৫৯ বর্ষ ১১ সংখ্যা / ২৯ অক্টোবর, ২০২১ / ১১ কার্ত্তিক, ১৪২৮
রাজনৈতিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে প্রতি গ্রামে গড়ে তোলো কৃষক সভা;
শ্রমজীবী মানুষের গ্রামীণ জোট গড়ে মজবুত করো সংগঠন
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার রাজ্য সম্মেলনের আহ্বান
শংকর মুখার্জি
সম্মেলনের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখছেন সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সম্পাদক হান্নান মোল্লা।
হরিয়ানার হিসারে অনুষ্ঠিত সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সম্মেলনের আহ্বান ছিলঃ “সব গ্রামে কৃষক সভা, সব কৃষক কৃষক সভায়”। যদিও সেই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা। কিন্তু গ্রামের রাজনৈতিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে গেলে দ্রুত সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো জরুরি।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার রাজ্য ৩৭ তম সম্মেলনের মূল সুরও তাই। সম্মেলন ডাক দিয়েছে - গ্রামের সংগঠন মজবুত করতে হবে। তাই দ্রুত সম্পন্ন করো সংগঠনের গ্রাম সম্মেলনগুলি। প্রতি গ্রামে গড়ে তোলো গ্রাম কমিটি। এই সাংগঠনিক শক্তির ওপর ভর করেই গড়ে তুলতে হবে গ্রামে গ্রামে গরিব-মাঝারি কৃষক, খেতমজুর এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিয়ে গ্রামীণ জোট। সংগঠনের কর্মী সংখ্যা বাড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।
শিল্পশহর হাওড়ায় শরৎ সদনে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার রাজ্য ৩৭ তম সম্মেলন ২২-২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে সামনে রেখে এই শিল্পশহরের নামকরণ করা হয় কমরেড আব্দার রাজ্জাক মণ্ডল নগর। তিনদিন ধরে সম্মেলনের অধিবেশন চলে কমরেড হীরেন সাহা মঞ্চে। প্রতিনিধিপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের একুশটি জেলা থেকে প্রতিনিধি-দর্শক মিলিয়ে মোট ৪১৪ জন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সম্পাদক হান্নান মোল্লা। সম্মেলন পরিচালনা করেন বিদায়ী সভাপতি সঞ্জয় পূততুণ্ড। তাঁকে সহযোগিতা করেছে রঞ্জিত মিত্র, মেঘলাল সেখ, বাসন্তী মুণ্ডা এবং মহম্মদ সেলিম গায়েনকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী।
সম্মেলনে গৃহীত রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ “সংকট যেভাবে সর্বগ্রাসী হচ্ছে, যেভাবে আক্রমণ বাড়ছে - তাতে শুধু প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধের রাস্তায় যেতে হবে। এই প্রতিরোধ দু-একটি গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সমগ্র এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।” এই প্রতিবেদনের ওপর প্রতিনিধিদের আলোচনার জবাবী ভাষণে অমল হালদারও বলেনঃ “প্রতিরোধ এক-দুটো জায়গায় হলে তাকে টিকিয়ে রাখা কঠিন।পার্শ্ববর্তী জায়গায় এই প্রতিরোধ আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে। চারপাশের অনেক জায়গাকে যুক্ত করতে হবে।” এই প্রতিবেদন ২২ অক্টোবর সম্মেলনে পেশ করেন বিদায়ী সম্পাদক অমল হালদার।
রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদনের ওপর প্রতিনিধিদের আলোচনায় গ্রামবাংলার এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে। খাজনা ও মিউটেশন ফি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএলআর অফিসগুলি এখন দুর্নীতির আখড়া। তৃণমূলের মদতে বিএলআর অফিসগুলিকে ব্যবহার করে গ্রামের নব্য-ধনীরা জমি লুট করছে। গ্রামে নতুন মহাজনি ব্যবস্থার পত্তন করেছে মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানিগুলি। এদের চড়া সুদের হারে গ্রামীণ গরিব-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ঋণের টাকা শোধ করতে না পারলে গুন্ডাগিরি, অত্যাচার চালাচ্ছে ওই কোম্পানিগুলি। পুকুরচুরি চলছে রেগা’র কাজে। এপ্রসঙ্গে অমল হালদার বলেছেনঃ আন্দোলনের ফর্ম পাল্টাতে হবে। দীর্ঘ ঘেরাও করে রাখতে হবে বিডিও এবং অন্যান্য প্রশাসনিক অফিসগুলিকে। তাহলে এই ধরনের ইস্যুগুলিতে এবং অন্যান্য আদায়যোগ্য দাবিতে আন্দোলনে সফলতা পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই দীর্ঘ ঘেরাও করে রাখার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ৪০ জন প্রতিনিধি প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। কিছু সংশোধনী-সংযোজনী সহ প্রতিবেদনটি সম্মেলনে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।
তিন কালা কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ আইন বাতিলের দাবিতে গত এগারো মাস ধরে হাজার হাজার কৃষক দিল্লির উপকণ্ঠে বসে আছেন। ৬০০-র বেশি কৃষক শহিদ হয়েছেন। আগামী ২৬নভেম্বর এই আন্দোলনের এক বছর পূর্ণ হবে। হান্নান মোল্লা উদ্বোধনী বক্তব্যে এই আন্দোলন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, তিন কৃষি আইন দেশের কৃষকভিত্তিক কৃষিব্যবস্থাকে করপোরেটভিত্তিক কৃষিব্যবস্থায় পরিণত করবে। এটাও ধান্দার ধনতন্ত্র। তাই এই কৃষক আন্দোলন হয়ে উঠেছে করপোরেট-বিরোধী আন্দোলন। নব্যউদারনীতির বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন যা করতে পারে নি, এই কৃষক আন্দোলন তা করে দেখিয়েছে। এই আইনের ফলে বড়ো কৃষকদের ওপর আঘাত তাড়াতাড়ি আসবে। তাই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের বড়ো কৃষকরা এই আন্দোলনের সামনের সারিতে। ধান্দার ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়তে হলে কৃষকদের মধ্যে সার্বিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
গত কয়েক বছরে দেশে যে ধারাবাহিক কৃষক আন্দোলন চলছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে সারা ভারত কৃষক সভা। এই আন্দোলনগুলিতে সার্বিক কৃষক ঐক্য গড়ে তোলার মূল কারিগর সারা ভারত কৃষক সভা। হান্নান মোল্লার বক্তব্যে তা উঠে এসেছে। প্রথমে জমি বিলের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলিকে নিয়ে ভূমি অধিকার আন্দোলন। তারপর ফসলের সহায়ক মূল্যের আইনের দাবিতে গড়ে উঠল সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি)। এতে প্রায় সাড়ে তিনশো সংগঠন সঙ্ঘবদ্ধ হলো। আর এখন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতৃত্বে। যেখানে এআইকেএসসিসি যোগ দিয়েছে। বর্তমানে মোর্চায় রয়েছে পাঁচশোরও বেশি সংগঠন। হান্নান মোল্লার অভিমত,“ কৃষক ঐক্য গড়ায় কোনো সংকীর্ণতা রাখলে চলবে না। ভারতের গণআন্দোলনের ইতিহাসে এতো বড়ো মোর্চা আগে কখনও হয় নি। এই কৃষক আন্দোলনগুলির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো শ্রমিক-কৃষক ঐক্য। ধারাবাহিকভাবে তারা যৌথ কর্মসূচি নিচ্ছে। কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে যেমন শ্রমিকরা সক্রিয়ভাবে শামিল হয়েছেন, ঠিক একইভাবে চার কালা শ্রম কোড বাতিলের দাবি তুলেছে কৃষক আন্দোলন।”
সর্বভারতীয় এই কৃষক আন্দোলন ধর্মঘট, রেলরোকো সহ গত একবছরে যা যা কর্মসূচি নিয়েছে তা সব এরাজ্যে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়। কৃষক, খেতমজুর, শ্রমিক সহ মেহনতি মানুষের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখযোগ্য। এই কর্মসূচিগুলি মূলত এই রাজ্যে সংহতিমূলক কর্মসূচি হিসেবেই থেকেছে। তৃণমূল মুখে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের কথা বললেও ওই সব কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতন চালিয়েছে বামপন্থী আন্দোলনকারীদের ওপর, মিথ্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
এরাজ্যে তৃণমূল সরকার কয়েক বছর আগেই কেন্দ্রীয় এক কালা কানুনের অনুরূপ কৃষি বিপণন আইন রাজ্যে চালু করেছে। এখানে মান্ডি ব্যবস্থা অতি দুর্বল। সরকারি শস্য সংগ্রহ পরিকাঠামো অপ্রতুল। যতটুকু আছে সেখানেও শাসকদলের মদতে ফড়ে, দালালদের রমরমা। কৃষকদের কাছ থেকে অতি অল্প দামে ফসল কিনে ওই ফড়ে-দালালরা সরকারি শস্য সংগ্রহ কেন্দ্রে একচেটিয়াভাবে তা বেচে। হান্নান মোল্লা বলছিলেনঃ “ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য ১৮৬৮ টাকা প্রতি কুইন্টাল, কৃষকের খরচ ২২৫০ টাকার মতো। দেশের অন্যান্য রাজ্যে মান্ডির বাইরে কৃষক ধান বেচে পায় কুইন্টালে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।” এ রাজ্যে অবস্থাটা আরও খারাপ। প্রতি কুইন্টাল ৮০০-৯০০ টাকায় কৃষক অভাবী বিক্রি করতে বাধ্য হয় ওই ফড়ে-দালালদের কাছে।কৃষক অভাবে মরে, আর কোটি কোটি টাকা লাভ করে শাসকদলের মদতপুষ্ঠ ওই ফড়ে-দালালরা। গ্রামের ৭০ শতাংশ কৃষক সরকারি শস্য ক্রয়ব্যবস্থায় নেই। আর কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নেই রাজ্যের ৫০ শতাংশ কৃষক। সরকার মানতে না চাইলেও এরাজ্যে গত দশ বছরে কয়েক হাজার কৃষক আত্ম্যহত্যা করেছেন। এই প্রেক্ষিতেই সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হলো - সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনের কর্মসূচিগুলিকে এরাজ্যে আরও বৃহৎভাবে সংগঠিত করতে হবে। যাতে তৃণমূল সরকারের কৃষকদরদি মুখোস উন্মোচিত করে দেওয়া যায়। তাই এইসময়ের জরুরি কর্তব্য হলো, কৃষক-খেতমজুরদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সংহতিমূলক কর্মসূচিগুলিকে জঙ্গি সংঘর্ষমূলক কর্মসূচিতে উন্নীত করা।
বিষ্ণুপুরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ৩৬ তম সম্মেলনের পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার ডাকে এবং অন্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে বেশ কয়েকটি আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিপিএমও’র রাজ্যব্যাপী পদযাত্রা, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জেল ভরো, ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে সিঙ্গুর থেকে রাজভবন অভিযান এবং শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পলাশী চিনিকলের জমি নিয়ে মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় আন্দোলন, আগস্ট মাসে রানি রাসমণি রোডে আত্ম্যহত্যাকারী কষক পরিবারদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এই কর্মসূচিগুলিতে কৃষক-খেতমজুর সহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষ বিরাট সংখ্যায় সমবেত হয়েছিলেন। সম্মেলন এই অভিমতেই পৌঁছেছে যে, কৃষকদের মধ্যে সার্বিক ঐক্য গড়ে তুলতে হলে কৃষক সভার আন্দোলন-সংগ্রামের স্বাধীন কর্মসূচির সংখ্যা বাড়াতে হবে; যৌথ কর্মসূচিতে পালন করতে হবে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের ভূমিকা।
বিগত সময়ে রাজ্যে কৃষক সভার নেতৃত্বে বেশকিছু সফল জমির আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে। বর্ধমানের বরশুল, হুগলির গোঘাট, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশিয়াড়িতে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সফল জমির আন্দোলনের অভিজ্ঞতার কথা প্রতিনিধিদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। প্রতিনিধিদের অভিমত হলো, রাজ্যের সর্বত্র না হলেও অনেক জায়গায় জমির আন্দোলন পরিচালনা করা সম্ভব। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৭০০ গ্রামে পদযাত্রা, ওই জেলারই ডেবরায় রেগায় দূর্নীতির বিরুদ্ধ কৃষক সভার আন্দোলনও এসময়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় গ্রামসমাজে দাগ কেটেছে।
আগামীদিনে নদীভাঙন রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবিতে নিবিড় প্রচার আন্দোলন এবং ধান-আলু-পাটের ন্যায্য দামের দাবি, রেগা’য় কাজ, সেচ-নিকাশি সহ আশু আদায়যোগ্য দাবিতে আন্দোলনে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার ঘোষিত হয়েছে সম্মেলনে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার মধ্যে আরও চারটি সংগঠন - পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পানচাষি সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ রেশম ও তসর চাষি সমিতি, সামাজিক ন্যায় মঞ্চ এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সঙ্ঘ আছে। এই সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরাও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা আলোচনায় অংশও নেন।
রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কোভিড মহামারী সত্ত্বেও ২০২০-২১ সালে প্রাদেশিক কৃষক সভার সদস্য সংখ্যা প্রায় কমে নি বললেই চলে। ওই বছর সদস্য সংগ্রহ হয়েছে ৪০,৬৮,৯২২; যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় (৪১,৫৪,৯১৭) সামান্য কম। বর্তমান বছরে সদস্য সংগ্রহের এই সংখ্যা অতিক্রম করে ৫০ লক্ষ্যেরও গন্ডি পেরনোর সংকল্প ঘোষণা হয়েছে সম্মেলনে।