৫৯ বর্ষ ২০ সংখ্যা / ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ / ১৫ পৌষ, ১৪২৮
জন্মশতবর্ষ পূর্তিতে স্মরণ
কনক মুখার্জি - এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক
কনীনিকা ঘোষ
বাংলা তথা দেশের মহিলা আন্দোলনে কনক মুখার্জি এক স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফ্যাসিবিরোধী যে মহিলা আন্দোলন এক দিক্চিহ্ন রেখেছিল তাকে উন্নত মতাদর্শের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে এক সুনির্দিষ্ট অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর কনক মুখার্জি। স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে তাতে ক্ষুরাধার ভূমিকা গ্রহণ করে পরবর্তীতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। মার্কসবাদী মতাদর্শে দীক্ষিত হয়ে মহিলাদের সংগ্রামে আমৃত্যু ছিলেন নিয়োজিত। মহিলাদের দাবি, মহিলাদের মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই চালিয়েছেন ঘরে বাইরে সর্বত্র, তাই কনক মুখার্জি এক উজ্জ্বল নাম, জন্মের শতবর্ষ পরেও তাঁর চিন্তার প্রতিধ্বনি তাই আজও অনুরণিত আমাদের সংগঠনের প্রতি ক্ষেত্রে।
কনকদি নিজের আত্মজীবনী ‘মনে মনে’-তে লিখেছেন স্কুলজীবনে তাঁর স্বদেশী আন্দোলনে প্রভাবিত হওয়ার কথা। বাড়ির পরিবেশ তাঁকে রাজনীতি করায় সাথ না দিলেও ছোটো থেকেই জেদী আত্মপ্রত্যয়ী কনকদি রাজনীতি করার তাগিদে কলকাতায় চলে আসেন। ছাত্র আন্দোলন থেকেই তাঁর রাজনীতি শুরু। রাজনীতিতে প্রভাবিত হওয়ার কথা লিখতে গিয়ে তিনি কেষ্ট বিনোদ রায়ের কথা উল্লেখ করেছেন যাঁর হাত ধরে তাঁর রাজনীতি শুরু। তিনি লিখেছেন - ‘‘কেষ্টদাদের বাড়িটাই ছিল রাজনীতির আখড়া।’’ - যখন স্কুল থেকে কেষ্টদাদের বাড়িতে যেতাম তখনই কেষ্টদা আমাকে পার্টি ও রণনীতির কথা বুঝিয়ে বলতেন। এভাবেই তিনি আমাকে রিক্রুট করেন। তাঁর কাছেই প্রথম মেয়েদের সম্পর্কে মার্কসবাদের ধ্যানধারণার কথা শুনে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। সেদিন মার্কসবাদের মৌলিক কথাগুলি কেষ্টদা যে ওজস্বিতার সাথে আমাকে বুঝিয়ে ছিলেন, নিপীড়িত মানুষ, বিশেষতঃ নারীদের প্রতি যে গভীর দরদ, আন্তরিকতা তাঁর কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল তা যেন আজও আমার কানে বাজে। এই আমার মার্কসবাদের প্রথম দীক্ষা। সেদিন যে পথের সন্ধান পেয়েছিলাম সেই পথে আজও হেঁটে চলেছি।’’ সত্যিই চিরকাল কনক মুখার্জি ছিলেন এ পথের পথিক। ১৯৩৭ সালে কনক মুখার্জি ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির সদস্যা নির্বাচিত হন। ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ছাত্রীদের সংগঠিত করার জন্য গঠিত হয়েছিল গার্লস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, তিনিই তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে কনক মুখার্জি ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী। শ্যামলী গুপ্তের একটি লেখা থেকে পাই: কনক মুখার্জি তাকে গল্পে গল্পে বলেছিলেন শ্রীমতী সরোজিনী নাইডু এলাহাবাদে গার্লস সুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। কনক মুখার্জির ঐ বাগ্মীতা পরবর্তী জীবনেও বজায় ছিল। রাজনীতি আর বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে আবেগের মিশ্রণে তাঁর ওজস্বিনী বক্তৃতায় মেয়েরা উদ্বেল হয়ে উঠত। একইসাথে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় বক্তৃতায়ও তিনি ছিলেন পারদর্শী।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পথের পথিক কনক মুখার্জি শ্রেণি সংগ্রামের দৃষ্টিতেই পরিচালিত করেছেন মহিলা আন্দোলনকে। মার্কসবাদে দীক্ষিত কনক মুখার্জি ছাত্র আন্দোলনেই ১৯৩৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ১৯৪১-৪৩ সালে আত্মগোপন অবস্থায়ও পার্টি গড়ার কাজে ব্যাপৃত ছিলেন। মুম্বাইয়ে তিনি তখন কেন্দ্রে কাজ করেন, সেই সময় মেয়েদের জন্য রাজনীতি আবার তা কমিউনিস্ট রাজনীতি! তা করতে আসা সহজ ছিল না তবুও সমস্ত রক্ষণশীলতাকে অতিক্রম করে বেছে নেন সংগ্রামের পথ। ১৯৪২ সালের ২২ জুলাই পার্টির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তিনি আত্মগোপন অবস্থা থেকে বাইরে এসে কলকাতায় আসেন, এবং এই সময় তিনি মহিলা সমিতি গড়ে তোলার কাজে যুক্ত হন। ১৯৪২ সালের ১৫ অক্টোবর কমিউনিস্ট নেতা সরোজ মুখার্জির সাথে বিয়ে হলে কনক দাশগুপ্ত, কনক মুখার্জি নামে পরিচিত হন। ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও মহিলাদের সংগঠিত করার চিন্তা থেকে গড়ে ওঠে ‘‘বঙ্গীয় প্রাদেশিক মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’’ - এই সমিতি গড়ারও অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল এই সমিতি। একদিকে যেমন এই সমিতি ত্রাণের কাজ করেছে অন্যদিকে কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামেও নেতৃত্ব দিয়েছে। কনকদিরা এ কাজে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন সাথে ছিলেন মনিকুন্তলা সেন, পঙ্কজ আচার্য, গীতা মুখার্জি, য়ুঁইফুল রায়, বেলা লাহিড়ী, বাণী দাশগুপ্ত প্রমুখ প্রবাদপ্রতিম নেতৃত্ব। ওই সময়ের প্রতিটি দিন ছিল সংগ্রাম মুখর। কনকদি নিজে লিখেছেন: ‘‘চল্লিশের দশকের এই মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি ও তার কার্যকলাপ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং নারী আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গবেষণার বিষয়। কারণ মহিলাদের এই গণসংগঠনটি যে শুধু সাংগঠনিক দিক থেকে ও কর্মসূচীর দিক থেকে অভূতপূর্ব ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল তাই নয়, এই সংগঠনটির নীতিগত ও মতাদর্শগত বৈশিষ্ট্য আমাদের দেশে নারী মুক্তি আন্দোলনের একটি বিশেষ দিক নির্দিষ্ট করেছিল। বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় ফ্যাসিবাদ-বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ দলমত নির্বিশেষে কংগ্রেস-কমিউনিস্ট-মুসলিম লিগ প্রভৃতি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মহিলারা, আবার শ্রমিক কৃষক মধ্যবিত্ত ও অভিজাতশ্রেণীর মহিলারাও একই মঞ্চে মিলিত হয়েছিলেন একসঙ্গে। পরাধীন দেশের যুগসন্ধিক্ষণে এরকম ব্যাপক মঞ্চের প্রয়োজন ছিল, তা সম্ভবও হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যাপক সংগঠনের মূলশক্তি ও উদ্যোক্তা ছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে দীক্ষিত কমিউনিস্ট মেয়েরা। তাঁদের সামনে ছিল সোভিয়েত রাশিয়া ও চীনের সংগ্রামী মেয়েদের উদাহরণ, সমাজতান্ত্রিক সমাজের নারী মুক্তির আদর্শ। নারীর সমানাধিকার ও শোষণমুক্তির সংগ্রাম যে সমাজের বৃহত্তর শ্রেণি সংগ্রামেরই অংশ এবং একমাত্র শ্রেণি শোষণহীন সমাজতন্ত্রেই যে নারীর পূর্ণ মুক্তি সম্ভব, সেটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠেছিল তাদের সামনে’’ - আর এই মহিলা আন্দোলনকে সংগঠিত করা, তাকে উন্নত করার প্রয়াসই তিনি করে গিয়েছেন।
১৯৫৮-৫৯ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি থেকে আত্মরক্ষা কথাটি বাদ যায় ও পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি হয়। ১৯৭০ সালে সমিতির অভ্যন্তরে মতাদর্শগত বিভেদের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১সালের ২০ জানুয়ারি গঠনতন্ত্র গৃহীত হয় ও নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। লক্ষ্য - গণতন্ত্র, সমানাধিকার, নারীমুক্তি। সমিতির গঠনতন্ত্র ও লক্ষ্য নির্ধারণে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৭৩ সালে চতুর্দশ সম্মেলন থেকে ১৯৮৩ সালে সপ্তদশ সম্মেলন পর্যন্ত কার্যকরী সভানেত্রী ছিলেন। ১৯৮৩ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তদশ সম্মেলন থেকে ২২তম সম্মেলন পর্যন্ত ছিলেন সংগঠনের সভানেত্রী। ১৯৮১ সালে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় মাদ্রাজে, কনক মুখার্জি ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। প্রথম সম্মেলন থেকে ১৯৯৮ সালের পঞ্চম সম্মেলন পর্যন্ত ছিলেন অন্যতম সহসভানেত্রী, তারপর থেকে আমৃত্যু ছিলেন অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।
১৯৩৮ সালের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ অর্জন করার পর ১৯৬৪ সালে পার্টি বিভক্ত হলে সিপিআই(এম)-এ যোগদান করেন। ১৯৭৮সালে পশ্চিমবঙ্গ পার্টির ত্রয়োদশ রাজ্য সম্মেলন থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৯ সালে পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেস থেকে ১৯৯৮ সালে ষোড়শ পার্টি কংগ্রেস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
বহু বিস্তৃত জীবনে ১৯৬৭-৬৯ সময়পর্বে কলকাতা পৌরসভার অল্ডারম্যান ছিলেন কনক মুখার্জি। তাঁরই আনীত প্রস্তাবে ১৯৪৯ সালের ২৭ এপ্রিল নারী শহিদ লতিকা-প্রতিভা-অমিয়া-গীতা স্মরণে বৌবাজার মোড় - কলেজস্ট্রিট সংযোগস্থলে তাদের শাহদাত বরণের স্থানে স্মৃতি স্মম্ভ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
কনক মুখার্জি ছিলেন বহু গুণের আধার। একদিকে যেমন ছিলেন বাগ্মী, সংগঠক অন্যদিকে তাঁর সৃজনশীল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন সাহিত্য, কাব্যরচনায়। নারী সমাজের প্রতি বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ছিল তীব্র, তীক্ষ্ম। অসাধারণ দক্ষতায় সংগঠন পরিচালনার পাশাপাশি করেছেন পত্রিকা সম্পাদনা। ১৯৬৮সাল থেকে ‘একসাথে’ চলেছে ঘড়ির কাঁটায়। এ কাজে তিনি লেখা আদায় করে তৈরি করেছেন অসংখ্য লেখিকা। ‘একসাথে’ তুলে ধরেছে এক সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক চেতনা যা বর্তমান মেয়েদের বাজারি পত্রিকার বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে সচেতনভাবে শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গির নিরিখে বিকল্প রাজনীতিকে প্রধান্য দিয়েছে। কনকদি তাঁর মার্কসবাদী আলোকে উন্নত মতাদর্শ নিয়ে লড়াই করেছেন পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। নারী আন্দোলনকে এই চিন্তাধারায় সম্পৃক্ত করেছেন তিনি; গড়ে তুলেছেন, শিক্ষিত করেছেন অজস্র নেতৃত্ব-কর্মীকে। রাজনীতি-শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি সবেতেই তাঁর সহজাত প্রতিভার অবদান শুধু নারী আন্দোলনকেই নয় সমৃদ্ধ করেছে রাজ্য তথা দেশের বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে। আজকের প্রজন্মে আমরাও কনকদির চিন্তাধারার জন্য, তাঁর অবদানের জন্য তাঁর কাছে ঋণী। ২০০৫ সালের ৯ মার্চ তিনি প্রয়াত হন। আজীবন তাঁর এই আপসহীন লড়াই-অবিচল আত্মপ্রত্যয় আমাদের শিক্ষা দেয় - অনুপ্রাণিত করে।
২০২১ সালে শুরু হওয়া তাঁর জন্মশতবর্ষ থেকে আজ এই একবছর ধরে আমরা গ্রহণ করেছিলাম নানান কর্মসূচি। বর্তমান প্রজন্ম যাতে তাঁর শিক্ষায়, তাঁর জীবনবোধে শিক্ষিত হতে পারে তাই রাজ্য-জেলায় জেলায় চর্চিত হয়েছে তাঁর জীবনচর্চা - তাঁকে সামনে রেখে মতাদর্শগত শিক্ষা শিবিরের আয়োজন হয়েছে। হয়েছে নানান ক্লাস - অনলাইন ও মুখোমুখি উভয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে কখনও বনানী বিশ্বাস, মালিনী ভট্টাচার্য কখনও মিনতি ঘোষ বা রেখা গোস্বামী-র মতো নেতৃত্বরা অথবা ডাঃ অরুণ সিং-এর মতো প্রথিতযশা চিকিৎসক ক্লাস নিয়েছেন, আলোচনা করেছেন। আজকের প্রজন্মও কনকদি-কে সামনে রেখে এই ধরনের কর্মসূচিতে সমবেত হয়েছে। আজ যখন এক বছর অতিক্রান্ত, ৩০ ডিসেম্বর আমরা মিলিত হচ্ছি শ্রমিক ভবনে, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। আলোচনাসভার বিষয় ‘‘আমাদের রাজনীতি ও মেয়েরা’’ - যা আলোচনা করবেন মালিনী ভট্টাচার্য এবং ‘‘বিকল্প সংস্কৃতির সংগ্রাম’’ - আলোচনা করবেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়। আসলে আজ যখন দেশ ও রাজ্যের শাসকশ্রেণি আমাদের ঐতিহ্যকে গুলিয়ে দিতে চায়, বামপন্থীদের অবদানকে অস্বীকার করতে চায় তখন কনকদিদের জীবনধারা আমাদের বামপন্থীদের গৌরবোজ্জ্বল অবদানকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে। তাই এই শিক্ষা নিয়ে পথ চলব আমরা, সমাজবদলের স্বপ্নকে স্বার্থক করেই প্রতিষ্ঠা করব সমানাধিকার - আর এই লড়াইতে কনক মুখার্জি আমাদের শিক্ষক, আমাদের প্রেরণা।
তাই কনকদি’র ভাষাতে আমরা বলতে চাই -
‘‘ঘুমায়ো না পারাবত, জেগে ওঠো দুঃসহ ব্যাথায়,
জেগে ওঠো শান্তিহীন, শরবিদ্ধ নীলকণ্ঠ পাখি।
রক্তঝরা দিগন্তের যন্ত্রণাবিক্ষত দেহ ছেয়ে
মেলে ধর প্রত্যয়ের গভীর প্রশান্ত দুটি পাখা।’’