৫৯ বর্ষ ২৪ সংখ্যা / ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ / ১৪ মাঘ, ১৪২৮
বিজ্ঞানী এম কে প্রসাদ এবং সাইলেন্ট ভ্যালির আন্দোলন
তপন মিশ্র
অধ্যাপক এম কে প্রসাদ
বিজ্ঞানী তো অনেকে আছেন, কেউ ছোটো, কেউ বা বড়ো। কিন্তু সমাজ ও প্রকৃতি জগতের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করছে পুঁজির শাসন, বিজ্ঞান অনুসন্ধিৎসা চোখ দিয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ ও বিরোধিতা করতে পারেন কজন? অধ্যাপক এম কে প্রসাদ ছিলেন সেইরকমই একজন বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আমাদের দেশে, যেখানে বিজ্ঞান চর্চা দয়া দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল, সরকারি, রাজনৈতিক বা নিদেনপক্ষে ব্যক্তি আনুগত্যের স্কেলে বিচার হয় সেখানে অধ্যাপক প্রসাদ ছিলেন এক ব্যতিক্রমী বিজ্ঞানী। গত ১৭ জানুয়ারি ৮৯ বছর বয়সে কোভিড আক্রমণ এবং সেই সংক্রান্ত শারীরিক কিছু সমস্যায় মৃত্যু হয় এই জনবিজ্ঞানীর।
অধ্যপক প্রসাদের নাম সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেরালার শাস্ত্রীয় সাহিত্য পরিষদ (কেএসএসপি)-র সঙ্গে তাঁর আজীবন যোগাযোগ ছিল। কয়েক বছর এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বও তিনি পালন করেন। গত শতকের ৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে সাইলেন্ট ভ্যালির অরণ্য রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত হন এবং কেরালা রাজ্য জুড়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ‘সেভ সাইলেন্ট ভ্যালি’ অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন, যা কেরালা রাজ্য এবং দক্ষিণ ভারতে অরণ্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম জনপ্রিয় প্রচারাভিযান হিসেবে বিবেচিত হয়। কেবল আন্দোলন নয়, চিরহরিৎ বর্ষাবনের পরিবেশগত তাৎপর্য সহজ কথায় তুলে ধরার কাণ্ডারী ছিলেন অধ্যাপক প্রসাদ। কেরালার বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এবং গবেষণার কাজ করেন তিনি। পরবর্তীকালে এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজে অধ্যক্ষ এবং কর্মজীবনের শেষের দিকে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। কেরলের শাস্ত্রীয় সাহিত্য পরিষদের পালাক্কাডে অবস্থিত আইআরটিসি (ইন্টিগ্রেটেড রুরাল টেকনোলজি সেন্টার)-র তিনি ছিলেন অন্যতম রূপকার। ২০০২ সালে জৈববৈচিত্র্য আইন তৈরির অনেক আগে এর্নাকুলাম জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর নেতৃত্বে জন-জীববৈচিত্র্য নথি (পিপলস বায়োডাইভারসিটি রেজিস্ট্রার) তৈরি হয়ে যায়।
জাতিসঙ্ঘের মিলেনিয়াম ইকোসিস্টেম আসেসমেন্ট কর্মসূচিরও তিনি ছিলেন একজন। তা ছাড়াও স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেসন এবং কেরালা বায়োডাইভারসিটি বোর্ডে তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগাযোগ ছিল।
সাইলেন্ট ভ্যালির কথা
সিকাডাস নামে এক পোকার (অনেকটা ঝিঁঝিঁ পোকার মতো) কোলাহলে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার এক বড়ো অংশ দিবারাত্রি মেতে থাকে। সাইলেন্ট ভ্যালিতে নিশীথ রাতেও কিন্তু এই পোকার আওয়াজ শোনা যায় না। এই কারণে ব্রিটিশরা এলাকাটির নামকরণ করেছিল ‘সাইলেন্ট ভ্যালি’। এখন সাইলেন্ট ভ্যালি আর নিস্তব্ধ উপত্যকা নয়। শতবর্ষ আগে যে পরিমাণ বৃষ্টি সারা বছর ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হতো এখন আর এখানে তা হয় না। সিকাডাস আর্দ্র পরিবেশ ভালোবাসে না। শতবর্ষ আগে সাইলেন্ট ভ্যালি সব সময়ে আর্দ্র থাকত, এবং তাই তা সিকাডাসের একদম পছন্দের ছিল না। এখন সাইলেন্ট ভ্যালিতে বছরে ৯ মাস বৃষ্টি হয় না। তাই সিকাডাসের বিচরণে বাধা নেই। নিস্তব্ধ না হলেও এখনও সাইলেন্ট ভ্যালির জৈববৈচিত্র্যে খুব একটা ঘাটতি হয়নি।
সাইলেন্ট ভ্যালির কুঁথিপুঝা নদী।
কুঁথিপুঝা নামে একটি নদী সাইলেন্ট ভ্যালিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ধরে দ্বিধাবিভক্ত করে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত। সাইলেন্ট ভ্যালির ঘন সবুজ পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে এই নদীর উৎপত্তি। ১৯২৮ সালে এই কুঁথিপুঝা নদীর প্রবাহ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়। প্রাথমিকভাবে, এই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কুঁথিপুঝা নদীর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে আবার ১৯৫৮ সালে এলাকার একটি সমীক্ষা করে ঠিক হয় যে, সাইলেন্ট ভ্যালিতে কুঁথিপুঝা নদীর উপর কেরালা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (কেএসইবি) একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করবে। কিন্তু এর রূপায়ণে বেশ কিছুটা দেরি হয়।
প্রায় সমস্ত দিক দিয়ে পাহাড়-পর্বতে ঘেরা এই অঞ্চল ১৯১৪ সালে সাইলেন্ট ভ্যালি সংরক্ষিত বনাঞ্চল (রিজার্ভ ফরেস্ট) হিসাবে ঘোষিত হয়। অবশ্য এই ঘোষণার উদ্দেশ্য সংরক্ষণ ছিল না, ছিল বনবাসী-আদিবাসী মানুষদের অরণ্যের উপর অধিকার খর্ব করে সরকারি অধিগ্রহণ। ঔপনিবেশিক শাসকের বনজ সম্পদের লুঠই ছিল অধিগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য। স্বাধীনতার অনেক পরে, ১৯৮৪ সালে, এই বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান (ন্যাশনাল পার্ক) হিসাবে ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এর পিছনেও ছিল কেএসএসপি’র সেই উদ্যোগ যার মধ্যদিয়ে এই অঞ্চলের বাস্তুতান্ত্রিক গুরুত্ব (ecological importance)’কে জনসমক্ষে নিয়ে আশা যায়।
এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রায় ৯৬০টি উদ্ভিদ প্রজাতি পাওয়া যায়, যার মধ্যে আছে অন্তত ৫ কোটি বছর ধরে টিকে আছে এমন ফার্ন জাতীয় বৃক্ষ প্রজাতি ডাইনোসর পালপান (Dinosaur palpan)ও। এই প্রজাতিকে একটি জীবিত ফসিল বলা হয়। কারণ এই প্রজাতির প্রায় সমস্ত সদস্য এখন অবলুপ্ত। লোহা কাঠ (মেসুয়া নাগাস্যারিয়াম - Mesua nagassarium) এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ প্রজাতি যার অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম। আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেজ) কর্তৃক ঘোষিত বিশ্বের রেড-ডাটা বুক-এ উল্লেখিত ১৭টি উদ্ভিদ প্রজাতির হদিশ এখানে পাওয়া যায়। আমাদের রাজ্যের তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের জৈববৈচিত্র্য প্রায় এর সমগোত্রের।
গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী প্রজাতির মধ্যে মাকাকা বানর (মাকাকা সিলেনাস - Macaca silenus) এন্ডেমিক প্রজাতির অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য কোথাও এর অস্তিত্ব নেই। এই বানর প্রজাতির খাদ্য কুলিনিয়া (মিরমাইকা রাব্রা - Myrmica rubra) গাছের ফল কেবল এই বনাঞ্চলেই পাওয়া যায়। ২৫টি স্তন্যপায়ী, ৩৫টি সর্প, ১২টি মাছ, ২৫৫টি মথ এবং প্রায় ১০০টি প্রজাতির প্রজাপতি এখানে বিচরণ করে। এইগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রজাতিও এন্ডেমিক অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য কোথাও তাদের পাওয়া যায় না।
সাইলেন্ট ভ্যালি রক্ষার আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৭০-এর দশকে যখন সরকার আবার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা রূপায়ণে উদ্যোগী হয়। তখন এর বিরুদ্ধে পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে যুক্ত মানুষের প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়। এই প্রতিবাদের সংগঠক ছিল কেএসএসপি এবং তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তৈরি করেন অধ্যাপক প্রসাদ। এভাবেই ‘সেভ সাইলেন্ট ভ্যালি’ নামে একটি পরিবেশকর্মীদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। ১৯৭১-৭২ সালে স্টিভেন গ্রিন নামে একজন প্রাণীবিজ্ঞানী মাকাকা বানরের জীবনযাত্রা সম্পর্কিত কিছু মৌলিক গবেষণা করেন। তারপর বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোস্যাইটিকে এই বনাঞ্চলের সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বেশ কিছু চিঠি লেখা হয়। এতদ্সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালে দেশের প্ল্যানিং কমিশন ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরুর অনুমতি দেয়। ১৯৭৭ সালে কেরল সরকার কাজ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। হিসাব অনুযায়ী জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম তৈরি হলে ১০২২ হেক্টর বনভূমি জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর মধ্যে ১৫০ হেক্টর তৃণভূমিও ছিল। এর অর্থ হলো, এক প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে জলাভূমিতে পরিণত করা। সরকার দাবি করে যে, সাইলেন্ট ভ্যালির মাত্র ১০ শতাংশ বাস্তুতন্ত্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নষ্ট হবে।
এই প্রস্তাবিত কর্মকাণ্ডের ফলে বাস্তুতন্ত্রের ওপর তা কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে অধ্যাপক প্রসাদ সে সম্পর্কে লাগাতার গবেষণাপত্র এবং সাধারণের উপযোগী প্রবন্ধ লিখতে থাকেন। এর উপর ভিত্তি করে ১৯৭৭ সালে কেএসএসপি তাদের কালাডি অধিবেশনে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করে প্রস্তাব গ্রহণ করে। এর পরে পরে অধ্যাপক প্রসাদ, এম পি পরমেশ্বরন প্রমুখ বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে একটি দল সাইলেন্ট ভ্যালির জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে ১৯৭৮ সালে এক রিপোর্ট “The Silent Valley Hydro-Electric Project: A Techno-Economic and Socio-Political Assessment” কেএসএসপি’র পক্ষে প্রস্তুত করেন। এই দলিলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। তখন কেরলের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক আলোচনা হলেও, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার ভাবনাও সেই সময়ে গুরুত্ব পেয়েছিল। আইইউসিএন-এর জেনারেল অ্যাসেম্বলি এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে চিঠি দেয়। যে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে কেএসএসপি’র পাশে দাঁড়ান তাঁদের মধ্যে সালিম আলি, মাধব গ্যাডগিল, এম এস স্বামীনাথন, পিলু মোদী, কৃষ্ণ কান্ত প্রমুখরা ছিলেন।
১৯৭৯ সালে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি কেরল হাইকোর্টে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার আবেদন জানান এবং কোর্ট প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশও দেয়। কিন্তু ১৯৮০ সালে এই স্থগিতাদেশ খারিজ করে হাইকোর্ট কাজ শুরুর আদেশ দেয়। কিন্তু সাইলেন্ট ভ্যালি সংরক্ষণ সমিতি এবং কেরালা শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ তাদের পরিবেশ রক্ষার আবেদন সহ সচেতনতামূলক প্রচার আরও তীব্র করে। অধ্যাপক প্রসাদের নেতৃত্বে সারা রাজ্যে প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ এবং বিতর্কের আয়োজন করা হয় এবং প্রচারকে একটি গণআন্দোলনে পরিণত করতে তিনি সক্ষম হয়।
লাগাতার আন্দোলনের ফসল পাওয়া যায় ১৯৮৩ সালে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এম জি কে মেননের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে এবং সেই কমিটির সুপারিশ মতো কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। শেষমেশ এই এলাকায় কেরালা রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়। পরে সাইলেন্ট ভ্যালিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এই জাতীয় উদ্যান উদ্বোধন করেন।
১৯৩২ সালে জন্ম এই পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের নেতার মৃত্যু দেশের যুক্তিবাদী আন্দোলনের এক বড়ো ক্ষতি। দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে ইদানীংকালে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বলে সরকার চিহ্নিত করতে চায়। কারণ হিসাবে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলে যে, সমস্ত পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন হলো উন্নয়ন বিরোধী। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিমারীর কারণে জাতিসংঘের আহ্বান হলো, ২০২১-৩০ এই দশককে ‘বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার’-এর দশক হিসাবে চিহ্নিত করা হোক। সাইলেন্ট ভ্যালির বাস্তুতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের মতো দেশে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলাই এখন আমাদের দেশের পরিবেশ রক্ষার একমাত্র উপায়। আমাদের রাজ্যে উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্স, দার্জিলিঙ পাহাড়ের বনাঞ্চল এবং সুন্দরবনের মতো সংবেদনশীল বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে অধ্যাপক এম কে প্রসাদের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অভাব আমাদের দীর্ঘদিন অনুভূত হবে।