৫৮ বর্ষ ২৪তম সংখ্যা / ২৯ জানুয়ারি, ২০২১ / ১৫ মাঘ, ১৪২৭
লালঝান্ডার প্রতি ভালোবাসায় নতুন করে জোটবদ্ধ হচ্ছেন জঙ্গলবেষ্টিত ঝাড়গ্রাম জেলার নিপীড়িত গরিব মানুষ
সন্দীপ দে
জঙ্গলবেষ্টিত ঝাড়গ্রাম জেলায় গরিব প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘ সন্ত্রাস-অত্যাচারের আবহ থেকে মুক্ত করে তাঁদের সীমাহীন বঞ্চনা, অভাব অভিযোগ কাটিয়ে রুটিরুজির সংগ্রামে শামিল করার উদ্যোগ নিয়েছে সিপিআই(এম)। কেন্দ্রের সর্বনাশা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেও মিছিল, সমাবেশ, ডেপুটেশন ইত্যাদি সংগঠিত হচ্ছে। এই জেলার জঙ্গলমহল ও সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষ তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে জনসাধারণের কমিটি ও মাওবাদীদের নৃশংস অত্যাচারে বেশ কয়েকটি বছর শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তারপর ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। শাসকদলের দুর্বৃত্তরা পঞ্চায়েতগুলি দখল করে একদিকে যেমন লুঠের রাজত্ব চালিয়েছে, আবার অন্যদিকে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে চালু হওয়া গরিব-অসহায় মানুষদের জন্য বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা সহ অন্যান্য সহায়ক প্রকল্প তুলে দিয়েছে। একশো দিনের কাজ থেকে গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে তাঁদের জন্য বরাদ্দ মজুরির টাকা আত্মসাৎ করেছে।
রাজ্যবাসী সকলেরই জানা, এক সময়ে যারা তথাকথিত জনসাধারণের কমিটি ও মাওবাদীদের দলে ভিড়ে গ্রামের গরিব সাধারণ মানুষের উপর হিংস্র আক্রমণ, খুন, নির্বিচারে জরিমানা আদায় ইত্যাদি চালিয়েছে দিনের পর দিন, তাদের অধিকাংশই রাজ্যের পালা বদলের পর পুরনো অবস্থান পালটে শাসকদলে নাম লিখিয়েছে। তারই পুরস্কারস্বরূপ মিলেছে বিপুল অর্থসাহায্য, চাকরি, ঘরবাড়ি, সরকারি সুরক্ষা সহ নানা সুযোগ-সুবিধা। সেই সমস্ত দুষ্কৃতী, খুনি, হত্যাকারী এখন সরকারি বদান্যতায় ও শাসকদলের মদতে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিপরীতে এদের নৃশংসতায় প্রায় সাড়ে তিনশো সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে। তাঁদের পরিবার-পরিজনকে সীমাহীন দুঃখ-দারিদ্র্য, জীবনযন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। এই অসহায় পরিবারগুলোর সবার প্রয়োজনীয় সাহায্য মেলেনি। চাকরি-বাকরি তো দূরের কথা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন সময়ে জেলায় গিয়ে বিপুল অর্থ খরচে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মেলা-খেলা ইত্যাদির আয়োজন করে যে দেদার প্রতিশ্রুতি বিলিয়ে এসেছেন তাতে কিন্তু প্রকৃত বঞ্চিত, অভাবী মানুষদের কোনো সুরাহা হয়নি। বনাঞ্চলে একেই তো কাজের সুযোগ সীমিত, তার উপর করোনা সংক্রমণকালে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের ফলে এই মানুষদের জীবনযন্ত্রণা আরও বেড়েছে। এই অঞ্চল থেকে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে। অথচ এখানে বিকল্প কাজের সংস্থান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এদের অনেকেই ফিরে গেছে পুরনো কাজের সন্ধানে। এখন এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে লালঝান্ডা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন পার্টি কর্মীরা।
এই অবস্থার মধ্যেও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের প্রতিবাদী চেহারাও ফুটে উঠছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো জঙ্গলমহলেও গরিব-আদিবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ শাসকদলের মদতে লুঠ করেছে সারদা কোম্পানি। শাসকদলের মাতব্বর যারা এই বিরাট কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত ছিল, তাদের অনেকেই এখন গা বাঁচাতে বিজেপি-তে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া সুবর্ণরেখা-কংসাবতী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা, ইটভাটা, মোরাম, বোল্ডার ইত্যাদি ব্যবসা থেকে কাটমানি খাওয়ার বন্দোবস্ত করে নিয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় থেকে জেলাস্তরের নেতারা। এদের কাটমানি খাওয়া ও জোর-জবরদস্তি টাকা আদায়ের ঘটনা কোন্ পর্যায়ে পৌঁছেছে তার সাক্ষ্য মিলবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানের অশ্রাব্য ভাষায় এক ঠিকাদারকে দেওয়া টেলিফোন হুমকিতে। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো জঙ্গলমহল জুড়েও শাসকদলের এই কারবার চলছে অবাধে। কিন্তু মানুষ এসব নীরবে মেনে নিচ্ছেন না। সম্প্রতি পাটাশিমূল গ্রামে গ্রামীণ মানুষদের এমনই প্রতিবাদী চেহারা দেখা গেছে। জঙ্গলমহলে খুন-সন্ত্রাসের অন্যতম নায়ক ছত্রধর মাহাতকে শাসকদল ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থে দলের অন্যতম সম্পাদক মনোনীত করেছে। তিনি পুলিশ বাহিনী পরিবেষ্টিত হয়ে রাজ্য সরকারের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির প্রচারে পাটাশোল গ্রামে গেলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন। বিপুল অংশের মহিলা সহ গ্রামের সাধারণ মানুষ পুলিশের সামনেই তাকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। তাঁরা ছত্রধরের সামনেই স্লোগান তোলেন খুনি ছত্রধর ফিরে যাও, গো ব্যাক ছত্রধর, খুনি ছত্রধরের এই গ্রামে ঠাঁই নেই, খুনি অপরাধীর বিচার চাই, শূন্য মায়ের কোলে সন্তানকে ফিরিয়ে দাও, পুলিশ তুমি চাটুকারিতা বন্ধ করো ইত্যাদি। এভাবেই মানুষের প্রতিবাদের রূপ প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে নানা জায়গায়।
বিশেষভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে পার্টি কর্মীরা যখন গরিব আদিবাসীদের এলাকায় যাচ্ছেন, তখন মানুষেরা সঙ্কোচ-শঙ্কা কাটিয়ে এগিয়ে আসছেন, পার্টি কর্মীদের কাছে তাঁদের জীবনযন্ত্রণার কথা তুলে ধরছেন। তাঁদের অনেকেই অকপটে স্বীকার করছেন বর্তমানের হতাশা-দীর্ণ অবস্থার চেয়ে বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে তাঁদের অবস্থা অনেকটাই ভালো ছিল। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার নানা প্রকল্পে সুবিধা তাঁদের মিলেছে। একশো দিনের প্রকল্পে আগে সহজেই কাজের সুযোগ মিলতো। এই প্রকল্পে এতই দুর্নীতি যে, তা এখন আর কোনো লুকোছাপা নেই। মানুষ এসব থেকে মুক্তি চাইছেন। পার্টি কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের এই ক্ষোভযন্ত্রণাগুলিকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে পরিবর্তন করে আন্দোলনের জন্য সংগঠিত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, প্রত্যন্ত গরিব এলাকার মানুষও লাল ঝান্ডার প্রতি ভালোবাসায় যেমন পুনরায় জোট বাঁধার সংকল্পে সাড়া দিচ্ছেন, তেমনি পার্টি কর্মীদের আবেদনে খুবই সামান্য হলেও অর্থ তুলে দিচ্ছেন। বর্তমান সঙ্কটকালে এই দৃশ্য অভাবনীয়।
আদিবাসীদের দাবি নিয়ে প্রচার
আদিবাসী ও তফশিলি মানুষ সহ পিছিয়ে পড়া মানুষদের বৈষম্য, বঞ্চনা, প্রতারণা ও অর্জিত অধিকার রক্ষা এবং করোনা-আমফান পীড়িত দুর্গত মানুষদের সাহায্যের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় রাজ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে প্রচার সংগঠিত হয়। এই প্রচারে বিজেপি-আরএসএস’র হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার উদ্যোগ এবং এনআরসি’র নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করার ডাক দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সংঘের আহ্বানে এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে প্রচারে তুলে ধরা হয়েছে সিএনটি-এসপিটি আইন তুলে দিয়ে আদিবাসীদের জমি কীভাবে কর্পোরেটদের কাছে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইনে বলা ছিল, আদিবাসীদের জমি কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না। অথচ মোদী সরকার কর্পোরেটদের সুবিধা করে দিতে আদিবাসীদের উপর এভাবে আঘাত আনতে উদ্যত হয়েছে। এ নিয়ে প্রচার করেছেন কর্মীরা।
কেবল এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই নয়, বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীদের অন্যান্য দাবি দাওয়ার সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে, অলচিকি লিপিতে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, বামফ্রন্ট আমলে চালু হওয়া তফশিলি জাতি-আদিবাসী ছাত্রদের হোস্টেলগুলি পুনরায় চালু করতে হবে, এনআরইজিএস প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরি, আদিবাসীদের জন্য খাদ্য-কাজ-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং আদিবাসীদের জন্য যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা কেন্দ্র তুলে দিতে চাইছে, তা বহাল রাখতে হবে ইত্যাদি।
এরই পাশাপাশি মহিলাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করা, বনাঞ্চলে কাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, রেশনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করার দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
এসএফআই-র ৫০ বছর পূর্তি
রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো ঝাড়গ্রাম জেলাতেও ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নানা কার্যসূচি নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মসূচিকে ঘিরে ছাত্র সমাজের মধ্যে নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিকে সফল করতে জেলাজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে। তারা ওই দিনটিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দকে। এই কর্মসূচিকে উপলক্ষ করে সংগঠনের কর্মীরা জেলা জুড়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ গড়ে তুলছে। দীর্ঘ সন্ত্রাসে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও তৃণমূলের শাসনের নানা বাধা বিপত্তিকে প্রতিহত করেই তারা নতুন করে সংগঠনকে গড়ে তোলার কাজে মগ্ন হয়েছে।
এই কর্মসূচি উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ঝাড়গ্রাম শহরে। এছাড়া ‘এসো ভাবি বসে আঁকি’ শিরোনামে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও রক্তদান শিবির সংগঠিত হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি মূল অনুষ্ঠান হবে শহরের ডিএম হলে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ১৯৭০ সালে ত্রিবান্দ্রমে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী এবং ঝাড়গ্রামের গণআন্দোলনের প্রবীণ নেতা তপন সেনরায়। উপস্থিত থাকবেন অবিভক্ত জেলায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গণআন্দোলনের বর্ষীয়ান নেতা ডহরেশ্বর সেন সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক মধুজা সেনরায় সহ অন্যান্যরা।
৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং তারপর শহরে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা। পদযাত্রা শেষে ডিএম হলে প্রাক্তন ছাত্র নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা। বিকেল ৪টায় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড়ে প্রকাশ্য সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেলপাহাড়ি-শিলদা অঞ্চলে ৫০টি দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।
বিগত সময়ে জেলায় মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির দুর্বৃত্তদের হাতে অন্যান্যদের সাথে নিহত হয়েছে ৪ জন ছাত্রনেতা, অভিজিৎ মাহাত (বাঁকশোল), পার্থ বিশ্বাস (হারদা), ফুলচাঁদ (বেলপাহাড়ি) এবং সুজিত সরকার (রাধানগর)। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও বিশেষভাবে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে এই চার ছাত্রনেতা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন রাখতে গিয়ে যেভাবে শহিদের মৃত্যুবরণ করেছেন, তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। তাঁদের স্মরণে ৪টি ব্রিগেড এসে মিলবে পদযাত্রায়।
এসএফআই’র ৫০ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে কেবল শহর বা মফস্সল এলাকাতেই নয়, লালগড়, শিলদা, নয়াগ্রাম, ধরমপুর, কাঁটাপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ির মতো এক সময়ে সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতেও প্রচার চলছে। এসব অঞ্চল থেকেও ৪ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেবেন। এই কর্মসূচি সফল করার উদ্যোগের পাশাপাশি ১১ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্র-যুবদের ডাকে নবান্ন অভিযানকে সফল করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংগঠকরা। সব মিলিয়ে এই কর্মসূচিকে ঘিরে একটা বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। যা নিঃসন্দেহে আগামীদিনে সংগঠনের সমৃদ্ধির সহায়ক হবে।