E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

অবশেষে পেরুতে ক্ষমতায় আসীন বামপন্থীরা

লালন ফকির


লাতিন আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ পেরুতে অবশেষে বামপন্থী নেতা পেড্রো কাসতিল্লো রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের একমাস পর ২৮ জুলাই তিনি রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত হলেন। বিগত তিন দশক যাবত দক্ষিণপন্থী শাসকদলের শাসনের অবশেষে অবসান হলো। ‘নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে’ এই অভিযোগ তুলে ক্ষমতাসীন দক্ষিণপন্থী শক্তি কেইকো ফুজিমোরির নেতৃত্বে নির্বাচনে পরাজিত হলো পেড্রোর জয়কে অস্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক অডিট দাবি করে। শেষ পর্যন্ত অনেক টালবাহানার পর অবশেষে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, পেড্রো কাসতিল্লো ৪৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে তাঁর প্রতিপক্ষ শ্রীমতি কেইকো ফুজিমোরিকে পরাস্ত করেছেন। পরাস্ত প্রার্থী কেইকো ফুজিমোরি হলেন প্রাক্তন দক্ষিণপন্থী রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফুজিমোরির কন্যা। ইনি নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে দু’লক্ষের বেশি ভোট বাতিলের দাবি করেছিলেন। প্রসঙ্গত, এই ভোটারদের অধিকাংশের ঠিকানা দেশের প্রত্যন্ত আন্দিয়ান অঞ্চলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা এই ভোটের সিংহভাগই ছিল পেড্রো কাসতিল্লোর অনুকূলে। পেরুর নির্বাচন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিরোধী প্রার্থীর সমস্ত বক্তব্য শোনার পর তাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে পেড্রোকে জয়ী বলে ঘোষণা করে।

পেড্রোর ক্ষমতাসীন হওয়া আটকাতে কেইকো ফুজিমোরি শেষ মুহূর্তে সমগ্র ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল অডিট’ দাবি করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। কারণ পেরুর নির্বাচন ব্যবস্থা পরিদর্শনে এই মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত পরিদর্শকরা নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষতার সাথে প্রতিপালিত হয়েছে বলে শংসাপত্র দিয়েছেন। ফুজিমোরি সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি করার জন্য অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)-কে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি করে। একথা সর্বজনবিদিত যে, ওএএস এই অঞ্চলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে কাজ করে। এই সংস্থার সক্রিয় ভূমিকার পরিণতিতে ২০১৯ সালে বলিভিয়ার নির্বাচনের ফলাফল পালটে যায়। বলিভিয়ার এই নির্বাচনে বামপন্থী রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস জয়ী হন। কিন্তু বিরোধীরা এই জয়কে মেনে নিতে পারেনি এবং ওএএস-এর শরণাপন্ন হয়। ওএএস কোনো উপযুক্ত প্রমাণাদি ছাড়াই মোরালেসের নির্বাচন বাতিল করে দেয়। ওএএস’র রিপোর্টের পর দেশব্যাপী হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এর মধ্য দিয়ে মোরালেস ক্ষমতাচ্যুত হ’ন। কিন্তু এক বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বামপন্থীরা ক্ষমতায় ফিরে আসে।

পেরুর সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনার পূর্বে দেশটির ভূ-রাজনৈতিক চিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা যেতে পারে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, লাতিন আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত। অতীতের বিখ্যাত ইনকা (রেড ইন্ডিয়ান) সভ্যতার ভিত্তিভূমি হলো পেরু। ১৮২১ সালের ২৮ জুলাই স্পেনের অধীনতা থেকে পেরু মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৬৮ সালের কার্যত সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। ১৯৮০ সালে গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে ডিসেম্বর মাসে নতুন সংবিধান প্রণীত হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আলেজান্ডো টোলেডো রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত পেরুর প্রথম ভূমিপুত্র রাষ্ট্রপতি ছিলেন টোলেডো। ২০০৩ সালের জুন মাসে পেরুর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন বোট্রিজ মেরিনো।

পেরুর উপকূলে রয়েছে মরুভূমি। এই মরুভূমি সাহারার থেকেও কঠোর-শুষ্ক। এখানেই গড়ে উঠেছে রাজধানী লিমা সহ বড়ো বড়ো শহর। উপকূলের পূর্বদিকে উত্তর থেকে দক্ষিণ বিস্তৃত আন্দ্রিজ পর্বত। এই অঞ্চলে রয়েছে সবুজ মালভূমি। আন্দ্রিজের পূর্বদিকে ঢাকা ঘন অরণ্য।

লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় পেরুতে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় মানুষ ইন্ডিয়ানদের বাস। এদের মধ্যে রয়েছে ইনকা সভ্যতার রেড ইন্ডিয়ানরাও। ১২০০ থেকে ১৫০০ শতক জুড়ে গড়ে উঠেছিল ইনকা সাম্রাজ্য।

পেরুর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, পেড্রো তাঁর প্রতিপক্ষের তুলনায় ৪৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কেইকো ফুজিমোরি তাঁর প্রতিপক্ষ পেড্রোর কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে পেরুতে যেখানে বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র দক্ষিণপন্থীরা শাসনে প্রতিষ্ঠিত, সেখানে বামপন্থীদের জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী পেড্রো কাসতিল্লো (Pedro Castillo) দে‍‌শের একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এবং কৃষক সন্তান। রাষ্ট্রপতি পদে বামপন্থীদের প্রার্থীপদে তাঁর নাম যখন ঘোষিত হয়, তখন সাধারণ পেরুবাসীরা তাঁর সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে পড়েন। তিনি বামপন্থী দল বলে পরিচিত ফ্রি পেরু পার্টির প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে, জনমানসে বামপন্থী প্রার্থী হিসাবে মার্কসবাদী রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির কেরন (Vladimir Cerron)-এর নাম আলোচিত হয়েছিল। ইনি পেশায় একজন ডাক্তার এবং ইকনমিক্স নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন প্রাক্তন প্রাদেশিক গভর্নর। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বানানো অভিযোগ ওঠায় তিনি প্রার্থী হতে পারেন নি। প্রায় শেষ মুহূর্তে পেড্রো কাসতিল্লোকে প্রার্থী করা হয়। পেড্রো তাঁর যৌবনের প্রাথমিক লগ্নে কৃষিকার্যে যুক্ত ছিলেন।

এবারের নির্বাচন সহ পর পর তিনটি নির্বাচনে ফুজিমোরি পরাস্ত হয়েছেন। এই নির্বাচনে জয় তাঁর কাছে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে সমস্ত অভিযোগ জমা রয়েছে, তার ফয়সালা ঠিকমতন হলে তার দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তিনি গত বছর প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁকে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর পিতা পূর্বতন রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পরও কেইকো ফুজিমোরি রাষ্ট্রপতি পদে পেড্রোর জয়কে স্বীকৃতি প্রদান করতে তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পেড্রোর বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, ‘সংবিধানকে রক্ষা করতে’ এবং ‘কমিউনিস্টরা যাতে সরকারি ক্ষমতা দখল করতে না পারে’ সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন পেড্রো সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে হবে। নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর রাজধানী লিমা শহরে রাস্তায় নেমে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ দেখায় এবং বলে কাসতিল্লোকে তারা মানবে না।

নির্বাচনের প্রথম পর্বে পেড্রো প্রবল উদ্যোগে অবহেলিত গ্রামাঞ্চলে প্রচারকার্য চালান। পেরুর জনগণের উল্লেখযোগ্য অংশ এই অঞ্চলে বাস করেন। ফুজিমোরি এই অঞ্চলে তার অপর দক্ষিণপন্থী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সামান্য ভোটে এগিয়ে আছে। এই অঞ্চলে তাঁর নির্বাচনী প্রচার ছিল পেরুতে আর ধনী-গরিবের পার্থক্য থাকবে না।

পেরু প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ। সর্বশেষ দশকে পণ্য উৎপাদনের বৃদ্ধির ফলে পেরুর অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়েছিল। এই সমৃদ্ধির সিংহভাগ দখল করেছে ধনী ও অভিজাত সম্প্রদায়। পেড্রো তাঁর সমর্থকদের বলেছেন যে, শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষকরা দয়ার পাত্র হিসাবে থাকবে না। জয়ের পর রাজধানী শহর লিমায় তিনি বলেছেন যে, ‘‘আমরা যুব সমাজকে শিক্ষিত করতে উদ্যোগী হবো। আইনের চোখে সকলেই সমান। এই নীতির ভিত্তিতে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।’’ পেরুতে বিগত তিন দশকে দক্ষিণপন্থী শাসকগোষ্ঠীর নেতৃত্বে নব্যউদারনীতির ব্যাপক প্রয়োগ ঘটেছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক পেরুবাসী অর্থনীতির মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বিগত পাঁচ বছরে পেরুতে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় দিতে গিয়ে অ্যালান গার্সিয়া বন্দুকের গুলিতে আত্মঘাতী হয়েছিলেন, কারণ তাঁর দুর্নীতির প্রামাণ্য অভিযোগ ছিল। কারাবাসের আশঙ্কা থেকে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দেশ হলো পেরু, যেখানে করোনা মহামারী প্রবলভাবে থাবা বসিয়েছে। বস্তুতপক্ষে জনসংখ্যার নিরিখে আক্রান্ত কোভিড রোগী পেরুতে সর্বাধিক। কোভিড অতিমারী প্রতিরোধে পেরুর সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একইভাবে প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের ক্ষেত্রেও ব্যর্থ পূর্বতন সরকার। কোভিড অতিমারীর সময়ে নতুন করে দশ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। দে‍শের অর্থনীতি কোভিড সংক্রমণের ফলে ১১ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। গত বছর প্রচারের সময় পেড্রো বলেছিলেন, তিনি যদি নির্বাচিত হন, তাহলে পেরুবাসীদের বিনামূল্যে প্রতিষেধক টিকা সরবরাহ করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পেরুতে তিন কোটি ২০ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে।

কাসতিল্লো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, আয় ও সম্পদের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং দারিদ্র্য প্রতিরোধে তিনি কার্যকরি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠনে উদ্যোগী হবেন। বর্তমান সংবিধান ১৯৯৪ সালে গৃহীত হয়েছিল, যখন দেশের নব্যঅর্থনীতির প্রয়োগ হচ্ছিল। এর প্রভাব সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, তিনি দেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের জাতীয়করণ চান। এর মধ্য দিয়ে তিনি চান দে‍শের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে বিনিয়োগ। বিদেশি কোম্পানিগুলির কাছে তিনি তাদের মুনাফার ৭০ শতাংশ পেরুতেই বিনিয়োগ করার আহ্বান রেখেছেন এবং এর উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বিনিয়োগ করার প্রত্যাশা রেখেছেন। দে‍শের মূল্যবান বিদেশি মুদ্রার অপচয় রোধে তিনি বিলাস দ্রব্য এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হবার পর থেকে পেড্রো তার রাজনৈতিক বক্তব্যের ঋজুতা কিছুটা কমিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এইজন্য ফ্রি পেরু পার্টির নেতৃত্বের সাথে তাঁর কিছুটা দূরত্বও তৈরি হয়েছে। পেড্রো তাঁর সূচনা ভাষণে ‘জাতীয় ঐক্যের পুনর্নির্মাণের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পেড্রো বলেছেন যে, লাতিন আমেরিকার অন্যান্য নেতা বিশেষত ভেনেজুয়েলার ইভো মোরালেস প্রমুখের ন্যায় তিনি রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে থাকবেন না। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনকে জাতীয় মিউজিয়ামে পরিণত করবেন।

পূর্বোক্ত প্রেক্ষিতে পেরুতে রাষ্ট্রপতি পদে বামপন্থী নেতা পেড্রোর জয় লাতিন আমেরিকাতে তো বটেই সারা বিশ্বে বামপন্থী আন্দোলনের পক্ষে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে - যা অস্বীকার করা যাবে না।