E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা / ৩১ মার্চ, ২০২৩ / ১৬ চৈত্র, ১৪২৯

করপোরেট দখলদারির বিরুদ্ধে দেশ বাঁচাতে ৫ এপ্রিল দিল্লিতে মেহনতি মানুষের সংঘর্ষ মিছিল

সুপ্রতীপ রায়


৫ এপ্রিল দিল্লির বুকে রচিত হতে চলেছে নয়া ইতিহাস। সারা ভারত কৃষক সভা, সিআইটিইউ এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে ‘‘সংঘর্ষ মিছিল’’। এ লড়াই করপোরেট দখলদারির বিরুদ্ধে দেশকে বাঁচানোর লড়াই। এই কর্মসূচিকে ঘিরে প্রস্তুতির যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে মোদির ধংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের বার্তা দিতেই শ্রমজীবী মানুষেরা বিপুল সংখ্যাতেই দেশের রাজধানীতে আসছেন।

দেশকে করপোরেটদের হাতে সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার আয়োজন চূড়ান্ত। কৃষির বিভিন্ন আইনের পরিবর্তনের প্রচেষ্টা, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনীর পদক্ষেপ, বিভিন্ন শ্রম আইনের সংশোধনের আয়োজন আসলে করপোরেট সংস্থাগুলিকে অবাধ লুটের সুযোগ করে দেওয়া। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর করপোরেটদের আইন ভেঙে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। গত সাত বছরে করপোরেটদের ঋণ মকুব করা হয়েছে ১০.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। করপোরেট আর্শীবাদধন্য বিজেপি সরকারের আমলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গচ্ছিত আম জনতার কষ্টার্জিত টাকা লুট হবে আগামীতে। দেশের মানুষকে সর্বস্বান্ত করার আয়োজন সম্পূর্ণ।

উৎপাদকেরা আজ আক্রান্ত। অন্নদাতাদের কাছে বিপজ্জনক করপোরেট মালিকরা। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই বর্তমান সময়ে আদানি-আম্বানিরা আমাদের দেশের সমস্ত সম্পদ নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া। এই লুটের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সহায়তা করছে আরএসএস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

কিন্তু আমাদের দেশের শ্রমজীবীরা নির্বিবাদে এটা মেনে নিচ্ছেন না। আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের বড়ো অংশ কৃষিজীবী মানুষ। এখনও দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান বিরাট। গোটা কৃষিক্ষেত্রকে দখল করতে চাইছে করপোরেটরা। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে করপোরেট হামলার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন কৃষকরা। আন্দোলন গড়ে উঠেছে একেবারে গ্রাম থেকে। কৃষক সমাজের কাছ থেকে এত প্রতিরোধের মুখে যে পড়তে হবে তা বিজেপি আঁচ করতে পারেনি।

ভারতীয় জনতা পার্টি প্রবলভাবে করপোরেটপন্থী। করপোরেট-সাম্প্রদায়িকশক্তি গাঁটছড়া বেঁধেছে। প্রতিদিন গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। যদিও আদানি-আম্বানিদের মুনাফা বেড়ে চলেছে। গত একবছরে আদানির সম্পদ বেড়েছে ৫,৮৮,৫৮০ কোটি টাকা, আম্বানিদের সম্পদ বেড়েছে ৭৬,৭০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী এক বছরে ৪.৬ কোটি মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছেন। বিশ্বের দরিদ্র মানুষের প্রায় অর্ধেক বাস করেন ভারতে।

কৃষির সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কৃষকের ঋণগ্রস্ততা ক্রমবর্ধমান। কৃষি উপকরণসমূহের বেপরোয়া দাম বৃদ্ধি, ফসলের দাম না পাওয়া এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি থেকে প্রকৃত কৃষকের ঋণ না পাওয়ার কারণে কৃষক মহাজনি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছেন। কৃষক বিমার টাকা কার্যত কৃষকরা পাননা। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবি গ্রাহ্য করা হয় না। যদিও করপোরেট সংস্থাগুলির ঋণ মকুব করা হয়। কৃষি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকের সমস্ত ধরনের ঋণ থেকে মুক্তি দেওয়া জরুরি ছিল।

আমাদের দেশের অন্যতম ক্ষেত্র বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার। দেশের গরিব মানুষ এবং অন্নদাতাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের অধিকার খর্ব করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মোদি। অতিমারীর সময়ই আনা হয় বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল। আইন করে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে করপোরেটদের হাতে তুলে দেওয়াই লক্ষ্য। গরিব মানুষের উপর চড়া মাশুল বসানো হবে।

২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রমাণ করেছে - এই সরকার আসলে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে জোরালো প্রতিরোধের মুখে মোদিকে পড়তে হয়েছে। কৃষকদের পাশে শ্রমিকরাও দাঁড়ান। পিছু হটেন মোদি। ২০১৭ সাল থেকে ভারতে কৃষক ও অন্যান্য শ্রমজীবী অংশের মানুষ ধারাবাহিক সংগ্রামে আছেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের রাজধানীর সীমান্তে কৃষকরা এক বছর পনেরো দিনের ঐতিহাসিক সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। সারা ভারত কৃষক সভা, সিআইটিইউ এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃত্বে যৌথ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী প্রসারিত হয়েছে। বিভিন্ন কিষান সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনগুলি করপোরেট বিরোধী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছেন।

দীর্ঘ ৩৭৮ দিনের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কাছে হার মেনে তিন কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করে সমস্যা সমাধানের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো কর্যকর করেনি সরকার। কৃষক তথা শ্রমজীবীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি সরকার। কৃষি সংকট নিরসনে অগ্রসর না হয়ে কৃষকদের প্রতি প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এবছরের বাজেটে কৃষি ও গরিব মানুষের উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ হ্রাস করা হয়েছে। কৃষি সংকটের হাত ধরে খেতমজুরদের জীবনে সংকট নেমে এসেছে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও সংকট নামিয়ে আনা হয়েছে।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) আইন প্রণয়ন করা, লখিমপুর খেড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ি চাপা দিয়ে যে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছিল তার প্রতিকার, বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিল, সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, যে কৃষকরা আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন তাদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানেনি সরকার।

ফলে আরও জোরালো আন্দোলন ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার আন্দোলন। কৃষক-শ্রমিকদের আন্দোলন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিকে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা নিচ্ছে।

শুধু কৃষিক্ষেত্র নয়, শ্রমিকদের উপরেও ব্যাপক আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান আইনি সুরক্ষাগুলিকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশ যখন কোভিডের বিরুদ্ধে লড়ছিল তখন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক (৫ মে, ২০২০) বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছে বার্তা প্রেরণ করে বলেছিল, ‘‘...কোভিড-১৯ অতিমারী থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শ্রম সংস্কারে হাত দিতে বলা হচ্ছে। শ্রম আইনগুলির পরিবর্তনের ঘোষণার পিছনের উদ্দেশ্য ছিল করপোরেট শোষণের পথকে ও করপোরেট লুটের পথকে প্রশস্ত করা।’’

আমাদের দেশের ৯৫ শতাংশ শ্রমশক্তি অসংগঠিত। এদের কোনো নিরাপত্তা নেই। অথচ এদের নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়। আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে। শোষণ বাড়ছে তীব্র গতিতে। লক্ষ লক্ষ শিল্প বন্ধ হচ্ছে। কাজ হারিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। স্থায়ী সরকারিপদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে। নিয়োগ করা হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের। সরকার সামাজিক সুরক্ষার দায়িত্ব থেকে সরে আসছে। শ্রমজীবী মানুষের আত্মহত্যা বাড়ছে। বিগত আট বছরে কেবল এক লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই দৈনিক মজুরি প্রাপ্ত শ্রমিকদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪১,০০০।

এই অবস্থায় পথ একটাই - দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। রাজ্যে রাজ্যে দেশব্যাপী সে লড়াই ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে নাসিক থেকে মুম্বাই কৃষক লং মার্চ হয়েছিল। পাঁচবছর পর পুনরায় লং মার্চ হয়েছে। ১৪ দফা দাবি নিয়ে ১২ মার্চ নাসিক থেকে হাঁটা শুরু করেন কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়। এই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন আদিবাসীরা। এদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল - যে জমিতে যুগ যুগ ধরে চাষ করছেন তার পাট্টা, ফসলের ন্যায্যমূল্য, প্রাকৃতিক কারণে যে ফসল নষ্ট হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ, কৃষি ঋণ মকুব প্রভৃতি। বলা বাহুল্য এই সমস্ত দাবি সারা দেশের কৃষকদের।

২০২৩ সালে করপোরেট বিরোধী আন্দোলন যে আরও তীব্রতা লাভ করবে তার ইঙ্গিত মিলেছে ২০ মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েতের ঘোষণা থেকে। রামলীলা ময়দানের কিষান মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কৃষকরা জেদি, দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের পথে যাবেন। কিষান নেতারা পুনরায় মহাপঞ্চায়েতে ভাষণ দিতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সরকার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানেনি সরকার। আর কৃষকরা অপেক্ষা করতে পারে না। রামলীলা ময়দানের সমাবেশ থেকে কৃষক নেতারা কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে বলেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সময় সরকার যে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা মানতে হবে, নতুবা সরকারকে বড়ো আন্দোলনের মুখে পড়তে হবে। দিল্লির মহাপঞ্চায়েতে বিশাল জমায়েত হয়েছিল। মহাপঞ্চায়েতে কিষান নেতৃত্ব ঘোষণা করেন, এবার রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন হবে, অবরোধ হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ নভেম্বর দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজধানী শহরে সংযুক্ত কিষান মোর্চার আহ্বানে বড়ো বড়ো সমাবেশ ও রাজ্যের রাজধানীগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরুদ্ধ হবে। এবছর ২৬ জানুয়ারি সারা দেশে ট্রাকটর মিছিল, সমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিজেপি সরকারকে শ্রমজীবী মানুষের বিরোধী নীতি প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর, মজদুর-কৃষক মহা অধিবেশন থেকেই ৫ এপ্রিল দিল্লিতে ‘‘শ্রমিক-কিষান-কৃষি শ্রমিকদের’’ ঐতিহাসিক সংঘর্ষ মিছিলের আহ্বান জানানো হয়। শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরদের ঐক্যবদ্ধ এই সংঘর্ষ মিছিল বিকল্পের সন্ধান দেবে। ফ্যাসিস্ট শক্তির ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি পরাস্ত করতে গেলে শ্রেণি আন্দোলনকে তীব্র করতে হবে। সেকাজই করে চলেছে সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন। ৫ এপ্রিল ঘোষিত হবে - ভারতকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত ব্যর্থ করতে হবে, কোম্পানি রাজ প্রতিষ্ঠার গেম প্ল্যান সফল হবে না, ভারতকে লুটেরাদের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। আগামীদিনে এক নতুন ভারত গড়ে উঠবে। আন্দোলনের পথেই ২০২৪ সালে মোদিকে হটানো সম্ভব হবে।

৫ এপ্রিলের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ।


৫ এপ্রিল দিল্লি সমাবেশের দাবিসমূহ -

● মাসিক ২৬,০০০ টাকা ন্যূনতম বেতন এবং ১০,০০০ টাকা পেনশন নিশ্চিত করতে হবে। কাজের ঠিকা প্রথা বন্ধ করতে হবে। ‘‘অগ্নিপথ প্রকল্প’’ বাতিল করতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে।
● সমস্ত কৃষিপণ্যের আইনি ন্যূনতম মূল্য (c2+c2’র 50% হারে) ও সরকারি সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে।
● সরকার কর্তৃক ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের ঋণ এককালীন শোধ ও এদের সকলের জন্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে পেনশন নিশ্চিত করতে হবে।
● চারটি শ্রমকোড এবং বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল-২০২২ বাতিল করতে হবে।
● সকলের জন্য কাজ ও কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রেগা প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং বছরে ২০০ দিন কাজ ও ন্যূনতম দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত বকেয়া টাকা অবিলম্বে শোধ করতে হবে। ন্যাশনাল আরবান এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট অবিলম্বে চালু করতে হবে।
● রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও পরিষেবাকে বেসরকারিকরণ করা চলবে না। ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন বাতিল করতে হবে।
● দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ-সহ খাদ্যদ্রব্য ও সমস্ত প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের উপর থেকে কেন্দ্রীয় শুল্ক যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস করতে হবে।
● গণবণ্টন ব্যবস্থাকে সর্বজনীন করতে হবে। ১৪টি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
● আয়করের আওতার বাইরে সকল পরিবারকে খাদ্য ও আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।
● বনাঞ্চল অধিকার আইনকে কঠোরভাবে রূপায়ণ করতে হবে। ফরেস্ট কনজারভেশন অ্যাক্ট ও রুলের সংশোধনী (বিনা নোটিশে বনবাসীদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা) বাতিল করতে হবে।
● সমাজের প্রান্তিক মানুষের দমন-পীড়ন বন্ধ ও সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।
● সকলের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
● অতিধনীদের কর বৃদ্ধি করতে হবে। করপোরেট কর ও সম্পদ কর বৃদ্ধি করতে হবে।