৫৯ বর্ষ ৫০ সংখ্যা / ২৯ জুলাই, ২০২২ / ১২ শ্রাবণ, ১৪২৯
এআইপিএসও-র উদ্যোগে মনকাডা দিবস উদ্যাপন
মনকাডা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন রবীন দেব। মঞ্চে উপস্থিত মনোজ ভট্টাচার্য, কল্যাণ সেন বরাট প্রমুখ।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রতি বছরের মতো এবছরও ২৬ জুলাই সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা (এআইপিএসও)-এর উদ্যোগে ‘মনকাডা দিবস’ পালন করা হয়। সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য দপ্তর হরেকৃষ্ণ কোঙার মেমোরিয়াল ভবনে এই উপলক্ষে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভা পরিচালন করেন শান্তি আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেতা রবীন দেব। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, ফিদেল কাস্ত্রো বুঝেছিলে কিউবা বিপ্লবের বার্তা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে হবে নতুবা একে টিঁকিয়ে রাখা মুশকিল। ঠিক একই কায়দায় ভারতবর্ষের পরাধীন মানুষের কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিপ্লবী ভগৎ সিং সংসদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। লাতিন আমেরিকা ছিল মার্কিন শাসকদলের কাছে সস্তা এক বাজার। রবীন দেব বলেন, কিউবা বিপ্লবের সলতে পাকানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ফিদেলের নেতৃত্বে ১৯৫৩ সালে মনকাডা ব্যারাক অভিযানের। আজ লাতিন আমেরিকায় ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, চিলি, পেরু, উরুগুয়ে সহ অনেক দেশ কিউবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে মার্কিনি অর্থনৈতিক হানাদারির বিরুদ্ধে। মধ্য বামপন্থার উত্থান হচ্ছে।
ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, মনকাডা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। গোটা লাতিন আমেরিকা জুড়ে বামপন্থীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে দেশে দেশে এগোচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ২০ শতকের থেকে ২১ শতকে তার পথ বদলে নিয়েছে। সরাসরি গা-জোয়ারি ছেড়ে মগজের দখল নিচ্ছে। ২১শতকে সমাজতন্ত্র গড়ার সংগ্রামে মধ্য বামসহ সমস্ত ধারার বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির ভূমিকা থাকবে। গড়ে তুলতে হবে বৃহত্তর মানুষের জোট।
সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট তাঁর ভাষণে বিকল্প রাজনৈতিক ভাষ্য তৈরির ক্ষেত্রে বিকল্প সাংস্কৃতিক ভাষ্য গড়ে তোলার ওপরে গুরুত্ব দেন। তিনি ১৯৯৮ সালে কিউবায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব উৎসবের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাজি কামাল নাসের। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মন্দাক্রান্তা সেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অঞ্জন বেরাও বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব কুণাল বাগচী, অশোক গুহ, উৎপল দত্ত, শ্রাবণী সেনগুপ্ত প্রমুখ।