ত্রকের অধীনে যে ১৯টি হোটেল ছিল সেগুলি সরাসরি বেসরকারি মালিককে বিক্রি করে ২০০১-২০০২ থেকে ২০০২-২০০৩-এর মধ্যে। পরে এই মন্ত্রকের অধীনে আরও ২টি হোটেল জলের দরে বিক্রি হয়। ২টিই ছিল মুম্বাইয়ে।
১৯৯৯-২০০০ থেকে ২০০৩-০৪ সময়কালে কেন্দ্রীয় সরকার যে ১১টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেশিরভাগ শেয়ার সরাসরি বেসরকারি মালিকের কাছে বিক্রি করে তার মধ্যে পশ্চিমবাংলার ৩টি সংস্থা ছিল। সেগুলি হলোঃ ১। জেশপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার ২০০৩-০৪ সালে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে সংস্থাটির ২৭ শতাংশ ইক্যুইটি। ২। লগন জুট মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ২০০০-২০০১ সালে। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে সংস্থাটির ২৬ শতাংশ ইক্যুইটি। ৩। মর্ডান ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৯৯৯-২০০০ সালে। বিক্রির পরেও সরকারের হাতে ছিল ২৬ শতাংশ ইক্যুইটি। ওই শেয়ার ২০০২-০৩ সালে এই ২৬ শতাংশ ইক্যুইটিও বিক্রি করে দেয় সরকার হিন্দুস্থান লিভারের কাছে।
১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতির জমানা শুরুর আগে ভারতে অনেকগুলি শিল্পক্ষেত্র শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। এই ক্ষেত্রগুলি হলোঃ ১। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহৃত সকল অস্ত্রশস্ত্র এবং তার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তৈরি। ২। পারমাণবিক শক্তি। ৩। লৌহ এবং ইস্পাত। ৪। লৌহ এবং ইস্পাতের জন্য ভারি কাস্টিং এবং ফরজিং। ৫। লৌহ এবং ইস্পাত উৎপাদন এবং খনি খননের জন্য ভারি যন্ত্রপাতি উৎপাদন। ৬। ভারি বৈদ্যুতিক প্রকল্প। ৭। কয়লা ও লিগনাইট। ৮। খনিজ তেল। ৯। আকরিক লৌহ, আকরিক ম্যাঙ্গানিজ, আকরিক ক্রোম এবং জিপসাম খনি। ১০। তামা, সিসা, দস্তা, টিন-খনি থেকে উত্তোলন এবং নিষ্কাশন। ১১। পারমাণবিক শক্তির সিডিউলে বলা আছে এরকম খনিজ উত্তোলন। ১২। বিমান। ১৩। বিমান পরিবহণ। ১৪। রেল পরিবহণ। ১৫। জাহাজ তৈরি। ১৬। টেলিফোন, টেলিফোন কেবলস, টেলিগ্রাফ এবং ওয়ারলেস যন্ত্রপাতি। ১৭। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বণ্টন।
কিন্তু বর্তমানে উদারীকরণের যুগে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের জন্য শুধুমাত্র সংরক্ষিত শিল্পের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বর্তমানে এই তালিকাটি হলো - ১। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিমান এবং যুদ্ধ জাহাজ। ২। পারমাণবিক শক্তি। ৩। কয়লা ও লিগনাইট। ৪। খনিজ তেল।৫। আকরিক লোহা, আকরিক ম্যাঙ্গানিজ, আকরিক ক্রোম, জিপসাম, সালফার, সোনা এবং হীরাখনি খনন। ৬। তামা, সিসা, দস্তা, টিন, মলিবডিনাম ও উলফ্রাম খনন। ৭। পারমাণবিক শক্তির সাথে যুক্ত খনিজ উত্তোলন। ৮। রেল পরিবহণ। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র সংকুচিত করাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য। এই মনোভাব পরিবর্তন করতেই দু'দিনের ধর্মঘট।
দেশের শেয়ার বাজারগুলিতেও বহু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার নথিভুক্ত আছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশের শেয়ার বাজারে এ ধরনের নথিভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সংখ্যা ৬২টি। সেই সংস্থাগুলি হলোঃ
১। ব্যাংক অফ বরোদা লিমিটেড। ২। ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৩। ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র লিমিটেড। ৪। কানাড়া ব্যাংক লিমিটেড। ৫। সেন্ট্রাল ব্যাংক লিমিটেড। ৬। ইন্ডিয়ান ব্যাংক লিমিটেড। ৭। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক লিমিটেড। ৮। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৯। ইউকো ব্যাংক লিমিটেড। ১০। ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ১১। জন্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ব্যাংক লিমিটেড। ১২। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। ১৩। বামার লরি। ১৪। ভারত আরথ মুভার্স। ১৫। ভারত ডাইনামিক্স। ১৬। ভারত ইলেক্ট্রনিক্স। ১৭। ভেল। ১৮। ভারত পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশন লিমিটেড। ১৯। চেন্নাই পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশন। ২০। কোল ইন্ডিয়া। ২১। কোচিন শিপইয়ার্ড। ২২। কন্টেনার কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড। ২৩। গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেড। (গ্যাস অথরিটি ইন্ডিয়া লিমিটেড)। ২৪। জিআরএসই ২৫। হিন্দুস্থান এরোনেটিক্স। ২৬। হিন্দুস্থান কপার। ২৭। হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশন লিমিটেড। ২৮। হাডকো (হাউসিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট) ২৯। আইটিডিসি। ৩০। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড। ৩১। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন। ৩২। ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। ৩৩। ইন্ডিয়ান টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ। ৩৪। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিনান্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। ৩৫। ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড। ৩৬। মহানগর টেলিফোন নিগম। ৩৭। মিশ্র ধাতুনিগম। ৩৮। মার্মাগাও ডক শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। ৩৯। মেটাল অ্যান্ড মিনারেল ট্রেডিং করপোরেশন। ৪০। এম ও আই এল লিমিটেড। ৪১। ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়ম কর্পোরেশন ৪২। এন বি সি সি লিমিটেড। ৪৩। দি নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ৪৪। জেনারেল ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৪৫। ন্যাশনাল হাইডেল পাওয়ার কর্পোরেশন। ৪৬। এন এম সি ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৪৭। এনএমডিসি লিমিটেড। ৪৮। ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড। ৪৯। অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেড। ৫০। অয়েল ইন্ডিয়া। ৫১। পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড। ৫২। পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৫৩। রাষ্ট্রায়ত্ত কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার লিমিটেড। ৫৪। রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন কর্পোরেশন লিমিটেড। ৫৫। রাইটস (রেলওয়ে ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক সার্ভিস লিমিটেড) ৫৬। শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৫৭। এন জে ভি এন লিমিটেড। ৫৮। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৫৯। গুজরাট মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। ৬০। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ফিনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড। ৬১। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। ৬২। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড।
এই সংস্থাগুলির এখনও পর্যন্ত যতটুকু শেয়ার রাষ্ট্রের হাতে আছে তারও বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এই সংস্থাগুলির ফের বিলগ্নিকরণ রুখতেই আগামী ২৩-২৪ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের পথে যাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারীরা।
আক্রমণ তো এখানেই শেষ হয়নি। আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সরকারি ক্ষেত্রটাকেই তুলে দিতে উদ্যত; তার জন্য তারা তৈরি করেছে “জাতীয় সম্পত্তি মনিটাইজেশন পাইপলাইন নীতি”। এই নীতি অনুযায়ী কী কী জাতীয় সম্পত্তি কত দামে বিক্রি তারা করবে তার তালিকাও নিচে রাখা হলো।
ক্রমিক | কোন ক্ষেত্র | কী কী কত সংখ্যায় বিক্রি হবে | কত টাকায় বিক্রি হবে (কোটি টাকায়) |
সম্পত্তির আসল মূল্য কত (কোটি টাকায়) |
১। | জাতীয় সড়ক | ২৬,৭০০ কিমি | ১,৬০,০০০ | ৮ লক্ষ কোটি টাকা |
২। | রেল | ৪০০ স্টেশন, ১৪০০ কিমি একটি পুরো রুট, ৯০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ৭৪১ কিমি কোঙ্কন রেল, ১৫টি রেল স্টেডিয়াম, ২৬৫ রেল গুডস শেড, ৪টি পাহাড়ের রেল | ১,৫২,৪৯৬ | - |
৩। | বিমানবন্দর | ২৫টি বিমানবন্দর | ২০,৭৫২ | - |
৪। | বিদ্যুৎ পরিবহণ | ২৮,৬০৮ সার্কিট কিমি | ৪৫,২০০ | ৬০,৬৪৯ |
৫। | কয়লা খনি | ১৬০ কয়লা খনি সম্পদ | ২৮,৭৪৭ | - |
৬। | টেলিকম সম্পত্তি | ১৪,১৯৭টি টেলিকম টাওয়ার, ২.৮৬ লক্ষ কিমি অপটিকাল ফাইবার ভারত নেটের | ৩৫,১০০ | - |
৭। | বিদ্যুৎ উৎপাদন | ৬০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি, জল, বাতাস ও সোলার বিদ্যুৎ-এনটিপিসি’র অধীনে এবং ৭০৭১ মেগাওয়াট জল, বাতাস এবং সোলার বিদ্যুৎ-এনটিপিসি’র অধীনে | ৩৯,৮৩২ | - |
৮। | পেট্রোলিয়ম সামগ্রী এবং পাইপলাইন | ৩৯৩০ কিমি পেট্রোলিয়ম অন্যান্য, পাইপলাইন (আইওসি, এইচপিসিএল এবং গেইল-এর অধীনে) | ২২,৫০৩ | - |
৯। | প্রাকৃতিক গ্যাস | ৮,১৫৪ কিমি জাতীয় গ্রিড | ২৪,৪৬২ | ৪০,০০০ |
১০। | শিপিং-এর সম্পত্তি | ৯টি বিশাল বন্দরের ৩১টি প্রকল্প | ১২,৮২৮ | - |
১১। | সরকারি গুদাম | ২১০ লক্ষ টন ক্ষমতা সম্পন্ন গুদামের ৩৯ শতাংশ অর্থাৎ ৮১.৯ লক্ষ টন গুদামজাত করার ক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম | ২৬,৯০০ | - |
১২। | রিয়াল এস্টেট, হোটেল | দিল্লিতে অবস্থিত ৭টি আবাসন এবং ৪টি আইটিডিসি হোটেল | - | - |
১৩। | জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম এবং সাই-এর সম্পত্তি | জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, জাতীয় স্টেডিয়াম সাই-এর ২টি আঞ্চলিক স্টোর যা বাঙ্গালোর এবং জিকারপুরে আছে এবং পড়াশুনার প্রতিষ্ঠানগুলি | ১১,৪৫০ | - |
দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভাঙার এই চক্রান্ত রুখতেই আগামী ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী শামিল হবেন।