E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

এক বিশেষ আমেরিকানের চোখে ৯-১১

দেবেশ দাস


(২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক শহরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিল্ডিং-এর দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ল বিমান হানায়। সন্ত্রাসবাদী সেই হামলার ঘটনার এই সেপ্টেম্বরে হলো ২০ বছর পূর্তি। ১৮ বছরের এক আমেরিকান যুবক কীভাবে সেদিনের ঘটনা দেখেছিলেন এবং তা নিয়ে পরে তাঁর মূল্যায়ন কী হয়েছিল তা তাঁর নিজের কথাতেই বলা হলো)।

কাজ করছিলাম। আচমকা ফোন এলো আমার বসের কাছে। ফোনে কথা বলতে বলতে তাঁর চোখে মুখে আতঙ্ক। সংবাদ খুললেন কম্পিউটারে - ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিল্ডিং-এর একটি টাওয়ার ভেঙে পড়েছে বিমান হানায়। কিছুক্ষণ পর, আরেকটা। বস বললেন - ‘‘তুমি বাড়ি চলে যাও, নইলে হয়তো আর ফিরতে পারবে না’’। ছুটে বেরোলাম। মানুষ ছুটছে, চারিদিকে আতঙ্কের প্রাচীনতম রূপ - হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা। রাস্তায় মানুষের তীব্র চিৎকার, সবার ফোন বাজছে, গাড়ি পার্কিং-এর জায়গায় গাড়িগুলির এক্সেলেটরে চাপের শব্দ, সবাই চেষ্টা করছে পার্কিং-এর জায়গা থেকে রাস্তায় নামতে। গোয়েন্দা দপ্তরগুলির অফিস খালি করে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোই কী পরবর্তী লক্ষ্য? খবর এলো, চতুর্থ বিমান ছিনতাই হয়েছে, এ যেন শুধু একটা বিমান ছিনতাই হচ্ছে না, ছিনতাই হচ্ছে হোয়াইট হাউস (আমেরিকার রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ)। আতঙ্কের মধ্য দিয়ে কীভাবে যে বাড়ি ফিরলাম তা সারা জীবন মনে থাকবে।

চাকরি সূত্রে বাবা সেদিন ছিলেন উপকূল রক্ষীবাহিনীর হেড কোয়ার্টারে। বিমান হানার খবর পাওয়ার পর তাঁর তিন সমকক্ষ অফিসার নিয়ে একটি ঘরে বসে টিভিতে সংবাদ দেখছিলেন। এক জুনিয়র অফিসার দৌড়ে এসে বললেন, ‘‘ওরা পেন্টাগনে বোমা মেরেছে’’। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! আমেরিকার সামরিক হেড কোয়ার্টারে বোমা! সবার চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছায়া দেখে তিনি আবার বলেন - ‘‘সত্যি বলছি, ওরা এইমাত্র পেন্টাগনে বোমা মেরেছে’’। বাবার অফিস থেকে পেন্টাগনের জায়গার কিছুটা দেখা যায়। বাবা জানালা খুলে দেখলেন যে, কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে উপরের দিকে উঠছে (পেন্টাগনে বিমান আছড়ে পড়েছিল)। বাবা প্রতিবার যখন এই গল্পটা আমাকে করতেন, আমার কানে বাজত এই কথাটা - ‘‘ওরা এইমাত্র পেন্টাগনে বোমা মেরেছে’’। প্রতিবারই আমি ভাবতাম - ‘‘ওরা’’? এই ‘‘ওরা’’ কারা?

সেই মুহূর্ত থেকে আমেরিকা বিশ্বকে ‘আমরা’ আর ‘ওরা’ দু’ভাগে ভাগ করে দিল। ৯-১১-র ধ্বংসস্তূপ থেকে যখন ধোঁয়া বেরোচ্ছে, মনে আছে, সেই সময়েও রাষ্ট্রপতি বুশ বলেছেন - বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, হয় ‘আমাদের পক্ষে’, নয় ‘আমাদের বিপক্ষে’। দলে দলে লোক সেদিন আমেরিকার নতুন পতাকা কিনে টাঙাচ্ছে, নিজেদের ‘পক্ষ’-কে বোঝাতে চায়। চারিদিকে ব্যানার - ‘আমরা একসাথে আছি’, ‘ভুলো না, আমাদের একসাথে থাকতে হবে’। কোথাও কোনো মতভেদ যেন না থাকে, সবাই হোক দেশের নেতাদের পক্ষে।

১২ সেপ্টেম্বর শুরু হলো নতুন যুগের সূচনা। দেশপ্রেমের পুনরুজ্জীবনের ঢেউ। সারা বিশ্বের শুভেচ্ছা-সহানুভূতি। সব মিলিয়ে অনেক শক্তিশালী আমেরিকা। ঘরে বাইরে এই প্রবল সমর্থনের সু্যোগ নিয়ে আমেরিকা অনেক কিছু করতে পারত। সন্ত্রাসকে ধর্মীয় তত্ত্ব হিসাবে খাড়া না করে একে অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে পারত (ঘটনার পর মুসলিমদের উপর বিষোদ্গার করা হয়)। এই দুর্লভ সংহতির মুহূর্তকে ভালো কাজে লাগানো যেত। বিশ্বের জনগণের গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ও তাঁদের সাংস্কৃতিক সহনশীলতাকে আরও শক্তিশালী করা যেত।

কিন্তু আমেরিকা, সেসব পথে হাঁটল না, সে গেল যুদ্ধে।

তখন আমি এই যুদ্ধকে সমর্থন করেছিলাম প্রশ্নাতীতভাবে। আমি ছিলাম ভীষণ ক্ষুব্ধ। মিডিয়াগুলি যা বলছে তা আমি সব সত্যি বলে ভাবলাম, আমি সেগুলিই প্রচার করতে শুরু করলাম। আমি মুক্তিদাতা হতে চাই। আমি নিপীড়িতদের মুক্তি দিতে চাই। রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য যে সত্যকে খাড়া করা হয়েছে আমি তাকেই আঁকড়ে ধরলাম। প্রতিশোধ নেওয়ার এক ইচ্ছুক যন্ত্রে আমি পরিণত হলাম। সেই প্রতিশোধ নিতেই আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

কিন্তু সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হাইস্কুল ডিপ্লোমা (ভারতে উচ্চমাধ্যমিক)। সেটা আমি পাশ করিনি। কিন্তু সময়টা অন্য, সেনাবাহিনীতে প্রচুর লোক চাই, বিশেষত টেকনিক্যাল লোক, সেখানে একটু কম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও তখন নিয়ে নিচ্ছে। আমার টেকনিক্যাল আগ্রহ ছিল প্রবল, কম্পিউটার নিজেই অনেকটা শিখেছিলাম। আমার সেই আগ্রহ ও তাতে একটু-আধটু দক্ষতা দেখে সেনাবাহিনী আমাকে নিয়ে নিল। ওদিকে ছেলে যুদ্ধে যাবে বলে মা কেঁদে আকুল। বাবারও ঘোরতর আপত্তি। একটা ছোটো চিরকুটে ‘সরি, ড্যাড’ লিখে বাবার ঘরের দরজার তলা দিয়ে গলিয়ে আমি পালিয়ে গেলাম দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে।

সেনাবাহিনীতে আমার ব্যাচে সবাই ১৮ বছর বয়স, উত্তেজনায় সব ফুটছে। প্রত্যেকেই নিশ্চিত যে, ওসামা বিন লাদেনের সাথে তাঁর দেখা হবে, আর দেখা হলে কীভাবে তার মুণ্ডু কাটা হবে, বা নপুংসক করে দেওয়া হবে, সেইসব নানা কল্পনা। আর তার সাথেই আছে সেনাদের কুচকাওয়াজ -
লেফট-রাইট, লেফট-রাইট, লেফট-রাইট, লেফট।
জঙ্গি গেছে মরুভূমি, তাকে ধরো নেক্সট।
ছুরি খোলো, বন্দুক তোলো, খুন করো খুন।
আমার দেশের সাথে চালাকি? নির্বোধ, নির্গুণ।
লেফট-রাইট, লেফট-রাইট, লেফট-রাইট, লেফট।
জঙ্গি লুকায় গুহার মধ্যে, তাকে ধরো নেক্সট।
গ্রেনেড ছোড়ো ওর ভিতরে, খুন করো খুন।
আমার দেশের সাথে চালাকি? নির্বোধ, নির্গুণ।


আমার ইচ্ছা, মরুভূমির পর মরুভূমি আমি ওসামাকে তাড়া করে বেড়াব। তারপরে ওকে মারব। কিন্তু আমার সে শখ পূরণ হলো না। একটি দুর্ঘটনায় আমার পা ভেঙে গেল। ডাক্তার বলল, সেনাদের এই ১৮ বছরের ব্যাচটায় তার আর যোগ দেওয়া চলবে না। সারা জীবন এই দুর্ঘটনাজনিত চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। চাকরিও থাকবে, সেনাবাহিনীর অফিসে কোনও কেরানি বা মেকানিকের চাকরি, কিন্তু যুদ্ধে যাওয়া চলবে না। যদি দেশের শত্রুদের নিজের হাতে মারতেই পারলাম না, তবে আর সেনাবাহিনীতে থেকে লাভ কী? বেরিয়ে এলাম সেনাবাহিনী ছেড়ে।

কিন্তু চাকরি একটা করতে হবে। আমার পূর্বপুরুষরা কয়েক জেনারেশন ধরে সরকারি চাকরি করে দেশ সেবা করেছেন। আমারও ইচ্ছে দেশ সেবা করা, তবে চাকরি চাই গোয়েন্দা দফতরে, তাদের দু’টি সংস্থার কোনো একটায় - ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) বা সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। আমার দেশের শত্রুদের ফন্দি-ফিকির আমি খুঁজে বার করতে চাই। এই সংস্থাগুলি এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করে। সেই এজেন্সিতেই আবেদন করে ২২ বছরে চাকরি পেয়ে গেলাম এনএসএ-তে, সেনাবাহিনীর সার্টিফিকেটটা কাজে লেগেছিল। আমার পোস্টিং হলো মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী হিসাবে, তলে তলে আমি এক গোয়েন্দা।

কিন্তু কাজটা বোরিং, রাত পাহারা দেওয়া। আমার কম্পিউটারের কাজ পছন্দ। সিআইএ, এনএসএ-র কম্পিউটারের কাজ করে ব্রিটিশ এরোস্পেস। ব্রিটিশ এরোস্পেসের হয়ে লোক নিয়োগ করে কমসো কোম্পানি। কমসোতে আবেদন করলাম। ইন্টারভিউ দিয়ে বুঝলাম, ব্রিটিশ এরোস্পেসে চাকরি হতে যাচ্ছে। ইন্টারভিউ যিনি নিলেন তাঁর শেষ কথাটার জন্য আমি একদম প্রস্তুত ছিলাম না। বললেন - তোমার চাকরি হলো সরাসরি সিআইএ-তে, যোগ দিতে হবে সিআইএ-র হেড অফিস ভার্জিনিয়ায়। সেখানে কম্পিউটারের কাজ।

এরপর ২০০৯ সালে বদলি হলাম জাপানে, এবার এনএসএ-তে। সেখানে কাজ হলো এনএসএ এবং সিআইএ-র যত কম্পিউটার আছে তার দেখভাল করা, জাপানে এনএসএ এবং সিআইএ-র কম্পিউটারগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জোরদার করা। সেখানে কম্পিউটারে কাজ করতে করতে একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে একটি কম্পিউটারের ফাইল পেয়ে গেলাম হঠাৎ। ‘টপ সিক্রেট’। ফাইলে লেখা আছে যে, প্রতিটি মানুষের মোবাইল, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ায় কথাবার্তা চিরকালের জন্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিটি মানুষের মেটা ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মেটা ডেটা মানে প্রতিদিন লোকটা কোথায় কোথায় গেল, কার সাথে দেখা করলো, কাকে কতক্ষণ ফোন করলো, কখন ঘুমালো, কখন জাগলো, কাকে ই-মেল পাঠাল, কী ধরনের কম্পিউটার থেকে পাঠাল, কম্পিউটারের মালিক কে, কম্পিউটারটি কোথায় ছিল, সেই ই-মেল-কে কখন দেখল, ইত্যাদি। কম্পিউটারে একটি মাত্র ক্লিকেই যে কোনো মানুষের সারা জীবনের তথ্য পেয়ে যাবে সরকার। শুধু আমেরিকানরা নয়, সারা পৃথিবীতে যাঁরা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের বেশিরভাগ লোকজনের উপর চলছে আমেরিকার নজরদারি, কারণ পৃথিবীতে ইন্টারনেট পরিকাঠামোর ৯০ শতাংশ আমেরিকার দখলে।

সব দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই সরকারের উপর ভরসা করেছে, প্রতিদানে সন্ত্রাস হানার অজুহাত দিয়ে সরকার এখন তাঁদের সকলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে, দেশের একটা মানুষকেও সরকার বিশ্বাস করে না, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে। আদালতে দাঁড়িয়ে এই সমস্ত ব্যাপারে সরকার এতদিন ডাহা মিথ্যা কথা বলে এসেছে। যে ফাইলটা পড়েছিলাম, তার পরতে পরতে যা লেখা ছিল, তাতে দেশের সংবিধান, আইনকানুনকে কিভাবে পুরো বুড়ো আঙুল দেখাতে হবে তা বলা আছে। আমি সরকারের গোয়েন্দা দফতরে কম্পিউটার বিভাগে কাজ পেয়ে নিজের জীবনকে ধন্য মনে করেছিলাম, যাতে দেশের শত্রুদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে পারি, আমি এখন দেখছি যে, আমার দেশের গোয়েন্দা দফতর আসলে দেশের মানুষের উপর গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছে। সব কিছু জেনে আমি বিধ্বস্ত। আমি দেশকে ভালবাসি, দেশের সংবিধান আমার কাছে পবিত্র, যে সংবিধান ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে। এখন দেখছি দেশ আর সরকার এক নয়। একটা country, আরেকটা state। দেশের সংবিধান ছিনতাই হচ্ছে সরকারের কর্তাদের হাতে।

২০১১-তে আবার বদলি হয়ে এলাম আমেরিকায় সিআইএ-তে। ২০১১ সালের ১ মে আমার মোবাইলে একটা খবর এলো ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি খুশি - বদমাইশটা মরেছে। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যে সন্ত্রাসের হানা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও বড়ো সন্ত্রাস এই দশ বছরে হয়েছে - মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর আক্রমণ। ওসামা বিন লাদেনকে শিক্ষা দিতেই নাকি আফগানিস্তান, ইরাকে বোমার পর বোমা, দেশে দেশে ড্রোন দিয়ে নির্দিষ্ট মানুষকে হত্যা, এমনকী আমেরিকানদেরও। ৯-১১-তে আমেরিকায় বিমান হানায় মারা গেছে ৩০০০ জন, কিন্তু তার বদলা নিতে আমেরিকা মেরেছে প্রায় ১০ লক্ষ।

সেদিন দেশের শত্রু ইরাক, আফগানিস্তানের উপর আমেরিকান সেনারা বোমা ফেলাতে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, এরা যে দেশের শত্রু, কে তা আমাদের বলেছিল? আমার দেশের সরকার। যে সরকার আদালতে দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন মিথ্যা কথা বলেছে, যে সরকার আইন, সংবিধান সচেতনভাবেই লঙ্ঘন করছে, সেই সরকার বিশ্বাসযোগ্য?

আমার জীবনে সবচেয়ে বড়ো আফশোস - একদিন এইভাবে বোমা ফেলাকে সমর্থন করেছিলাম। রাষ্ট্রের মঙ্গল মানেই ভেবেছিলাম দেশের মঙ্গল। হৃদয়ের আবেগের কাছে হেরে গিয়েছিল যুক্তিসঙ্গত বিচার। বাবা-মা’র কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে আমি পেয়েছিলাম অরাজনৈতিক দেশপ্রেম, তা উবে গিয়ে সহজেই পরিণত হয়ে গিয়েছিল জাতীয়তাবাদে। আমি তো প্রতিষ্ঠান বিরোধী ছিলাম, সেটাও উবে গেল। জীবনে কী ভুল!

ভুল শোধরাতেই আমি আজ সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এখন জনগণের কাজ করি। প্রায় তিন দশক সময় লেগে গেল আমার বুঝতে যে সরকারের কাজ আর জনগণের কাজ এক নয়। পৃথিবীর মানুষকে আমেরিকার গুপ্তচরের হাত থেকে রক্ষা করা আমার এখন কাজ, যে গুপ্তচর একদিন আমি ছিলাম। আমি এডওয়ার্ড স্নোডেন।


(এডওয়ার্ড স্নোডেনের ‘পার্মানেন্ট রেকর্ড’ বই থেকে)।