৫৯ বর্ষ ২৪ সংখ্যা / ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ / ১৪ মাঘ, ১৪২৮
সুপ্রিয় কথনের আড়ালে থাকে অন্ধকার দেশ
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘দেশ দেখাচ্ছ অন্ধকারে’। এ ছিল কবির সোচ্চার প্রতিবাদ। সময়ের সঙ্গে কৌশল বদলেছে শাসক। আর মিডিয়া তোতাপাখি দেশ দেখাচ্ছে আলো। অসহ্য, মিথ্যে এক আলেয়া। বিষয়ের ঘাটতি পড়েছে অথবা পড়েনি! প্রশ্নটা বেশ জটিল সন্দেহ নেই। নিজেকে নিজেই ঘষতে মাজতে হয় প্রতিনিয়ত সেটা ঠিক। সেই ঘষা মাজার দায়িত্ব আমরা স্বেচ্ছায় তুলে দি অন্যের হাতে। বলা ভালো ভরসা করি। ও যখন বলেছে, তখন ‘এটাই ঠিক’ গোছের একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাই সহজেই। আর আমাদের আপডেটেড রাখার দায়িত্ব যাদের, তাদের ওপর সেই গেঞ্জি জাঙিয়ার বিজ্ঞাপনের মতো চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে গিয়ে ইদানীং কীরকম যেন চক্রব্যূহে ঢুকে পড়ার অবস্থা। যে ফাঁদে ঢুকে পড়া গেলেও বেরোনোর পথ সহজ নয়। মহাভারত বলছে সে গূঢ় তথ্য ছিল মাত্র কয়েকজনের কাছেই। যুদ্ধের তেরো দিনের মাথায় দ্রোণের তৈরি চক্রব্যূহ ভাঙতে, রক্ষা করব এই আশ্বাস দিয়েও ধর্মপুত্তুর যুধিষ্ঠিরবাবু পরে আর কোনো সাহায্য করেছিলেন বলে জানা নেই। অতএব দিনের শেষে অপমৃত্যু ছাড়া কিছুই জোটে না বেচারি অভিমন্যুদের।
মেইনস্ট্রিম বলতে আমরা যা বুঝি সেখানে বেশ কিছুটা বাঁধা গত। আমাদের ঠোঁটস্থ, কণ্ঠস্থ, মগজস্থ, আত্মস্থ কিছু নাম। ঝড়তি পড়তি থেকে শুরু করে নামজাদা - লিস্টিতে সকলেই আছেন। এক নিঃশ্বাসে গড়গড় করে বলে দেবেন সকলেই। গত এক সপ্তাহে ‘এনাদের’ দৌলতে জনগণ যা যা জেনেছেন তার মধ্যে শীর্ষে অবশ্যই আছে এক বলিউড অভিনেত্রীর ‘বগলের চুল’ (‘অ্যাক্টর শোজ অফ আনশেভড আরমপিট হেয়ার’ - এটা এনডিটিভির হেডিং) নিয়ে খবর। খুঁজলে হয়তো দেখা যাবে গত এক সপ্তাহে এই খবর সার্চ হয়েছে কয়েক বিলিয়ন। কে নেই সেখানে। এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা সহ আরও যারা যারা মেইনস্ট্রিমে থাকার এবং আমাকে, আপনাকে এগিয়ে রাখার, পিছিয়ে দেবার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নেবার দাবি করেন তারা সকলেই। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট, দেউচা পাচামি, স্কুল খোলার দাবিতে এসএফআই- এর আন্দোলন, গ্রেপ্তারি, ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বামেদের প্রতিবাদ - দূর মশাই! কী যে বলেন। এ সবের থেকে ‘ওসব’ ঢের বেশি আকর্ষণীয়। পাবলিক ওসবই খায়। ওসব খবর করলেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষে থাকা যায়। বাজারে টিকে থাকা যায়। অতএব অ-খবর বাজারের চক্রব্যূহে আমআদমি।
খবর আরও আছে। যেমন ধরুন টাইমস নাও। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে তারা একটা ওবি ভ্যান বের করেছে। যে ওবি ভ্যান নাকি উত্তরপ্রদেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে গিয়ে আমার আপনার কাছে একেবারে ‘আঁখো দেখা হাল’ জানাবে। হকিকৎ জানাবে। ভালো কথা। এই ওবি ভ্যান উদ্বোধনের যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ টাইমস নাও-এর সাংবাদিকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়ে সেই যাত্রার সূচনা করছেন। অতএব কী আঁখো দেখা হাল আপনি পেতে চলেছেন তা সহজেই সারমেয়। সরি ওটা অনুমেয় লিখতে গিয়ে টাইপোতে ‘সারমেয়’ লেখা হয়ে গেছে। সম্পাদক মশাই নিশ্চয়ই এডিট করে দেবেন ছাপার আগে।
সংখ্যা কয়েক আগে লিখেছিলাম কাঙাল হরিনাথের কথা। ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র কথা। এসব কিছু দেখলে মনে পড়ে যায় বেশ কিছু নমস্য ব্যক্তির কথা। একনিঃশ্বাসে বলে ফেলা যায় অনেকগুলো কাগজের নাম। মনে পড়ে মাত্র সাত টাকা দেনার দায়ে একটানা পঁচিশ বছর চলার পর হরিনাথ মজুমদারের কাগজ বন্ধ হয়ে যাবার কথা। আজীবন গরিব খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে শুধুমাত্র কলম সম্বল করে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন হরিনাথ। তাঁর কলমে ত্রস্ত ব্রিটিশ শাসক, নীলকর, জোতদার, জমিদার, মহাজন - সবাই। রসের অভাব, রসালো খবরের অভাব সেযুগেও কিছু কমছিল না। তিনি সে রসের জোগান দিতেই পারতেন। আপস বিষয়টা হয়তো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেননি হরিনাথ। পারলে সাত টাকা দেনার দায়ে তাঁর কাগজ বন্ধ হয়ে যেত না। সাম্প্রতিক পদ্ম বিতর্কের পর ফেসবুকেই কোনো একটা পোস্টে দেখলাম মেইনস্ট্রিম পত্রিকার সম্পাদক নিখিল চক্রবর্তীর কথা। যেখানে লেখা ছিল, পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখ্যান করে নিখিল চক্রবর্তী তাঁর বিশিষ্ট বন্ধু প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংকে জানিয়েছিলেন - সাংবাদিক হিসেবে আমার কাজ আপনার ভুল ত্রুটি চিহ্নিত করা। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলে সে কাজ আর করা যাবে না। বেরোনোর রাস্তা না জেনে চক্রব্যূহে ঢোকার পরিণতি চিরকালই ভয়ংকর।
এবার কয়েকটা অন্য কথা বলি। অবশ্যই চক্রব্যূহে ঢুকে গিয়ে এ সবের নাগাল পাওয়া যাবেনা। তাই একটু বাইরে থেকে। ওডিশায় দীর্ঘদিন ধরে জিন্দালদের স্টিল কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। গত ১৪ জানুয়ারি, মানবাধিকার কর্মী নরেন্দ্র মোহান্তি, দেবেন্দ্র সোয়াইন এবং মুরলিধর সাহু সহ ৬-৭ জনকে প্রশাসনিক অত্যাচার সংক্রান্ত এক সত্য-অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ২১ জানুয়ারি এক বিক্ষোভের সময় সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৯ জন সমাজকর্মী ও গ্রামবাসীকে। চলেছে পুলিশি লাঠিচার্জ। গ্রামের পুরুষরা পুলিশের ভয়ে গ্রামছাড়া। লড়ে যাচ্ছেন মহিলারা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের উচ্ছেদ করছে চাইছে এবং এই জমি তুলে দিতে চাইছে জেএসডব্লিউ উৎকল স্টিল লিমিটেডের হাতে। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৪০০টি জমি নিয়ে এখনও কোনো মীমাংসা হয়নি। কোম্পানির কাছে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এমনকী এলাকার বাসিন্দারা যখনই এই অঞ্চলের বাইরে যেতে চাইছেন তাদের আধার কার্ড দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন। ওডিশা পুলিশ ঢিনকিয়া গ্রামে যুদ্ধ-ক্ষেত্র তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই ঢিনকিয়া গ্রামে সেই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে এবং গ্রামবাসীদের মুক্তির দাবিতে সিপিআই(এম) সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। একাধিক নিউজ পোর্টালে এখবর প্রকাশিত হয়েছে।
‘হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর তথ্য অনুসারে দিল্লিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ১.৫ থেকে ২ লক্ষ। ২০১১-র আদমশুমারির তথ্য অনুসারে দিল্লিতে গৃহহীন ৪৬,৭২৪ জন। সেন্টার ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট (সিএইচডি) এর নির্বাহী পরিচালক সুনীল কুমার আলেদিয়া জানিয়েছেন, এবছর এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জন গৃহহীন মানুষের। যারা কোনো সরকারি বাড়িতে আশ্রয় পাননি। যদিও ডিইউএসআইবি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেনঃ “ঠান্ডাজনিত কারণে কোনও মৃত্যু হয়নি। গৃহহীন মানুষ দুর্ঘটনায় এবং ড্রাগ-সম্পর্কিত সমস্যার কারণে মারা যায়।” সিএইচডি-র সমীক্ষা অনুসারে - কাশ্মীরি গেট, যমুনা পুস্তা, নিগমবোধ ঘাট, যমুনা বাজার, চাঁদনি চক, দিল্লি গেট, আসফ আলি রোড, জামা মসজিদ, নিজামুদ্দিন, আজাদপুর, ওখলা, বদলি, কিংসওয়েক্যাম্পের আশেপাশে প্রচুর সংখ্যক মানুষ খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হয়। দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড-এর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে ৩০৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। মূলত গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এগুলো তৈরি। দিল্লি শেলটার বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এই বাড়িগুলোতে ৯,৩৩০ জনকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব। ২৩ জানুয়ারি রাত পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে এইসব শেলটার হোমে প্রায় ৮,২০০ জন আছেন। এটা বোধহয় আপনার কাছে পৌঁছে দেবার সময় হয়নি কোনো মেইনস্ট্রিমের।
বলতে গেলে তো কত কথাই বলা যায়। যেরকম, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সেন্ট্রাল ভিস্তার কথা এখন একটা বাচ্চা ছেলেও জানে। লকডাউনের সময় সব বন্ধ থাকলেও এই প্রকল্প শেষ করার এত তাড়া, যে বিশেষ অনুমতি নিয়ে তখনও কাজ চালানো হয়েছে। আদালতে কাজ স্থগিতের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হলেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। ২০২১ সালের মে মাসে বারোটি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে যে ৯ দফা দাবি করা হয়েছিল তার অন্যতম দাবি ছিল - সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণ বন্ধ করে অক্সিজেন ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম কিনতে সেই অর্থ ব্যয় করা হোক। যদিও সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই সেন্ট্রাল ভিস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় জানানো হয় প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ৯৭৭ কোটি টাকা। সম্প্রতি জানানো হয়েছে খরচে কুলোচ্ছে না। তাই সেন্ট্রাল ভিস্তার বাজেট বাড়ানো হয়েছে ২৯ শতাংশ।অর্থাৎ আরও ২৮২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ। মোট প্রস্তাবিত খরচ এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১,২৫৯ কোটি টাকা। বলা যায় না, হয়তো ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের খরচ আরও বাড়বে। যেহেতু সরকারি টাকা, তাই খয়রাতির অভাব হবে না নিশ্চিত।
সম্প্রতি এক ডিজিটাল মিডিয়ায় ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে কিছু খবর প্রকাশিত হয়েছে। আরটিআই কর্মী লোকেশ কে বাত্রার সংগৃহীত তথ্য অনুসারে গত চার বছরে দেশে প্রায় ১৫,৪২০টি ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রি হয়েছে। যার মোট মূল্য প্রায় ৭,৯৯৫ কোটি টাকা। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮০শতাংশ বন্ড বিক্রি হয়েছে মাত্র চারটি শহরে - মুম্বাই (২৬.৮৬ শতাংশ), কলকাতা (২৫.০৪ শতাংশ), নতুন দিল্লি (১৪.৩৩ শতাংশ) এবং হায়দরাবাদ (১৩.৮৬ শতাংশ)৷ এরপর, চেন্নাই, ভুবনেশ্বর, গান্ধীনগর এবং বেঙ্গালুরু - এই চার শহরে প্রায় ১৮শতাংশ বন্ড বিক্রি হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, কলকাতায় বন্ড বিক্রি হয়েছে ৪,৯১১টি, মুম্বাইতে ৩,২০১টি, দিল্লিতে ২,০৫৫টি এবং হায়দরাবাদে ১,৮৭৮টি। মোট ১৫,৪২০টি বন্ডের মধ্যে ৭,৪০৫টি বন্ড প্রতিটি ১ কোটি টাকা দামের। ৫,৬৮৩টি ১০ লাখ টাকা দামের। ২,১৫৫টির দাম ১ লাখ টাকা করে, ১২২টি ১০ হাজার টাকা মূল্যের এবং ৫৫টির দাম ১ হাজার টাকা করে। এই প্রসঙ্গে গত ২৫ জানুয়ারি এক ট্যুইট বার্তায় সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, ইলেক্টোরাল বন্ড রাজনৈতিক দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়, যারা অবাস্তব লেনদেন থেকে উপকৃত বন্ধুদের হয়ে প্রচার করে। এবার অন্তত সুপ্রিম কোর্টে ২০১৮ সাল থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড- কে চ্যালেঞ্জ করে আসা আবেদনের শুনানি করা উচিত। ওই ট্যুইটেই ইয়েচুরি লেখেন, প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ৮০ শতাংশর বেশি বিজেপি’র কাছে গেছে, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য করতে ব্যবহৃত হয়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ড বাতিল করা হোক।
পথ জানা নেই বলে কোনো কথা নেই। যুগ বদলে গেছে। চক্রব্যূহে ঢুকে পড়েছি, কিন্তু বেরোনোর পথ পাচ্ছিনা বলে পার পাওয়া যাবেনা। পথ খুঁজে বের করার দায়িত্ব আজকের অভিমন্যুদেরই। গন্তব্যে পৌঁছানো তো একটা গোটা প্রক্রিয়ার অংশ। তাতে ভুল, আরও ভুল, সবটাই ভুল, কিছুটা ঠিক, আরও কিছুটা ঠিক, একদম ঠিক সবই থাকবে। সব নিয়েই পথ চলা। মূল লড়াই, কৌশল খুঁজে বের করার। নতুন নতুন রণনীতি তৈরি করার। সে লড়াই আমার, আপনার, আমাদের সকলের। সব মানুষের...