E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ১১ সংখ্যা / ২৯ অক্টোবর, ২০২১ / ১১ কার্ত্তিক, ১৪২৮

পার্টির প্রতিষ্ঠা, বিধানসভা নির্বাচন ও পার্টি সম্মেলন

অরিন্দম কোঙার


।। এক ।।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও রয়ে গেছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর আশঙ্কা থেকে গেছে। তারই মাঝে শারদোৎসব। এইরকম সময়ে পড়েছে ১৭ অক্টোবর। ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই তারিখেই ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়। আর এখন ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর। ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। এক বছর ধরে আমরা শতবর্ষ উদ্‌যাপন করেছি। শতবর্ষের ইতিহাস চর্চা করেছি। এই এতগুলো বছর ধরে ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলন বহমান। ঔপনিবেশিক শাসনের ভারত থেকে উপনিবেশিক শাসন-মুক্ত ভারতে। এটা খুবই গর্বের।

।। দুই ।।

গর্ব আছে তো নিশ্চয়ই, তবে কিছুটা বেদনাও আছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটা ধারা কমিউনিস্ট আন্দোলন হয়ে উঠেছিল ঠিকই, কিন্তু ভারত ভাগ আটকানোর মতো জায়গায় যেতে পারেনি। স্বাধীন ভারতে একটা রাজনৈতিক শক্তি বটে, কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে তুলনামূলক বিচারে দুর্বল। স্বাধীন ভারতে দক্ষিণপন্থী শক্তির উত্থান আমাদের খুবই পীড়া দিচ্ছে। তাই নিয়মিত আত্মসমীক্ষা হচ্ছে, আত্মানুসন্ধান হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু গর্ব সব সময়েই থাকবে। গর্ব এইজন্য যে, কমিউনিস্ট আন্দোলনের লক্ষ্য গোটা সমাজের মুক্তি, শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মুক্তি। তার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রাম। যুগ যুগ ধরে চলে আসা শ্রেণিশোষণের অবসান ঘটানোর জন্য সংগ্রাম। শোষক শ্রেণিকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য সংগ্রাম। অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, শাসক শ্রেণির ভাবাদর্শের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। সুতরাং প্রতি পদে বাধা। খুন, জখম, মিথ্যা মামলা, জেল, জরিমানা, নিষেধাজ্ঞা। তার উপর আছে লাগাতার কুৎসা, অপপ্রচার। এতসব বাধা বিপত্তির মধ্যে কণ্টকাকীর্ণ পথে সমাজ বদলের জন্য সংগ্রাম গর্বের তো বটেই।

১৯৪৩ সাল। পরাধীন ভারত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম কংগ্রেস। ১৩৯ জন প্রতিনিধি। প্রায় ৭০ শতাংশ প্রতিনিধি এক বা একাধিকবার জেলে ছিলেন এবং জেলে থাকার মোট মেয়াদ ৪১১ বছর। ৫৩ শতাংশ প্রতিনিধি ৫৪ বছর আত্মগোপনে থেকে কাজ করেন। আবার ১৯৬৪ সাল। স্বাধীন ভারত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেস। ৪৮৫ জন প্রতিনিধি ও দর্শকের মধ্যে ৪৮২ জন প্রতিনিধি ও দর্শকের জেলে থাকার মোট মেয়াদ ১৩৪০ বছর ২ মাস ২০ দিন এবং আত্মগোপনে থেকে কাজ করার মেয়াদ ৮৪৮ বছর ১০ মাস ১৫ দিন। এই কংগ্রেসেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশের স্বাধীনতার জন্য, স্বাধীন দেশকে শোষণমুক্ত করার জন্য এই কষ্ট স্বীকার তো গর্বের বটেই।

।। তিন ।।

কিন্তু কমিউনিস্ট আন্দোলন যে দুর্বল তা অস্বীকার করা যায় না। সেই দুর্বলতা কাটানোর জন্যই তো মতাদর্শগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র আত্মপ্রকাশ হয়েছে। পার্টি তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মসূচি সময়োপযোগী করেছে। আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে তার অবস্থান স্থির করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্র ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করেছে। ২২টা পার্টি কংগ্রেস হয়েছে, ২৩তম কংগ্রেসের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। দু’টো কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্লেনাম হয়েছে।

।। চার ।।

বিচার করে দেখলে পার্টি অনেকগুলো বড়ো কাজই করেছে। পার্টির অগ্রগতিও কিছুটা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পার্টির মর্যাদাও বেড়েছে। কিন্তু মূল কাজ, পার্টি সংগঠনটাকে শক্তিশালী করে তোলার কাজ আশানুরূপ হচ্ছে না, এমনকী কোথাও কোথাও গণভিত্তির ক্ষয় হচ্ছে। ১৯৭৮ সালে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্লেনাম হয়েছে। গণবিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু গণবিপ্লবী পার্টি হয়নি। ২০১৫ সালে আবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্লেনাম আয়োজিত হয়েছে। গণলাইনসম্পন্ন বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৬ বছর হতে চল‍‌ল, সিদ্ধান্ত রূপায়ণ আশানুরূপ বলে মনে হচ্ছে না। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি বলেছেঃ ‘‘প্রধান যে বিষয়ের উপর আমাদের গভীরভাবে আত্মসমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন তা হলো আমাদের গণভিত্তির বিপুল ক্ষয় যা ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়ে অব্যাহত রয়েছে।’’ পর্যা‍লোচনা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছেঃ ‘‘কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, এতসব প্রতিবাদ আন্দোলন সত্ত্বেও নির্বাচনের ফলাফলে তার প্রতিফলন দেখা গেল না বা আমাদের গণভিত্তি ক্ষয়ের প্রবণতাকে বিপরীতমুখী করা গেল না।’’ তাই নির্বাচনী বিপর্যয়ের আমরা যে সব কারণ খুঁজে পাচ্ছি, তা ছাড়া হয়তো আরও কিছু কারণ থাকতে পারে, যার অনুসন্ধান আরও গভীরে করতে হবে। আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নির্ধারিত ২৩ তম পার্টি কংগ্রেসকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্তরের সম্মেলন আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে।

।। পাঁচ ।।

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বা‌মফ্রন্ট পরাজিত হয়। পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি নির্বাচনী ফল পর্যালোচনা করে রিপোর্টে দেখায় - ‘‘যে নেতিবাচক উপাদান ৩৪ বছর ধরে সঞ্চিত হয়েছে, তার মধ্যে কিছু আছে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক এবং সরকারি-প্রশাসন-পঞ্চায়েত-পৌর-অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নানা প্রশ্নকে ‍ঘিরে। এ বিষয়ে পার্টির পক্ষ থেকে ১৯৭৭ সাল থেকেই একটানা সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছিল। এইসব প্রস্তাব, সিদ্ধান্ত, বক্তব্যের সঙ্গে রূপায়ণের ফারাক ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় গণ-অসন্তোষ সঞ্চিত হয়েছিল, যা ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার জোট পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করেছে এবং তাদের পরিবর্তনের স্লোগানে বৃহত্তর অর্থে সাড়া পেয়েছে। ...আমাদের সভা সমাবেশের উৎসাহ-উদ্দীপনা যে আমাদের অনুগামী সমগ্র ভোটারদেরও ইতিবাচক সাড়ার প্রতিফলন নয়, এই মূল্যায়ন নির্বাচনী প্রচারের মাঝখানেও অনুভূত হয়নি। এই মূল্যায়ন এবং পূর্বানুমানে ঘাটতি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবার পরিচায়ক। সাধারণভাবে নেতা, কর্মী, সংগঠক ও প্রচারকদের দীর্ঘদিন ধরে যান্ত্রিক ও ত্রুটিপূর্ণ দায়িত্ব পালন ইত্যাদি দুর্বলতাও এর দ্বারা প্রকাশ পায়।’’ লক্ষণীয়, ‘‘এইসব প্রস্তাব, সিদ্ধান্ত, বক্তব্যের সঙ্গে রূপায়ণের ফারাক ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়’’ এবং ‘‘সাধারণভাবে নেতা, কর্মী, সংগঠক ও প্রচারকদের দীর্ঘদিন ধরে যান্ত্রিক ও ত্রুটিপূর্ণ দায়িত্ব পালন ইত্যাদি বছরের পর বছর ধরে সৃষ্ট এই দুর্বলতাগুলো কাটানোর জন্য পরবর্তীকালে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং তার অভিজ্ঞতা কী হচ্ছে - তার পর্যালোচনা করা আবশ্যক। আরও এইজন্য প্রয়োজন যে, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনী ফলের পর্যালোচনায় পার্টি মনে করে যেঃ ‘‘প্রধান যে বিষয়ের উপর আমাদের গভীরভাবে আত্মসমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন তা হলো আমাদের গণভিত্তির বিপুল ক্ষয় যা ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়ে অব্যাহত রয়েছে।’’ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট পায় ৭.৪৪ শতাংশ ভোট, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৫.৬ (সংযুক্ত মোর্চা-৯.৯৯) শতাংশ ভোট। লোকসভা ও বিধানসভা সব আসনে পরাজিত। অধিকাংশ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত। অবিশ্বাস্য কিন্তু বাস্তব। এমন অভিজ্ঞতা আগে আদৌ হয়নি। তাই কোনো আসনে জিততে না পারা, অধিকাংশ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া, ১০ শতাংশের কম ভোট পাওয়ার নির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্য কারণ বুঝে উঠতে অস্পষ্টতা থাকছে। এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনী পর্যালোচনার একটা অংশ উল্লেখ করা যেতে পারে। সেখানে আছেঃ ‘‘আমাদের শক্তিশালী রাজ্যে ভোটের অংশে ক্ষয় গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। রাজ্য কমিটিগুলির প্রাথমিক পর্যা‍‌লোচনায় বিষয়গুলি আগে বলা হয়েছে। যদিও এই পর্যালোচনাগুলির কোনোটিতেই ব্যাখ্যা করা নেই‍‌ কোন্‌ মনোভাব থে‍‌কে মূল শ্রেণিগুলি - শ্রমিকশ্রেণি, কৃষক এবং খেতমজুর - ভোট দিয়েছে। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং আমাদের বরাবরের সমর্থকদের একটি অংশের সরে যাওয়া, এই দুটি বিষয়ের গভীরতর পর্যালোচনা প্রয়োজন।’’ বর্তমান সম্মেলনগুলোতে এই কাজ আমরা কিছুটা করতে পারি।

।। ছয় ।।

ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলন অতীতে অনেক কঠিন ও জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। স্বাধীনতার আগে তো বটেই। আমরা যদি স্বাধীনতার পরই দেখি, তাহলে দেখতে পাই, কী কঠিন ও জটিল পরিস্থিতি ছিল, কী প্রতিকূল অবস্থা ছিল ১৯৪৮-৫১ সালে, ১৯৬২-৬৫ সালে, ১৯৭২-৭৭ সালে। পার্টি সাফল্যের সঙ্গে সেই সব পরিস্থিতি অতিক্রম করেছে। কত আক্রমণ, কত কুৎসা, কত উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রচার, পার্টির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত ও উত্তেজিত করার কত অপপ্রয়াস। কিন্তু পার্টি বিচলিত হয়নি, হতোদ্যম হয়নি। মতাদর্শগত সংগ্রাম চলেছে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, পার্টি সর্ববৃহৎ বামপন্থী দলে পরিণত হয়েছে, আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের মোকাবিলা করেছে, স্বৈরতান্ত্রিক শক্তির পরাজয় ঘটাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ-কেরালা-ত্রিপুরায় সরকার পরিচালনা করেছে বা করছে। দেশের অগ্রণী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ লিখেছেনঃ ‘‘একথা ঠিকই যে, সংখ্যার বিচারে ভারতীয় রাজনৈতিক চিত্রে মার্কসবাদী-লেনিনবাদীরা ক্ষুদ্র, সংখ্যালঘু। কিন্তু ভারতীয় মার্কসবাদী-লেনিনবাদীদের নির্বাচনী শক্তি যা-ই হোক না কেন, ভারতীয় রাজনীতিতে তাদের প্রভাব তার তুলনায় অনেক বেশি। একথা নিশ্চয়ই কেউ অস্বীকার করবেন না যে, ভারতীয় রাজনীতির তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে মার্কসবাদী-লেনিনবাদীদের অবদান অন্যসব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর থেকে স্বতন্ত্র।’’ (ভারতীয় রাজনীতির তত্ত্বগত ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের অবদান)।

পশ্চিমবঙ্গে এত বড়ো নির্বাচনী বিপর্যয় কেন? এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারছি না কেন? তাই ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনী ফলের পর্যালোচনা রিপোর্টে পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি নির্দেশ দিয়েছেঃ ‘‘জনগণের আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্বদানের ক্ষমতা আমাদের নিজস্ব শক্তি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সামর্থ্যের উপর নির্ভরশীল। এই অভিমুখে ২০০৮ সাল থেকে পার্টির সকল স্তরে আমরা যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি তার সবকয়টির যথাযথ পর্যালোচনা প্রয়োজন। এই ধারাবাহিক আত্মসমালোচনামূলক সমীক্ষা আমাদের অব্যাহত রাখতেই হবে। কেন আমরা পূর্ববর্তী গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে পারিনি তা আমাদের পরীক্ষা করে জানতে হবে। দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে। সে সকল দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে যাতে আমরা সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারি তার সবরকমের চেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।’’ পার্টির বর্তমান সম্মেলনগুলো আমাদের সেই সুযোগ কিছু করে দিয়েছে। গতানুগতিকতা পরিহার করে আমরা যদি সম্মেলনগুলো পরিচালনা করতে পারি, তা হলে সম্মেলনগুলো আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে এবং আগামী দিনে এগিয়ে যেতে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে।