E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

ট্রাম্প পরাজিত

নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন


নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বিস্তর নাটকের পর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ভারতীয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা লক্ষ করা গিয়েছিল মার্কিন মুলুকে। বিশ্বের অন্যত্রও এই নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ছিল। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরনের নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন তা মার্কিন সমাজসহ সারা বিশ্বেই উগ্র দক্ষিণপন্থাকে যেমন পুষ্ট করছিল তেমনি মার্কিন সমাজে বিভাজনকে তীব্রতর করে তুলেছিল। একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র অভিবাসী-বিরোধী, মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থান এবং শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদকে দেশের অভ্যন্তরে প্রশ্রয়দান মার্কিনী জনতার এক উল্লেখযোগ্য অংশকে যেমন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের অনুরাগী করে তোলে, অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক মানুষ তার চরম রক্ষণশীল ও বিদ্বেষমূলক নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। বিশেষত মহিলা,এশীয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত নাগরিক, হিসপ্যানিক জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা ট্রাম্পের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকায় আসা অভিবাসীদের শিশুসন্তানদের আলাদা করে খাঁচায় বন্দি করে রাখার মতো চরম অমানবিক ঘটনা ঘটেছে ট্রাম্পের নির্দেশে। মার্কিন মুলুকে জর্জ ফ্লয়েড নামক এক কৃষ্ণাঙ্গকে যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার হত্যা করে তার প্রতিবাদে গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ লক্ষ করা যায়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সংগঠিত ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন গোটা দেশে ট্রাম্প বিরোধী জনমতকে সংহত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থক চরম রক্ষণশীল,শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ও মৌলবাদী খ্রিস্টানরা প্রগতিশীল ও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পথে নেমেছে। এই তীব্র মেরুকরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।

করোনা অতিমারীর সময়ে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি ভোটে নির্ণায়ক ভূমিকা গ্রহণ করেছে করোনা অতিমারী নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। অতিমারীর শুরু থেকেই রোগ নিয়ন্ত্রণের বদলে বরং চীনের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচার এবং বৈজ্ঞানিক সচেতনতা প্রচারের বদলে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার দিকেই ঝোঁক ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের। এমনিতেই আমেরিকায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে এবং বিমানির্ভর হওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। এমতাবস্থায় ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশাসন যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে তা এককথায় নজিরবিহীন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও করোনা অতিমারীর সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন আমেরিকায়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে অবৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন ট্রাম্প এবং তার অন্ধ অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে আমেরিকাজুড়ে এবং এর দায় পুরোপুরি ট্রাম্প প্রশাসনের। করোনা অতিমারী মোকাবিলায় ট্রাম্পের ব্যর্থতা এই নির্বাচনে নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছে।

এবারের আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ ও হিসপ্যানিক ভোটাররা ব্যাপক সংখ্যায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সংগঠকরা এই নির্বাচনকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র জাতিবিদ্বেষী রাজনীতির প্রতি বৃহৎ অংশের আমেরিকানদের অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন। এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মরিস মিশেল বলেছেনঃ “We believed in the power of Black voters and Black organizers in our movement.” মার্কিন নির্বাচকমণ্ডলীর ১১শতংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার যাদের ৯০ শতাংশ জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে আমেরিকায় তীব্র সামাজিক বিভাজন লক্ষ করা গিয়েছে। জাতিগত, শিক্ষাগত এবং ভৌগোলিক অবস্থানগত পার্থক্য এত তীব্রভাবে সামনে চলে এসেছে যা কিনা বিগত গৃহযুদ্ধের পর আর কখনো দেখা যায়নি বলে অনেকে মনে করছেন। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলার সেন্টারের প্রেসিডেনশিয়াল স্টাডিজের ডিরেক্টর ঐতিহাসিক বারবারা পেরি বলেছেনঃ “Except for the Civil War, I don’t think we’ve lived through any time as perilous as this in terms of the divisions’’। মার্কিন সমাজে এই তীব্র বিভাজন ঘটেছে বিশ্বায়ন- পরবর্তী যে আর্থিক ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে চালু হয়েছে এবং ২০০৮ সাল থেকে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জনগণের ধূমায়িত অসন্তোষকে তীব্র দক্ষিণপন্থী শক্তি কাজে লাগাতে পেরেছে যার ফলস্বরূপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আমেরিকার শ্রমজীবী জনতার একটা বড়ো অংশের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। ট্রাম্পের সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠই শ্বেতাঙ্গ, যারা জাতিগত বৈষম্যের প্রশ্নে ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের সমর্থক। আমেরিকায় কর্মসংস্থানের যে সঙ্কট ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রেও তিনি আমেরিকার শ্রমজীবীদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন এবং সেক্ষেত্রে চীনের অর্থনৈতিক আধিপত্য খর্ব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।সন্দেহ নেই যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এহেন প্রতিশ্রুতিতে একটা বড়ো অংশের ভোটার প্রভাবিত হয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সমীক্ষা অনুযায়ী রিপাবলিকান পার্টির ভোটাররা মূলত অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়েই বেশি চিন্তিত অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভোটারদের ক্ষেত্রে বড়ো দুশ্চিন্তার বিষয় হয়েছে আমেরিকার সমাজে এবং পুলিশের অভ্যন্তরে তীব্র জাতিগত বিভাজন।স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও বেশি জনমুখী করবার জন্য ডেমোক্র্যাট দলের প্রচার বর্তমান স্বাস্থ্য সঙ্কটের সময় বড়ো অংশের ভোটারকে আকর্ষণ করেছে।ট্রাম্পের নীতির কারণে যে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে তাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি গুরুতর চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করেছেন ডেমোক্র্যাট ভোটাররা। অন্যদিকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নানারকম প্রতিশ্রুতি শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের বৃহদংশকে আকর্ষিত করেছে, এর সাথে উগ্র জাতীয়তাবাদী ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী প্রচার ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবারে যে বিষয়টি অত্যন্ত চমকপ্রদ সেটি এই যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোট শেষ হওয়ার আগেই তিনি নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে শুধু দিয়েছিলেন তাই নয়, পরবর্তীতে যখন তিনি দেখলেন যে ভোটের ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে যাচ্ছে তখন তিনি ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন।এছাড়া আইনিব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও তিনি দিয়েছেন। এই বিষয়গুলি আপাতভাবে খুবই আশ্চর্যজনক বলে মনে হলেও ট্রাম্প যে ধরনের রাজনীতি করেন সেক্ষেত্রে এই আচরণ অপ্রত্যাশিত নয়। বরং ট্রাম্প এহেন অভিযোগের আগাম ভিত্তি প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। তিনি ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া ভোটের যথার্থতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ আগে করেছিলেন কারণ তাঁর আশঙ্কা ছিল যে, তাঁর বিরোধী ভোটাররা এই পদ্ধতিতে আগেই ভোট দিয়ে দেবে। তাই তিনি ষড়যন্ত্র ও কারচুপির অভিযোগ তোলেন। এতে যে আখেরে মার্কিন গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রশ্ন চিহ্ন তোলা হচ্ছে সে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন্তিত নন, বরং তিনি তাঁর আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখাকেই রাজনৈতিকভাবে যথাযথ ও জরুরি বলে মনে করেন। তাই রাস্তায় নেমে হাঙ্গামা করে জো বাইডেনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে ট্রাম্পের দলবল।

এ বছরে আমেরিকায় ভোটদান গত ৫০বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ৬২শতাংশ ভোটদাতা ভোট দিয়েছেন। ভোটের দিনের আগেই ১০ কোটি ভোট পড়ে গিয়েছে মেইল ইন ভোটের মাধ্যমে। তবে ভোটের শতাংশ বৃদ্ধি কোনো এক প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে এমন নয়। অনেকক্ষেত্রে ট্রাম্প যে সমস্ত প্রদেশে জিতেছেন সেখানেও প্রচুর পরিমাণে ভোটদান বেড়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ট্রাম্প যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সময়ে এবং সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন তা নিঃসন্দেহে আমেরিকার রাজনীতিতে এক ভীষণ নেতিবাচক উপাদান যুক্ত করেছে। তবে সারাবিশ্বে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির যে উত্থান ঘটেছে তার সাথেই সাযুজ্যপূর্ণ ট্রাম্পের মতো রাজনীতিবিদের প্রতি এক বিরাট অংশের মানুষের জনসমর্থন। ট্রাম্পকে নিয়ে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরাও বারে বারে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। এদেশের বুকে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজক নরেন্দ্র মোদী আমেরিকায় ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রকাশ্যেই ট্রাম্পকে বিজয়ী করবার জন্য বার্তা দেন প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে। বিশ্বজুড়ে তীব্র দক্ষিণপন্থীদের কাছের মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরাজয় তাদের যে কিছুটা বিমর্ষ করবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।যদিও ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তবুও তাঁর ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে সমর্থন করবার মতো মানুষের সংখ্যা মার্কিন মুলুকে বিপুল যা কিনা আগামী দিনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর সহযোগী কমলা হ্যারিসকে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলতে পারে।

নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জো বাইডেন আমেরিকার সমাজে যে বিভাজনের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তাকে নিরাময়ের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে এই ক্ষত অত্যন্ত গভীর ও প্রাচীন যার শিকড় রয়েছে আমেরিকার সমাজে মানুষের উপর মানুষের শোষণ এবং বর্ণবৈষম্যবাদকে শতকের পর শতক ধরে লালন করার ভিতরে। ট্রাম্পের উত্থান এই বিভাজনকে গভীরতর করেছে।

আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটবার কোনো সম্ভাবনা আগামী দিনে নেই,থাকার কথাও নয়। বারাক ওবামা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অনেকে উচ্ছ্বসিত হলেও সারা বিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসী অবস্থানের কোনরকম পরিবর্তন ঘটেনি, যুদ্ধ ও পরদেশ লুণ্ঠনের কাজ চালিয়ে গেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হলেও সে দেশের দ্বিদলীয় রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থী নিয়ন্ত্রণ এখনও অত্যন্ত শক্তিশালী।তবে আমেরিকার রাজনীতিতে রুপোলি রেখার মতো বার্নি স্যান্ডার্সের যে উত্থান সাময়িক সময়ের জন্য ঘটেছিল তা আগামীদিনে আমেরিকার রাজনীতিতে সমাজকল্যাণমূলক ধারণাকে কতটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে তা সময় বলবে।

এদিকে নির্বাচনের সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে নারাজ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি আবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, আসল ভোটগণনা আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে এবং এবং তিনি নাকি আবার ফিরে আসছেন। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্যুইট করে জানিয়েছেনঃ ‘‘WE WILL WIN! WE ARE MAKING BIG PROGRESS. RESULTS START TO COME IN NEXT WEEK. MAKE AMERICA GREAT AGAIN!’’ রিপাবলিকান পার্টির পূর্ণ সমর্থন আছে ট্রাম্পের প্রতি। বিভিন্ন রাজ্যে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আইনি লড়াইয়ের চেয়েও ট্রাম্প হয়তো বেশি জোর দিচ্ছেন তাঁর বিপুল সংখ্যক সমর্থকদের কাছে এই বিকল্প বাস্তব তুলে ধরতে যেখানে তিনিই প্রকৃত বিজয়ী। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন তীব্র দক্ষিণপন্থী মিডিয়া সেই ‘পোস্ট-ট্রুথ’কে গ্রহণযোগ্য করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসের কুড়ি তারিখ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। ততদিন পর্যন্ত আমেরিকার রাজনীতি কোন্ পথে গড়ায় সেটাই দেখার।