E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪১ সংখ্যা / ২৮ মে, ২০২১ / ১৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮

টিকা উৎপাদন ও আমদানি নিয়ে কেন্দ্রের তথ্যে বিভ্রান্তি দেশজুড়ে

টিকাকরণের ঘাটতির দায় রাজ্যগুলির ঘাড়ে চাপাল মোদী সরকার


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২১ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই জনসমক্ষে কোভিড আক্রান্তদের পরিবারের মৃত সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে চলা ভিডিও কনফারেন্সে চোখের জল ফেলুন না কেন, তাতে প্রত্যাশিত ভাবেই দেশের কোভিড পরিস্থিতির উন্নতিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ ভ্যাকসিনের জোগান, টিকাকরণ, আক্রান্তের খোঁজ পেতে আরও বেশি টেস্ট সহ ওষুধ অক্সিজেন ইত্যাদির সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন কোনো উদ্যোগের ঘোষণার কথা শোনা যায়নি। কান্নার নিট ফল দাঁড়িয়েছে, সামাজিক মাধ্যম সহ সব দিক থেকে প্রবল ব্যঙ্গ এবং সমালোচনা ধেয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। তবে বেশ কিছু রাজ্যের লক ডাউন এবং নাইট কারফিউর জেরে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যায় সামগ্রিকভাবে কিছু হেরফের লক্ষ করা গেছে।

২৮ মে’র হিসেব অনুযায়ী, এই ১০ টি রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটির কিছু বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে (২৭ মে) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২.৭৬ কোটি। সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২.৪৯ কোটি। মৃতের সংখ্যা ৩.১৯ লক্ষ। ২৭ মে’র হিসেবে দেখা যাচ্ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৬, যা ১৭ মে ছিল ১৯ হাজার ৩ জন। আর ১৭ মে’র আগের সাত দিনে নতুন আক্রান্তের গড় ছিল ১৯ হাজার ৯৭৬, যা ২৭ মে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩২৭। আক্রান্তের রাজ্য ওয়াড়ি তালিকার প্রথম ১০টি স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান। ২৫ মে পর্যন্ত পরপর সাতদিন দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা তিন লক্ষের নিচে থেকেছে নতুন পরিস্থিতিতে।

রাজ্যওয়াড়ি তালিকায় মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ দেশের মধ্যে সবার্ধিক। যা লকডাউন ঘোষণা করে অনেকটাই আটকানো গিয়েছে। সম্প্রতি লকডাউনের মেয়াদ ১ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে যে কোনোভাবে প্রবেশ করতে গেলে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যেখানে প্রথম দশে থাকা আক্রান্তের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ দশম স্থান থেকে দু’ধাপ ওপরে উঠে অষ্টমে পৌঁছেছে, সেখানে ক্রমেই কমছে কেরালায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা৷ ২৭ মে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় সেরাজ্যে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ২৪,১৬৬ জন। ২৬ মে কেরালায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮,৭৯৮ জন। তিনি আরও জানান, রাজ্যের যেসমস্ত শিশু কোভিড হানায় মা-বাবাকে হারিয়েছে, তাদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তরফে এককালীন ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে। এর পাশাপাশি ১৮ বছর বয়স না হওয়া অবধি তাদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এই সমস্ত শিশুর উচ্চশিক্ষার খরচও রাজ্য সরকার বহন করবে।

এদিকে গঙ্গায় ভাসমান লাশ বা গঙ্গার ধারে বালুচরে পোঁতা লাশ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ সরকার। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কর্মীদের নামিয়েছে সরকার বৃষ্টিতে বালি ধুয়ে গিয়ে প্রকাশ হয়ে যাওয়া লাশগুলি ফের ভালভাবে পুঁতে দেওয়ার জন্য। বৃষ্টিতে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি, বিভিন্ন সময় সারমেয়র দল বালি খুঁড়ে মৃতদেহগুলি খুবলে খেয়ে এক বীভৎস পরিস্থিতি তৈরি করছিল। যার জেরে স্থানীয় পৌরসভার উদ্যোগে ফের নতুন করে লাশগুলিকে কবর দেওয়ার জন্য কর্মী নামানো হয়েছে। কবর দেওয়ার পাশাপাশি, যাদের আগুনে পোড়ানোর প্রথা আছে তাদের জন্য পৃথক স্থানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে শুকনো কাঠের।

অন্যদিকে, যাতে কেউ নদীতে লাশ না ভাসায় তা দেখতে ২৪ ঘন্টা গঙ্গায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এইসব পদক্ষেপেও পরিস্থিতির কোনো বদল হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে। চোরাগোপ্তাভাবে গঙ্গায় বা বালিতে লাশ ফেলার ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এহেন পরিস্থিতিতেও ধর্মের ধ্বজা ছাড়তে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ। পরিবেশ সচেতনতা, বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা না গড়ে তুলে ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা তার। ধর্মগুরুরাই নাকি সৎকার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারবেন বলে মত যোগীর।

২১ মে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে কোভিড অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার কথা বলেছেন। এই যে সমস্ত পরিবারগুলি গুলির যে শিশুরা করোনায় তাদের বাবা-মা উভয়কে হারিয়েছেন তাদের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে দেবার জন্য দেশের নবোদয় বিদ্যালয়ে তাদের বিনা খরচে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়ে নিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।

কোভিডের পরীক্ষিত ওষুধ তার সংস্থায় উৎপাদন করা হয় এই দাবি করার পাশাপাশি কর্পোরেট সাধু রামদেব কয়েকদিন আগে করোনা রোগে এলোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কোভিড আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার এই অবৈজ্ঞানিক মন্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনা করা হয় এবং মানহানির মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে দেশদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত করার দাবি করা হয় আইএমএ’র পক্ষ থেকে। দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাকে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বললে রামদেব তা প্রত্যাহার করেন। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা অবশ্য শাস্ত্র পাঠে করোনা আরোগ্য হয় বলে মন্তব্য করে ইতি মধ্যেই দেশজুড়ে উপহাস এবং সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে মিউকর মাইকোসিস সংক্রমণে আক্রান্ত বহু রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর তা মহামারীর আইনে নথিভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। মিউকর মাইকোসিস ছত্রাক শ্বাস-প্রশ্বাসের ভেতর দিয়ে শরীরে ঢুকে মূলত নাক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমনের সুযোগ এবং হার বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের মত। মহামারী রোগ আইন ১৮৯৭-র অধীনে এই ছত্রাকজনিত সংক্রমণকে নথিভূক্ত করা হলো ভবিষ্যতে চিকিৎসার সুবিধার জন্য।

অন্যদিকে কোভিড ১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২৭ মে ২৫ লক্ষ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বিজেপি শাসিত কর্নাটকে। যেখানে ২৪ হাজার ২১৪ জন নতুন আক্রান্তের এবং ৪৭৬ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। কর্নাটকের বেঙ্গালুরু শহরে মৃতের সংখ্যা ঐদিন ২৭৩। আক্রান্তের হার ১৭.৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৯৬ শতাংশ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে লকডাউন, নাইট কারফিউ ইত্যাদি উদ্যোগ নেওয়া কিছুটা কাজে দিয়েছে। তাই ৬ মে'র পর থেকে দেশে কোভিড আক্রান্তের হার এখন নিম্নগামী। গত দুই সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ৪.১৪ লাখ থেকে কমে ২.৬ লাখে নেমেছে। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩৭.৪৫ লক্ষ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২.২৫ লক্ষ। তবে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলেই সতর্ক করে দিতে ভোলেননি বিশেষজ্ঞরা।

এর পাশাপাশি টিকার জোগান নিয়ে সরকারকে দুষে নিয়মিত রিপোর্ট ছাপা হচ্ছে দেশের কমবেশি সব রাজ্যেই। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবের উপর ভিত্তি করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কয়েক কোটি টিকার গরমিলের অঙ্কের কথা। এর মধ্যেই আমদানির সংখ্যা কমিয়েছে ভারত সরকা্র, যা মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এর পরেও দেশের উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েই চলেছে কেন্দ্র। যেমন এদিনই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন উৎপাদন ক্ষমতা মাসিক ১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হবে। অথচ ভারত বায়োটেক এখনও তাদের ঘোষিত উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী সরবরাহই করতে পারেনি। তা একলাফে দশগুণ বেড়ে যাবে, এই তথ্য নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে গুরুতর সংশয় রয়েছে। দাবি করা হয়েছে এর বাইরেও তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ডিসেম্বরে ৪ কোটি উৎপাদন করবে। প্রশ্ন উঠেছে, এই সংস্থাগুলিকে আগেই লাইসেন্স দেওয়া হয়নি কেন? এখন প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উৎপাদন কাঠামো তৈরি করতে যে সময় লাগবে তাতে বছরশেষে ওই পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে তো?

যদিও এখন বিশ্ব টেন্ডার ডেকেও যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না, তা সত্বেও রাজ্যগুলিকে টিকাকরণ প্রসঙ্গে দোষারোপ করেছে কেন্দ্র। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে সাপ্তাহিক ডোজ দেবার সংখ্যা ছিল আড়াই কোটি। মে’র প্রথম সপ্তাহে তা নেমে যায় ১.২ কোটিতে। ২২-২৮ মে’র সপ্তাহে তা হয়েছে মাত্র ৮৭ লক্ষ। এখন এর পুরো দায়ই রাজ্যগুলির ওপরে চাপিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ‘জবাব’ দিয়ে একটি দীর্ঘ বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্র কিছু প্রশ্নও এড়িয়ে গেছে। কেন্দ্র যে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে তার অন্যতম, মার্চের আগেই বরাত দেওয়া হল না কেন? দেশের পরিস্থিতি আন্দাজ করে ভ্যাকসিন রপ্তানি আটকানো হল না কেন?


পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিঃ টানা ১৫ দিন লকডাউন চললেও পশ্চিমবঙ্গ কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে তা পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করার সুযোগের ইতিবাচক ব্যবহার করতে পারেনি রাজ্য। তার ছাপ লুকোনো যাচ্ছে না এখনও। আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের মধ্যে দশম স্থান থেকে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতির অবনতিতে উপায়ন্তর না দেখেই লকডাউনের সময়সীমা রাজ্য বাড়িয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানে ২৮ মে’র হিসাব অনুযায়ী নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬ জন, যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৪৮। ২৮ মে হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে ৫০ হাজার কোভ্যাকসিনের ডোজ। এদিন বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে এসে পৌঁছায় এই কোভ্যাকসিনের ডোজ। এখান থেকে গোটা রাজ্যের যে সমস্ত টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলিতে এই প্রতিষেধকগুলি পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ কমলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে হবে। এর পাশাপাশি পরীক্ষার মূল্যায়নের প্রশ্নে দেখতে হবে, সারা দেশের অন্যান্য বোর্ডের সাথে যেন সামঞ্জস্য রেখে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। নয়তো সার্বিক মূল্যায়ন ও ছাত্রজীবনের পরবর্তী ধাপগুলিতে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়বে। এছাড়াও সপ্তাহে দু’দিন মুখোমুখি ক্লাস চালু এবং ‘স্পেশাল স্টিমুলাস প্যাকেজ’ ঘোষণা করে ছাত্র-ছাত্রীদের ফি মকুবের দাবির সঙ্গেই ইউজিসি প্রস্তাবিত ৪০ শতাংশ অনলাইন পঠনপাঠনের বিরোধিতা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়েছে এসএফআই। এছাড়াও করোনা লকডাউনের ফলে গত দু’বছর ধরে শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণে এসএফআই’র পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীকে। এসএফআই’র রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান ও রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য যৌথভাবে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আরও বলেছেন, মুখোমুখি ক্লাসরুম ব্যবস্থার কোনও বিকল্প হয় না। যে অংশের ছাত্ররা অনলাইন শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে তারা ঘরে বসেই ক্লাসে যোগদান করতে পারে। কিন্তু যাদের এই সুযোগ গ্রহণের সামর্থ্য নেই, তাদের কথা মাথায় রেখে কোভিড-সংক্রমণের তীব্রতা কিছুটা কমলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করে মুখোমুখি ক্লাসরুম শিক্ষাপদ্ধতিতে ফেরার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। টিকাকরণের ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।