৬০ বর্ষ ৫০ সংখ্যা / ২৮ জুলাই, ২০২৩ / ১১ শ্রাবণ, ১৪৩০
ভারতীয় দর্শন প্রসঙ্গে (একুশ)
শ্রীদীপ ভট্টাচার্য
ডঃ বি আর আম্বেদকর (১৮৯১-১৯৫৬)
● ডঃ বি আর আম্বেদকর বর্ণব্যবস্থার ধ্বংসকল্পে তীব্র সংগ্রাম করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলতেন শুধুমাত্র অস্পৃশ্যতা দূর করার জন্য নয়, সমতা-ভ্রাতৃত্ব -স্বাধীনতার নীতিতে ভারতীয় সমাজকে পুনর্গঠন করতে হবে। ভারতীয় সমাজের, দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছিলেন। দলিত সহ সমস্ত নিপীড়িত মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় তিনি অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। এই লক্ষ্য প্রচারে তিনি নানা পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। ভারতীয় সমাজের অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত সরব ছিলেন। জনসমক্ষে তিনি মনুসংহিতার বিরোধিতা করেছিলেন। সাংবিধানিক উপায়ে নিপীড়িত মানুষগুলিকে সমাজের মূল ধারায় তিনি আনার চেষ্টা করেছিলেন। কোনো একটি ধর্মের প্রয়োজনীয়তায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। বর্ণবাদী বৈষম্যের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে তিনি জীবন সায়াহ্নে (১৯৫৬) বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
ভাগ্যরেড্ডি বর্মা (১৮৮৮-১৯৩৯)
● হায়দরাবাদ রাজ্যে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে ও সমাজ সংস্কারক হিসাবে ভাগ্যরেড্ডি বর্মা ভূমিকা পালন করেছেন। ‘যোগিনী’ ও ‘দেবদাসী’ প্রথা বিলোপের লড়াইতে তিনি নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। নীচু জাতের বিরুদ্ধে উঁচু জাতের বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। কুপ্রথার বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম করেছেন।
উপরে যে ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে আলোচনা হলো, তাঁরা সংস্কারবাদী যেমন ছিলেন, আবার ভাববাদী দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব (contradiction) লক্ষ করা যায়।
জাতীয় আন্দোলন
● ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের দীর্ঘ দিনের শোষণ ও অত্যাচারের শিকার হয়েছিল ভারত ও এদেশের জনগণ। ভারতে ব্রিটিশদের অবাধ ও ব্যাপক শোষণ এবং কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষসহ সম্পদের অবাধ লুণ্ঠন জনসাধারণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। অসন্তোষকে ভিত্তি করে সংগ্রামের পূর্বশর্তগুলো ধূমায়িত হচ্ছিল। এই সংগ্রামকে ঠেকানোর লক্ষ্যে অর্থাৎ এই অসন্তোষ একটি সংগ্রামে পরিণত হওয়ার আগেই ব্রিটিশ শাসকরা ধর্ম ও বর্ণকে ব্যবহার করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে চালিত করতে চেয়েছিল। ভারতীয় সমাজে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম ও বর্ণের প্রভাব ব্রিটিশ শাসকরা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। ব্রিটিশ শাসকদের এই কৌশলের ফলশ্রুতি হলো ১৯০৬ সালে মুসলিম লিগ ও ১৯১৩ সালে হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠা। ১৯০৫ সালে ধর্মের ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গও ছিল এমন ধরনেরই একটি পদক্ষেপ। এই সময়কালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কার্যধারা কেবলমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্রিটিশদের কাছে আবেদন-নিবেদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এই সময়কালে শ্রমিকশ্রেণি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছিল, এটা সঠিক, তবে শ্রমিকশ্রেণির রাজনৈতিক মতাদর্শ অর্থাৎ মার্কসবাদ যা হলো কমিউনিজমের মতাদর্শ তার সাথে তখনও তারা যুক্ত হয়নি।
বাল গঙ্গাধর তিলক (১৮৫৬-১৯২০)
● ভারতের জাতীয় আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ও নেতৃত্ব বাল গঙ্গাধর তিলক ভারতের জাতীয় আন্দোলনে জনগণকে একত্রিত করে শামিল করার ক্ষেত্রে রামায়ণ ও ভাগবত গীতাকে ব্যবহার করেন। ভাগবত গীতা (অর্থাৎ গীতা)কে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করে উপস্থিত করেন। গীতায় ত্যাগের বার্তাকে সরিয়ে রেখে গীতার কর্মযোগে রাজনৈতিক সক্রিয়তা খোঁজার তিনি চেষ্টা করেন। বাল গঙ্গাধর তিলক মায়াবাদ, ত্যাগ ও তথাকথিত অন্তর্দৃষ্টিমূলক ঈশ্বর সন্ধানের তীব্র বিরোধী ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী তিলককে ‘আধুনিক ভারতের নির্মাতা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। রামানুজের দৃষ্টিভঙ্গির তিনি অনুসারী ছিলেন। গীতা সম্পর্কে রামানুজের সমালোচনামূলক বক্তব্যকে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে ব্যবহার করেছেন। মহিলাদের অধিকার ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সংস্কার আন্দোলনের তিনি বিরোধী ছিলেন। গণপতি উৎসব এবং শিব জয়ন্তী তিলক জাতীয়তাবাদের উন্মেষের জন্য ব্যবহার করতেন।
● তবে বাল গঙ্গাধর তিলক ‘পলায়নবাদ’ আখ্যা দিয়ে অন্তর্দৃষ্টিমূলক ঈশ্বর সন্ধানের তীব্র বিরোধী ছিলেন। এটা ঠিকই, তিনি দেশ বা জনগণের প্রকৃত সমস্যার কথা ভেবেছিলেন। জনগণের সামাজিক রূপান্তরে বিশেষ ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে বলতেন। তিনি একথা বলতেন, একমাত্র জনগণের সামাজিক ভূমিকা ব্রিটিশদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারে। তিলকের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব থাকলেও তা অবশ্যই জাতীয় আন্দোলনকে পুষ্ট করেছিল। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি আমূল সংস্কারে বিশ্বাসী হলেও সামাজিকভাবে তিনি ছিলেন রক্ষণশীল। তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা দুটোই ছিল। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি ধর্মকে ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হননি। লিঙ্গ সমতার বিরোধিতা করার সাথে সাথে বর্ণভেদ ব্যবস্থার সামাজিক সংস্কারেরও তিনি বিরোধিতা করেন। গণ-আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ও গণ-আন্দোলনের প্রতি তাঁর মনোভাব তাঁকে জাতীয় নেতার আসনে বসিয়েছিল।
অরবিন্দ ঘোষ (১৮৭৩-১৯৫০)
● অরবিন্দ ঘোষ যিনি শ্রী অরবিন্দ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন, তিনি ছিলেন এক ভারতীয় দার্শনিক। তিনি একজন জাতীয়তাবাদী ছিলেন। ভারতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের এক প্রভাবশালী নেতা। তিনি ছিলেন বিপ্লববাদে বিশ্বাসী। বিপ্লববাদে বিশ্বাসী অরবিন্দ ঘোষ ব্রিটিশদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে সশস্ত্র সংগ্রামের পক্ষপাতী ছিলেন। এই সময়ে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এবং বাংলার অনুশীলন সমিতির ক্রমবর্ধমান বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে তিনি এক আধ্যাত্মিক সংস্কারকে পরিণত হন। তিনি ‘অখণ্ড মানবতাবাদ’-এর দর্শনের প্রচার করেন। তাঁর মতে আংশিক ও অসম্পূর্ণ বোঝার জন্যই সমস্ত দার্শনিক ধারণা যেমন অদ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত বা ভাববাদ, বস্তুবাদ, যুক্তিবাদ এবং প্রশ্নহীন বিশ্বাস, একেশ্বরবাদ কিংবা বহু ঈশ্বরবাদের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, অখণ্ড মানবতাবাদ পক্ষপাতিত্বের দুর্বলতা মুক্ত করতে তা ব্রহ্মকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করে। অরবিন্দের মতে পদার্থ বা বস্তু ও চেতনা ব্রহ্মের দুইটি দিক। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী সত্ (ব্রহ্মই বাস্তব), চিত্ (ব্রহ্মজ্ঞানের সম্পূর্ণতা) এবং আনন্দ (ব্রহ্মই সুখ) বেদান্তের পুনরাবৃত্তি মাত্র। তাহলে নতুন নাম ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন কি? এর কারণ হলো, অরবিন্দ চেয়েছিলেন ধর্মকেই জনগণের সংগ্রামের মূল হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হোক। তিনি বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষকে অখণ্ড মানবতাবাদের নামে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ভাবনা শেষ পর্যন্ত গণসংগ্রামের ভাবনা থেকে ভাববাদী আশ্রম সংগঠনে শেষ হয়। ক্রমান্বয়ে জাতীয় আন্দোলনের ধারা থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।
● তাঁর মননশীল ভাবনার অত্যন্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঘোষণা হলো, বিংশ শতাব্দী হবে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে জাতি রাষ্ট্রগঠনের শতাব্দী। বর্তমান সময়ে ‘অসম্পূর্ণ’ মানবগোষ্ঠী গঠিত হওয়ার ফলেই দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও নানা বৈষম্যের পাশেই মুনাফার পাহাড়। বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির বিভিন্ন সময়ের ঐতিহাসিক ব্যর্থতাই এর কারণ। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভিত্তিতে গঠিত সমাজ যুক্তিবাদী, বস্তুবাদী বোধের ফলশ্রুতি। শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমেই আমরা এক সম্মিলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সর্বোৎকৃষ্ট সমাজে পৌঁছতে পারি এবং সেই মিলিত ব্যবস্থা হলো সাম্যবাদ।
● সমষ্টিগতভাবে সামাজিক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অরবিন্দ অন্তরের দৃষ্টিতে অখণ্ড ব্রহ্মকে খোঁজার আহ্বান জানান। এই অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করা যাবে কিভাবে? যোগাভ্যাসের চর্চার মধ্য দিয়ে অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া সম্ভব - অরবিন্দ বললেন। বিজ্ঞানের বিকাশে তিনি উৎসাহী হলেও প্রতিটি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে তিনি ভাববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করতেন। যেমন, ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্বে তিনি উৎসাহী হলেও তিনি মনে করতেন, বস্তুর বিবর্তনের মধ্যদিয়ে প্রাণের উদ্ভব ডারউইনবাদ উপস্থিত করেছে। কিন্তু এর পিছনে যে কারণ তার ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয় নি। তিনি মনে করতেন সমস্ত বস্তুর মধ্যেই প্রাণ রয়েছে, ‘ব্রাহ্মণ’-এর অস্তিত্বর বহিঃপ্রকাশ হলো প্রাণ। সমস্ত অস্তিত্বই ‘অতিমন’ (Super mind)-এ পৌঁছতে চায় - তাঁর বক্তব্য। বিবর্তনবাদের এটাই লক্ষ্য। অরবিন্দর অধিবিদ্যক দর্শনের (metaphysical philosophy) কেন্দ্রে অবস্থান করছে ‘অতিমন’। অরবিন্দর বিবেচনায় ‘অতিমন’ হলো অপ্রকাশিত ব্রাহ্মণ ও প্রকাশিত বিশ্বর মধ্যস্ততাকারী শক্তি।
● তিনি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমতাকে সমর্থন করতেন, সামন্ততান্ত্রিক মনোভাব, বর্ণবৈষম্য ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিপক্ষে প্রচার করলেও কমিউনিজমেরও তীব্র বিরোধিতা করতেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)
● ভারতের জাতীয় আন্দোলনের পর্যায়ে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দার্শনিক ভাবনা নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথ মূলত ভাববাদী দার্শনিক হলেও ঊপনিষদের মায়াবাদ থেকে তিনি অনেক দূরে সরে গিয়েছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর শেষে ও বিংশ শতাব্দীতে বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত এবং ভারতীয় শিক্ষা-কলাকে সমকালীন আধুনিকতায় পুনর্সজ্জিত করলেন। রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদের চরম বিরোধী ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মনে-প্রাণে সমর্থন করতেন। তিনি ছিলেন এক পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক মানুষ।
● সত্-চিত্-আনন্দ সম্পর্কে তাঁর ব্যাখ্যা অরবিন্দের থেকে আলাদা। তাঁর মতে, ‘সত্’ হলো আমাদের সামগ্রিক বাস্তব জগৎ। ‘চিত্’ হলো বস্তু ও প্রকৃতির সামগ্রিক রূপ ও তার পরিবর্তন। এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। ‘আনন্দ’ - এই অর্জিত জ্ঞান যদি সবার সুখের জন্য ব্যবহৃত হয় তবে তা-ই হলো আনন্দ। তাঁর সাহিত্যসম্ভার ঈশ্বরে নিবেদিত হলেও বাস্তব সমস্যা ও প্রকৃত আনন্দ সন্ধানে তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁর কবিতা, ছোটো গল্প, উপন্যাসগুলিতে বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করার প্রয়াস বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়। একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ অমর্ত্য সেন রবীন্দ্রনাথকে ‘এক সুউচ্চ (Towering) ব্যক্তিত্ব’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ‘গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক এবং বহু বিষয়ক সমসাময়িক চিন্তাবিদ’ বলেও তিনি রবীন্দ্রনাথকে বর্ণনা করেছেন।
(ক্রমশ)