৬১ বর্ষ ৮ সংখ্যা / ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ১১ আশ্বিন, ১৪৩০
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যর্থতা
জি সুবর্ণ
ডেঙ্গু এ’বছর বর্ষার শুরু থেকেই আমাদের রাজ্যে মহামারীর আকার নিয়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অবধি যেখানে মাত্র হাজার দশেক ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়েছিল রাজ্যে, এবছর তা ইতিমধ্যেই ত্রিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চিহ্নিত রোগী ত্রিশ হাজার হলে বুঝতে হয় চিহ্নিত-অচিহ্নিত মিলিয়ে মোট রোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও অন্তত দশগুণ। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গু সংক্রমণ এরাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী। ২০২০ ও ২০২১-এ লকডাউনের ফলে লোকজনের যাতায়াত কম থাকায় ডেঙ্গু কম হয়েছিল। ২০২২-এ দেশে মোট চিহ্নিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২,৩৩,২৫১, তার মধ্যে শুধু এরাজ্যেই ছিল ৬৭ হাজারের বেশি। অর্থাৎ গতবছর দেশে মোট চিহ্নিত ডেঙ্গু রোগীর ২৯ শতাংশই ছিল আমাদের রাজ্যে। এবছর সেই রেকর্ড ভেঙে যাবার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। বিগত দশ বছরের পরিসংখ্যান বলছে আমাদের রাজ্যে সারাবছরে মোট যত ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়, তার এক তৃতীয়াংশ শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ধরা পড়ে। ফলে আগামী এক-দেড় মাসে ডেঙ্গু সংক্রমণ কী ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছাতে চলেছে তা সহজেই আন্দাজ করা যায়।
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন মশার প্রজনন ক্ষমতা ও গড় আয়ু বাড়ছে, অন্যদিকে বহু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে, জলমগ্ন হচ্ছে, যা আগে হতো না। ফলে মশাবাহিত রোগ নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে সারা বিশ্বেই। ইয়োরোপের দেশগুলো মূলত একশো শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পরিস্রুত জল সরবরাহ নিশ্চিত করে, নিকাশি ব্যবস্থার সম্পূর্ণ আধুনিকীকরণ করে ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ধরনের রোগবালাইগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে অনেকটাই। এদেশে একের পর এক সরকার নতুন নতুন নামে প্রকল্প নিয়ে এসেছে, কিন্তু তার বাস্তবায়নে ঢিলেমি রয়ে গেছে। মনমোহন সিং সরকারের ‘নির্মল ভারত মিশন’ মোদি সরকারের আমলে মেয়াদ বাড়িয়ে, নাম বদলে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ হলেও এখনো অধিকাংশ পুরসভা ও পঞ্চায়েতে জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধরাই রয়ে গেছে। একবার মাত্র ব্যবহারের প্লাস্টিকের ব্যবসা অনিয়ন্ত্রিত। ফলে মশার বংশবৃদ্ধিও অনিয়ন্ত্রিত।
এরাজ্যে নানা গালভরা নামের প্রকল্প ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু হলেও বাড়ি-বাড়ি নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার চিত্র প্রকট। ১৭ জুন, ২০২১-এ প্রকাশিত ভারত সরকারের পানীয় জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন দপ্তরের ২০১৯-’২০ বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় মোট ১,৬৩,৩৫,২১০-টি বাড়ির মধ্যে মাত্র ২,১৪,৬৮৩টি বাড়িতে, অর্থাৎ ১.৩১ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জলসরবরাহ ছিল, যেখানে জাতীয় গড় ১৮.৩৩ শতাংশ। ফলে মানুষ বাড়িতে জল জমিয়ে রাখতে বাধ্য হয়। ভূগর্ভস্থ জল পাম্প দিয়ে তুলে ওভারহেড ট্যাঙ্ক ও আন্ডারগ্রাউন্ড জলাধারে জমিয়ে রাখা হয়, যেগুলি মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম উৎস।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ জাতীয় আয়ের শতাংশের বিচারে মাত্র ১ শতাংশ। মোট বরাদ্দের মাত্র ২০ শতাংশ খরচ হয় রোগ প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে। এই স্বল্প বরাদ্দ সত্ত্বেও ২০১১ সাল পর্যন্ত সরকারি স্তরে সুসংহত জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা ও রূপায়ণের ফলে মশাবাহিত রোগ অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে ছিল রাজ্যে। গত এক দশকে সরকারের সমস্ত দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় মানুষের সমষ্টিগত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব এরাজ্যে প্রকট। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক একটা শক্তিশালী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থাকায় ক্ষমতার প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ পরিলক্ষিত হতো, ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দিয়েই গ্রামের উন্নয়নের পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণ গ্রামের মানুষ সংসদ বসিয়ে করতেন, শহরের মানুষও ওয়ার্ড কমিটিতে বসে তা করতেন। অর্থবরাদ্দ করা হতো গ্রামের পাড়ায় পাড়ায়, শহরের মহল্লায় মহল্লায় সেই তৃণমূলস্তরের কমিটিগুলির ফাংশনিংয়ের জন্য। ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছিল, কোনো কোনো সূচক দেশের সর্বোৎকৃষ্ট ছিল। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া সহ নানা মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছিল। এখন ক্ষমতার অহেতু কেন্দ্রীকরণ, আমলানির্ভরতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব প্রতিপদে স্পষ্ট। ফলে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও রূপায়ণে মানুষের সমষ্টিগত অংশগ্রহণ দুর্বল বললেও কম বলা হয়, বরং অদৃশ্য। আমলাতান্ত্রিক ও অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা তাই বিফল হচ্ছে। ডেঙ্গুর বাহক সাদা-কালো ডোরাকাটা এডিশ মশা কৃত্রিম জলাধারে বা পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে, নর্দমায় বা অপরিষ্কার জলে নয়। অথচ লোক-দেখানো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের নামে কোটি টাকার গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে নর্দমায় ও পুকুরে। কোনো কোনো পুরসভার গাড়ি আবার রাস্তায় লোক-দেখানো কীটনাশকের ধোঁয়া ছেড়ে চলে যায়। এতে ফল হয় বিপরীত - বাইরের মশা ঘরে ঢুকে যায়। এডিশ মশা সাধারণত বাড়ির বাইরেই বিশ্রাম নেয় ও কামড়ায় - এটাই তার স্বভাব। কোথাও বা মাঝেমধ্যে মশা মারতে লোক-দেখানো ব্লিচিং পাউডার বা চুন ছড়ানো হচ্ছে। এ দুটোর কোনোটাতেই মশা মরে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি হলো নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার, এদিক-ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা চায়ের ভাঁড় বা কাপ, প্লাস্টিকের পাত্র বা প্যাকেট ইত্যাদি প্রতি সপ্তাহে ঝেঁটিয়ে সরিয়ে ফেলা, পাঁচিল-ঘেরা ফাঁকা প্লটে ও নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের ভিতর জমে থাকা বৃষ্টির জলে কীটনাশক স্প্রে করা, ছাদে ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক উপচে জল পড়লে তা পরিষ্কার করা, পার্কের ভিতর বা কমপ্লেক্সের ভিতর ফুলের টবে জমে থাকা জল সপ্তায় একদিন ফেলে দেওয়া ইত্যাদির উপর। এই কাজগুলি করবার জন্য ও পুর-এলাকায় বাড়ি-বাড়ি জ্বরের সমীক্ষা চালানোর জন্য দৈনিক ১৭৫ টাকা মজুরিতে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক পুরকর্মীরা প্রায় সকলেই শাসক দলের কর্মী। তাদের না থাকে কাজ করবার সদিচ্ছা, না থাকে সকলের বাড়িতে প্রবেশাধিকার ও গ্রহণযোগ্যতা। রাজনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করে পাড়ার কর্মনিষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য বেকার যুবক-যুবতীদের এই কাজে নিয়োগ করলে তা কার্যকর হতে পারত। পাশাপাশি এই কাজ যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য এবং তা করতে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাও লাগে। অথচ তারা দক্ষ শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত মজুরিও পায় না। অন্যদিকে পুরসভার স্থায়ীকর্মীর শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ। কর্মরত পুর ও পঞ্চায়েতকর্মী সহ এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা আর্থিক ও অন্যান্য নানা বঞ্চনা, অবিচার, দুর্নীতি ও অন্যায়ের শিকার। এক হতাশ, বিরক্ত ও বঞ্চিত কর্মীবাহিনীর পক্ষে কখনোই মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের মতো কাজ সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে করা সম্ভব নয়। প্রোমোটার-রাজের দৌরাত্ম্য ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাদের যোগসাজসে বেআইনি নির্মাণ বেড়েই চলেছে, যেখানে জল জমছে কিনা দেখার জন্য পুরসভা বা পঞ্চায়েতের কোনো নজরদারি নেই। আর এইসবের ফলে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়াতে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে। সবচেয়ে বেশি ভুগছেন প্রান্তিক মানুষ, গরিব মানুষ, যাঁরা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরেও অনেক সময় ভরতি হতে পারছেন না তাঁরা। ভরতি হলেও সামান্য জ্বরের ওষুধ, স্যালাইন তাঁদের কিনতে হচ্ছে। বেসরকারি ল্যাব ও হাসপাতালের চার্জ আকাশ-ছোঁয়া, সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
গোদের উপর বিষফোঁড়া, প্রশাসনের তথ্য গোপন করে ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য জানার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। কোথায় কতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, কতজনের বাড়াবাড়ি হলো, কতজন হাসপাতালে ভরতি হলো, তার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে কত, বেসরকারি হাসপাতালে কত, মোট কতজনের রক্ত পরীক্ষা হলো, কতজনের প্লেটলেট লাগল, কতজন মারা গেলেন, কোন এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে ইত্যাদি পরিসংখ্যান নিয়মিত জনসমক্ষে প্রকাশ করলে জনগণ সতর্ক হতে পারে, স্থানীয় সংস্থা, পুরসভা, পঞ্চায়েত সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে পারে। জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ডেঙ্গু-তথ্য রয়েছে। ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অন্য রাজ্যগুলো পেলেও এরাজ্য সেগুলি থেকে বঞ্চিত। পৃথিবীর ইতিহাসে তথ্য গোপন করে কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
সামনেই উৎসবের মরশুম। পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপ হবে, বাঁশ পোঁতা হবে, গর্ত হবে, জঞ্জালের স্তুপ বাড়বে, সেখানে জল জমবে। ফলে মশার ডিম পাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। গতবছর মোট যত ডেঙ্গু এরাজ্যে হয়েছিল, তার ৩০ শতাংশ ধরা পড়েছিল শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই। সুতরাং সহজেই অনুমান করা যায় যে, আগামী মাসে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হতে চলেছে, যদি না সরকার অবিলম্বে সদর্থক হস্তক্ষেপ না করে।
মানুষের স্বার্থে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যেসব কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে, সেগুলি হলো -
১। কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর সহ রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ও রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত মজুরিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্থানীয় বেকার ছেলেমেয়েদের স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরা ঠিকমতো কাজ করছেন কিনা তার উপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে।
২। পুর এলাকায় ও পুর এলাকা সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় অবিলম্বে রক্তপরীক্ষার কেন্দ্র বাড়াতে হবে। অন্তত প্রতি ওয়ার্ডে রক্তের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দিনের দিন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে হবে।
৩। বিজ্ঞানসম্মত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিকাশি নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত জঞ্জাল সাফাইয়ের পাশাপাশি সমস্ত বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
৪। ব্লক ও মহকুমাস্তরের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বাড়তি ফিভার ওয়ার্ড চালু করতে হবে।
৫। অবৈজ্ঞানিক, লোক-দেখানো পন্থা ছেড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পতঙ্গবিদদের পরামর্শ নিতে হবে।
৬। সমস্ত শূন্যপদে অবিলম্বে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
৭। সমস্ত হাইরাইজ বিল্ডিং ও অ্যাপার্টমেন্টের বন্ধ ফ্ল্যাটে জমা জলের উপর পুর-নজরদারি রাখতে হবে।
৮। প্রতিটি থানা এলাকায় পাঁচিল-ঘেরা খোলা স্থানগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে ফি-হপ্তায় লার্ভানাশক কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
৯। বস্তি এলাকায়, শ্রমিক মহল্লায় পর্যাপ্ত পরিস্রুত জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনো মানুষকে ঘরে জল জমিয়ে রাখতে না হয়।
১০। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত গাড়ি ও যন্ত্রাংশগুলোর উপর ছাউনি দিয়ে জল জমা আটকাতে হবে।
১১। ডেঙ্গু-সংক্রান্ত বিশদ তথ্যাদি সংবলিত বুলেটিন দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রকাশ করতে হবে।
১২। সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষার যন্ত্র, কিট, ও চিকিৎসার সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
১৩। বেসরকারি ল্যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার দর বেঁধে দিতে হবে।
১৪। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত করতে হবে।
ডেঙ্গু রুখতে গণ-সচেতনতা প্রসারের পাশাপাশি এই দাবিগুলোর সপক্ষে ব্যাপক গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।