৬০ বর্ষ ৫০ সংখ্যা / ২৮ জুলাই, ২০২৩ / ১১ শ্রাবণ, ১৪৩০
বচ্ছরকাল - প্রথম পর্ব
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বর্ণপরিচয়ের দ্বিতীয় ভাগের প্রথম পাঠে ছ’টা চোখা চোখা ‘জ্ঞান’ দেওয়া আছে। ১৮৫৫ থেকে এই জ্ঞানগুলো বাজারে চলছে। এখনও। যার নির্যাস মোটামুটি কাউকে খারাপ কথা বলতে নেই, কখনও মিথ্যে বলতে নেই, মিথ্যে বললে সবাই তাকে ঘেন্না করে, ছোটোবেলায় মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বিদ্যাসাগর মশাই যে একেবারেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন না, তা এই বাক্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়। তাই সজ্ঞানেই এগুলোকে ‘জ্ঞান’ বলা। আজকের পরিবর্তিত সময়ে, সমাজে, সংস্কৃতিতে এগুলো নিতান্তই ছোটো এক টাকার কয়েনের মতো। বাজারে আছে। পকেটে আছে। ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও কেউ নেয় না। কোনো বিনিময়মূল্য নেই। ঝালে, ঝোলে, অম্বলে কোনোকিছুতেই এগুলো আর কাজে লাগে না। তাই নিছক অচল পয়সা ছাড়া এখন একে আর কিছুই বলা যাবে না। আমরা যেহেতু বাজার দিয়েই সবকিছুর মূল্যায়ন করা বেশ রপ্ত করে ফেলেছি তাই এখন বরং অন্যভাবে নতুন করে লেখা যেতে পারে - সদাই সকলকে কুবাক্য বলিও। কুবাক্য বলা দোষের নহে। যে কুবাক্য বলে সকলে তাহার সুনাম করে। অথবা সদা মিথ্যা কথা বলিবে। যে মিথ্যা কথা বলে সকলেই তাহাকে ভালোবাসে। কিংবা বাল্যকালে মন দিয়ে লেখাপড়া শিখিও না। বাস্তব বোধহয় আমাদের এরকমই নীতিপাঠ দিচ্ছে। পারিপার্শ্ব অন্তত সেরকমই বলে।
১-এ চন্দ্র, ২-এ পক্ষ থেকে ৯-এ নবগ্রহ। পাথর টাথর যারা মানেন তাঁরা ‘গ্রহের ফের’ বিষয়টা বুঝলেও বিষয়টা সকলের বোধগম্য নয়। তবে দেশটা যেহেতু ভারত এবং এই দেশের বিজ্ঞানীরা যেহেতু মহাকাশে চন্দ্রযান পাঠানোর আগে মন্দিরে মন্দিরে হত্যে দেন, প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্টরা স্টেথো দিয়ে কাঠের জগন্নাথের মূর্তির হার্ট পরীক্ষা করেন, সেখানে অন্যরকম কিছু আশা করাও খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়। তাই এখানে ৫৬ ইঞ্চির ছাতি যতটা বিশ্বাসযোগ্য, এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্সের ডিগ্রিও ততটাই। বাস্তবের চেয়ে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য স্নান করতে গিয়ে কুমির ধরে নিয়ে আসা অথবা স্টেশন তৈরি হবার আগেই সেই স্টেশনে চা বিক্রির মুচমুচে মিথ্যে। সত্যির চেয়েও মিথ-এর প্রভাব যেখানে বেশি। রুটি রুজির লড়াইয়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাম মন্দির তৈরির লড়াই, জাত-ধর্মের লড়াই। তাই ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’-র প্রচারে যত নিউজপ্রিন্ট আর ফুটেজ খরচ হয় তার একাংশও ‘সব হাতে কাজ, সব পেটে ভাত, সব মাথায় ছাদ’-এর প্রচারে হয়না। আড়াই মাসে আমেরিকা, ফ্রান্স সহ সাত দেশ ঘুরে আসা, ২০২৪ নির্বাচনের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রোপাগান্ডা শুরু করা প্রধানমন্ত্রীর সময় হয় না মণিপুরের জাতিদাঙ্গা, অমানবিকতা নিয়ে মুখ খোলার।
বেশ মনে পড়ে কেন্দ্রের বিজেপি এবং মোদি সরকারের ১ বছর পূর্তিতে একটা স্লোগান সাড়া ফেলেছিল। ‘এক সাল, বুরা হাল’। বাংলায় যা করা হয়েছিল ‘বারো মাস, সর্বনাশ’। সময় বয়ে গেছে সময়ের গতিতে। দেখতে দেখতে ন’বছর পূর্ণ করে এখন তার বয়স দশ। ফেলে আসা যে ১০৮ মাসে একমাত্র প্রচারের ঢক্কানিনাদ ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে পেছোতে পেছোতে আজ ঠিক কোথায় আমরা দাঁড়িয়ে, তা বুঝেও বুঝে উঠতে পারছিনা।
বিজ্ঞাপন প্রচার ও মোদি সরকার
গত ৯ বছরে কাজ কতটা হয়েছে সে প্রশ্ন থাক। তবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন প্রকল্প ও অনুষ্ঠানের প্রচারমূলক কাজে মোট ৩০৬৪.৪২ কোটি টাকা খরচ করেছে মোদি সরকার। গত ৯ বছরের হিসেব ধরলে এই অঙ্ক হয়তো ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কারণ গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সিপিআই সাংসদ মুনিয়ান সেলভারাজ-এর প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করেছে ৬,৪৯১.৫৬ কোটি টাকা।
যদিও মূল বিষয় এটা নয়। আসল বিষয় একটু অন্য। তথ্য অনুসারে, গত ৯ বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকার ২৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছে শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়ায়। যে বিজ্ঞাপনের প্রায় অর্ধেক পেয়েছে দেশের প্রথম সারির ১০টি সংবাদপত্র। তাহলে বাকি বিজ্ঞাপন কারা পেল? অভিযোগ, বাকি যারা বিজ্ঞাপন পেয়েছে তাদের অনেকেরই নাকি সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্যতাই নেই। সরকারি শর্তপূরণের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এরা নাকি বিজ্ঞাপন পেয়েছে। যেমন গুজরাটের কাগজ - ‘গুজরাট বৈভব’ (১৩.৯৩ কোটি) অথবা রাজস্থানের ‘জাগরূক টাইমস’ (১২.৩৮ কোটি)। এই তালিকায় আছে মধ্যপ্রদেশের ‘প্রদেশ টুডে’ (৮.৫৪ কোটি)। আন্তঃজাল জগতে একটু জাল বুনলেই এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ইনিই তো সেই তিনি যিনি বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না কিসিকো খানে দুঙ্গা’!
মোদি সরকারের ১০৮ নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটা রঙ্গীন বই বের করা হয়েছে। ‘৯ বছর, সেবা, সুশাসন, গরিব কল্যাণ’। ১৫৬ পাতার বই, ১৪টা অধ্যায়। বিষয়গুলো না দেখলে ‘আইরনি’টা স্পষ্ট হবে না। প্রথম অধ্যায় - ‘গরিব এবং প্রান্তিক মানুষদের জন্য সেবা’। এরপর আছে ‘কৃষক কল্যাণ’, ‘নারী শক্তিতে নতুন গতি’, ‘সকলের জন্য সাশ্রয়ী ও সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থা’, ‘উত্তর পূর্ব - অগ্রগতি’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
গরিব এবং প্রান্তিক মানুষদের জন্য সেবা
এই পর্বে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, “সবচেয়ে সুবিধা বঞ্চিতরা দারিদ্র্যের কবল থেকে উঠে এসেছে এবং আর্থিক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত ন’বছর ভারতের সুপ্ত সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে এবং ‘জাতিই-প্রথম’ নীতিকে শাসনের মূল স্তরে নিয়ে এসেছে। অতীতের স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তা বেশ। সরকার যখন বলেছে তা নিশ্চই ঠিক। কারণ আমরা তো এখন বেশ বিশ্বাস করে ফেলেছি ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। সেটা ভালোর দিকে না খারাপ দিকে তা ‘রাম’ জানে!
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এনডিএ তথা বিজেপি তথা মোদি সরকারের জমানায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত যদি কেউ হয়ে থাকেন তা অবশ্যই দেশের গরিব এবং প্রান্তিক মানুষরা। একবারের জন্যও ভেবে নেবেন না যে, কথাটা আমার মনে হয়েছে আর লিখে দিয়েছি। সরকারের তথ্য পরিসংখ্যানেই এর প্রমাণ আছে। অপরিকল্পিত নোটবাতিল করে দেশের প্রান্তিক গরিব মানুষ, ছোটো ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর কারিগর এই মোদি সরকারই।
এই প্রসঙ্গে কয়েকটা তথ্য দিয়ে রাখা ভালো। ৮ নভেম্বর ২০১৬-তে নোটবাতিল ঘোষণার সময় আরবিআই বিষয়টা জানতই না। পরবর্তীকালে দেখা গেছে কালো টাকা উদ্ধারের গল্প সাজিয়ে যে নোটবাতিল করা হয়েছিল, তাতে কোনো কালো টাকাই উদ্ধার করা যায়নি। বাজারে থাকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটের প্রায় সব টাকাই ফিরে এসেছিল সরকারের ঘরে। ফেরেনি ০.৭ শতাংশ টাকা। পরিসংখ্যান অনুসারে, নোটবাতিলের জন্য এক বছরে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) তথ্য অনুসারে ১৫ কোটি মানুষ, যারা বেশিরভাগই দিনমজুর, বেশ কয়েক সপ্তাহ তাদের খাবার জোটেনি। চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছিল কয়েক হাজার ক্ষুদ্র শিল্প। রাতারাতি বেকার হয়ে গেছিলেন কমপক্ষে ১৫ লক্ষ মানুষ। আর নতুন নোট ছাপাতে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার খরচ হয়েছিল প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ সালেই আরবিআই সরকারকে ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৬৫,৮৭৬ কোটি টাকা। আর নোটবাতিলের ধাক্কায় পরের আর্থিক বছর, অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে সরকারকে ডিভিডেন্ড দেয় মাত্র ৩০,৬৫৯ কোটি টাকা। নোটবাতিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কতটা লাভবান হয়েছিল তা বোধহয় সামান্য এটুকু তথ্য থেকেই স্পষ্ট।
নোটবাতিলের ধাক্কা ভালো করে সামলে ওঠার আগেই দেশের গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের সামনে দ্বিতীয় ধাক্কা নিয়ে এলো লকডাউন। বিশেষজ্ঞরা যেভাবে নোটবাতিলকে ‘অপরিকল্পিত’ বলেছিলেন সেই একইভাবে লকডাউনকেও ‘অপরিকল্পিত’ বলে চিহ্নিত করেন। দুটো ক্ষেত্রেই দেশের মানুষকে কোনো সময় দেওয়া হয়নি। অথচ কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কিন্তু অনেকদিন আগে থেকেই সতর্কবার্তা ছিল। সরকার যাতে গুরুত্ব দেবার বদলে থালা বাটি বাজিয়ে পি আর ইভেন্ট পালন করেছিল।
কোভিড-১৯-এর সংক্রমণকালে আচমকা লকডাউন ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা যে কোনো মূল্যে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। সেই ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয় সরকার। ২৫ মার্চ লকডাউন শুরু হলেও শ্রমিক স্পেশাল চলাচল শুরু করে ১ মে। অর্থাৎ প্রায় ৩৬ দিন পর। ফলে মাঝের সময়ে বহু মানুষ রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। আর তা করতে গিয়েই ওই সময় মৃত্যু হয় ৮,৭৩৩ জনের। আহত হন ৮০৫ জন। এই তথ্য রেলওয়ে বোর্ডের। মধ্যপ্রদেশের জনৈক চন্দ্র শেখর গৌড়ের করা আরটিআই-এর উত্তরে একথা জানিয়েছিল রেলওয়ে বোর্ড। আসল সংখ্যা যদি এর থেকে বেশি হয় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই মৃতদের অধিকাংশই কিন্তু ওই গরিব, প্রান্তিক শ্রমিক।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবার আগের দিন কংগ্রেস সাংসদ যশবীর সিং গিল, মহম্মদ জাভেদ-এর করা এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং (অবসরপ্রাপ্ত) লোকসভায় জানিয়েছিলেন ২০২০-র মার্চ থেকে জুনের মধ্যে দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৯,৪১৫ জনের। সাথে সাথেই তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লকডাউনের সময় পথ দুর্ঘটনায় অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু সম্পর্কে আলাদা কোনো তথ্য নেই। অবশ্য ১৪০ কোটি মানুষের দেশে সামান্য হাজার ৩০ গরিব প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু নিয়ে অত মাথা ঘামানোর সময় এই সরকারের না থাকারই কথা।
এই সময় সিএমআইই দেশের ১.৭৫ লক্ষ বাড়িতে এক সমীক্ষা চালায়। যে সমীক্ষায় ৯৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছিলেন লকডাউনে তাঁদের রোজগার কমেছে। আর ৩ শতাংশ জানিয়েছিলেন তাঁদের রোজগার বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, কোভিড-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায় মিলিয়ে দেশে কাজ হারিয়েছিলেন ২ কোটির বেশি মানুষ। এই প্রসঙ্গে আরও একটা তথ্য বোধহয় দেওয়া যেতেই পারে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে এক সমীক্ষা করা হয় মহিলাদের নিয়ে। এই গবেষক দল উত্তর ভারতের ছ’টি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালায়। যার মধ্যে ছিল রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র। মোট ১,৫৪৫টি পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথন চালানো হয় ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। যে সময় ভারতে প্রথম কোভিড-১৯ ঢেউ চরম উচ্চতার কাছাকাছি ছিল। যে সমীক্ষা থেকে জানা যায়, কোভিড মহামারীর ফলে মহিলাদের আয়ের চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে এবং সাধারণ সময়ের তুলনায় লকডাউনের সময় প্রায় ২৫ শতাংশ পরিবার খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এগুলো প্রাথমিকভাবে মহিলাদের প্রভাবিত করেছে। কারণ, উন্নয়নশীল বিশ্বের বহু অঞ্চলে এখনও যখন খাদ্যের অভাব হয় তখন প্রথম মহিলাদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।
কেন্দ্রের এনডিএ পরিচালিত বিজেপি নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তিতে যতই রঙিন পুস্তিকা ছাপানো হোক বা সেই পুস্তিকাতে দেশের গরিব কল্যাণে সরকার কী কী করেছে তা ফলাও করে প্রচার করার চেষ্টা হোক না কেন তাতে কিন্তু সত্যিটা কোনোসময়েই আড়াল করা যাবে না। ধারাপাত আমাদের শিখিয়েছে ৯-নবগ্রহর পরেই ১০-এ দিক। আগামী ২০২৪ কিন্তু সেই দিক নির্ণয়ের বছর। দেশ আগামীতে কোন দিকে, কোন দিশায় যাবে তা ভাবতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকেই।