E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৫০ সংখ্যা / ২৯ জুলাই, ২০২২ / ১২ শ্রাবণ, ১৪২৯

ভারতে অরণ্য আচ্ছাদিত অঞ্চল অতিরঞ্জিত করে দেখানোর অভিসন্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের

তপন মিশ্র


অরুণাচল প্রদেশে অরণ্য কেটে পাম গাছ বসানো হচ্ছে।

ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট বা আমাদের দেশে অরণ্য সম্ভারের পরিমাপ সংক্রান্ত তথ্য ফরেস্ট সারভে রিপোর্ট (এফএসআই) কয়েকদিন আগে প্রকাশ হয়েছে। ভারত সরকারের গবেষণা সংস্থা ১৯৮৭ সাল থেকে ইন্ডিয়ান রিমোট সেনসিং (আইআরএস) উপগ্রহের পাঠানো তথ্য ব্যবহার করে দু বছর অন্তর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আইআরএস-এর সঙ্গে পরবর্তীকালে আরও উপগ্রহ যুক্ত হয়ছে। নিঃসন্দেহে এটি উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর তথ্য। ২০২১ সালের ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট প্রতিবেদন ২০২২ সালে সরকারিভাবে দেশবাসীর সামনে প্রকাশিত হয়।

এফএসআই-এর প্রকাশিত এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতের বনাঞ্চল ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ০.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে দেশের মোট বনাঞ্চল ছিল ভৌগোলিক এলাকার ২১.৬৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৭১ শতাংশে। এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে যে, মোট বনাঞ্চল এবং তার বাইরে বৃক্ষ আচ্ছাদন যোগ করলে অরণ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০.৯ মিলিয়ন হেক্টর অর্থাৎ দেশের ভৌগোলিক এলাকার ২৪.৫৬ শতাংশ এবং এই বনাঞ্চলে জমা হওয়া কার্বনের পরিমাণ ৭,২০৪ মিলিয়ন টন, যা ২০১৯ সাল থেকে ৭৯.৪ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে বনভূমির পরিমাণ সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টারের মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা রিমোট সেনসিং ছবি এফএসআই সংগ্রহ করে নিজেদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা বিশ্লেষণ করে। কোনো স্বাধীন গবেষকের পক্ষে এতবড়ো দেশের ব্যয়বহুল কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। যে ছবি কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যমে পাওয়া যায় সেই ছবি কী ধরনের আলো পরিমাপ করেছে তার উপর একটি চিত্রের রং নির্ভর করে। সূর্যালোক পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো বস্তুর উপর পড়লে যে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয় সেই রশ্মির রঙ থেকেই স্যাটেলাইটের ছবি সংগৃহীত হয়। দৃশ্যমান আলো ব্যবহার করে যে ছবি পাওয়া যায় সেগুলিকে ‘ট্রু কালার’ ছবি বলা হয়। এগুলি সাধারণত লাল, সবুজ এবং নীল রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যর হয়ে থাকে। ‘ফলস কালার’ ছবি যখন সূর্যালোক থাকেনা সেই সময় ইনফ্রারেড আলোকে তোলা হয় তাই এই ছবি বিশ্লেষণ করা একটু কঠিন হয়ে থাকে।

আর এক ধরনের তথ্য এখানে উল্লেখ করা জরুরি হয়ে পড়ে। তা হলো ‘গ্রাউন্ড ট্রুথিং’ অর্থাৎ কিছু নমুনা অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার আসল তথ্য সংগ্রহ করে স্যাটেলাইটের ছবির সঙ্গে মেলাতে না পারলে স্যাটেলাইট ছবি সম্পূর্ণ হয়না। এখানেই তথ্যের অতিরঞ্জন করা যায়।

পুরো প্রক্রিয়াটা এপর্যন্ত খুব উৎসাহজনক মনে হলেও বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যাঁরা স্বাধীনভাবে কিছু গবেষণা করছেন, তাঁরা এই ইদানীংকালে অরণ্য আচ্ছাদন সম্পর্কে সরকারি তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। স্বাধীনভাবে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন এমন কয়েকজন গবেষক দেশের কোনো এক অংশের নির্দিষ্ট কিছু উপগ্রহ চিত্রের ব্যাখ্যা করে সরকারি তথ্য যে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে তা বলেন। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়, দেশের বাইরের সংস্থা যেমন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অরগানাইজেশন (এফএও-ফাও), ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট (ডব্লিউআরআই) ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষণ। তাতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ে।

অরণ্য সংজ্ঞার মারপ্যাঁচ

সংজ্ঞা অনুসারে বনের আচ্ছাদন ১০ শতাংশের বা তার বেশি হলে এবং এক হেক্টর বা তার বেশি এলাকা বৃক্ষযুক্ত জমিকে অরণ্য বলা যেতে পারে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের বনবিজ্ঞানের গবেষক এবং অধ্যাপক এন এইচ রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর সহগবেষকরা বলছেন যে, অরণ্যের আচ্ছাদনের উপরোক্ত সংজ্ঞার কারণে, ভারতে বনের আচ্ছাদনকে বেশি করে দেখানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আর একটা চালাকি করছে এফএসআই। তা হলো, চা এবং কফি গাছের বাগান, ফলের বাগান, আখের খেত, বাণিজ্যিক প্লান্টেশন ইত্যাদি সবই অরণ্যের মধ্যে ধরা হয়েছে।

ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন অরণ্যের সংজ্ঞা নির্ধারিত করতে গিয়ে বলছে, তাতে ‘‘০.৫ হেক্টরের বেশি বিস্তৃত ভূমি যেখানে ৫ মিটারের বেশি উচ্চতার গাছ আছে এবং ১০ শতাংশের বেশি বনের আচ্ছাদন থাকতে হবে।” এই সংজ্ঞায় কোনো ধরনের কৃষি জমি যেমন চা এবং কফি গাছের বাগান, ফলের বাগান, আখের খেত, প্লান্টেশনকে অরণ্য হিসাবে কখনওই বিবেচনা করা হয়না। আমাদের দেশেও ২০০১ সালের আগে শুধুমাত্র সারভে অফ ইন্ডিয়ার টোপোসিটে যে অংশ অরণ্য হিসাবে দেখানো আছে সেগুলিকেই কেবল বিবেচনা করা হতো। ১৯৯৬ সালে গোদাভারমান বনাম ভারত সরকারের মামলায় মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট টোপোসিটের বাইরে ব্যক্তি মালিকানাধীন বনাঞ্চলকে অরণ্য হিসাবে বিবেচনার নির্দেশ দেয়।

স্যাটেলাইট চিত্রের উপর ভিত্তি করে ২০২০ সালে প্রকাশিত এফএও-র ‘দি স্টেট অফ ওয়ার্ল্ডস ফরেস্ট রিপোর্ট’ (‘The State of World’s Forest Report’) অর্থাৎ সারা বিশ্বের অরণ্য আচ্ছাদনের তথ্য বলছে যে, ভারতে ৭২.১৬ মিলিয়ন হেক্টর বন রয়েছে (FAO Corporate Statistical Database, FAOSTAT, USGS, EROS Data Center)। বিশ্বের মোট অরণ্যের মাত্র ১.৮ শতাংশ এদেশে রয়েছে। ভারত হলো পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ এবং পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ২.৪ শতাংশ। এর অর্থ দু’রকমের হতে পারে। হয় ২০২০ এবং ২০২১ এই এক বছরের মধ্যে আমাদের দেশে ৮.৭৪ মিলিয়ন হেক্টর (৮০.৯- ৭২.১৬= ৮.৭৪ মিলিয়ন হেক্টর) বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে না হয় কোনো এক সংস্থা (এফএসআই কিংবা এফএও) ভুল বলছে। আর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট-এর ওয়ার্ল্ড ফরেস্ট ওয়াচ বলছে যে, ২০১০ সালে ভারতে মাত্র ৩১.৩ মিলিয়ন হেক্টর প্রাকৃতিক বনভূমি (প্রাইমারি ফরেস্ট) ছিল এবং এই পরিমাণ হলো দেশের স্থলভাগের মাত্র ১১ শতাংশের কিছু বেশি। ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট Sentinel-2 এবং Landsat-8 এর প্রেরিত তথ্য ব্যবহার করে।

২০২১ সালে আমাদের দেশ আগের দশকের তুলনায় ১২৭ হাজার হেক্টর প্রাকৃতিক অরণ্য হারিয়েছে। এর অর্থ হলো ৬৪.৬ মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের সমতুল্য বনভূমি বিগত ১১ বছরে আমরা হারিয়েছি। অথচ আমাদের সরকার বলছে কেবল ২ বছরে অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ৭৯.৪ মিলিয়ন টন বেশি কার্বন বনাঞ্চলে জমা হয়েছে। ভারতের মাত্র ৩.০৪ শতাংশ অতিঘন বনাঞ্চল বাদ দিলে মোটামুটি ঘন বনাঞ্চল অর্থাৎ যার ঘনত্ব ৭০ শতাংশ-৪০ শতাংশের মধ্যে, সেই বনভূমির পরিমাণ ২০১৯ থেকে ২০২১ এর মধ্যে ১,৫৮,২০০ হেক্টর হ্রাস পেয়েছে। যদিও এফএসআই-র প্রতিবেদনে এসব নিয়ে কিছু বলা নেই তবু আন্দাজ করা যেতে পারে যে, মূলত বল্গাহীন খনিজ সম্পদ উত্তোলন এই অংশের অরণ্য ধ্বংসের এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

অতিরঞ্জিত তথ্য কেন

ধরা যাক উত্তর পূর্ব ভারতের একটি অংশে সরকার তাদের সিদ্ধান্ত মতো কিছু অরণ্যভুমি পরিষ্কার করে কোনো এক বহুজাতিক সংস্থাকে দিয়ে পাম চাষের ব্যবস্থা করল। ফলে সেখানে অরণ্যের সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হলো, বন্যপ্রাণীদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো, গাছ লাগানোর জন্য মাটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছু পরিবর্তন করা হলো এবং পামতেল গাছের রোপণ করা হলো। জমির রেকর্ড অনুযায়ী এটি এখন ‘‘অরণ্য’’ এবং পরবর্তী সমীক্ষায় অর্থাৎ দু’বছর পর এই অঞ্চলটিতে পাম গাছের আচ্ছাদন ১০ শতাংশ হবে এবং সাথে সাথে এফএসআই-র সংজ্ঞা অনুযায়ী এই অঞ্চলটি অরণ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। অথচ ইতিমধ্যে অরণ্যের গাছপালা নষ্ট এবং মাটির চরিত্র পরিবর্তনের জন্য প্রচুর পরিমাণের কার্বন বায়ুমণ্ডলে মিশেছে এবং জৈব বৈচিত্র্য হ্রাস পেয়েছে।

প্রথমত, একথা ঠিক যে ভারত একটি বিশাল জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশ। দেশের উন্নয়ন পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর আঘাত আসবে। কিন্তু কখনওই উন্নয়নের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র এবং জৈববৈচিত্র্য নষ্ট করা যায়না। উদাহরণ হিসাবে পাম তেলের চাষের বর্তমান সিদ্ধান্তের কথা বলা যেতে পারে। ভারতের পাম তেল আমদানি কমানোর জন্য দেশে পাম তেলের চাষ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং আন্দামান নিকোবরের জৈববৈচিত্র্যে উন্নত এবং বাস্তুতন্ত্রগতভাবে সংবেদনশীল বনভূমি পরিষ্কার করে পাম চাষ অনৈতিক। সরকারি হিসাবে অরণ্য উজাড় করে যে জমিতে পাম চাষ হচ্ছে সেই জমি বনভূমি হিসাবে বিবেচিত হবে।

দ্বিতীয়ত, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে REDD+ চুক্তির মধ্যদিয়ে অরণ্য কাটা এবং ভূমি-ব্যবহারের পরিবর্তন থেকে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয় সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে অরণ্য আচ্ছাদনকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর চেষ্টার এটি একটি অপচেষ্টা। অরণ্যের পরিমাণ বেশি হলে সঞ্চিত কার্বনের পরিমাণ বেশি হবে এবং ফলে ‘কার্বন অফসেট’-এর মাধ্যমে আয় বেশি হবে। এর পরিণতিতে অরণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহার বেশি হবে।

বিভিন্ন সংস্থার বন আচ্ছাদন মূল্যায়নের তথ্যের মধ্যে পার্থক্যের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত ‘গ্রাউন্ড ট্রুথিং’ তথ্যের অভাব বা তথ্যকে বিকৃত করে পেশ করা। বিজ্ঞানের পদ্ধতির ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয় অনৈতিক। ইচ্ছাকৃতভাবে ফলের বাগান, রাবার বাগান, পাম বাগান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে অরণ্য হিসাবে দেখানোর কারণে বিভিন্ন সংস্থার পরিমাপ করা অরণ্য আচ্ছাদন এলাকার মধ্যে এক বড়ো পার্থক্য দেখা যায়।

গত ২১ জুলাই মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট হরিয়ানার অনঙ্গপুর জেলায় অরণ্যের এক অংশে হোটেল, রিসর্ট ইত্যদি তৈরির বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশনের রায়দান করতে গিয়ে বলেন যে, রাজ্য সরকার বা অন্য কোনো সংস্থার অরণ্যভূমিকে অন্য কোনভাবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্যকে বিবেচনার মধ্যে রেখে এই কাজ করতে পারে (এখানে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের শর্ত আরোপ করেন)। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনেই অরণ্যভূমিকে অ-বনজ (non-forestry) ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদানের অধিকার রাজ্য সরকারকে দেওয়ার কারণে ১৯৮০-র অরণ্য সংরক্ষণ আইন পরিবর্তনের বিল পেশ করছে। এর সাথে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলে আরও উল্লেখ করছে যে, বনভূমির চরিত্র পরিবর্তনের জন্য বনবাসী-আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার রক্ষার কোনো দায় সরকারের নেই। পরিবেশকর্মীরা এই বিলের যেমন বিরোধিতা করছে তেমনই দেশের অরণ্যভূমিকে বাড়িয়ে দেখানোর সরকারি অভিসন্ধিকে জনসমক্ষে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। সরকারের এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই নয়।