৫৭ বর্ষ ৪৯ সংখ্যা / ৩১ জুলাই ২০২০ / ১৫ শ্রাবণ ১৪২৭
রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশায় জেরবার রাজ্যবাসী
চিকিৎসার অভাবে অসহায় মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে
চিকিৎসা না পেয়ে বনগাঁ হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে পড়ে থেকে মৃত্যু হলো রোগীর।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একটা সরকারের অজ্ঞতা, অকর্মণ্যতা, উদাসীনতা ও অপদার্থতার জন্য রাজ্যের দশা কী হতে পারে, করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে এখন সেটাই লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মোকাবিলায় এরাজ্যের তৃণমূল সরকারের সার্বিক ব্যর্থতায় চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকার উপলব্ধিই করতে পারছে না যে, তার কী করণীয়। এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে চরম দুর্বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সংক্রমণের তীব্রতা যেমন বাড়ছে, তেমনি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হলো, সরকারি অব্যবস্থায় চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা মাত্রা ছাড়াচ্ছে। প্রশাসনের গাফিলতি আর উদাসীনতায় মৃত্যুর পরেও নিকট আত্মীয় পরিজনদের ভোগান্তির শেষ নেই। বারবার জানানো সত্ত্বেও ২৪ ঘণ্টা ৪৮ ঘণ্টা মৃতদেহ পড়ে থাকছে বাড়িতে অথবা দেহ সৎকারের ক্ষেত্রেও নানা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত (৩০ জুলাই, ২০২০) রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫,২৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৪৯০ জনের।
রাজ্যে এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সত্ত্বেও সংবিৎ ফিরছে না রাজ্য সরকার, প্রশাসন, এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। সংবাদমাধ্যমে বিস্তর কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কতোটা দক্ষ! রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর কতোটা উন্নত ও সচল! কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীত চিত্রটাই প্রতিনিয়ত ফুটে উঠছে। স্বাস্থ্য দপ্তর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। সেই দপ্তর তো কোন্ ছাড়, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বধীন গোটা রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের যে কী হাল, তা ২৮ জুলাই সাপ্তাহিক লক ডাউনের দিন ঘোষণা নিয়েই বোঝা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী-প্রশাসন ও আমলাদের মধ্যে যে কোনো ন্যূনতম বোঝাপড়াও নেই, তা মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে বেআব্রু হয়ে পড়েছে। বিন্দুমাত্র আলোচনা, পরিকল্পনা না করেই যে মুখ্যমন্ত্রীর হঠকারি সিদ্ধান্তে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা পদে পদে প্রকট হয়ে উঠছে। এদিন নিজেদের বোঝাপড়ার অভাবে দু’দুবার সাংবাদিক সম্মেলন করে লকডাউনের দিন রদবদল করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে আগস্ট মাসের ৫, ৮, ১৬, ১৭, ২৩, ২৪ ও ৩১ তারিখ কমপ্লিট লকডাউন হবে রাজ্যে। এই সূচিও যে আবার পালটে যাবে না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। যাই হোক, এই একটা ঘটনার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায় কেমন অগোছালো, বিশৃঙ্খল ও দিশাহীন অবস্থায় চলছে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা না পেয়ে বেঘোরে প্রাণ যাবে এবং মৃত্যুর পর সময় মতো সৎকার হবে না, এটা যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ রাজ্যের নানা জায়গায় স্বাস্থ্য বিভাগের অমানবিক উদাসীন ব্যবস্থায় চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে একের পর এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ পড়ে থেকেছে ঘরে। যা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশাকেই তুলে ধরেছে। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আদৌ আছে কিনা - তা নিয়েই সংশয় জাগছে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাগাড়ম্বরের সীমা পরিসীমা নেই। সংবাদ মাধ্যমে তো অনবরত বুলি আওড়ে যাচ্ছেনই, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে তিনি দাবি করেছেন, এরাজ্যে নাকি বিনা পয়সায় দারুণভাবে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে! গত ২৭জুলাই ছিল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এই ভিডিয়ো কনফারেন্স। সেখানে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘‘আমাদের সরকারি কোভিড হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা টোটালটাই ফ্রি। বেড, মেডিসিন, ইনজেকশন - সব কিছু বিনে পয়সায়।’’ এসব বলার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বায়না ধরেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আপনি বিশ্বকে বলতে পারেন, আমাদের এখানে একটা রাজ্য আছে পশ্চিমবঙ্গ যেখানে সরকার বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা করছে।’’
এমনই নির্লজ্জ, মিথ্যায়ভরা দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর রাজ্যের বাস্তব অবস্থাটা কী তা প্রতিদিন প্রত্যক্ষ করছেন রাজ্যবাসী। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার দিকে দৃষ্টি দিলেই তার প্রমাণ মিলবে। ২৮জুলাই রাত আটটা থেকে ভোর পাঁচটা টানা নয় ঘণ্টা কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট আটটা হাসপাতাল ঘুরেও বাঘাযতীন এলাকার বাসিন্দা ৩৫বছরের পিয়ালী সরকারের চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি। এই আটটি হাসপাতাল ছাড়াও মহানগরের আরও পনেরোটি নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কোথাও বেড মেলেনি। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ অথচ প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা পিয়ালী সরকার এভাবেই খোদ কলকাতার বুকে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
২৬ জুলাই বনগাঁ হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে পড়ে মৃত্যু হয় মাধব দত্তের। তাঁরও প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল। বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে রেফার করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার নেহরু মেমোরিয়াল টেকনো গ্লোবাল হাসপাতালে। প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স পেতে অসুবিধা, পরে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেও অ্যাম্বুলেন্সে তোলার জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ, পাওয়া যায়নি একটি স্ট্রেচারও। তাঁর স্ত্রী আল্পনা দত্ত কোনোমতো তাঁর স্বামীকে ইমারজেন্সির সামনে আনতে পেরেছিলেন। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও কেউ মাধব দত্তকে তুলতে এগিয়ে আসেনি। তাঁর স্ত্রী অনেক হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি করলেও কেউ শোনেনি। শেষপর্যন্ত প্রবল শ্বাসকষ্টে ধুঁকতে ধুঁকতে মারা যান তিনি। করোনার আতঙ্কে তাঁকে স্পর্শ করেনি স্বাস্থ্যকর্মীরা, অথচ তাঁর সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা স্তম্ভিত করেছে রাজ্যবাসীকে।
হাওড়ার নলপুরের ৭বছরের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সন্তান কওসের হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে, রক্তের অভাবে বাবা-মার চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সন্তানের বাবা-মা নিজেদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
এভাবে যখন নিষ্ঠুর অমানবিক ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যে, তখন আবার মৃত্যুর পর মর্মন্তুদ ঘটনাও রাজ্যের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির উদাহরণ তুলে ধরছে। বেহালার সাহাপুর মেইন রোডের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু মৃত্যুর পর তাঁর দেহ বাড়িতে পড়ে থাকে প্রায় ১৫ঘণ্টা। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও তিনি বেড পাননি। তাঁর স্ত্রী সহ বাড়ির ৪ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা ছিলেন হোম আইসোলেশনে। সেখানেই মৃত্যু হয় গোপাল মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা বিদায়ী কাউন্সিলর থেকে স্বাস্থ্যভবন, থানা - একের পর এক জায়গায় যোগাযোগ করেও সাহায্য পাননি। এভাবেই মৃতদেহ পড়ে ছিল প্রায় ১৫ঘণ্টা। পরে তাঁর মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা হয়।
একইভাবে সোনারপুরে হোম আইসোলেশনে থাকা ৭১বছরের বৃদ্ধ জগন্নাথ ঘোষের মৃতদেহ সরানো হয় ১৮ ঘণ্টা পর। এর আগে ১জুলাই কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা ৭১বছরের মোহন মল্লিকের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ৪৮ঘণ্টা ধরে বাড়িতে ফ্রিজ ভাড়া করে রাখতে হয় পরিবারের সদস্যদের। এছাড়া উত্তর কলকাতার গৌরীবাড়িতে একটি মিস্টির দোকানে টানা ২০ ঘণ্টা পড়েছিল একটি মৃতদেহ।
এদিকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেও রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের কর্মী যাদবপুরের শ্যামাপল্লির বাসিন্দা মলয় দাস ৩০ ঘণ্টা পর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পান। তার আগে ৪৫ বার পরিবার থেকে ফোন করা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরে। প্রতিবারই নাম, বয়স, ঠিকানা লিখে ফোন রেখে দেওয়া হয়েছে। শেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ভর্তির সুযোগ মেলে। কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে তাঁর পুত্র নিয়ে যায় নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে।
জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের করোনা হাসপাতালের দুর্বিষহ অবস্থা নিয়ে গত ২৪আগস্ট ফেসবুকে পোস্ট করে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি। পরদিন নজিরবিহীনভাবে হাসপাতালের রোগীরাই বাইরে বেরিয়ে এসে হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।
রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই বেহাল দশার পরিণতিতে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মীর মৃত্যু ঘটছে। এমনকি কয়েকজন চিকিৎসকেরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে রাজ্যে। এগুলির মধ্য দিয়েই প্রমাণ মিলছে প্রধানমন্ত্রীকে বলা মুখ্যমন্ত্রীর দাবি কতটা অসার ও মিথ্যা।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিনা পয়সায় দারুণ চিকিৎসা হচ্ছে বলে বড়াই করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো, করোনার সুযোগ নিয়ে এরাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ব্যাপকহারে মুনাফা লুটছে। কোভিড রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়াই দুষ্কর। মেডিক্যাল কলেজে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর ছটফট করতে থাকা সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য মাকে আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দিতে হয়েছে হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে। একইরকম হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালেও। এসব হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ আকাশ ছোঁয়া। নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ। সরকারি হাসপাতালেও খরচ অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। এ অব্যবস্থার বিরুদ্ধে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বামপন্থীরা।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। এদিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিতেই বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে সরকার। বিগত চার মাসে রাজ্যবাসীর অভিজ্ঞতা, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ও করোনামুক্ত হওয়ার মধ্যে থাকছে আকাশপাতাল ফারাক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয়বার রিপোর্টের অপেক্ষায় না থেকেই পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। সরকার দাবি করছে, অযথা বেড আঁকড়ে থাকছে রোগীরা। এই কথা শোনা গেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি আরও অদ্ভুত তত্ত্ব দিয়েছেন যে, প্রচুর বাইরের মানুষ নাকি চিকিৎসার জন্য আসছে এরাজ্যে!
এছাড়াও বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠছে, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরি থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসছে। পরীক্ষা করিয়েও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না রোগীর পরিবার। অন্যদিকে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরাও।
এভাবে এরাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুর দশায়, চিকিৎসা বিভ্রাটে বিপর্যস্ত রাজ্যবাসী। সরকার-প্রশাসন নির্বিকার। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বুলির অন্ত নেই। এভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কে, অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন মানুষ - তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সরকারি অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা তৈরি না করে সরকার কেবল মানুষকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছে। মানুষের বিপদে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তৈরি আছেন। সরকার ব্যবস্থাপনা তৈরি করে বলুক কোথায় কী করতে হবে। আমাদের বামপন্থী স্বেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি আছেন।