আমেরিকার চিপ প্রযুক্তিতে আধিপত্য ও চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন
দেবেশ দাস
১৮৯৬ সালে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ইলেকট্রন আবিষ্কার হয়। ২০২১ সালে হলো তার ১২৫ বছর। এর মধ্যে পৃথিবী একেবারে ওলটপালট হয়ে গেল বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের চলাফেরায়। যেমন কিছু কিছু পদার্থের (তামা, লোহা ইত্যাদি) মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন দ্রুতগতিতে চলে আমাদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাল, এই পদার্থগুলি হচ্ছে সুপরিবাহী। আমরা সবাই জানি কিছু কিছু পদার্থের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ যায় না, যেমন কাঠ, এটা হচ্ছে কুপরিবাহী, তাদের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যায় না। আবার কিছু কিছু পদার্থ আছে যেগুলি অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাকটর (সিলিকন, জার্মানিয়াম ইত্যাদি) যেখান দিয়ে ইলেকট্রন চলাচল হয় মাঝামাঝি, এই পদার্থগুলি গরম হলে বিদ্যুৎ পরিবহণ করতে পারে।
গত শতাব্দীর প্রথম দিকে কিছু সুপরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের চলাচল নিয়ন্ত্রিত করে কিছু যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছিল। কিন্তু হৈ হৈ কাণ্ড ঘটে গেল শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে যখন অর্ধপরিবাহীগুলিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে নির্দিষ্ট কিছু অন্য পদার্থ বিশেষভাবে মিশিয়ে ইলেকট্রনের চলাফেরার নিয়ন্ত্রণ শুরু করল মানুষ। একে বলে ডোপিং, ঠিক যেমন কোনো খেলোয়াড়ের খাবারে মাদক দ্রব্য মিশিয়ে দিলে সেই খেলোয়াড়ের দক্ষতা বাড়ানো যায়, তেমনি অর্ধপরিবাহীতে নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ডোপিং করে তাকে দিয়ে নানা ধরনের কাজ করানো যায়। শুরু হলো সেমিকন্ডাকটর প্রযুক্তির যুগ। আবিষ্কার হলো নতুন নতুন যন্ত্রের।
যেমন এরকম একটি যন্ত্রের নাম ট্রানজিস্টর, তৈরি হয় ১৯৪৭ সালে। অনেকের হয়তো মনে থাকবে, রেডিয়োকে আগে ট্রানজিস্টর বলা হতো। আসলে প্রত্যেক রেডিয়োতে ৬-৭টা ট্রানজিস্টর নামে একটা বস্তু থাকত, যার এক একটার আকার ছিল ওষুধের ক্যাপসুলের মতো। ট্রানজিস্টর দিয়ে রেডিও বানানো হয় প্রথমে ১৯৫১ সালে।
সেমিকন্ডাকটর প্রযুক্তিতে এর পরের বিখ্যাত প্রযুক্তির আবিষ্কারের নাম চিপ। ১৯৫৮ সালে কিলবি নামে আমেরিকার টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট কোম্পানির এক ইঞ্জিনিয়ার তাঁর ৩৫ বছর বয়সে একটা বস্তু বানালেন যেখানে ছোটো একটু জায়গায় একটি ট্রানজিস্টরের সাথে ছিল আরও চারটে ইলেকট্রনিক বস্তু। আবিষ্কর্তা এর নাম দিলেন ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, পরে তার ছোটো একটা নাম হয় ‘চিপ’। ১৯৬১ সালে একটা বস্তু বানানো হলো যেখানে ২টি ট্রানজিস্টর থাকল ছোটো একটু জায়গায়। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আস্তে আস্তে ১০০, ২০০, ১০০০ ট্রানজিস্টর এসে গেল অল্প একটু জায়গায়। কত অল্প জায়গা বলুন তো? দৈর্ঘ্যে, প্রস্থে দুদিকেই ০.৫ মিমি।
এক একটা চিপ এক একরকম কাজ করে। একটা চিপ হয়তো ক্যালকুলেটরের কাজ করে, আরেকটা চিপ হাতঘড়ি, কেউ ডিজিটাল ক্যামেরা, কেউ মোবাইল ইত্যাদি। চিপের প্রয়োগ ঘটেছে নানা জায়গায় - ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, মোটর গাড়ি, জাহাজ, এরোপ্লেন, দুনিয়ার সর্বত্র।
কোনো কোনো চিপ কম্পিউটারের মূল কাজটি করে যাকে বলে প্রসেসর। ১৯৭১ সালে কম্পিউটারের প্রসেসর চিপ আকারে প্রথম বানায় আমেরিকার ইনটেল নামে এক কোম্পানি, ছোট্ট একটু জায়গায় - ২৩০০ ট্রানজিস্টরের একটি চিপ। এই ইনটেল কোম্পানিই এখনো পৃথিবীর বেশিরভাগ কম্পিউটারের প্রসেসর বানায়। ২০২২ সালে ইনটেল কোম্পানির বানানো কম্পিউটার প্রসেসরে আছে ২৯৫ কোটি ট্রানজিস্টর, ১৯৭১ সালের তুলনায় প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ। বুঝতেই পারছেন কী অসাধারণ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে এই চিপের প্রযুক্তি।
ক্যালকুলেটর বা হাতঘড়ির পিছনটা ভেঙে ফেললে দেখা যেতে পারে কোন চিপটা ওকে চালাচ্ছে। কিন্তু ভেঙে করবেন কী? শুধু চিপটা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাবে না ওটা কী কাজ করে। যে কোম্পানি চিপ বানিয়েছে, সে বলে দেয় তার কোন চিপটা কোন কাজ করে। প্রযুক্তিটা এমনই যে বাক্সটা ভেঙে, তাকে গুড়ো গুড়ো করলেও বোঝা যাবে না ওটা কীভাবে তৈরি হয়েছে। আসলে আপনি পৌঁছে গেছেন একটি বন্ধ বাক্সের সামনে। এই প্রযুক্তিতে পৃথিবীর পণ্ডিততম ব্যক্তিটিও বাক্সটি ভেঙেও বুঝতে পারবেন না ওটাকে কীভাবে বানানো হয়েছে। এক গাদা জ্ঞানকে একটা ছোট্ট জায়গায় বন্ধ করে আটকে দেওয়া হয়েছে, কারোরই সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। যে কোম্পানি ওই চিপটি বানিয়েছে সেই শুধু জানে যে ওটাকে কীভাবে বানানো হয়েছে, সে কখনো কাউকে বলবে না ওটা কীভাবে বানিয়েছে। তাহলে বোঝাই যাছে, যারা প্রথমে এগিয়েছে জ্ঞানে, তারা জ্ঞান কুক্ষিগত করে আরও এগিয়ে যাবে।
সারা পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি আছে যারা এসব বানায়। মূলত, পাঁচটি দেশ এতে এগিয়ে আছে - আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ড।
চিপে একটা ছোটো জায়গায় যে কোটি কোটি ট্রানজিস্টর ঢুকে যাচ্ছে, সেই প্রতিটি ট্রানজিস্টর কয়েকটি উপাদান দিয়ে তৈরি, সেই উপাদানগুলির ন্যূনতম দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ কত জানেন? এখন যে কম্পিউটার বাজারে পাওয়া যায় তার প্রসেসরে যে চিপ থাকে সেখানে সেই উপাদান দৈর্ঘ্যে বা প্রস্থে ৭ ন্যানো মিটার। এক ন্যানো মিটার মানে ১ মিটারকে ১০০ কোটি দিয়ে ভাগ দিলে যা হয় তাই। তাইওয়ানের একটি কোম্পানিতে এখন চিপ বানানোর প্রযুক্তি হচ্ছে ৩ ন্যানো মিটারের। যত ছোটো, তত আধুনিক।
একই জিনিস যদি আধুনিক (৭ ন্যানো মিটার) ও পুরনো (১৪ ন্যানো মিটার) দুই প্রযুক্তিতেই বানানো যায়, তাতে কী পার্থক্য? পুরনো প্রযুক্তির চিপ হবে বেশি শ্লথ, বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে, একসাথে অনেক কাজ করার ক্ষমতাও কমবে, শেষপর্যন্ত সব কাজ তার দ্বারা হবে না।
ঠিক এই অসুবিধাটা হচ্ছে চীনের। চীনে চিপ বানানোর প্রযুক্তি আছে, তবে তা ১২ থেকে ১৪ ন্যানো মিটারের। নতুন প্রযুক্তি আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের গবেষণায় অনেক এগিয়েছে চীন। চীন চায় এই প্রযুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের এক নম্বর হতে। কিন্তু তা হতে গেলে চীনের লাগবে উন্নত প্রযুক্তির চিপ। আমেরিকার এনভিডিয়া কোম্পানি আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের জন্য চিপ বানায়। চীন তার সাথে কথা বলে প্রথমে মোট ৪০০ মিলিয়ন ডলারের (৩,৩০০ কোটি টাকা) এই ধরনের চিপ কেনার ব্যবস্থা করেছিল।
কিন্তু, আমেরিকার সরকার তার আগেই তাতে বাদ সেধেছে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে। এনভিডিয়া-কে সরকার বলে দিয়েছে যে, চীনে বিশেষ দুটি চিপ বেচতে চাইলে তাকে বিশেষ লাইসেন্স নিতে হবে। বলা বাহুল্য, এই দুটি চিপই কিনতে চেয়েছিল চীন। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সে চীনের স্বপ্ন পূরণ হওয়া কঠিন। এখন চীন কী করবে? ওই কোম্পানির কাছ থেকেই এই ব্যাপারে পুরনো প্রযুক্তির চিপ কেনা যায়, কিন্তু তাতে দামে তো বেশি পড়বেই, সেই পারফরম্যান্সও আসবে না।
২০২২ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখে আমেরিকা জানিয়ে দিল, এরকম পুরোনো বা নতুন কোনো চিপই চীন আর আমেরিকা থেকে কিনতে পারবে না। সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য - আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, উচ্চমাত্রায় গণনা ও সুপার কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে এরকম আমেরিকান প্রযুক্তিতে তৈরি কোনো সেমিকনডাক্টর চীনে কেউ বিক্রি করতে চাইলে, তার বিশেষ লাইসেন্স লাগবে। বলা বাহুল্য, এই লাইসেন্স কোনো আমেরিকান কোম্পানিই শেষপর্যন্ত পাবে না।
চীনের দ্বিতীয় অপশন, নিজেই সেই চিপ বানানো। চীন তা বানাতে শুরু করেছে অনেক আগেই। কিন্তু আরও ভালোভাবে বানাতে সারা দুনিয়ায় যে দ্রুতগতিতে এই প্রযুক্তি এগোচ্ছে তা জানা দরকার। সবচেয়ে ভালো হয়, দরকারে বেশি পয়সা দিয়ে এই বিষয়ে দক্ষ আমেরিকান কোনো বিজ্ঞানী বা সংস্থাকে ভাড়া করা। কিন্তু ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর, আমেরিকান সরকারের দ্বিতীয় নির্দেশ - কোনো মার্কিন নাগরিক বা সংস্থা নির্দিষ্ট অনুমোদন ছাড়া চীনা চিপ নির্মাতাদের সাথে কাজ করতে পারবে না। অতএব সেই পথ বন্ধ।
চীনকে তাহলে নিজেকেই আরও দক্ষ পেশাদারদের তৈরি করতে হবে। কোনো একটি নির্দিষ্ট চিপের ডিজাইন আপনাকে সেই চিপের প্রস্তুতকারীরা দিতে পারে, কিন্তু পড়াশোনা করে নতুনভাবে সেই ডিজাইন বানানো যেতে পারে। কিন্তু তারপর? তা থেকে চিপটি বানাবে কে?
চিপটি বানাতে ফাউন্ড্রি (foundry) লাগে। এই ফাউন্ড্রি দারুণ খরচসাপেক্ষ। চীনে ফাউন্ড্রি আছে, কিন্তু তা যথেষ্ট উন্নত নয়। উন্নত প্রযুক্তির (ধরুন ৭ ন্যানোমিটারের) ফাউন্ড্রির যন্ত্রপাতি বেচে বিশ্বের মাত্র পাঁচটি কোম্পানি, যার ৩টি আমেরিকায়, ১টি নেদারল্যান্ডে, আরেকটি জাপানে। কিন্তু গত অক্টোবরের নির্দেশে বলা হয়েছে যে, আমেরিকার কেউ এইরকম কোনো চিপ বানানোর যন্ত্রপাতি চীনে সরাবরাহ করতে পারবে না যার মাধ্যমে চীন তাদের যন্ত্রপাতির বিকাশ করতে পারে, শুধু তাই নয়, এরকম কোনো প্রযুক্তিও চীনকে বেচা চলবে না।
আসলে চীনকে একেবারেই সেমিকনডাক্টর প্রযুক্তিতে এগোতে দিতে চায় না আমেরিকা। চিপের আধুনিক প্রযুক্তি পেতে চীনকে এভাবে আটকানো সম্বন্ধে চীনে অবস্থিত শিল্পে বিনিয়োগকারী একটি বিখ্যাত ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মন্তব্য করেছেন যে, এ রকম ঘটলে এই প্রযুক্তিতে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলি প্রস্তর যুগে ফিরে যাবে।
গত অক্টোবরের এই নিষেধাজ্ঞায় গত কয়েক দশক ধরেই চীন যে চিপ আমদানি করে আসছে, তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চীনের বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন যে, আমেরিকা নিজেদের প্রযুক্তির আধিপত্য বজায় রাখার জন্য চীনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তির অবরোধ গড়ে তুলছে।
বাস্তবিকই এ এক অবরোধ, উন্নত প্রযুক্তি যাতে চীনে না ঢুকতে পারে তার জন্য অবরোধ। এটা ঠিক, গত কয়েক দশকে প্রযুক্তি ও তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসায় চীন অনেক এগিয়েছে। করোনার শুরুতে এন-৯৫ মাস্ক ও আরও কিছু মেডিকেল যন্ত্রপাতি আমেরিকাকে কিনতে হয়েছিল চীনের কাছ থেকেই। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক উদাহরণ আছে চীনের এগোনোর। সামগ্রিকভাবে ব্যবসা বাণিজ্যে চীন যে এগিয়ে আছে তার একটা বড়ো প্রমাণ হচ্ছে যে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে চীনের আমদানি থেকে রপ্তানি বেশি হয়েছে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, সেই একই সময়ে আমেরিকায় আমদানি থেকে রপ্তানি পিছিয়ে ছিল ৬৮ বিলিয়ন ডলারে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন যা এগোচ্ছে তাকে আটকাতে চায় আমেরিকা। চীন তো পিছিয়েই আছে সেমিকনডাক্টর প্রযুক্তিতে। ভারত অবশ্য আরও অনেক পিছিয়ে। এই প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেই দুনিয়াজুড়ে নানা যন্ত্রপাতি দাপিয়ে বেড়াবে আরও কয়েক দশক। প্রতিটি জিনিসেই তো লাগে সেমিকনডাক্টর চিপ। সেখানে চীনকে ঠেকাতেই হবে আমেরিকার।
এক ঠান্ডা লড়াই চলছিলই চীন ও আমেরিকার মধ্যে। চিপ নিয়ে তা নতুন মাত্রা পেল। আমেরিকার এক ইতিহাসবিদ আদাম টুজ লিখেছেন “এই ঠান্ডা যুদ্ধ বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে বৈরিতার অবসানের লক্ষ্যে নয়, ...কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত চীনের সাথে সহাবস্থানই বিতর্কের বিষয়। অবশ্যই সব কিছু বাদ দিয়ে এক ঝুঁকিপূর্ণ সংঘর্ষের পথে ঘটনা এগোচ্ছে... সমন্বয় ও মিটমাট ছেড়ে আরও অজানা রহস্যের দিকে। আমেরিকা চীনের অর্থনৈতিক বিকাশ আটকাতে চায় না, শুধুমাত্র প্রতিটি প্রযুক্তিতে আমেরিকার প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে তারা জোর করে একটা সীমা চাপিয়ে দিতে চায়।’’ এই সীমা চাপানোর জন্যই চীনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তি অবরোধ।
জেনেভা-তে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশনের (ডাব্লিউটিও) গত ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখের সভায় চীনের প্রতিনিধি আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন - ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রণাদায়ক আচরণগুলি তাকে একতরফা উৎপীড়ক, আইনভঙ্গকারী, সাপ্লাই-চেন ভঙ্গকারী হিসাবে চিত্রিত করেছে।’’
বাস্তবিকই আইনভঙ্গকারী এক উৎপীড়কের ভুমিকায় নেমেছে আমেরিকা, যা ভেঙে দিতে চাইছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্য ও প্রযুক্তির চলাচলের ব্যবস্থাকেও। বিশ্বায়নে মুখে পণ্য ও প্রযুক্তির অবাধ চলাচলের কথা বলা হবে; কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, সেই অবাধ চলাচল হতে হবে আমেরিকার নির্দেশিত পথ ধরে।